![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট্ট একটা বিন্দুর মত টিপ থাকবে।
না। থাকবে না।
খালি কপালটুকু দেখে আমি ভাবব টিপটা দিলে চিরাচরিত বাঙালি মেয়ের লাবণ্য ফুটে উঠবে।
- অ্যাই টিপ দিলে না? শাড়িতে টিপ ছাড়া কেমন লাগে না?
ও আমার কথা শুনে আস্তে করে কোমল হাতে লাল রক্ত বিন্দুটা বসিয়ে দেবে ঠিক কপালের মাঝখানে। ও জানে আমি টিপ পছন্দ করি না। তবুও আমার কথা শুনে দেবে।
আয়নায় নিজেকে শাড়িতে দেখে মুগ্ধ হবে মনে মনে। কিন্তু মুখে বলবে- ‘ধেত্তেরি! আমাকে দেখতে বয়স্ক লাগছে। পড়ব না শাড়ি। তোমার পাশে আমাকে খালাম্মা-খালাম্মা লাগবে!’
আমি সেসবে কান দেব না। আমি চুপচাপ দেখবো ওকে টিপে মানিয়েছে কিনা। আমি প্রথমে ভ্রু কুঁচকে দেখবো। তারপর ভারি চশমাটাকে তর্জনী দিয়ে একটু ঠেলে, ভালোমত চোখে বসিয়ে।
নাহ! যে রকম ভেবেছিলাম, মিলছে না। টিপ ছাড়াই সুন্দর লাগছিলো ওকে।
- চশমাটার সাথে টিপটা মানাচ্ছে না। খুলে ফেলো!
চশমাটাই খুলে ফেলতে চাইবে ও। জানি আমি।
আমি খুলতে দেবো না।
আমার ভালো লাগে।
ভালো লাগে চশমা পড়া মেয়েটাকে। ভালো লাগা থেকে ভালোবেসে ফেলবো কবে যেন। টেরই পাব না। তারপর হুট করে একদিন প্রমান করে দেব- ও আমার জন্যই। আমি বোকা-সোকা, মোটা গ্লাসের ময়লা চশমা চোখে ঝুলানো প্রতিভাশূন্য চারুকলার ছাত্র হয়েছিলাম ওর ছবি আঁকার জন্যই। ও এসে আমাকে টেনে তুলবে এই আশায় ডুবে থাকব জীবন যতসব অজানাতে, আশংকাতে।
আমিও তো ওর জন্যই। ও সব সময় সব কিছুতে জিততে চাইবে। তারপর ভুল করে একদিন আমাকেও জিতে নেবে। আমি হেরে গিয়ে শিরস্ত্রান খুলে একদিন আত্নসমর্পন করবো ওর বাহুডোরে।
ওর সাজ তখনো শেষ হবে না। আমি উঠে দাঁড়াবো এবার। ওর কাছে এগিয়ে গিয়ে চুল শুঁকবো।
ওটা কি শ্যাম্পুর ঘ্রাণ? নাকি ওর নিজের চুলের ঘ্রাণ? কেমন যেন নেশা নেশা লাগছে।
- আরে কি করছ? দিলে তো বারোটা বাজিয়ে! এত কষ্ট করে চুলটা ঠিক করলাম! ধ্যাত! সরো পেছন থেকে!
আমি বিব্রত হয়ে স্বরে আসার ভান করবো। কেবলই ভান। আমি তো ধমক খেয়েও মহা খুশি। ওর এমন ভালোবাসা মাখানো ধমক কেবল আমার জন্যই।
- আরে তোমার লিপস্টিক দিতে কতক্ষন লাগছে? দেরি হয়ে যাচ্ছে তো!
আমি বিরক্ত হওয়ার ভান করব। ও লিপস্টিক দিলে মরুর বেদুইনের মত তৃষার্ত দৃষ্টি নিয়ে আমিই তো তাকিয়ে থাকি। এক ফোঁটা বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাবার আশায়।
ও লিপস্টিক দেয়া শেষ হলে আমার দিকে তাকিয়ে কি একটা হাসি দেবে না? দেবে তো!
