![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাবতেই অবাক লাগে, বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশীই বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। ইতিহাসে পড়া এবং নিজেদের সময়ে দেখা প্রতিটা ইলেকশন অসাধারণ নিরপেক্ষতার মাধ্যমে চালিত হয়। অন্তত একবারের জন্যেও দেখিনি তাদের মধ্যে ইলেকশন নিয়ে অবিশ্বাস, অমান্য আর প্রতিহিংসার বিষবাস্প। বিজেপির সরকারে থাকাকালীন নির্বাচনে যেমন ওরা হেরে গিয়ে সুন্দরভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলো, তেমনি এইবার কংগ্রেস। যেকোন সরকার পরিচালনায় ভুল ভ্রান্তি থাকতেই পারে, কিন্তু ওরা সেটাকে কখনও ইলেকশন পর্যন্ত আসতে দেয়নি কারণ তারা জনগণকে বিশ্বাস করে, আবার জনগণের মাধ্যমেই আবারও ক্ষমতায় আসার আশা করে। তারা জানে, এই একটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাওয়া মানে নিজের দেশকে আরও নীচের দিকে ঠেলে দেয়া। আর আমাদের দেশে বারবারই ফিরে আসে ১৫ই ফেব্রুয়ারী, ৫ইজানুয়ারী আর ২৮ এপ্রিলের ইলেকশন। দিন বদলায়, চেয়ার পাল্টায়, কিন্তু ক্ষমতাসীনদের সেই অ্যাপ্রোচ কখনও বদলায় না। ক্ষমতাসীনরা পাবলিকের ভোট খুব ভয় পায়। ১৫ ফেব্রুয়ারী কিংবা ৫ জানুয়ারীর মতো নির্বাচনই তাদের স্বস্থির একমাত্র উপায়। বিশ্বাস করুন, নিজেদের জনগণকে এরা বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করে না। মজার ব্যপার প্রতিবারই একদল বুদ্ধিবৃত্তিক সুবিধাবাদী গোষ্ঠী দাড়িয়ে যায়, শিক্ষিত মানুষ যে এতো লজ্জাহীন হতে পারে তা এইসব সাপোর্টারদের না দেখলে বিশ্বাসই করা যাবেনা। বিএনপি আলীগ দুইটাই তাদের সময়ে সুবিধামতো ভোটচুরি করেছে, কিন্তু এই বুদ্ধিবৃত্তিক সাপোর্টারদের বিবেক ও লজ্জার পরিমাণ বৃস্টির পানির একটি ফোটার থেকেও কম।
এই দেশকে পিছন দিকে ঠেলে নিয়ে যাওয়ায় নিশ্চয়ই তাদের বিশাল লাভ আছে! এমনিতেই দেশের সব মেধাবীরা একের পর এক দেশ থেকে যার যেভাবে সুবিধামতো চলে যাচ্ছে। বাঘহীন রাজ্যে শেয়াল ই রাজার মতো করে তারা নিশ্চয়ই একদিন এই দেশটা চালাতে আসবেন। শিক্ষাব্যাবস্থা, নির্বাচন ব্যাবস্থা, বিচার ব্যাবস্থা একের পর এক শেষ করে দিতে পারলেই তাদের কেল্লা ফতে নিশ্চয়ই। দেশটা কি তবে নষ্টদের অধিকারে চলে যাচ্ছে?
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব রয়েছে আমাদের দেশের দলগুলোর মধ্যে।