![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতা, সুস্থ উপলোব্ধি ও সঠিক মূল্যবোধ ও সত্যিকারের ভালবাসার চর্চা হোক **
আজ একটা মনস্তাত্বিক বিশ্লেষনধর্মী লেখায় মনোযোগ দিতে চাচ্ছি। আমি নিয়মিত মনোজগত পড়ে থাকি।
তার পাশাপাশি অধ্যাপক ডঃ এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজের লেখা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বই পড়ে শেষ করলাম। কার কি মতবাদ জানি না , তবে আমার মনে হয় দুনিয়াতে তিন ধরনের লোক জন্মে থাকে বহির্মুখী, অন্তর্মূখী ও উভইয়মুখী।
ইন্ট্রোভার্ট, এক্সোভার্ট ও মিডিয়াম। ইদানিং শিক্ষা - প্রতিষ্ঠান আর বিবিধ ট্রেনিং সেন্টারের বিবিধ প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে।
আশংকার বিষয় যেটা হচ্ছে এসব বিবিধ মানুষের বিবিধ পদ্ধতিতে অনুসরন করে বিষয়গুলিকে শিক্ষা দেওয়া হয়।
যেহেতু শিক্ষকতার সাথে জড়িয়ে পড়েছি এটুকু বুঝতে পারছি বিভিন্ন পরিবেশে গিয়ে খাপ খাওয়াটা এত সহজ না।
অফিসের কলিগের সাথে এক ব্যবহার আর ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে ভিন্ন ব্যবহার কিছু প্র্যাক্টিসের বিষয়।
যেকোন ইনভায়রনমেন্টে গিয়ে নিজেকে খুজে না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঘন ঘন পরিবেশে গিয়ে খাপ খাইতে গিয়ে কেন জানি আমার মনে হচ্ছে আমাদের সবারই বেশ অসুবিধাজনক অবস্থানে পড়তে হচ্ছে।
তাই আজকাল নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের দ্বিগুন খেয়াল রাখতে হচ্ছে।
ইন্ট্রোভার্টের বক্তব্য ঃ
বেশি ঘরকুনো থাকলে জব সেক্টরে গেলে কিছু কিছু ঝামেলার সৃষ্টি হয়, আবার কিছু কিছু সত্য কথা সব সময় বলা লোকদের থেকেও কিছু ঝামেলা সৃষ্টি হয়, কেন জানি এতদিন ভালত্ব আর সত্যের পক্ষে ছিলাম, কিন্তু যে ভালত্ব ও সততা বেশি বললে ঝামেলার সৃষ্টি হচ্ছে তা থেকে সরে আসতে চাচ্ছি। আজ বুঝি নিরবতার দাম খুব বেশি । তাই আগের জায়গায় ফিরে যেতে চাই, আজ থেকে মিতভাষী হতে চাই।
যে বাক্য উচ্চারনে অহেতুক ঝামেলা আর বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয় , তা থেকে সরে আসতে চাই। মিতভাষী আর অল্প কাজ যা কোন ঝামেলার সৃষ্টি হবে না আজ থেকে তার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছি।
এক্সোভার্টের বক্তব্য ঃ
এত বেশি জোকস আর করব না , বেশি বেশি হয়ে গিয়েছে । কাল থেকে কাউকে কাদাব না। কাউকে বেশি বেশি জ্বালাব না। নাহ মন দিয়ে কাজ করব ।
আজ বুঝি এতকিছুতে নিজেকে ইনজেজগ করতে ভাল লাগছে না। কেননা কেন জানি মনে হচ্ছে পুরস্কার আর প্রাপ্তির জন্য মানুষ নিজেকে ঘন ঘন পরিবর্তন করছে । আজ সবাই এক প্যাকেজ ব্যক্তিত্ব চাচ্ছে । দশটি মেয়ের মধ্যে যে গুন তা একটি মেয়ের থেকে আশা করছে সবাই । আবার দশটি ছেলের থেকে যে গুন তা একটি ছেলের থেকে চাচ্ছে সবাই।
এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে আমাকে, কেন নিজেকে এমন কিছুতে নিয়ে যেতে হবে যা আমি নই।
আর কিছুটা যদি পরিবর্তন করলে যদি আশেপাশের সবার উপকার হয় তাতে পরিবর্তন করলে ঝামেলা কোথায়??