ঐ যে এখনই দিচ্ছে! আমার মনের দুরভিসন্ধি বুঝে ফেলেছে নিশ্চয়ই। ও তো বুঝবেই।
নইলে ও অমন হাসি দেবেই বা কেনো? ওটা যদি দুই ঠোঁটের বহুদিনের আকাঙ্খিত সন্ধিচুক্তির হাসির ইশারাই না হয়, কেনো তাহলে ঐ হাসিতে আহ্বান দেখতে পাব? কিন্তু ও আয়নার দিকে তাকিয়ে হাসিটা দিচ্ছে। পাজী মেয়ে!! আমাকে অধৈর্য্য করে তোলার এটা একটা ছুতো কেবল ওর। ভয়ে ভয়ে কল্পনা করবো যে আমি এগিয়ে এসে টুক করে চুমু দেব। বাস্তবে সাহস করে উঠতে পারবো না।
হ্যাঁ ওই তো- শব্দ করে লিপস্টিকটা রেখে দেবে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে।
আয়নার সামনে থেকে আস্তে করে উঠে ও আমার দিকে ফিরে চাইবে। আঁচলটা কাঁধে বসিয়ে নিয়ে ঠিকভাবে। হাত নড়ে ওঠার সঙ্কেত দেবে কাঁচের চুড়ি গুলোর রিনিঝিনি শব্দ। এবার নিজের রক্তাভ ঠোঁটটা একটু ফাঁক করে অবশেষে আমাকে অনুমতি দেবে অধরস্পর্শ করার।
বাঙালী নারীর সাজে সেজে লাল রঙটা এবার ও অপচয় করবে আমার শুকনো ঠোঁটে ঘষে ঘষে।
করবে তো নিশ্চয়ই।
একদিন না একদিন।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ধন্যবাদ। ছোট লেখাটুকু ভালো লেগেছে জেনে খুশি লাগছে।
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৬
প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল। ধন্যবাদ
১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২৪
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক দা।
ভালো থাকবেন।
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২৮
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩০
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: রেখে দিলাম যত্ন করে। ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০১
সৈয়দ আহাম্মদ উপল বলেছেন: টিপটা দিলে চিরাচরিত বাঙালি মেয়ের লাবণ্য ফুটে উঠবে ।সত্যি একটা কথা বলছেন ভাই।
টিপ আর শাড়ী বাঙ্গালী মেয়েদের বৈশিষ্ট্যতা
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৪
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: বাঙালি মেয়ের লাবণ্য পৃথিবীর অন্য কোথাও খুঁজে পাবেন না। বাংলার রমণী, এক এবং একমাত্র। লাল-সাদা শাড়ি আর গোল একটা টিপ- ব্যাস! বুকে ঢিপ ঢিপ শুরু।
ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য।
৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২৬
সৈয়দ আহাম্মদ উপল বলেছেন: এখন কি আর বাঙালী মেয়েরা আগের মত আছে?শহরাঞ্চলে তো শাড়ী পড়া মেয়ে দেখাই যায় না। এখন আমাদের সংস্কৃতি বলে কিছু নেই সব পশ্চিমা সংস্কৃতি
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩৫
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আপনার কথা অনেকাংশেই সত্য। পুরু মেকাপের নিচে চাপা পড়ে গেছে কোমলতা। কিন্তু এখনো কিছু কিছু মেয়ে আছে, যাদের মেকআপের মিথ্যেয় নিজেদের ঢাকা লাগে না। আর শাড়ি? যতই পশ্চিমা পোশাকে নিজেদের ঢেকে রাখুক বিয়ের পর মেয়েরা শাড়িতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বাংলার নারীত্বের পুর্ণতা শাড়ি ছাড়া অসম্ভব।
৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:২৭
গোফরান চ.বি বলেছেন: ভালো লাগলো ।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ গোফরাবন চ.বি। ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪১
আদি বিনতে শাতিল বলেছেন: টিপ ছাড়া আসলেই ভাল লাগে না
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫০
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: তবে সবাইকে কপালের টিপে ভালো লাগে না আমার কাছে। কে জানে আমারই হয়তো একার এমন মনে হয়
৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০২
আদি বিনতে শাতিল বলেছেন: এক এক জনকে এক এক রকম ভাল লাগে, শুধু আপনার কাছে না অনেকের কাছে এমনকি আমার কাছে
কিন্তু মায়াবতী দের টিপ পড়লেই ভাল লাগে
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: মায়াবতীদের মায়ায় জড়িয়ে পড়লে তাদের সবকিছুই ভালো লাগার কথা। টিপ থাকুক বা না থাকুক। মায়ার আকর্ষন কি কমে?
৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫
শ. ম. দীদার বলেছেন: লেখাটা তিনবার পড়লাম। একটা লিখা তিনবার পড়ার জন্য লিখাটা ভালো লাগতে হয়। লিখাটা ভালো লেগেছে। আসলে বলতে চেয়েছিলাম ভালো লিখেছেন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর চিন্তা তো! তিনবার পড়ার জন্য লেখা ভালো লাগতে হয়। ধন্যবাদ দীদার আপনাকে।
যদি ইচ্ছে হয় এই লেখাটা আরেকটু পরে এসে দেখে যাবেন। কিছুটা এডিট করে দেব। আরো কিছু যোগ করেছি গতকাল রাতে।
১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২১
সামিয়া বলেছেন: এত্ত রোমান্টিক! খুব সুন্দর।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২৭
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম আপু!
হাহ হাহ হা! রোমান্টিক মুডে ছিলাম লেখার সময়। এর জন্যই হয়তো উপচে পড়েছে লেখায়
প্রশংসার পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
তুক্রো তুক্রো কলে দেক আমাল এ অন্তল
ফলল্কে ফলল্কে তুমহি বুকেলি ভেতল।
সিরাম হইছে!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: onak onak donnobad frans parar gonno
১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
fremer lagi gebon thetha hoi gelu
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: pram-balabasa cara ke asay gebone bolan vhi?
১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
পিরিটি কাঠালের আটা লাগ্ল আমার গায়....
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫১
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: নাইড়ল ত্যাল দিয়া ঘষা দ্যান। আঠা ছুইট্টা যাইবোগা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০
আবুল হায়াত রকি বলেছেন: সুন্দর