নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃজনপ্রয়াস

নআুবডমভ রযৃফন

সৃজনশীলপ্রয়াস

তবুও বে-রশিক নকশা আঁকি বুকের জমিনে

সৃজনশীলপ্রয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা মে দিবস।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা মে দিবস।
লেখকঃজাহান মাসুম, ফ্রেশ ফিস বিডি ডট কম

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস যা সচরাচর মে দিবস নামে অভিহিত এটি মূলত আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলন ও বামপন্থী আন্দোলনের উদযাপন দিবস। প্রতি বছরের ১লা মে তারিখে কয়েকটি দেশ বাদে প্রায় বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপিত হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠন সমূহ রাজপথে সংগঠিতভাবে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকেন। বিশ্বের প্রায় ৮০টির মত দেশে ১লা মে জাতীয় ছুটির দিন থাকলেও আরো অনেক দেশে এটি বেসরকারি ভাবে পালিত হয়ে থাকে। আমেরিকা ও কানাডা সেপ্টেম্বর মাসে দিবসটি পালন করে থাকে।

কি হয়েছিল সেদিন

১৮৮৬ সালে আমোরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের ম্যাসাকার শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে পালিত হয়। সেদিন দৈনিক আটঘন্টার কাজের দাবীতে শ্রমিকরা হে মার্কেটে জমায়েত হয়েছিল। তাদেরকে ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি এক অজ্ঞাতনামার বোমা নিক্ষেপের পর পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলীবর্ষণ শুরু করে। ফলে প্রায় ১০-১২জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হয়।

দিবস টি কেন এবং কি ?

প্রথমবার ১৮৮৯ সালে ফরাসী বিপ্লবের শতবার্র্ষিকীতে প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক-এর প্রথম কংগ্রেস রেমন্ড লাভিনে পরের বছর থেকে শিকাগো প্রতিবাদের বার্ষিকী আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে পালনের প্রস্তাব করেন। এর পরের বছর ১৮৯১ সালের আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় কংগ্রেসে এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয় কিন্তু এরপরপরই ১৮৯৪ সালের মে দিবসের দাঙ্গার ঘটনা ঘটে।

দিতীয়বার ১৯০৪ সালে আমস্টারডাম শহরে অনুষ্ঠিত শান্তিপূর্ণ সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবে দৈনিক আটঘন্টা কাজের সময় নির্ধারণের দাবী আদায়ের জন্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বজুড়ে পয়লা মে তারিখে মিছিল ও শোভাযাত্রা আয়োজনের সকল সমাজবাদী গণতান্ত্রিক দল এবং শ্রমিক সংঘের (ট্রেড ইউনিয়ন) প্রতি আহবান জানানো হয়। সেই সম্মেলনে বিশ্বজুড়ে সকল শ্রমিক সংগঠন মে’র ১ তারিখে বাধ্যতামূলকভাবে কাজ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অনেক দেশে শ্রমজীবী জনতা মে মাসের ১ তারিখকে সরকারি ছুটির দিন হিসাবে পালনের দাবী জানায় এবং অনেক দেশেই এটা কার্যকরী হয়। দীর্ঘদিন ধরে সমাজতান্ত্রিক, কমিউনিষ্ট এবং কিছু উগ্রবাদী সংগঠন তাদের দাবী জানানোর জন্য মে দিবসকে মুখ্য দিন হিসাবে বেছে নেয়। কোন কোন স্থানে শিকাগোর হে মার্কেটের আত্মত্যাগী শ্রমিকদের স্মরণে আগুনও জ্বালানো হয়ে থাকে। পূর্বতন সোভিয়েত রাষ্ট্র, চীন, কিউবাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই কমিউনিষ্টরা মে দিবসকে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন হিসাবে পালন করে থাকে। এমনকি এ উপলক্ষ্যে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ এবং ভারতেও এই দিনটি যথাযথভাবে পালিত হয়ে আসছে।

তথ্য সুত্রঃ
১) Avrich। The Haymarket Tragedy। পৃ: 208–209।
২)Ward, William (May 24, 1886)। "Letter from Captain William Ward to Inspector John Bonfield"
৩) Foner, Philip S. (1986)। May Day: A Short History of the International Workers' Holiday, 1886-1986। New York: International Publishers। পৃ: 41–43। আইএসবিএন 0-7178-0624-3।
৪) From the diary of Anatoly Vasilyevich Lunacharsky; 1 May 1918; Petrograd
৫) "May Day"। Librarylink.org.ph। 1913-05-01। সংগৃহীত 2011-05-01।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.