এই ব্যক্তিত্বের সংঘর্ষে আমরা রোজ পড়ি? কেন আমাকে আর সবাইকে খুশি করার জন্য কাজ করতে হবে।
আমি কাজ করব আমার নিজের খুশির জন্য আর কিন্তু তাই না যে যা খুশি তাই করা যাবে।
আরো কিছু বিষয় মাথায় ছিল আপাতত এই নিয়েই ডিশকাসন করতে চাই।
সবার মূল্যবান পরামর্শ চাচ্ছি।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৩
তিথির অনুভূতি বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আসলে আমি আপনার সব বিষইয়ে একমত ।
কিন্তু এটা আরেকটু ডিপলি কি ভাববেন যে পরিবেশ , পরিস্থিতি , বন্ধু আর উচ্চাকাঙ্খা আর মানুষের কাছে জনপ্রিয় হতে গিয়ে
অনেকেই নিজেকে হারিয়ে ফেলছেন ।
দুষ্টুমি করতে গিয়ে আর নিজের ভদ্রতাকে খুজে পাচ্ছেন না।
(ইন্ট্রোভার্ট)
আবার বেশি ভদ্র সাজতে গিয়ে আমরা সেই হাসিখুশি , উচ্ছল প্রানবন্ত মানুষকে হারাচ্ছি (এক্সট্রোভার্ট)
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৯
তিথির অনুভূতি বলেছেন: জন আপনার কবিতা আমার খুব ভাল লেগেছে।
আমি আপনার ভক্ত হয়ে গেলাম।
আমার ব্লগের অন্য লেখাগুলি পড়ার জন্য ও
মন্তব্য করার আমন্ত্রন রইল । **
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
স্বপনবাজ বলেছেন: আমি যেটা মনে করি সেটা হচ্ছে আমরা প্রত্যেকেই কয়েকজন ! স্থান , কাল ভেদে ব্যাক্তিত্বের চেহারা বদলাতে হয় ! এটাই স্বাভাবিক ! তবে সব মিলিয়ে ব্যাক্তিত্ব টা হওয়া উচিত একান্তই নিজের মত ! খুব বেশী কৃত্তিমতা আনলেই জামেলা ! নিজের মত করে সব পরিবেশে মানিয়ে সবার শ্রদ্ধা আর ভালোলাগা আদায় করে নেয়াতেই স্বার্থকতা !
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৫
তিথির অনুভূতি বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্ননবাজ । আমি আপনার থেকে আমার বিশাল ঝামেলার একটা সমাধান পেয়েছি ।
খুব সুন্দর বিশ্লেষন । **
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০২
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
ফিরোজের বই বাংলাদেশে থাকতে নিয়মিত পড়তাম। উনি নাকি কিছুদিন আগে মারা গেছেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৬
জন রাসেল বলেছেন: হিউম্যান সাইকোলজি জগতের সবচেয়ে জটিল বিষয়। এর কোন শুরু শেষ নেই। একবার মনে হয় হাসি-কান্না দিয়েই সব ডিফাইন করা যাবে, আরেকবার মনে হয় সুখ, দুঃখই আসল, আবার কখনও মনে হয় মানুষের মনে একজন দার্শনিক বসবাস করে। সে-ই মানুষটার চিন্তা চেতনাকে নিয়ত্রন করে। এগুলো কিন্তু হাইপোথিসিসের মত বিষয়। চিরন্তন কিছু না। আসলে যে মানুষের মনটা কি এটা বলা কোনদিনই সম্ভব না কারণ এটি সদা পরিবর্তনশীল। আপনার মন আজ যেটাকে ভালো বলছে, কাল আবার অন্য কিছু প্রভাবক দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সেটাকেই খারাপ বলছে। সুতরাং থিওরি দিয়ে মনের এই ক্রমাগত পরিবর্তনকে সংগায়িত করা যাচ্ছেনা।
