![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতা, সুস্থ উপলোব্ধি ও সঠিক মূল্যবোধ ও সত্যিকারের ভালবাসার চর্চা হোক **
বাংলাদেশে UGC অনুমোদিত ৬৮/৬৯ টি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আছে। Click This Link
তার মধ্যে এক ছোট্ট একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির লেকচারার। বলা বাহুল্য ভার্সিটিতে ৫০ভাগ অনিয়মিত (ডিপ্লোমাধারী)ও ৩০ ভাগ ক্রেডিট ট্রান্সফারের ছাত্র-ছাত্রী ও বাকী নতুন ছাত্র- ছাত্রী ভর্তি হয়। এখানে প্রথম প্রথম বয়স্ক ছাত্রদেরকে হ্যান্ডল করতে কেমন জানি লাগত। তারা আমাকে ম্যাডাম ডাকছে। কিন্তু আস্তে আস্তে রপ্ত হল। এদের সাথে ডিল করতে প্রথমে কিছু ঝামেলা যেটা বুঝেছি পড়ার বাইরেও আমাদের কাপড় চোপড়, সাজ , গঠন ইত্যাদি বিশ্রী জিনিস নিয়ে তাদের আলচনা বিস্তর চলে। আমার মনে পড়ে না আমি ছাত্রাবস্থায় এই জাতীয় আলোচনায় অংশ নিতাম।
নিজেও প্রাইভেট ইউনি থেকে এসেছি, কিছু ছাত্রীদের শিক্ষকদের সম্মুক্ষে কিছুটা তেলানো কমেন্টস শুনতাম, ওরা নাম্বার বেশি পাওয়ার জন্য স্যারকে খুব ভাল লাগে এই জাতীয় ফ্লাটারী করতে শুনেছি। আমাদের বন্ধুদের অবস্থা ভয়াবহ ছিল। কেউ কেউ মেয়ে শিক্ষিকাকে এত বেশি খেয়াল করত যে সেই ম্যাডামদের সাথে প্রেম বিয়ে শাদীর স্বপ্ন দেখা শুরু করত।
জিনিসটা আমার কোনদিন ভাল লাগেনি। কিন্তু আজ ক্লাস নিতে গিয়ে কিছু কিছু ছাত্রদের যখন আমার লেকচারের থেকে আমার লুকস এ ধ্যান বেশি থাকে মেজাজটা ভীষন চড়ে যায়। আজ ১০ মাস হতে চলল। কিছুটা ট্রিক্স শিখেছি। কোর্স শেষে তাদের টপিকের পাশাপাশি তাদের মুল্যবোধের বিকাশ করানোর ইচ্ছে থাকে।
এই লেভেলে যদি বন্ধুত্বের মত করে পড়ানো হওয়া মানে এই না যে শিক্ষক - শিক্ষিকা তাদের ব্যাক্তিগত জীবনে আগ্রহ নিচ্ছেন এই বোধটা বুঝতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের । কেননা তারা পূর্নবয়স্ক ও পূর্নবয়স্কা।
আর এই জাতীয় উত্যক্ততা কেন কিছু শিক্ষক মজা পেয়ে নাম্বার বাড়াবেন ??( পরিমলের মত শিক্ষকরা এই কাজটি করে থাকেন । )
কিন্তু ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক উভয়কেই এই পবিত্র সম্পর্ককে উচ্চতর রাখার আহবান জানাচ্ছি।
অনেকে বলবেন ছাত্রী - শিক্ষকেরও তো বিয়ে হচ্ছে। বিয়ে এক জিনিস আর তা নিয়ে নোংরামী করা আরেক জিনিস।
এই কি এক বিষপাপ ঢুকেছে অনেকের মধ্যে,এক সুন্দর নির্মল মন চাই সকলের মধ্যে ।
ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক - শিক্ষিকাদের সম্পর্ককে নির্মল রাখার আহবান জানাচ্ছি।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭
তিথির অনুভূতি বলেছেন: আমি অনেক জাদরেল শিক্ষিকা । আমি ওদেরকে সরাসরি পচিয়ে থাকি,
কিন্তু বাকীদের কি অবস্থা যারা বলতে পারছেন না,
এই শিক্ষা পরিবার থেকে শিখে আসার কথা
কেন আসে না.??
