নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তমাল। তমাল মানে তমাল বৃক্ষ! আমি বৃক্ষের মতোই সরল, সহজ এবং মোহনিয়। পেশায় একজন পুরঃ কৌশল প্রকৌশলী। কাজ করেছি দেশের স্বনামধন্য কোন এক দপ্তরে। বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানীতে অবস্থান করছি। আমি ভালবাসি মানুষ,দেশ এবং পরিবেশ। ধন্যবাদ।

মুহাম্মদ তমাল

একুশ শতকের অদৃষ্ট,সুপথের সন্ধানী তবু পথভ্রষ্ট,পূর্নতায় হৃদয় সিক্ত,রজক জয়ন্তী পূর্ন বন্দি অবশেষে মুক্ত।

মুহাম্মদ তমাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিপাক মুক্তির ভাষা

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩২



সবাইকে প্রানের মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

"অাবেগ,ভালবাসা,অার মায়ায় মাখামাখি
অামার প্রানের বাংলা ভাষা। ভাবতেই ভাললাগে, এ ভাষাকে অামরা অর্জন করেছি তাজা রক্ত দিয়ে....
কত মর্যাদা,কত গৌরব অার শ্রদ্ধা প্রাপ্য অামার মাতৃভাষার"

এইসব কথাবার্তা অনেক পুরাতন,
অনেক বার শুনে শুনে বিরক্ত লাগে......
অামি শংকিত, একুশ শতকে অামার গৌরবের মাতৃভাষা বিপন্ন প্রায়,
নব্য অাধুনিকতা, অার পশ্চিমের হাওয়া বাঙালীকে এমন ভাবে গ্রাস করেছে
বাংলা মায়ের মুখের ভাষাকে গালিগালাজে রুপান্তরিত করেছে এ জাতী।

চরম অমর্যদা,অার অপমান করতে করতে বাংলা এটাকেই নিয়মে অর্ন্তভুক্ত করেছে,
সেই তো বায়ান্ন থেকে শুরু....
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটা সকলের কাছেই পরিচিত,
তবে বাঙালি জানেনা ১৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটা বাংলা কত তারিখ ছিলো কিংবা সালটা কি ছিলো......?

কেন ২১ শে ফেব্রুয়ারি অামার অহংকার?
যে ভাষার মর্যাদার জন্য তাজা প্রান গুলা দিলাম, সেই ভাষা দিবসটা কি অামরা নিজ ভাষার তারিখে পালন করতে পারতাম না?
অামরা ৮ ই ফাল্গুন,১৩৫৮ সালটা যখন ১৯৫২ অার ২১ ফেব্রুয়ারির কাছেই টিকতে পারে না সেখানে অামার বাংলা ভাষা বিশ্বের দরবারে কি করে স্থান পাবে। অাসলে অামাদের হচ্ছে গোড়াতে গোন্ডগোল..
তাইতো এই করুন পরিনত।

"৫২ অার ২১ নিয়ে কত গান,কত কাব্য ইত্যাদি ইত্যাদি.....
তবে অামার ৫৮ অার ৮ ই ফাল্গুনকে তুমি দিলে কি?"

অামরা ভাষাকে নিয়ে বড়ই মাতামাতি করতে পারদর্শী,
কি লাভ এত মাতামাতি করে, যদি অন্তরের মাঝে এই ভাষার স্থান না দিতে পারি!
তখনই এ ভাষা অন্তরে স্থান পাবে যখন বাংলিশ ভুলে মুখ দিয়ে শুদ্ধ ভাবে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিশুদ্ধ বাংলা ভাষা বেরিয়ে অাসবে।

যে দেশে ছোট বেলা থেকে ভিনদেশী ভাষা শিখতে শিশুর কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হয় ভিনদেশী পুস্তকের বস্তা, সে দেশে বিশুদ্ধ ভাষার বকা্ত পাওয়া দুষ্কর হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
হ্যা, অবশ্যই অামাদের ভিনদেশী অন্তস্থ করা জরুরী। তবে তার থেকেও বেশী জরুরী অামার প্রানের বাংলা ভাষাকে হৃদয়ে স্থান দেয়া।
সামাজিকীকরণের এই যুগে নিজ ভাষাকে ভুলে অন্য ভাষাতে নিজের দক্ষতা জাহির করাটা হাস্যকর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে চলছে ভাষার চরম অবজ্ঞা।
বাংলিশের দৌরাত্ম্য বাংলা বর্ণমালাকে ভুলেছি অামরা।
এমনও ঘটনা ঘটছে ভাষা দিবসের শুভেচ্ছা অামরা ভিনদেশী ভাষাতে জানাত শুরু করছি.....

অাসলে শহীদ মিনারে এইসব লোক দেখানো ফুলটুল দিয়ে অার গলাবাজি করে কোন লাভ নাই...
এখন ফুল দিলাম অার একটু পরে জুতা পায়ে সেই শহীদ মিনারে সেলফি তুললাম.....
এটাই অামাদের বাঙালীর চরম অনৈতিকতা।
প্রথমে ভাষাকে ভালবাসতে হবে.....
তার পরে ভাষার অন্যসব কিছু.......

খুবই খারাপ লাগে, তাই কিছু লিখলাম,
অামারা যে পর্যন্ত ভাষার মর্যাদা দিতে শিখবো না,
সে পর্যন্ত শফিক রকিফদের রক্ত বৃথা.......
সকলের কাছে অনুরোধ,
নিজ ভাষাকে মর্যাদা দিতে শিখুন......
নিজে মর্যাদা পাবেন.......

হে মাবুদ,
তোমার কাছে ফরিয়াদ।
এই অদৃশ্য ভয়ংকরতম ভিনদেশী ভাষার অাগ্রাসন থেকে
মুক্তিপাক অামার প্রানের মাতৃভাষা।

[ভুলত্রুটি মার্জনীয়]


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.