![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে!
জোগলু: জানেন যতিন ভাই, যুদ্ধ শেষে ২৭০০ কোটি টাকার অস্ত্র-সরঞ্জাম লুট করেছিলো ভারতীয় সেনাবাহিনী? ( অমৃতবাজার দৈনিক-১২ মে ১৯৭৪) যতিন- আরে কী বলিস, ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে। :
৭৪ সালের চুক্তি সত্বেও ভারত তিন বিঘা করিডোর হস্তান্তর করেনি বাংলাদেশকে ! – ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে। :
ভাই ৭৫ থেকে বাংলাদেশকে পানির নায্য হিস্যা দেয়নি। পদ্মা শুকিয়ে আজ বাথরুমের টাংকি ! বছরে ২০০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন বন্ধ ! – ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে। :
ভাই খড়া মৌসুমে তারা বাধ দিয়ে পানি আটকে রাখে, আর ভরা মৌসুমে বাধ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ভাসিয়ে দেয়! – ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে! :
সুল্ক জটিলতা সৃষ্টিকরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার বানিজ্য ঘাটতি তৈরী করেছে ! – ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে। :
প্রতিবাদের পরেও টিপাইমুখে বাধ দিচ্ছে – সিলেটের ৪ জেলা মরুভূমি হয়ে যাবে ! – ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে। :
হিন্দি চ্যানেল প্রচার করতে ৩০০০থেকে ৪৫০০ কোটি টাকা ভারতকে দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশী চ্যানেল ভারতে নট অ্যালাউড! – ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে। :
ভাই -গত ৪৪ বছরে ৬১হাজার বাঙ্গালীকে সীমান্তে হত্যা করেছে !! – ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে। :
আমাদের বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন! সেই সুন্দর বনকে ধ্বংসের জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছে! – ভারত আমাদের বন্ধু, মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে! :
আপনার গর্বের জায়গা ‘ক্রিকেট’ নিয়েও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, কেমন ছোটলোক !? – ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে। :
আশ্চর্য ভাই, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ, মাথারউপর দাদাগিরি সহ নানাভাবে বাংলাদেশ আজ ধর্ষিত ভারতের কাছে ! – ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে। :
এই যে আমাদের গর্বের সেনাবাহিনী, তাদেরকে নিয়েও তারা কত ষড়যন্ত্র করছে, বিডিআর বিদ্রোহ থেকে আরো কত কী! – ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে! :
ভারত ৪২ বছর ধরে স্বাধীনতায় সহযোগিতার নামে বাংলাদেশ শোষণ করছে ! – তবুও..তোরে আর কয়বার বলব, ভারত আমাদের বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে। :
এই তো কয়দিন আগে বাংলাদেশী জার্নালিস্টদের বলেছে ”বাংলাদেশী পাসপোর্ট? নট এলাউড, কিউ কি আপ বাংলাদেশকা সিটিজেন হ্যায় ! একরকম গলা ধাক্কাদিয়ে হোটেল থেকে বের করে দিয়েছে আপনার বন্ধুরা! – ব্যাটা তুই তো দেখি রাজাকার ! পাকিস্তান চলে যা।
জোগলু পাকিস্তান যাওয়ার আগে, কোমায় চলে গেছে!
২| ২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারত আমাদের প্রতিবেশী, ভালো প্রতিবেশী নয়; বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের সম্পর্কও ভালো নয়; ভারত ক্রমেই বিশ্বের দরবারে নিজকে প্রতিস্ঠা করার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে; বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ সমস্যায় ক্রমেই জর্জরিত হচ্ছে; আপনি ও কয়েক কোটী মানুষ নিজেদের সঠিভাবে বুঝতে না পেরে অন্যকে দোষারোপ করে যাচ্ছে।
২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯
আশরাফুল করিম খান বলেছেন: ভারতের সাথে তার কোন প্রতিবেশীর সম্পর্ক ভাল? এবং কেনো নয়?
