নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব... নচেত চুপ থাকিব...

সত্য তখনই দাম পায়, যখন তার পাশে মিথ্যা নামক অদৃশ্য বস্তুটি স্থান পায়......

নহে মিথ্যা

নহে মিথ্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ২৫টি বীভৎস পন্থা (৩য় পর্ব)

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

কোন এক কারনে লেখার ছবি গুলি আপলোড হলেও তা লেখার সাথে সংযুক্ত করতে পারছিনা। ছবি সংযুক্ত করার সময় আমি বার বার ব্যার্থ হই। তাই আজ ছবি ছাড়াই লেখা দিলাম। ছবি যুক্ত লেখার মত পরিপূর্ন না হলেও আপনাদের ভাল লাগবে এই আশাই রইল।



তাহলে শুরু করা যাক ===>



মৃত্যু দন্ড, অপরাধির জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি। যদিও পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হয় না, কিন্তু বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে মৃত্যু দন্ড দেবার বিধান রয়েছে। এই শাস্তির বিধান পৃথিবীতে যত গুলি আইনি শাস্তি রয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে পুরাতন। তাই সময়ের সাথে এই মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার পদ্ধতি একেক সময়ে একেক পন্থায় হয়েছে। আজ আমি আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব এমন বীভৎস কিছু পন্থার সাথে যা সম্পর্কে জানলে আপনারও ভয় লাগবে, শুধু একবার চিন্তা করুন আসামির জায়গায় আপনি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার ২৫টি বীভৎস পন্থা সম্পর্কে,



চামড়া ছড়ানোঃ

চামড়া ছাড়ানো (Flaying Skin) এক বীভৎস মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে জীবিত মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামিকে টেবিলের সাথে বেঁধে জীবন্ত অবস্থায় তার চামড়া ছেলা হয়। আর ছেলা চামড়া জনসম্মুখ্যে টানিয়ে রাখা হয়, যাতে সবাই দেখতে পারে এবং শাষককে ভয় পায়। ভয় তৈরি করার বেশ ভাল পন্থাই বলা যায়!! কি বলেন?



রক্তের ঈগলঃ

রক্তের ঈগল (Blood Eagle) পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার প্রথা চালু ছিল ফিনল্যান্ডে। এই পদ্ধতিতে মৃত্যু সাজা প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে দাড় করিয়ে টান টান করে বেঁধে তার মেরুদন্ড বরাবর কেটে তার বুকের পাজরের হাড় বের করে ভেঙ্গে ঈগলের পাখার মত মেলে রাখা হয়, এরপরে পিছন থেকে ফুসফুস বের করে রাখা হয়। এখানেই শেষ না, এর পরে বাইরে ঝুলে থাকা ফুসফুস এবং ক্ষত জায়গায় লবন মেখে দেওয়া হত। এই পদ্ধতিতে রক্তক্ষরন কম হবার কারনে ব্যাক্তি অনেক সময় ধরে বেঁচে থাকত, আর তার মৃত্যুর তীব্রতাও বৃদ্ধি পেত।



জাফরিঃ

জাফরি (The Gridiron) পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে উত্তপ্ত কয়লার বিছানার উপর জোড় করে চেপে রাখা হত। অনেকটাই কাবাব বানাবার মত। তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত এই ভাবে তাকে মেরে এই জ্বলন্ত কয়লার বিছানায় চেপে রাখা হত। এই পদ্ধতিতে আসামির মৃত্যু অনেক দেরিরে হত, আর তার শরীরের চামড়া পুড়ে সম্পূর্নটাই কাল হয়ে যেত।



নিষ্পেষণঃ

নিষ্পেষণ (Crushing) পদ্ধতি অনেকটাই হাতি দ্বারা কার্যকর করা মৃত্যু দন্ডের মত। তবে কিছুটা ভিন্ন। এই পদ্ধতি মূলত মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামির ক্ষেত্রে ব্যাবহার হত না, তবে যে সকল আসামির উপর ব্যাবহার করা হত তারা সকলেই মৃত্যুররন করত। কি ধাঁধার মধ্যে পরে গেলেন। আচ্ছা এবার একটু ভেঙ্গে বলি, এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল আমেরিকায় আর সেখান থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এটির বিস্তার ঘটে। তৎকালীন সময়ে কোন সাধারন ব্যাক্তি বা দাস যদি কোন সম্ভান্ত পরিবারের বিশেষ ব্যাক্তিদের দ্বারা দোষি হিসেবে আক্ষা পেত, তাহলে তাদের দিয়ে দোষ স্বীকার করানোর কাজেই ব্যাবহার করা হত এই পদ্ধতি। এক্ষেত্রে আসামিকে মাটিতে শুইয়ে তার উপর ভারি বস্তু রাখা হত, আর প্রতিবার তাকে তার দোষ স্বীকার করার কথা বলা হত। স্বীকার না করা পর্যন্ত ওজন বাড়িয়ে যাওয়া হত, যতক্ষন পর্যন্ত না সে মারা যায়। তবে দোষ স্বীকার করলেও যে মুক্তি পেত তা নয়, সেই দোষের জন্য এবং সবাইকে মিথ্যা বলার দ্বায়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হত। মানে কোন ভাবেই নিস্তার নাই।



