![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মিসইনফরমেশন দিয়ে কোটিকোটি টাকা হাতিয়ে নেবার ঘটনা এই দেশে চলেছে এবং চলছে। নব্বইয়ের দশকে কম্পিউটার কিনলেই ভবিষ্যত উজ্জ্বল আর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশাল পরিবর্তন হয়ে যাবে, এই রব তুলে হাজার কোটি টাকার কম্পিউটার ব্যবসা হয়েছে এই দেশে যার প্রায় পুরোটই ব্যবহার হয়েছে সিনেমা দেখার কাজে। সেই সাথে সর্বোচ্চ ব্যবহার বোধকরি হয়েছে টাইপিং শিল্পে টাইপরাইটার বিদায় করার কাজে। এরপর আসলো ক্লিকিং ব্যাবসা, আউটসোর্সিং ব্যবসা। একুশ শতকে আউটসোর্সিং হলো তরুণপ্রজন্মের কার্যক্ষমতার সর্বোচ্চ অবমূল্যায়ন এবং অপব্যাবহারের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। এটা যেমন উন্নত বিশ্বের তরুণ প্রজন্মকে বঞ্চিত করছে, তেমনি নষ্ট করে দিচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের তরুণদের কর্মক্ষমতা আর ক্রিয়েটিভিকে। বলা বাহুল্য, এই সব আউটসোর্সিয় এর মূল পরিচালনাকারী আর মধ্যবর্তী মুনাফার নাটাই চলে এসেছে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর হাতে। উন্নত দেশে যাওয়ার নাম করে মানবপাচার করে থাইল্যান্ডে জিম্মিকরা সেই দলের সাথে এই আউটসোর্সিং প্রোভাইডার দলের মধ্যে নীতিগত পার্থক্য খুব সামান্যই। একদল প্রকাশ্যে বর্বরতা করে, আর একদল বুদ্ধিবৃত্তিক কৌশলের মাধ্যমে দক্ষ এবং কার্যক্ষম তরুণ প্রজন্মকে ঠকিয়ে তাদের ধ্বংস করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
এর চেয়ে মুরগীর ফার্ম দিলে দেশের জিডিপিতে এবং দেশের পুস্টিখাতে বেশী অবদান রাখতে পারবে যে কেউ। এবং এর থেকে কম পরিশ্রমে।
উদাহরণ দেই, আট মাসে ত্রিশহাজার ক্লিক করে আয় ১৭০০ ডলার, তার মানে প্রায় ১লাখ ৩২ হাজার টাকা। একটি কমদামী ল্যাপটপ(ধরুন ল্যাপটপের দাম ৩২ হাজার টাকা) যদি আমার পুজি হয়, তাহলে নেট আয় ১ লাখ টাকা, মানে প্রতি মাসে ১২,৫০০ টাকা, এর থেকে প্রতিমাসের নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগমূল্য (অন্তত ১৫০০ টাকা) বাদ দিলে মাসপ্রতি আয় মাত্র ১১ হাজার টাকা। এই বাজারে এতো পরিশ্রম করে এই ইনকাম কারও হাতখরচের বেশী নয়। তারও ওপর, আজ থেকে কিছুদিন পরই এই ক্লীক সিস্টেমের পরিবর্তন হবে, নতুন তরুণদের আগমন হবে আয় যে হঠাৎ করে বেড়ে যাবে, সেই সম্ভাবণাই নাই। এইগুলান করে কেউ বড়লোক হয়েছে তার নজীরও নাই। এর চেয়ে এন্টারপ্রেইনারশীপ করবার চেস্টা করে কেউ কোন ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারলেও আজ ১০ হাজার টাকা ইনকাম দিয়ে শুরু করলে একসময়ে তার পরিমাণ বাড়বেই। দেশেরও উন্নতি , নিজেরও উন্নতি।
২| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭
বেসিক আলী বলেছেন: আউটসোর্সিং মানেই ক্লিকবাজী!!!! এটা আপ্নাকে কে বল্লো?
১৪ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
টি এম মাজাহর বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। " আউটসোর্সিং মানেই ক্লিকবাজী!!" এটা কিন্তু লেখার কোন অংশে নেই। কিন্তু দুটোর সাথে একটা তুলনা বা মিল হয়তো লেখার সাথে খুজে পেতে পারেন। তবে আউটসোর্সিং যে মেধার ও যোগ্যতার অপব্যায়ের মাধ্যম, সেটা আশা করি বুঝতে পারবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
টি এম মাজাহর বলেছেন: শ্রম শোষনের নতুন হাতিয়ার, আউটসোর্সিং। তরুন প্রজন্মের মেধা আর উদ্যম কে অপচয়ের নাম আউট সোর্সিং। কিন্তু কে বোঝাবে কাকে ? মাল্টিন্যাশনাল আর মিডিয়া আছে এই অপচয়ের মাধ্যমে অর্জিত সব মধুর বখরা ভোগ করতে।