৩| ২৩ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০
শান্ত মজুমদার বলেছেন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে অনেকেই বলে থাকেন ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা না থাকলে ইতিহাস অন্যরকম হতে
পারত। আবার অনেকেই বলে থাকেন ভারত তার স্বার্থের জন্যই বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছিল। কিন্তু উদ্দেশ্য যাই হোক না
কেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে প্রচুর সাহায্য করেছে— এটি অস্বীকারের উপায় নেই। বাংলাদেশের মানুষকে
মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের দেশে আশ্রয় দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধে সেনা সহায়তা দেওয়াসহ সব ধরনের
প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদ দিয়েছিল ভারত। ভারতের সামরিক বাহিনীর সহায়তায় তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানের
সেনাবাহিনী স্পষ্টভাবে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। আর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের পরই বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে
আত্মপ্রকাশ করে। তবে ভারত রাজনীতিক, ভৌগোলিক ও মতাদর্শগত কারণেই মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহায়তা করে। ভুটানের পর
দ্বিতীয় বিদেশি রাষ্ট্র হিসেবে ভারত বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে। উপমহাদেশের অন্যতম পরাশক্তি ভারতের এই
স্বীকৃতি বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছিল। তবে পূর্ণ বিজয় অর্জনের ১০ দিন আগেই ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর
ভারতই প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল বাংলাদেশকে। ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ওই দিন একটি চিঠি দিয়েছিলেন মুজিবনগরে
বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে। চিঠিতে ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ভারত সরকারের
সিদ্ধান্তের কথা জানান এবং ভারতের পার্লামেন্টে ওই দিন সকালে এ বিষয়ে তার বিবৃতির কথাও উল্লেখ করেন। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি
দিয়ে লেখা ইন্দিরা গান্ধীর সেই চিঠি স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষের দিনগুলোয় মুজিবনগর সরকারকে তাত্পর্যপূর্ণ প্রেরণা জুগিয়েছিল।
এর বাইরেও ভারতের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দান বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের ছিল। মার্চ শেষ থেকে এপ্রিলের শেষদিক
পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামরিক ব্যক্তিকে আশ্রয়দানের সুযোগ দেয়। কলকাতায় একটি প্রবাসী সরকার গঠনের
ব্যবস্থা করে। এছাড়া পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার জন্য স্বল্প পরিমাণে সামরিক সহায়তা দিতে থাকে এবং মুক্তিযুদ্ধের অনুকূলে আন্তর্জাতিক
সমর্থন পাওয়ার জন্য ভারত কূটনীতিক প্রচারণা অব্যাহত রাখে।
মে মাসের শুরু থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত এ সময়ে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি শরণার্থী ভারতে প্রবেশ করে। যার কারণে
ভারতীয় সরকার পূর্ববাংলার মুক্তি আন্দোলন নিয়ে ব্যাপকভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এ সময় ভারত পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের
জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে সমর্থন দিতে থাকে। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এ সময়ে ভারত পূর্ববাংলার সমস্যার প্রত্যাশিত
সমাধানের জন্য কূটনীতিক ও সামরিক প্রচেষ্টা জোরদার করে। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি দল
পূর্ববাংলায় মোতায়েন করা হয়। ভারত কর্তৃক প্রেরিত তিনটি সৈন্যবহরের দুটি ছিল সপ্তম পদাতিক একটি ছিল নবম পদাতিক যাদের ভারত
পূর্ববাংলার সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করে। এ সময় ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সব ধরনের সমর্থনদানে সোভিয়েত ইউনিয়নের
কাছ থেকে কার্যকর কূটনীতিক ও নৈতিক সমর্থন পায়। ৩ থেকে ১৬ ডিসেম্বর এ সময় ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ
করে। ফলশ্রুতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
লিংক- Click This Link
৪| ২৩ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৭
Taufik Alahi বলেছেন: যুদ্ধে ভারত একটি আরতদারি ব্যবসা করেছেন মাত্র। আমার দেশের মানুষ জিবন দিলো আর আমি কেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা দেখাবো?
২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩
আশরাফুল করিম খান বলেছেন: ভাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মানুষকে মহৎ করে। কিন্তু কৃতজ্ঞতার সুযোগ যারা নেয় তাদেরকে আমি ঘৃণা করি।
৫| ২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১২
দরজার ওপাশে আমি বলেছেন: উপরের অধিকাংশ সমস্যা সমাধানযোগ্য, ব্যাপারটা ভাল করে খেয়াল করে দেখেন। আমার মনে হয় , আমাদের দেশের মানুষ অথবা রাজনীতিবিদদের একটা বিশাল গ্যাপ সৃষ্টির ফলে আজ এই অবস্থা। আমরা এই জাতি ঘৃনা করতে শিখেছি , ঘৃনার পাত্র হতে পেরেছি কিন্তু জিদ করে সেই ঘৃনাকে নির্মূল করতে এখনো শিখিনি। আমি আশাবাদী , আমরা পারব । ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

শ..শশ..শশশশশশশ নো কমেন্ট......... কিউ কি- – ভারত আমাদের বন্ধু, মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে! :