![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাত্রা ছেদ
জানলা দিয়ে দেখি, বাইরে সারি সারি পাহাড়। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি থাকায় দূরের পাহাড়কে ঝাপসা দেখাচ্ছে। উঁচু-নিচুতার কারণে রেললাইনও উঁচুতে নেমে গেছে, নিচুতে উঠে গেছে। সেভাবেই ট্রেন ছুটছে। এরই মধ্যে ট্রেন থামল, বললাম, কোথায় থামল?
অনুভূতির মা জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে, হয়ত প্ল্যাটফরমের দিকে তাকিয়ে আবার মুখ ঘুরিয়ে এনে বলল, এটা উখিয়া স্টেশন। আমি অনুভূতির মা'র কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছি। আবার ট্রেন ছেড়ে দিল, আবার পাহাড়। জানলা দিয়ে বৃষ্টির ছাঁট এসে গায়ে লাগছে। হালকা শীত শীত ফ্লেবার। বললাম, জানলা বন্ধ করে দাও না!'
'পাহাড় দেখব না?' তোমার এই যৌক্তিক প্রত্যাশাকে মেনে নিলাম। তাই কি বলব, বললাম, কিছু খাব, মনে হচ্ছে খিদে খিদে...
'পরের স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালেই ফল-বিস্কুট কিনে নেব, এখন ঘুমাও।' তোমার নির্দেশে চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকলাম, তোমার কোলে মুখ রেখে। কিন্তু ঘুম কি নির্দেশে আসে?
পরের স্টেশন, নাইক্ষংছড়িতে ট্রেন দাঁড়ালই না, বললাম, 'খিদে কিন্তু বাড়তেছে।'
আধাঘণ্টা পর ট্রেন থামল নাফ নদীর ধারে। এটা একটা বড় স্টেশন, নাম, টেকনাফ জংশন। নদীর এপরেই মংডু, মায়ানমারের প্রান্তিক শহর। একবার গেছি আমি।
ট্রেন ছুটল ফের, এরপর আর থামাথামি নেই, সোজা বদরমোকাম। মানচিত্রের লেজের শেষ মাটি। ঘুমোচ্ছিলাম, তুমি ধাক্কা দিয়ে জাগালে। বললে, 'শাহ পরীর দ্বীপ। নামতে হবে।'
বললাম, নারকেল দারুচিনি দ্বীপ যাবে না এই ট্রেন?'
'না, এখান থেকে পাতাল ট্রেনে যেতে হবে নারকেল জিঞ্জিরায়, ওঠো নামতে হবে।' গার্হস্থ্য নির্দেশে আমাকে ওঠাল অনুভূতির মা।
ট্রেন থেকে নামতেই দেখি, সমুদ্রের ধারে এই স্টেশন। এখান থেকে ফের পাতাল ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে, আমরা যাচ্ছি দারুচিনি দ্বীপ। এই ট্রেন যাবে সমুদ্রজলের তলদেশ দিয়ে। যাই হোক, আমরা পাতাল ট্রেনের বগিতে গিয়ে উঠলাম, যাচ্ছি দারুচিনি দ্বীপ, ছেঁড়া দ্বীপ। ট্রেন ছাড়বে, এই সময় দীর্ঘ সাত ঘণ্টার ঘুম ( অদ্য পুরো দিনটাই) ভেঙে গেল। যাত্রা ছেদ।
তাতে কী, পরে তো আমরা যাবই...
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৫
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন: nice..
kobi apnar kobitay jahatu akti matro coments tahola amar kobitay coments na thklau ami khusi
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫১
সোহরাব সুমন বলেছেন: সুন্দর !