এ কেমন জাতী দাড়াচ্ছে, গলদটা কোথায় ?????
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৫
পাকাচুল বলেছেন: শুধু ক্লাসে পড়ানো ছাড়াও ছাত্র শিক্ষক সুসম্পর্ক খুবই দরকার, যেটা হয়ত সবখানে দেখা যায় না। কেউ কেউ এই সম্পর্কটা মানার চেষ্টা করেন।
ছাত্রদের সাথে ইনফর্মাল বিহেভ করলে অনেকে মনে করে, মাষ্টার তো মনে হয় আমার দোস্ত, একসাথে বিড়ি টানতে পারবো, ক্লাস নেওয়ার পরদিনই ফেসবুক রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবো, রাতের নটার সময় মাস্টারের মোবাইলে ফোন করে ক্লাসটেস্ট নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারবো।
এটা শিক্ষকের ব্যর্থতা। মাঝে মাঝে কঠোর হতে হয়।
নাটাই এর সুতা ছাড়বেন তত টুকুই, যেন যে কোনো মূহুর্তে লাগাম টেনে ধরা যায়।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১১
তিথির অনুভূতি বলেছেন: অনেক রকম ট্রিক্স খাটিয়েছি ।
কিন্তু কাজে দিচ্ছে না ,
দূর্নীতি করতে করতে আজ বুঝি দূর্নীতিও একটি নিয়ম
দাঁড়িয়ে গিয়েছে সেরকম
শিক্ষক শিক্ষিকাদের জ্বালাতন করে তাদের থেকে অহেতুক
সুবিধা আদায় করাটাও বুঝি এক রকম কালচার হয়ে দাড়িয়েছে ।
এমন ছাত্র- ছাত্রী আর দেখতে চাই না।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৮
সকাল রয় বলেছেন: নোংরামী বন্ধ
কোনকালেই হবে না।
হবার নয়
সর্ষের ভেতরে ভুত ১০০ তলা বাসা বেধেছে তাই
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৫
তিথির অনুভূতি বলেছেন: ১০০ তলা থেকে নামানোর উপায় ভাবতে হবে ।
সব ছাত্র -ছাত্রী এমন নয়, তাদের সংখ্যা খুব নামমাত্র।
এদেরকে আইডিয়াল বানিয়ে কি প্রচার চালাতে হবে নাকি ??
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৪
পাকাচুল বলেছেন: ছোট একটা ঘটনা বলি, পাবলিক একটা বিশ্ববিদ্যালয়।
ক্লাস চলাকালীন সময়ে শুধু মোবাইল দিয়ে ছবি তোলার কারণে ১ সেমিস্টার শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, শুধু ঐ কোর্স না, সব কোর্সে বাতিল করা হয়েছে। এই রকম কিছু কড়া শাস্তি দেওয়া হলে সব ঠান্ডা।
আপনার নিজের ক্ষমতার উপর আপনি আস্হা রাখতে পারছেন না। এটাই বড় সমস্যা।
আপনাকে একটা কথা বলবো শুধু, কঠোর হোন।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮
তিথির অনুভূতি বলেছেন: যে মানুষগুলিকে কঠোর হতে বলছেন তাদের মুল শিক্ষাবোধ এসেছে তাদের পরিবার ও ঐ ভার্সিটির বড় ভাই বোনদের দেখে ।
তারা শর্টকাট খুজছে।
সবাই শর্টকাট খুজে কিন্তু কেন এই শর্টকাট।
শাস্তি কি শাস্তি দিব বলুন লাভ কি ??????
এদের মানসিকতার উত্তরনের উপায় ভাবতে হবে.।.।.।.।.।.।।।
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮
বইয়ের পোকা বলেছেন: ডিপ্লোমা স্টুডেন্টদের নিয়া টিচাররা একটু বিব্রতই হয়, বিশেষ করে জুনিয়র মেয়ে টিচাররা। আমার এক লেকচারারতো একদিন এক ডিপ্লোমা স্টুডেন্টকে বলেই বসল, চোখের দৃষ্টি ঠিক করো।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২১
তিথির অনুভূতি বলেছেন: কিন্তু আমি যে ইউনি থেকে এসেছি , আমার আশেপাশের যে কলিগেরা এসেছেন তাদের থেকেও জেনেছি তাদের ইউনিতে পড়াকালীন এরকম ব্যাপার ঘটেছে,
কিন্তু তারা ডিপ্লোমা ছাত্র- ছাত্রী ছিলেন না।
তারা রেগুলার ছাত্র- ছাত্রী । এদের বাবা- মা আত্মীয় স্বজনের পজিশন শুনলে টাস্কি খাবেন।
এটাকে একরকম ফান বলা হচ্ছে। কিন্তু কেন এই ফান এই সম্পর্কে আসবে ????????