একজন মানুষের ব্যক্তিত্ত্ব যেহেতু তার মনস্তাত্ত্বিক জগত দ্বারা প্রভাবিত তাই একেও ছকে বাধা অসম্ভব। এখানে কোন নিয়ম নেই যে, আমার ব্যক্তিত্ব অমুকের মত হতে হবে, এক্সট্রোভার্ট হতে হবে কিংবা এই ধরনের কিছু। কারণ ব্যক্তিত্ব জিনিসটা আপনা আপনি আসে, এটাকে কেউ নিজের ইচ্ছায় তৈরী করতে পারেনা। যেদিন ব্যক্তিত্ব মানুষ নিজের ইচ্ছেমত সিচুয়েশন অনুযায়ী বদলে নিতে পারবে সেদিন মানুষ আর রোবটের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য থাকবেনা।
আপনি "কেমন হওয়া উচিত" এমন একটি প্রশ্ন করেছেন। উচিত অনুচিতের সীমারেখাটা আরো জটিল। উচিত বলেও জগতে কিছু নেই। উচিত শব্দটা নিজের স্বার্থ দ্বারা পুরোপুরি প্রভাবিত। আমি যদি একটা "উচিত" এর কথা বলি এবং সেটা আপনার বিরুদ্ধে যায় তাহলে আপনি আর সেটাকে উচিত বলে মানবেন না। একই ব্যাপার ঘটবে আমার ক্ষেত্রেও। যে জিনিসটা আমাদের নিজেদের পক্ষে আসে সেটাকেই আমরা "উচিত" বলি।
তাই একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব কেমন হওয়া উচিত সেটা তাকেই তার অবস্থান থেকে ভেবে বের করতে হবে। আর অন্যকারো সাজেশন নিতে গেলে সে তার ব্যক্তিত্বের উপর ভিত্তি করে আপনাকে মুখস্ত কিছু গতানুগতিক কথা শুনিয়ে দেবে।
যেমনঃ সব সময় হাসিখুশি থাকবে। সবার সাথে মিশবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি নিজে কারো সাথে মিশিনা, আমার তেমন কোন বন্ধু নেই। একটা ব্যান্ড আছে, মাঝে মাঝে টুকটাক গান করি ওদের সাথে। এর বাইরে কারো সাথে মিশিনা, আড্ডাও দেইনা। তাহলে আপনার উপরের ক্যাটাগরাইজেশন অনুযায়ী আমি ইন্ট্রোভার্টে পড়ে যাই। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেকে কোন দলে ফেলতে রাজি নই। প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিত্ব স্বতন্ত্র। সে নিজেই নতুন একটা করে ক্যাটাগরির জন্ম দেয়। সুতরাং তিন ক্যাটাগরিতে ফেলে আপনি সবাইকে ডিফাইন করতে গেলে পারবেন না, বরং কনফিউশন অ্যারাইজ় করবে। একই মানুষ দেখবেন কোথাই ইন্ট্রোভার্ট, কোথাও আবার এক্ট্রোভার্ট।
সবশেষে আমার মতামতটা বলি, ব্যক্তিত্ব এমন হওয়া উচিত যা নিজেকে সন্তুষ্ট করতে পারবে, আরেকজনকে দেখানোর জন্য নিজেকে বদলে ফেলাটা ব্যক্তিত্ব নয়, অভিনয়। ওটা করলে অশান্তি আরো বাড়বে।
আমার একটা কবিতা শেয়ার করে গেলাম। ইচ্ছে হলে পড়বেন। আমার ওয়ালে অনেক ফানি লেখাও আছে। সারাদিন প্রচুর লিখি ফেবুতে। ভালো লাগে হাবিজাবি লিখতে। পড়লে পড়তে পারবেন। ধন্যবাদ।
Click This Link