নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারি কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন বা মৃত্যু সংক্রান্ত আইনের খুঁটিনাটি তথ্য

১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩০



দেশে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ শিরোনামে একটি আইন রয়েছে যেখানে কেউ ‘সরকারি কর্মকর্তা’ বা ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হলে বা মৃত্যুবরণ করলে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী কেউ নির্যাতনের শিকার হলে আদালতে অভিযোগ করতে পারেন। শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন প্রমাণিত হলে শাস্তি হিসেবে নূন্যতম ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এছাড়া নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড হতে পারে অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উহার অতিরিক্ত দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত/সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি/ব্যক্তিদেরকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করার বিধান রয়েছে।

হেফাজতে নির্যাতন কি?
আইনের বিধান মোতাবেক ‘নির্যাতন’ অর্থ কষ্ট হয় এমন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ছাড়াও ক) কোনো ব্যক্তি বা অপর কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে তথ্য অথবা স্বীকারোক্তি আদায়ে;
(খ) সন্দেহভাজন অথবা অপরাধী কোনো ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদানে;

(গ) কোনো ব্যক্তি অথবা তাহার মাধ্যমে অপর কোন ব্যক্তিকে ভয়ভীতি দেখানো;

(ঘ) বৈষম্যের ভিত্তিতে কারো প্ররোচনা বা উস্কানি, কারো সম্মতিক্রমে অথবা নিজ ক্ষমতাবলে কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা সরকারি ক্ষমতাবলে এইরূপ কর্মসাধনও নির্যাতন হিসাবে গণ্য হইবে।

হেফাজতে মৃত্যু কি?
‘হেফাজতে মৃত্যু’ অর্থ সরকারি কোনো কর্মকর্তার হেফাজতে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু; ইহাছাড়াও হেফাজতে মৃত্যু বলিতে অবৈধ আটকাদেশ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক গ্রেপ্তারকালে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুকেও নির্দেশ করিবে; কোনো মামলায় সাক্ষী হউক বা না হউক জিজ্ঞাসাবাদকালে মৃত্যুও হেফাজতে মৃত্যুর অন্তর্ভুক্ত হইবে।

নির্যাতনের শিকার বা মৃত্যু হলে কোথায় মামলা দায়ের করা যায়?
আইনে হেফাজতে মৃত্যুর বিচার দায়রা জজ আদালতে হওয়ার কথা সুষ্পষ্টভাবে বলা হলেও মামলা কোথায় দায়ের করতে হবে তা সুষ্পষ্ট করা হয় নি। তবে, আইনের ভাষা ও প্রয়োগিক অভিজ্ঞতায় দেখা যায় সরাসরি এখতিয়ারীন দায়রা জজ আদালতেই পিটিশন আকারে মামলাটি দায়ের করতে হয়। আইনের ৪ ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ (Code of Criminal Procedure 1898, Act V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তাহা সত্ত্বেও এই আইনের এখতিয়ারাধীন কোন আদালতের সামনে কোন ব্যক্তি যদি অভিযোগ করে যে, তাহাকে নির্যাতন করা হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত আদালত তাৎক্ষণিকভাবে ঐ ব্যক্তির বিবৃতি লিপিবদ্ধ করিবেন। সাধারণত ফৌজদারি কার্যবিধি মোতাবেক ফৌজদারি অপরাধের বিষয়ে অভিযোগ আনায়ন করতে হয় থানায় বা সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারাধীন ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট। কিন্তু এই আইনে তার ব্যতিক্রম এবং সে জন্যই বলা হয়ে ‘ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তাহা সত্ত্বেও এই আইনের এখতিয়ারাধীন কোন আদালতের সামনে কোন ব্যক্তি যদি অভিযোগ করে…’ তার মানে এই আইনের বিধান মোতাবেক এখতিয়ারাধীন আদালত মানে দায়রা জজ আদালতকেই বুঝানো হয়েছে। তাছাড়া, এই আইনের অধীনে দেশে প্রথম মামলা ঢাকার মিরপুরের ঝুট ব্যবসায়ী মো. জনি হত্যার মামলাটি দায়ের করা হয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এবং বিচারও সম্পন্ন হয় একই আদালতে। পরবর্তীতে নির্যাতনের শিকার আহমেদ কবির কিশোরও মামলা দায়ের করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে।সর্বশেষ, সাবেক এসপি বাবুল আক্তারও এমন একটি মামলা আনায়ন করেন মহানগর দায়রা জজ আদালত, চট্টগ্রামে।

অভিযোগ দায়ের হওয়ার হওয়ার পর আদালতের করণীয় কি?

