![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিভাবে বুঝবেন, আপনার বন্ধু "দলকানাস চামচামিয়ানা" রোগে ভুগছে কিনা?
শিক্ষা আমাদের আলোকিত করে তোলে, শিক্ষা আমাদের সাদা আর কালোর মধ্যে পার্থক্য বোঝায়, শিক্ষা আমাদের সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলবার যোগ্যতা এবং সাহস তৈরী করে দেয়। একজন অশিক্ষিত কে ভুল বোঝানো সম্ভব। তাকে যদি সাদাকে কালো বলতে বলা হয়, সে বলবে, কারণ সাদা ও কালোর পার্থক্য বোঝার মতো ক্ষমতাই তার নাই। আমাদের চারপাশে আমাদেরই শিক্ষিত বন্ধুরা আজ সেই অশিক্ষিতের মতোই আচরণ করছে। যে শিক্ষা দিয়ে সে দেশকে গড়ে তোলার কথা, সেই শিক্ষা নিয়ে সে আজকাল সেই অশিক্ষিতের মতোই কারও শিখিয়ে দেয়া বুলিই আউড়াচ্ছে। শিক্ষার কোন আলো তার বিবেককে নাড়া দিতে পারে নাই। ডান, বাম , মধ্য সব চিন্তায়ই এই শিক্ষিত চামচারা ঠিক দশ টাকায় কেনা রাস্তার মিছিলে আনা লোকগুলোর মতোই আচরণ করছে। এবং সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, তারা যে এজন্য লজ্জিত, তা না, বরং এতেই তারা বেশ গর্ব বোধ করে, অমুক দলের দলকানা আমি এই পরিচয়টাই তাকে একটা রাস্তার দশটাকার মিছিলে আনা লোকগুলোর সাথে এক করে তুলেছে। আপনার আমার চারপাশের এ ধরণের মানুষ চেনার উপায় কি? ইদানিং কাল থেকেই শুরু করি।
লক্ষন ১: এদের একদল ১৫ ফেব্রুয়ারীর ইলেকশনকে বলবে সংবিধান রক্ষার নির্বাচন, কিন্তু একই মুখে ৫ জানুয়ারীর ইলেকশন কে বলবে অবৈধ নির্বাচন। আবার অন্যদল ১৫ ফেব্রুয়ারী গণতন্ত্র রক্ষা দিবস হিসেবে পালন করে, কিন্তু ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন নিয়ে গর্ব অনুভব করে।
লক্ষন ২: ২৮ এপ্রিলের নির্বাচনের হাজার হাজার ছবি, ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যম, ফেসবুকে ছড়াছড়ি থাকলেও সেখানে কোন খবর নাই অথচ দেখবেন একটা অডিও টেপ নিয়ে শেয়ার দিয়েছে, এইতো চক্রান্ত ছিলো! এরকম একটা হেডিং দিয়ে।
লক্ষন ৩: পয়লা বৈশাখের হাজার হাজার ছবি শেয়ার হচ্ছে, কারা কী করছে, সেইগুলান দেখে চুপটি মেরে থাকবে, কিন্তু মিথিলা যখন একটা দাড়িওয়ালা আবিস্কার করার চেস্টা করে, ওইটা শেয়ার করে প্রমাণ করবার চেস্টা করে দাড়িআলারাই সব আকাম করছে।
লক্ষন ৪: আড্ডায় বিশ্বজিতের কথা আসলেই এড়ায় যাবার চেষ্টা করে, কিন্তু নব্য আবিস্কার বিশ্বজিতের হত্যাকারী ছাত্রলীগের কোন এক বংশধর শিবিরের সদস্য, ওইটা নিয়া এমনভাবে প্রেজেন্ট করবো, মনে করবেন শিবিরের পোলারাই ওরে দলবেধে মারছে।
লক্ষন ৫: সাতক্ষীরা আর খুলনার সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়া খুব জোরে চিৎকার শুরু করলেও হঠাৎ করে চুপ মেরে যাবে, কেন? যখন জানতে পারবে তার নিজের দলের লোকেরাই তার সাথে জড়িত।
লক্ষন ৬: হেফাজতের মিটিংয়ের লাখ লাখ লোকের হত্যার কথা প্রচার করবে। (এই গ্রুপের কারও বর্ণনায়ই তা বিশ হাজারের নীচে নামে নাই)
লক্ষন ৭: পেট্রোল বোমায় যতই মানুষই মারা যাকনা কেন, সব অন্যপক্ষ করছে বলে প্রচার করার চেস্টা। এখানেও সেই দুইনম্বর লক্ষনের রিপিটেশন। কয়েকশো জায়গায় পেট্রোল বোমা সহ ওদের লোক ধরা পড়লেও তারা শেয়ার করবে কোন এক নাম নাজানা পত্রিকায় ছাপানো ধরা পড়া এক সরকারী দলের লোকের ছবি।
লক্ষন ৮:....................
কোন নির্দিস্ট দলের না, সব দলের দলকানাদের বৈশিষ্ট্যই এখানে অন্তুর্ভুক্ত করার চেস্টা করা হবে। আপাতত এই কয়টা মনে পড়ছে দেখে দিলাম। আপনারাও অংশ নিতে পারেন। এই বৈশিষ্টগুলো মার্ক করে শিক্ষিত কোন ব্যাক্তি যদি তার দলকানা রোগ সারাতে পারে, তাহলেই এই পোস্ট স্বার্থক।
©somewhere in net ltd.