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
পাকাচুল বলেছেন: তারা রেগুলার ছাত্র- ছাত্রী । এদের বাবা- মা আত্মীয় স্বজনের পজিশন শুনলে টাস্কি খাবেন। এইগুলো সামাজিক অবক্ষয়।
তবে শিক্ষক হিসাবে একটা কথা আপনাকে মানতে হবে, ''বাসর রাতে বিড়াল মারতে হবে।''
ক্লাসের প্রথমেই নিজের অবস্হান বুঝিয়ে দিতে হবে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৬
তিথির অনুভূতি বলেছেন: আপনি কি শিক্ষক, প্লিজ একদিন ক্লাস করে যান ।
মাথাটা এমনিতেই পোলাপাইনে খারাপ করে রাখছে।
মরা বিড়াল মানুষ কিভাবে মারে ??
ওদের সবার মনুষত্ব ও মানবিকতার দিকগুলি সমাজের নিষ্ঠুর আঘাত আর অরাজকতায় মরে গিয়েছে।
বিষয়টা ডিপলি ভেবে উত্তর দিন .।।।
৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩
পণ্ডিত মশাই বলেছেন: আজকালকার পোলাপাইনরে পড়াইয়া আরাম নাই,
একটা দিন ছিল...।
হায়রে সবই এখন স্মৃতি।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২১
তিথির অনুভূতি বলেছেন: তাই নাকি শান্তি ছিল .।.।।।
কিছু ক্লাসে যে ছাত্র-ছাত্রী গুলি রেগুলার ক্লাস করে
সেগুলিকে বানিয়ে নিয়েছি নিজের মত করে ।।
সেগুলিকে পড়িয়ে বেশ ভাল লাগে,
ওরা সব রকমের ডিসকাস করে
সবকিছুতে আগ্রহ করে শুনে সেইটা নিয়ে উত্তরও দিতে পারে।
ওরা আমাকে চিনে আমি কি শুনতে পছন্দ করি।
কেউ কেউ পড়ানোর আগেই ম্যাটেরিয়াল দেখে পড়ে আসে।
হ্যা তখন বুঝি সুখ কি .।।। আহা এমন সব ক্লাসেই সুখ পেতাম
৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৮
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক - শিক্ষিকাদের সম্পর্ককে নির্মল রাখার আহবান জানাচ্ছি।
রাইট।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৩
তিথির অনুভূতি বলেছেন: ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক - শিক্ষিকাদের সম্পর্ককে নির্মল রাখার জোরালো আহবান জানাচ্ছি।
৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩১
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক টা একটা পবিত্র সম্পর্ক।এসবের মাঝে বাজে চিন্তা আনাটাও মানসিক বিকৃতির লক্ষন।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪২
তিথির অনুভূতি বলেছেন: শিক্ষকতা মহান পেশা
তাতে পঙ্কিলতা সবচেয়ে বড় পাপ।
আর শিক্ষক অবস্থায় তার ক্লাসে পড়ানো কালীন
তাকে নিয়ে আজেবাজে চিন্তা করা
বা পরিমলের মত শিক্ষকদের সব মেয়েকে নাচিয়ে
স্টিল তার দিকে দৃষ্টি ভেড়ানো ।
অকারনে তার সাথে রিক্সায় চড়া,
বা তাকে নিয়ে ঘুরতে বেরুনো।
তার আহবানে তাকে রেস্তোরায় নিয়ে যাওয়া।
কি না হচ্ছে সব নোংরামি দূর হোক .।.।.।।
১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
শিক্ষক - ছাত্রের সম্পর্ক নির্মল হোক।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৩
শামা বলেছেন: বিষয় গুলো আপনি বলার সাহস পাননি....! সাহসী হোন,,,! যা বলার সরাসরি বলুন, আপু...!