আদালতের সামনে কোন ব্যক্তি যদি অভিযোগ করে যে, তাহাকে নির্যাতন করা হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত আদালত—

(ক) তাৎক্ষণিকভাবে ঐ ব্যক্তির বিবৃতি লিপিবদ্ধ করিবেন;

(খ) একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক দ্বারা অবিলম্বে তাহার দেহ পরীক্ষার আদেশ দিবেন;

(গ) অভিযোগকারী মহিলা হইলে রেজিস্টার্ড মহিলা চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করিবার ব্যবস্থা করিবেন।

* চিকিৎসক অভিযোগকারী ব্যক্তির দেহের জখম ও নির্যাতনের চিহ্ন এবং নির্যাতনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখপূর্বক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উহার একটি রিপোর্ট তৈরী করিবেন।

*সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক প্রস্তুতকৃত রিপোর্টের একটি কপি অভিযোগকারী অথবা তাহার মনোনীত ব্যক্তিকে এবং আদালতে পেশ করিবেন।

* চিকিৎসক যদি এমন পরামর্শ দেন যে পরীক্ষাকৃত ব্যক্তির চিকিৎসা প্রয়োজন তাহা হইলে আদালত ঐ ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করিবার নির্দেশ প্রদান করিবেন।

আদালত মামলা দায়েরের জন্য কাকে নির্দেশ প্রদান করতে পারেন?

আদালতের সামনে কোন ব্যক্তি যদি অভিযোগ করে যে, তাহাকে নির্যাতন করা হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত আদালত তাৎক্ষণিকভাবে ঐ ব্যক্তির বিবৃতি লিপিবদ্ধ করিবেন এবং বিবৃতি লিপিবদ্ধ করিবার পর আদালত অনতিবিলম্বে বিবৃতির একটি কপি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে বা ক্ষেত্রমত, তদূর্ধ্ব কোন পুলিশ কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করিবেন এবং একটি মামলা দায়েরের নির্দেশ প্রদান করিবেন। পুলিশ সুপার উক্ত আদেশ প্রাপ্তির পর পরই ঘটনা তদন্ত করিয়া চার্জ বা চার্জবিহীন রিপোর্ট পেশ করিবেনঃ

অভিযোগ কে করতে পারেন?

নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি কিংবা ঘটনা সম্পর্কে অবহিত এমন কোন তৃতীয় ব্যক্তিও অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। মৃত্যুর ক্ষেত্রেও যিনি ঘটনা জানেন তিনি মামলা দায়ের করতে পারবেন।

মামলার তদন্ত পুলিশের উপর অর্পিত হলে অভিযোগকারীর আস্থা না থাকলে করণীয় কি?

সংশ্লিষ্ট সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি মনে করেন যে পুলিশ দ্বারা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি যদি আদালতে আবেদন করেন এবং আদালতে যদি তাহার আবেদনে এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদন যথার্থ সেক্ষেত্রে আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

তদন্ত শেষ করার সময়সীমা কতদিন?
আইনের অধীনে কোন অপরাধের তদন্ত প্রথম অভিযোগ লিপিবদ্ধ করিবার তারিখ হইতে পরবর্তী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে এবং এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তদন্ত কার্য সম্পন্ন করা সম্ভব না হইলে, তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে আদালতে উপস্থিত হইয়া বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করিবেন। আদালত ক্ষতিগ্রস্ত/সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি/ব্যক্তিদের শুনানী গ্রহণ করিয়া ৩০ দিনের মধ্যে সময় বৃদ্ধির বিষয়টি নিষ্পত্তি করিবেন।

অভিযোগকারী বা মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিধান কি?

আইনের ১১ ধারার বিধান মোতাবেক অভিযোগকারী কোনো ব্যক্তি এই আইনে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বিধানকল্পে দায়রা জজ আদালতে পিটিশন দায়ের করিতে পারিবে। পিটিশন গ্রহণ করিয়া আদালত বিবাদীকে সাত দিনের নোটিশ জারি করিবে এবং ১৪ দিনের মধ্যেই পিটিশনের ওপর একটি আদেশ প্রদান করিবে।

নিরাপত্তার জন্য বিবাদীকে অন্তরীণ রাখার বিধানঃ

এ ধরনের কোনো মামলা নিষ্পত্তিকালে আদালত প্রয়োজনবোধে ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন সাত দিনের অন্তরীণ আদেশ দিতে পারিবে এবং সময়ে সময়ে উহা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।

এই আইনে কি কি শাস্তির বিধান রয়েছে?

