নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
টাকা ধার দেওয়ার সময় তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন যে নির্দিষ্ট একটি তারিখের মধ্যেই পরিশোধ করে দেবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে টাকা ফেরত না দেওয়ায় আপনার পাওনা টাকা ফেরত দিতে তাঁকে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে আপনার টাকা আর ফেরত দেননি। আপনি ভাবছেন কীভাবে আদায় করবেন পাওনা টাকা। আপনি কি আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন? পারলেও কীভাবে?
যেভাবে টাকা উদ্ধার করা যেতে পারেঃ-
১) উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে;
২) ফৌজদারী আদালতে গচ্ছিত চেকের বিরুদ্ধে মামলা করে;
৩) দেওয়ানী আদালতে মানি স্যুট এর মাধ্যমে;
৪) অর্থ ঋণ আদালতে ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে মামলা করে;
আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে টাকা উদ্ধারঃ-
পাওনাদার দেনাদারের মধ্যে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে টাকা উদ্ধার করা সম্ভব। এক্ষেত্রে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণের মধ্যস্থতায় এই আপোষ মিমাংসা হতে পারে।
ফৌজদারী আদালতে চেকের মামলার মাধ্যমে টাকা উদ্ধারঃ-
ব্যবসায়িক লেনেদেন পরিচালনা কালে বিক্রেতা বা ঋণদাতা ক্রেতা বা ঋণ গ্রহীতার নিজের হিসাবের নিজ স্বাক্ষরিত চেক জামানত হিসেবে রাখতে পারেন বা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্রেতা বা ঋণ গ্রহীতা গৃহীত টাকা পরিশোধে জন্য চেক প্রদান করে থাকেন। এক্ষেত্রে চেকের ৬ (ছয়) মাস মেয়াদ থাকাকালীন সময়ে ঋণ দাতা বা পন্য বিক্রেতা প্রদেয় চেকটি নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এ্যাক্ট, ১৮৮১ অনুসারে নিম্নলিখিত উপায়ে টাকা উদ্ধার করতে পারেনঃ-
ক) চেকের মেয়াদকালীন সময়ে চেকটি নগদায়নের জন্য ব্যাংক উপস্থাপন করবেন;
খ) চেকটি ডিসঅনার হওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে আইনজীবির মাধ্যমে ঋণগ্রহীতা বা চেক দাতার বরাবরে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করতে হবে। তবে একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে, চেক তিন বার ডিসঅনার করতে হবে। এটা সঠিক নয়। একবার ডিসঅনার করলেই লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা যাবে।
গ) লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণের ৬০ দিনের মধ্যে মামলা করতে হবে। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন ব্যক্তি ও কোম্পানীর ক্ষেত্রে চেকের মামলা ভিন্ন উপায়ে দায়ের করতে হবে। অন্যথায়, বিজ্ঞ আদালত বিচারের পর্যায়ে মামলা আইনগত ত্রুটির কারণে খারিজ করে দিতে পারে।
দেওয়ানী আদালতে মানি স্যুট এর মাধ্যমেঃ-
নেগোশিয়েব ইন্সট্রুমেন্ট ব্যতীত ব্যবসায়ী লেনদেনের সময় ক্রেতার বা ঋণ গ্রহীতার স্বাক্ষরিত স্বাক্ষরিত অন্যান্য কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে দেওয়ানী আদালতে টাকা আদায়ের মামলা করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পাওনাদার পাওনা টাকার উপর ২.৫% হারে এডভেলোরেম তৎসহ ১৫% ভ্যাট কোর্ট ফি প্রদান করে মামলা করতে পারেন। এক্ষেত্রে কোর্ট ফি সর্বদা অফেরতযোগ্য বটে।
অর্থঋণ আদালতের মাধ্যমেঃ-
অর্থঋণ আদালতে মামলা করার অধিকার একমাত্র ব্যাংক ও নন ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশনগুলোর। অর্থ ঋণ আইনের ১২ ধারা মোতাবেক ঋণ গ্রহনের সময় জামানত হিসেবে গচ্ছিত স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের পর বিক্রীত টাকা সমন্বয় শেষে বক্রী টাকা নিয়ে মামলা করতে পারেন। এক্ষেত্রে ২.৫% হারে এ্যাডভেলোরেম কোর্ট ফি প্রদানপূর্বক মামলা করা যাবে। পরবর্তীতে পাওনাদার ডিক্রী পেলে উক্ত ডিক্রী কার্যকরের মাধ্যমে টাকা উদ্ধার করতে পারেন।
টাকা ধার দেওয়ার সময় মনে রাখবেন
প্রয়োজনে যদি টাকা ধার দিতেই হয়, তাহলে যতই আপনজন হোক না কেন, তাঁর সঙ্গে আপনি একটি লিখিত চুক্তি করে নিন। ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি চুক্তি করে নিন এবং এই চুক্তিতে কী কারণে কত টাকা ধার দিলেন, তা স্পস্ট করে উল্লেখ করতে হবে। কবে অপর পক্ষ টাকা ফেরত দেবে এবং পুরোটা একসঙ্গে না কিস্তিতে পরিশোধ করবে, তা উল্লেখ করতে হবে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দেয়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ থাকবে—বিষয়টা স্ট্যাম্প কাগজে উল্লেখ করা দরকার। মনে রাখতে হবে, চুক্তিপত্রটি যেন আইন অনুযায়ী সম্পাদিত হয়। এ ছাড়া চুক্তিটি নোটারি বা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সত্যায়িত করে নিতে হবে। চুক্তিপত্র সম্পাদনের সময় সাক্ষী হিসেবে রাখুন কয়েকজনকে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়, তাহলেও চুক্তিপত্র করে নিতে হবে। চুক্তিপত্র ছাড়া আইনের অশ্রয় গ্রহণ করা অনেকটা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
[email protected]
facebook.com/mohammad.toriqueullah
01733 594 270
২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩
এম টি উল্লাহ বলেছেন: কোন চুক্তি হয়ে থাকলে কিংবা প্রমাণাদি থাকলে প্রতিকার সহজে পাবেন। বিস্তারিত ০১৭৩৩ ৫৯৪ ২৭০
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো আমাদের আইনবিদ মানিয়ে ফেলছেন।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: হা হা, ভাল বলেছেন।
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪
কে ত ন বলেছেন: আপনি যে বিনামূল্যে নসিহত বিতরণ করছেন, আপনার ব্যবসা টিকবে তো?
২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৭
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ! তা তো ভাবিনি!
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি একজনকে কিছু টাকা দিয়েছিলাম
সে একটা কোম্পানীর প্রোডাক্টস ২০% কমিশনে
তা বিক্রি করে। কথা ছিলো আমাকে লাভের অর্ধেক দিবে
কিন্তু সে লাভ তো দূরের কথা আমার আসল দিচ্ছে ২/৩মাস পর পর
৫/৬ হাজার করে। কবে সম্পূর্ণ টাকা তুলতে পারবো জানিনা। করণীয় কি?