![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের চিলেকোঠার সেপাইয়ের নাদু পারমানিকের কথা মনে আছে? নাদু পারমানিকের কর্তার নাম যদ্দুর সম্ভব খয়বার গাজী। খয়বার গাজী ছিলেন জোঁকের মতো। গ্রামের ক্ষেতমজুর বর্গাচাষীদের শাসন শোষণ করে নিঃস্ব করেছিলেন। বহু কৃষককে হত্যা করেছিলেন। নাদু পারমানিকের ছেলেকেও হত্যাচেষ্টা করেছিলো খয়বার গাজী। পরে যখন খয়বার গাজী ধরা খেলেন, গণ আদালতে যখন তার মৃত্যুদন্ড ঘোষণা হলো তখন সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছিলো নাদু পারমানিক। তার কান্না থামছিলোই না। কারণ নাদু পারমানিকরা কয়ক পুরুষ থেকে খয়বার গাজীর ভৃত্যের কাজ করে আসছিলো। তাই নাদু পারমানিকের ধারণা খয়বার গাজীইতো তাদের পেটে অন্ন যোগায়। কাজেই খয়বার গাজীর মৃত্যুর ঘোষণাকে সে কিছুতেই মেনে নিতে পারে না।
আমরা গোটা জাতি নাদু পারমানিকের মতো। শত শত বছরের শাসনের শৃঙ্খলে থাকতে থাকতে আমরা এটিকেই নিয়তি বলে মেনে নিয়েছি। আধুনিকতার জন্য আমাদের শাসক দলগুলোর ভৃত্য বললে আমরা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠি। কারণ আমরাতো নাদু পারমানিকের মতো অশিক্ষিত না। তাই আমরা ফেসবুক ব্লগে খালেদার বাড়ি হারানোর শোকে উদাস হয়ে যাই কবিতা লিখি, রুচিসম্পন্ন বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে কলাম লিখি, স্ট্যাটাস দেই। আবার নিজেদের মা বছরকে বছর চুলার পাশে জীবন কাটিয়ে দিলেও আমরা চুলার পাশের হাসিনার মাঝে অন্যরকম মাহাত্ম্য খুঁজে পাই।
আমরা সবাই নাদু পারমানিক। কিন্তু কেউ চেংটু হতে চাই না। কারণ চেংটু নাদু পারমানিকের ছেলে হলেও খয়বার গাজীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চায়। চেংটুরা আমাদের কাছে বিরাট ঔদ্ধত্যের উদাহরণ। বেয়াদব। তাই বরং চেংটুদের গালি পেরে খয়বার গাজীর বিশ্বস্ত হতে চাই।
©somewhere in net ltd.