ক্যাথেরিনের চাকাঃ

ক্যাথেরিনের চাকা (Catherin Wheel) নামটি কেন এসেছে তা জানা নেই, তবে কোন নারীর নামের সাথে যে সম্পর্কিত তা না শুনেই বোঝা যায়। হতবা ক্যাথিরিন নামে কেউ এই মৃত্যদন্ড কার্যকর পদ্ধতি আবিস্কার করেছিল। এই ক্যাথেরিনের চাকার আরেকটি নাম আছে, তা হল "Breaking Wheel"। এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা মানে সত্যিকার অর্থে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করা। এই পদ্ধতিতে আসামিকে একটি চাকার সাথে শক্ত করে বাঁধা হয়, এর পরে চাকাটি জোড়ে জোড়ে ঘুরতে থাকে, এ সময় জল্লাদ চাবুক বা লাটিদিয়ে ঘুরতে থাকা আসামির গায়ে সর্বোচ্চ জোড় দিয়ে আঘাত করতে থাকে। আঘাত করতে করতে জল্লাদের মন ভরলে সে তখন মোটা লোহা দিয়ে আসামির হাতে আর পায়ে পেরেক পুতে দেয়, তারপর আবার আঘার হানা শুরু করে জল্লাদ। যত সময় মন চায় চালিয়ে যায়। মন তৃপ্ত হলে তখন পেরেক পোতা অবস্থায় আসামিকে শহরের মাঝে টাঙ্গিয়ে রাখা হয়, যাতে সবাই দেখতে পারে। অনেকটা ক্সুসের মত শুধু পার্থক এখানে ক্রুস না দিয়ে ক্রস (X) আকৃতির খুটির সাথে প্রেক দিয়ে হাত পা লাগানো থাকে।



ছবি সহ লেখাটি পড়তে পারেন এখানে



পূর্বের পর্বঃ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ২৫টি বীভৎস পন্থা (২য় পর্ব)

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ছবি দেয়া নিয়ে কোন ধরণের সমস্যা হচ্ছে? দেখুন এই পোষ্টটি কোন কাজে আসে কিনাঃ
Click This Link

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

নহে মিথ্যা বলেছেন: ভাই আপ্লোড হয় কিন্তু লেখায় "ইন্সার্ট" করতে চাইলেও হয় না... ছবিতো সব আপ্লোড করা কিন্তু লেখায় যুক্ত করতে পারছি না। :( কি করব বুঝতেছি না!! ছবি ছাড়া লেখার আকর্ষন ৫০% কমে যায় :(

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

ঢাকাবাসী বলেছেন: লেখা ভাল ছিল তবে ছবি হলে আরো ভাল হতো।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫

নহে মিথ্যা বলেছেন: সহমত কিন্তু কি করব বলুন...?? পারছি না তো... :(
আপনে এখানে পড়ে নিতে পারেন... এটাও আমার লেখা... :)

Click This Link

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

সুমন কর বলেছেন: গুড পোস্ট।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০০

নহে মিথ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আপনি কি থাম্বনেইলের উপরে ক্লিক করেছেন? করলে কিন্তু যাবেনা।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

নহে মিথ্যা বলেছেন: ভাই আমাকে আপনার ইমেইল আইডি দেন আমি স্ক্রীন শট দেই তাহলে আমার বুঝাতে এবং আপনার বুঝতে সুবিধা হবে...

যত টুকু পারি বোঝাবার চেষ্টা করিঃ
আপলোড করা ছবিতে ক্লিক করলে তা নিচে আসে, তারপর কপিরাইট আমার এই বক্সে ক্লিক করে ইন্সার্ট এ ক্লিক করলে ঐ window পুরা সাদা হয়ে হয়ে যায় শুধু উপরে close আর esc থাকে তাতে ক্লিক করলে window বন্ধো হয়ে যায় কিন্তু লেখায় ছবি আসে না... :( আর আপলোড করা ছবি remove হচ্ছে না... :(

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০২

নহে মিথ্যা বলেছেন: না না ভাই আপলোড হলে থামবেলে ক্লিক করলে তা লেখায় আসে না... পূর্বের অভিজ্ঞতায় জেনেছি... ওটা করি নাই :)

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০২

পথহারা নাবিক বলেছেন: দয়া করে অন্য কিছু নিয়ে লেখুন!!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

নহে মিথ্যা বলেছেন: জাহান্নামের ভয় যেমন আমাদের পাপ কর্ম থেকে দূরে রাখে তেমনি অপরাধের শাস্তি আমাদের অপরাধ থেকে দূরে রাখে। আমার মতে এগুলা জানা দরকার... এটা আমার দৃষ্টি কোণ থেকে বললাম... :)

সব গুলি পর্ব শেষ হলেই অন্য কিছু নিয়ে লিখব :)

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ইমেইলের আর দরকার হবে না। আপনার বর্ননাতে বুঝতে পারছি। কবে থেকে সমস্যাটা ফেইস করছেন? কোন ব্রাউজার?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

নহে মিথ্যা বলেছেন: প্রায় এক সপ্তাহ ধরে হবে... আগে দেখা যেত সকাল বেলা এই সমস্যা হলে সন্ধ্যাবেলা ঠিক হয়ে যেত... আমি এই সমস্যা আমার ব্রাউজারে কিনা তা দেখার জন্য firefox, chrome, opera তিনটা বারাউজারে দেখেছি কিন্তু ফলাফল এক... :( আমার ব্রাউজারের History আর কুকি পরিস্কার করে দেখেছি কোন লাভ হয় নাই... :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.