নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]
কোন শত্রু বা যে কেউ কোন কারণে আপনাকে হুমকি দিচ্ছে, জমি দখলের চেষ্টা করছে, ভয়ভীতি দেখাছে কিংবা রাস্তায় বিভিন্নভাবে উৎপাত বা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে; তখন আপনার করনীয় হলো থানা বা আদালতের আশ্রয় নেয়া। আপনি দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ ধারা মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে পারেন। ১০৭ ধারায় আশ্রয় নিলে আদালত প্রাথমিক শুনানিতে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেলে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুচলেকা সম্পাদনের জন্য আদেশ দেবেন।
তবে আদালতে যাওয়ার আগে একটি সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করে রাখতে পারেন নিকটস্থ থানায়। অনেক সময় অভিযোগটি গুরুতর হলে পুলিশ এ জিডি থেকেই নন-প্রসিকিউশন প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।
জিডি কিভাবে করবেন ?
জিডি সাধারণত অন্যান্য দরখাস্তের মতোই। বিষয়টি নিয়ে ঘাবড়ানোর কোনো কিছু নেই। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি বরাবর দরখাস্ত লিখতে হয়। তার নিচে থানার ঠিকানা। এরপর লিখতে হবে বিষয়। আপনি কী কারণে জিডি করছেন, সে বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে। বিবরণ অংশে আপনার জিডির বিস্তারিত বিবরণ এবং প্রয়োজনে ঠিকানা (বর্তমান ও স্থায়ী) তুলে দিতে হবে। একেবারে নিচে আপনার নাম, যোগাযোগের ঠিকানা, ফোন নম্বর দিতে হবে।
জিডির একটি নমুনা কপি:
.
তারিখঃ ………………
বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
………………..থানা, ঢাকা।
বিষয় : সাধারণ ডায়েরি ভুক্তির জন্য আবেদন।
জনাব,
আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী নাম: …………………………………
বয়স : ………………………………………………………
পিতা/স্বামী : ………………………………………………..
ঠিকানা : …………………………………………………….
এই মর্মে জানাচ্ছি যে আজ/গত …………………….. তারিখ ……………. সময় …………….নিম্ন বর্ণিত ব্যক্তি/নাম্বার থেকে আমাকে হুমকি প্রদান করিতেছে।
বর্ণনা : (যা যা বলে হুমতক দিচ্ছে)
বিষয়টি থানায় অবগতির জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার অনুরোধ করছি।
বিনীত
নাম:
ঠিকানা:
মোবাইল নম্বর:
এ ছাড়া কোনো ব্যক্তির কারণে পারিবারিক বা সামাজিক শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট হওয়ার, কোনো কলহ-বিবাদ তৈরির আশঙ্কা কিংবা বিরক্তিকর কোনো কাজের আশঙ্কা দেখা দিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাওয়া যায়। কেউ আপনাকে অযথাই হুমকি-ধমকি দিলে, ভয়ভীতি দেখালেও ১০৭ ধারার আশ্রয় নিতে পারেন। এই ধারায় প্রতিকার সাধারণত শান্তি রক্ষার মুচলেকার মামলা বলেই পরিচিত। ১০৭ ধারায় মামলা রুজু করে প্রতিপক্ষকে কিংবা দায়ী ব্যক্তিকে শান্তি বজায় রাখার জন্য বন্ড বা মুচলেকা সম্পাদনের জন্য বাধ্য করা যায়। এ ধরনের মামলা করতে হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। আইনজীবীর মাধ্যমে আরজি উপস্থাপন করতে হবে। আরজিতে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম-ঠিকানাসহ কেন, কী কারণে আপনার শান্তি বিনষ্ট করছে এবং কোনো ভয়ভীতি দেখালে কখন ঘটনাটি ঘটেছে তা স্পষ্ট করে লিখতে হবে। আরজির সঙ্গে কোনো প্রমাণ থাকলে তা দাখিল করতে হবে। কোনো সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করা থাকলে তাও দাখিল করতে হবে। ১০৭ ধারায় দায়ী কোনো ব্যক্তি জামিন পাওয়ার যোগ্য। এ ধারায় মামলার উদ্দেশ্য হলো দায়ী ব্যক্তি বা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মুচলেকা সম্পাদনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করা।
১০৭ ধারায় আশ্রয় নিলে আদালত প্রাথমিক শুনানিতে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুচলেকা সম্পাদনের জন্য আদেশ দেবেন। তখন দায়ী ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হয়ে মুচলেকা সম্পাদন করতে হবে। মুচলেকায় বলতে হবে ভবিষ্যতে তিনি আর কোনো ধরনের উৎপাত করবেন না এবং ভয়ভীতি দেখাবেন না। দায়ী ব্যক্তি যদি মুচলেকা সম্পাদন করতে না চান এবং নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন, তাহলে জবাব প্রদান করতে পারেন লিখিতভাবে। এ জবাবেও ভবিষ্যতে কোনো প্রকার ভয়ভীতি দেখাবেন না কিংবা কোনো ধরনের শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না এ মর্মে অঙ্গীকার করতে পারেন। যদি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনো দোষ স্বীকার না করেন, তাহলে সাক্ষ্য শুরু হতে পারে আদালতে। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হলে মুচলেকা সম্পাদনের আদেশ দিতে পারেন আদালত। সাধারণত ১০৭ ধারায় মামলা করা হলেও আদালতে ১০৭ ধারার সঙ্গে ১১৭ (গ) ধারা অনুযায়ী মূলত মুচলেকা সম্পাদনের প্রতিকার চাইতে হয়। আদালতও সে অনুযায়ী আদেশ দিয়ে থাকেন। এ ধারার মামলার আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন দায়েরের সুযোগ রয়েছে।
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫
হাসান রাজু বলেছেন: উপকারি পোস্ট।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬
সনেট কবি বলেছেন: ভাল পোষ্ট।