![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"কুরবানী দিয়ে কি লাভ ভাই?"
"এতগুলো নিরীহ প্রাণী কেন হত্যা করবেন?"
এক ভাই একটু আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন ফেসবুকের একটা গ্রুপে। পোস্টটার ছবিটাতে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা এই রকম কিছু মন্তব্য ছিল। পোস্টে মন্তব্য করতে যেয়ে দেখি পোস্ট ডিলেটেড। তাই মন্তব্যটা সবার উদ্দেশ্যে পোস্ট আকারে দিলাম। (শুধুমাত্র আস্তিকদের জন্য)
কমেন্টে কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না এবং কোন ছবি বা লিংক শেয়ার করবেন না।
আল্লাহ্ বাঁচিয়ে রাখলে এইসব ধর্মান্ধ(যে ধর্মেরই হোকনা কেন) জবাব দেয়ার জন্য একটা article খুব শীঘ্রই লিখবো। প্রায় সব ধর্মেই animal sacrifice ব্যাপারটা আছে। ইসলাম ধর্মে হালাল পশু কুরবানী, হিন্দু ধর্মে পাঠা থেকে শুরু করে মহিশ, মোরগ সহ আরো অনেক প্রাণীর বলি, খ্রিষ্টান ধর্মেও এরকম প্রথা আছে। আফ্রিকা মহাদেশের অনেক ধর্মে আছে। আর এ রীতি আজ বা কালকের নয়। প্রচীন রোমেও animal sacrifice ব্যাপার টা ছিল।
-
তাছাড়া যদি ধর্মকে রেখে পর্যবেক্ষণ করি বিভিন্ন অঞ্চলেও এরকম animal sacrifice করার ব্যাপারটা আছে। উদাহরণ স্বরূপ: নেপালে কয়েক লাখ পশুকে একসাথে মাঠের মধ্যে হত্যা করার উৎসব হয়। ভারতের তামিলসহ আরো জায়গায় sacrifice হয়।
-
যদি মুসলিমদের কুরবাণী বা sacrifice ও হিন্দুদের বলি(ধারালো ছুরি দিয়ে এক কোপে মাথা কেটে আলাদা করা) এবং অন্যান্য ধর্মের sacrifice যদিও এর থেকে আরো নির্মমভাবে করা হয় কিন্তু এসব যদি কারো ভয়ের কারণ হয় তাহলে বলবো মানুষ তেলাপোকাকেও কিন্তু ভয় পায় আবার হাতির পিঠেও চড়ে বেড়ায়।
-
আর হা, অনেকে বলে কুরবানীর টাকা দান করতে, তাদেরকে বলব
আমরা তো কুরবানীর পর মাংস খাই বা মানুষকে দেই ধর্মের রীতি অনুযায়ী।
হিন্দু ধর্মেও রীতি অনুযায়ী মূর্তি বানিয়ে, গয়না পরিয়ে এবং আরো অনেক খরচ করে তাদের ধর্মের রীতি অনুসারেই পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয়(আমি হিন্দু ধর্মের প্রতি সম্মান রেখেই বললাম শুধুমাত্র ছবির কিছু বলদকে বুঝানোর উদ্দেশ্যে।)
বলির ক্ষেত্রেও মাংস না খাওয়ার নিয়ম
আছে এবং অন্যান্য অনেক ধর্মেও আছে আরো অনেক রীতি।
ধর্মের রীতিতে পূজার পর মূর্তি ভাসিয়ে দিতে হয় বলে বলেই দেন কিন্তু কেউ যদি এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে এত টাকা খরচ করে প্রতিমা ভাসিয়ে দেন কেন তাহলে তাকে আবাল ছাড়া কিছু বলা যাবে না।
ঠিক তেমনি কুরবানীর ক্ষেত্রে বা অন্যান্য ধর্মের রীতিতেও বিষয় টা এমনই। তাই কুরবানীর টাকা দান করার লজিক টাও লেইম।
-
ধর্মীয় বিশ্বাসের দিক থেকে ইসলাম ধর্মের সৃষ্টিকর্তার কোন প্রতিমূর্তি নেই কিন্তু হিন্দুধর্মের আছে। এক্ষেত্রে এই দুই ধর্মের বিশ্বাসের পার্থক্যও সাংঙ্ঘর্ষিক। তাই বলে কেউ এই বিষয় নিয়ে একে অপর ধর্মের বিরুদ্ধে মন্তব্য করলে বুদ্ধিমানের পরিচয় দিবে না।
কুরবানীকে কিছু মানুষ তাদের ধর্মীয় কারণে দেখতে না পারার কারণ টা আপনারা সবাই জানেন তাই আমি কথা বাড়াতে
চাচ্ছি না।
আবার দেখেন, বৌদ্ধ ধর্মে যেকোনো প্রাণী হত্যাই মহাপাপ। তাই বলে কি তারা অন্যান্য ধর্মের animal sacrifice নিয়ে বাজে মন্তব্য করবে? উত্তর হচ্ছে- না।
-
আর যদি animal sacrifice এর কারণে পশু হত্যা করা হয় তাহলে বলব আমরা প্রতিনিয়তই এর থেকে হাজারগুণ বেশি পশু হত্যা করছি খাওয়ার উদ্দেশ্যে।
-
আমার এইলেখাটি লেখার কারণ হল যারা ব্যাপারটি বুঝতে চান না তাদেরকে একটু হলেও বোঝানোর চেষ্টা করা (সে যে ধর্মেরই হোক)। কোন ধর্মই বলে না অন্য ধর্ম সম্পর্কে বাজে কথা বলতে। যদি কোন কুলাঙ্গার(যে ধর্মেরই হোক) না বুঝে কারো ধর্মের প্রতি বাজে মন্তব্য করে বসে তাহলেও কিছু মনে করবেন না। কারণ এতে আপনার জাত যাবে না বরং মন্তব্যকারীই মূর্খতার পরিচয় দিবে।