এই আইনে তিন ধরনের শাস্তি রয়েছেঃ

প্রথমত নির্যাতনের দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি অন্যূন পাঁচ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অন্যূন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উহার অতিরিক্ত পঁচিশ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত/সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি/ব্যক্তিদেরকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন।

দ্বিতীয়ত নির্যাতনের ফলে মৃত্যুর দোষী সাব্যস্ত হইলে, অন্যূন যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উহার অতিরিক্ত দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত/সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি/ব্যক্তিদেরকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন।

তৃতীয়ত নির্যাতনের অপরাধ করার উদ্যোগী হলে বা সংঘটনে সহায়তা ও প্ররোচিত করলে বা সংঘটনে ষড়যন্ত্র করলে তিনি অন্যূন দুই বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অন্যূন বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

অপরাধের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল কোথায় হবে?

আইনের অধীনে অপরাধের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করতে হবে।
রায়ে বা আদেশে সন্তুষ্ট না হলে ক্ষতিগ্রস্ত/সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি/ব্যক্তিরাও আপীল অথবা রিভিউর জন্য হাইকোর্টে যেহত পারবেন।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সরকারি কর্তৃপক্ষের আদেশে করা হইয়াছে এইরূপ অজুহাত গ্রহণযোগ্য হইবে?

না, এমন অযুহাত গ্রহণযোগ্য হইবে না। আইনের ১২ ধারার বিধান মোতাবেক এই আইনের অধীনে কৃত কোন অপরাধ যুদ্ধাবস্থা, যুদ্ধের হুমকি, আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অথবা জরুরি অবস্থায়; অথবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সরকারি কর্তৃপক্ষের আদেশে করা হইয়াছে এইরূপ অজুহাত অগ্রহণযোগ্য হইবে।

বিচার কতদিনের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে?

মামলা দায়েরের ১৮০ দিনের মধ্যে বিচারকার্য নিষ্পন্ন করিতে হইবে। যুক্তিসঙ্গত কারণে এই সময়সীমার মধ্যে মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করা সম্ভব না হইলে, আদালত পরবর্তী ৩০ দিন সময় বাড়াতে পারবে।

মামলার প্রমাণের ভার কার উপর বর্তাবে?

কোন সরকারি কর্মকর্তা অথবা তাহার পক্ষে কর্তব্যরত কোন ব্যক্তির গাফিলতি বা অসতর্কতার কারণে অভিযোগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হইলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করিতে হইবে যে, তাহার বা তাহার পক্ষে কর্তব্যরত ব্যক্তির গাফিলতি বা অসতর্কতার কারণে ঐ ক্ষতি হয় নাই।
অর্থাৎ যিনি ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারী তাকে মামলা প্রমাণ করতে হবে না৷ তিনি অভিযোগ করার পর অভিযুক্তদেরই প্রমাণ করতে হবে তারা অপরাধী নন৷ প্রমাণে ব্যর্থ হলে তারা দোষী সাব্যস্ত হবেন

কেন এই আইনের করতে হলো?

আইনটির শুরুতেই বলা হয়েছে, নিউ ইয়র্কে ১৯৮৪ সালের ১০ ডিসেম্বর নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক, লাঞ্ছনাকর ব্যবহার অথবা দণ্ডবিরোধী একটি সনদ স্বাক্ষর হয়েছে৷ বাংলাদেশও ওই সনদের অংশীদার৷ তাই আইনটি করা হয়েছে।
আরো বলা হয়েছে, ‘‘যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদ নির্যাতন এবং নিষ্ঠুর, অমানবিক, লাঞ্ছনাকর ব্যবহার ও দণ্ড মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে এবং যেহেতু জাতিসংঘ সনদের ২(১) ও ৪ অনুচ্ছেদ নির্যাতন, নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর ব্যবহার ও দণ্ড অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করে নিজ নিজ দেশে আইন প্রণয়নের দাবি করে৷’’

এই আইনে কোন বিচার বা সাজা হয়েছে?

হ্যাঁ। দেশে এই আইনে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি মামলার বিচারের উদাহরণ আছে৷ মামলাও হয়েছে অনেক কম৷ ২০১৩ সালে আইনটি পাশ হওয়ার পর ২০১৪ সালে মিরপুরের পল্লবী এলাকায় জনি নামে এক ব্যক্তি পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে মারা যান৷ তার পরিবার এই আইনে মামলা দায়ের করেন৷ ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আদালত পল্লবী থানার তখনকার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, এসআই রশিদুল ইসলাম এবং এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টুসহ এই তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং তাদের দুইজন সোর্সকে দেয়া হয় সাত বছরের কারাদণ্ড৷

- আইনজীবী মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
[email protected]



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১৫

জুন বলেছেন: আপনি কি ইমিগ্রেশন ল ইয়ার? আমেরিকা বা কানাডায় কোন সাহায্য করতে পারবেন কি?

২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:০২

এম টি উল্লাহ বলেছেন: না। আমি ইমিগ্রেশন নিয়ে কাজ করি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.