![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তার মানে সংলাপ শুরু হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের জবাবে বিরোধী নেত্রী পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছেন। দুই নেত্রীর সুরও নরম মনে হয়েছে। আনুষ্ঠানিক না হলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে একে সংলাপ বলা যায়। বিষয়টি তাহলে কি দাঁড়ালো? আমরা যে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা করছি তা থেকে আপাতত মুক্ত হতে পারছি? যে সংলাপের জন্য এত চিৎকার চেঁচামেচি, এত আকুতি সেই সংলাপ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণের মাধ্যমে অবশেষে শুরু হলো। যদিও এখনও দুই নেত্রীর প্রস্তাবে পার্থক্য অনেক। প্রধানমন্ত্রী এখনও রয়েছেন তার আগের কথায়। বিরোধী নেত্রীও রয়েছেন আগের অবস্থানে। প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই চাইছেন নির্বাচিতদের নিয়ে সরকার। আর বিরোধী নেত্রী চাইছেন নির্দলীয় সরকার। এখন জাতির সামনে দুই নেত্রীর প্রস্তাব। একটু আলোচনা করলে কি বেরিয়ে আসে দেখা যাক। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সর্বদলীয় সরকার গঠন এবং সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে বিএনপির কাছে নাম চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তার প্রস্তাবে নতুন কিছু দিতে পারেননি। লন্ডনে বসে সর্বদলীয় সরকারের কথা বলেছিলেন। শুক্রবার তা বাংলাদেশে বললেন জাতির উদ্দেশে। আর বিরোধী নেত্রী বলেছেন, ১৯৯৬ আর ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের থেকে আওয়ামী লীগ ৫ জনের নাম দেবে, বিএনপি দেবে ৫ জনের নাম। এই ১০ জনকে নিয়ে হবে নির্বাচনকালীন সরকার। আর আলোচনার মাধ্যমে হবে সরকারের প্রধান। অবাক করা বিষয় হলোÑ বিরোধীনেত্রী এমন প্রস্তাব দেবেন তা কেউ আগে থেকে টেরও পায়নি। ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিরোধী নেত্রী বলেছেন, ওই দুই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে একটিতে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে বিএনপি, অন্যটিতে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। খালেদা জিয়ার ভাষায়, সেই দু’টি নির্বাচন ছিল গ্রহণযোগ্য। খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের পর মানুষের বক্তব্য, এমন প্রস্তাব হলে তো মানা যায়। একজন বললেন, কেউ কিছু বলতে পারবেন না। কারণ এদের অধীনে নির্বাচনেই আপনারা ক্ষমতায় গিয়েছেন। এবার আওয়ামী লীগ কি বলবে? খালেদার প্রস্তাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে। তখন মাঠে খেলতে পারবে সমানে সমান। আরেকজন বললেন, বল এখন আওয়ামী লীগের কোর্টে। যে যা-ই বলুক, এমন বিকল্প প্রস্তাব, এমন নতুন প্রস্তাব আসবে কেউ চিন্তাই করতে পারেনি। টিভি টকশো, আড্ডায় অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু ঘুনাক্ষরেও কেউ ভাবেনি এমন প্রস্তাব হতে পারে, আসতে পারে। যা শুনে একেবারে থ সবাই। অনেকেই বাকরুদ্ধ। এখন দুই প্রস্তাব মাঠে। জনগণের সামনে। বোঝা যাচ্ছে আগামী ক’দিন এসব নিয়ে মাঠ গরম থাকবে। পক্ষ-বিপক্ষ তাদের যুক্তি নিয়ে হাজির হবে কোন সভা, সমাবেশে। কেউ বা হাজির হবেন কোন টিভি টকশোতে। কেউ বা প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরবেন। আবার কেউ বিরোধী নেত্রীর প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরবেন। এ নিয়ে মারামারি, হাতাহাতি, সংঘর্ষ এমনকি খুনোখুনিও হতে পারে। তারপরও বলবো, আমাদের বাস্তবতাকে পুঁজি করে এগিয়ে যেতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাস্তবতার আলোকে। গায়ের জোরে কোন কিছু চাপিয়ে দিলে হবে না। এতে বিপদ আরও বাড়ে। হিতে বিপরীত হয়। সব সময় মাটির দিকে তাকিয়ে কাজ করতে হয়। অর্থাৎ ভেবেচিন্তে এগোতে হয়। আর মাটির দিকে না তাকিয়ে, আকাশের দিকে তাকিয়ে হাঁটলে হোঁচট খেতে হয়। কখনও কখনও এ হোঁচটে পা ভেঙে যায়। অতএব, আমাদের ভেবেচিন্তে এগোতে হবে। ভাল এবং সুন্দর প্রস্তাবকে টেনে নিতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সংলাপ, সংলাপ এবং সংলাপ। লগি-বৈঠা কিংবা দা-কুড়াল কোন কিছু সমাধান দিতে পারে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই এগোতে হবে। এমনিতেই দেশজুড়ে উদ্বেগ আর আতঙ্ক। সর্বত্র গুমোট ভাব। কি হয় কে জানে। গ্রাম থেকে মোবাইল ফোনে স্বজনদের কাছে জানতে চায়, ঢাকার অবস্থা কি? যতই উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা থাকুক শুক্রবার থেকে গতকাল সোমবার দুই নেত্রীর প্রস্তাব, আলোচনায় মনে হচ্ছে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অহিংসতার দিকে। দুই নেত্রীরই সুর নরম হওয়ায় আশা জাগছে জনমনে। হয়তো ভাল একটা কিছু হবে। আর হয়তো কোন আসাদ, শামসুজ্জোহা কিংবা জিহাদ, ডা. মিলনের জীবনের বিনিময়ে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে না। এখন সংলাপকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে দুই নেত্রীকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী নেত্রী যেহেতু অনানুষ্ঠানিক সংলাপের সূচনা করেছেন, সেহেতু এখন বাকিটুকু এগিয়ে নেয়া কোন ব্যাপার নয়। জনতা চেয়ে আছে সেই দিকেই। নিশ্চয় জনতার সেই আশা পূরণ করবেন তারা।
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৫
তিতাসপুত্র বলেছেন: হতাশ হবেন না। চায়ের দোকান থেকে সংলাপ অবশ্যই রাজ প্রসাদে গিয়ে ঠেকবে। আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
আগন্তুক কাক বলেছেন: চায়ের দোকানে সংলাপ......