-
এক্ষেত্রে দুইটি ঘটনা সংক্ষেপে বলি-
-
ঘটনা এক- নবীজী হযরত মুহাম্মদ(সঃ) এর যাতায়াতের পথে এক বুড়ি কাঁটা দিয়ে রাখতেন। পরে বুড়ি একদিন পথে কাঁটা না দেয়ায় নবীজী তার খবর নিয়ে যখন জানতে পারেন বুড়ি অসুস্থ তখন তিনি বুড়ির সেবা করলেন। বুড়ির প্রস্রাব-পায়খানাও নিজ হাতে পরিষ্কার করলেন।
-
ঘটনা দুই- একবার গৌতম বুদ্ধ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একজন তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। কিন্তু গৌতম বুদ্ধ একটুও রাগ করলেন না। তিনি লোকটাকে প্রশ্ন করলেন,
"আচ্ছা ধরেন আপনি আমাকে কোন কিছু দিলেন কিন্তু আমি তা গ্রহণ করলাম না তখন সেটা কার কাছে থাকবে?"
- কেন আবার ? আমার কাছেই তো থাকবে।
তারপর গৌতম বুদ্ধ বললেন,
"তাহলে আপনার এ অপমান আমি গ্রহণ করলাম না।"(ঘটনা সমাপ্ত)
-
উল্লিখিত ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা নিন এবং নিজেকে সংযত করবেন সবসময়।
ধর্মীয় বিশ্বাস খুবই স্পর্শকাতর স্থান। কখনোই কোন ধর্মের বিশ্বাস নিয়ে শ্রদ্ধাশীল না হোন কিন্তু বাজে মন্তব্য করবেন না।
কারণ আপনি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান বা যে ধর্মেরই হোন না কেন আপনি নিজে নিজে কিন্তু আপনার ধর্ম নির্বাচন করেন নি। আপনি যে ধর্মের পরিবারে জন্মেছেন সে ধর্মেরই মানুষ।
-
তাই চলুন আজকে থেকে শপথ করি,
কারো কোন ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে আমরা কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করব তো না ই এবং কেউ জেনে বা না জেনে কোন বাজে মন্তব্য করলেও নবীজীর মত তাকে ক্ষমা করে তার সেবা বা উপকার না করতে পারলেও গৌতম বুদ্ধের মত তার অপমান বা বাজে মন্তব্য গ্রহণ করবো না (সংক্ষেপিত)।
-
এত কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
-
কবি নজরুলের কাব্যে,
"মোরা একটি বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান
মুসলিম তার নয়ণমনি হিন্দু তাহার প্রাণ"
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫৯
তোমার কবি বলেছেন: Ji bhai.Dhonnobad.
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০০
তোমার কবি বলেছেন: Eid Mubarak.
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:২৩
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৭
দিয়া আলম বলেছেন: গরু কোরবান নিয়ে কিছু পাগলের পাগলামী দেখে রাগে গা জ্বলে,সারা বছর গরুর মাংস দিয়ে বানানো কতকিছু খেয়ে যারা এই দিনে ধর্মকে খোঁচা দিতে উঠে পরে লাগে এমন মানুষদে পাগল ছাড়া আর কি বলবো?
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন:
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯
বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোবারক।
আপনার এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪১
মাহিরাহি বলেছেন: ওরা একেবারেই সংখ্যালগু, তাই শংকিত হওয়ার কিছু নেই, আরে এদের লাফঝাপ মিডিয়াতেই সীমিত।
পৃথিবীতে মাংস গ্রহনের (মাথাপিছু) তালিকা দেখুন।
Bangladesh 4 ইসলাম ধর্ম
Australia 111.5
United Kingdom 84.2
United States of America 120.2
India 4.4 হিন্দু ধর্ম
Thailand 25.8 বৌদ্ধ ধর্ম 93.20%
Japan 45.9 বৌদ্ধ ধর্ম 67%
Sri Lanka 6.3 বৌদ্ধ ধর্ম 70.2%
৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২
মাহিরাহি বলেছেন: ঈদ মোবারক।
৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২১
একটি পেন্সিল বলেছেন: আপনার লেখাটা আমার পছন্দ হয়েছে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
তোমার কবি বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মানুষে মানুষে কোন ভদাভেদ নাই

সকলেই আল্লার সৃস্টি ।
মানুষে মানুষে কোন ভদাভেদ নাই
সকলেই আল্লার সৃস্টি ।