নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গাদ্দার

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, যুক্তি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

গাদ্দার

গাদ্দার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ত্রাসী হামলার ভয় আমেরিকান দূতাবাসেরঃ কি বার্তা দিতে চায় আমেরিকা?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৩৭

সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় বেশ কটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশে আমেরিকা তার দূতাবাস বন্ধ রাখবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত। খবরটি দেখেই হাসি পেলো। কারণ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র আমেরিকা হঠাৎ সন্ত্রাসী হামলার ভয়ের এ নাটক কেনো করছে। এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেইতো? ২০০১ সালের ৯/১১ এর পর সামরিক শক্তির সমাবেশে আমেরিকা দুনিয়াব্যাপী ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। তেল সম্পদ সহ আর্থিকভাবে আমেরিকা হয়েছে প্রচুর লাভবান। টুইন টাওয়ার হামলা না হলে এসব সম্ভবপর ছিলো কিনা সন্দেহ। তাই অনেকেই বলেন, টুইন টাওয়ার হামলাও আমেরিকার সাজনো নাটক ছাড়া কিছুই না!



এমনকি আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী সংগঠন ও স্বাধীনতা বিরোধী ফ্যাসিস্ট সাম্প্রদায়িক শক্তি জামাতে ইসলামের প্রতি আমেরিকার রয়েছে ব্যাপক সমর্থন। এ দলটিকে আমেরিকা মডারেট ইসলামিক পার্টি হিসেবে অভিহিত করে থাকে। সন্ত্রাসী সংগঠন জামাতের সাথে অবশ্য আমেরিকার এ মিত্রতা নতুন কিছু নয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও জামাত আমেরিকার সর্বৈব সমর্থন পেয়েছিলো। এবং এরপর থেকে আজ অব্ধি জামাত সে সহযোগিতা পেয়ে আসছে। আসুন পৃথিবী জুড়ে আমেরিকার কর্তৃক ও তার পরোক্ষ সহযোগিতায় যে ধরনের গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তার কিছু নমুনা দেখিঃ



ঘটনা একঃ

১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট সকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর লিটল বয় নামের নিউক্লীয় বোমা ফেলে এবং এর তিন দিন পর ৯ই আগস্ট নাগাসাকি শহরের ওপর ফ্যাট ম্যান নামের আরেকটি নিউক্লীয় বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। জাপানের আসাহি শিমবুন-এর করা হিসাব অনুযায়ী বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগসমূহের ওপর হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য গণনায় ধরে হিরোশিমায় ২ লক্ষ ৩৭ হাজার এবং নাগাসাকিতে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার লোকের মৃত্যু ঘটে।



ঘটনা দুইঃ

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনী ও এদেশের রাজাকার আলবদররা মিলে তিরিশ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে, সম্ভ্রম হানি করে দু'লক্ষ মা বোনের। পাকিস্তানী বাহিনী ও রাজকারদের পক্ষে অবস্থান নেয় আমেরিকা। পাকিস্তানের পক্ষে সপ্তম নৌবহর পাঠাতে চাইলে সোভিয়েত রাশিয়ার হুমকিতে পরে নৌবহর প্রত্যাহার করে।



ঘটনা তিনঃ

১৯৬০-এর দশকের শুরুতে ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ ভিয়েতনামি সরকারের পতন রোধকল্পে সেখানে সৈন্য পাঠায়, কিন্তু এর ফলে যে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের সূত্রপাত হয়, তাতে শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জয়ী হতে পারেনি। ১৯৭৫ সালে কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে দুই ভিয়েতনাম একত্রিত হয়। ১৯৭৬ সালে এটি সরকারীভাবে ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র নাম ধারণ করে। এই যুদ্ধে প্রায় ৩২ লক্ষ ভিয়েতনামি মারা যান। এর সাথে আরও প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ লাও ও ক্যাম্বোডীয় জাতির লোক মারা যান।



ঘটনা চারঃ

ইরাকে জীবানু অস্ত্র আছে এ অজুহাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালায়। যদিও মূলত তেল সম্পদের উপর একক আধিপত্য কায়েমের জন্যই এ হামলা চালায় আমেরিকা। ক্ষমতাচ্যুত করে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে। ক্ষমতায় বসায় মার্কিনীদের পুতুল সরকারকে। ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পূর্বে প্রায় ৭ লক্ষ সাধারণ ইরাকীকে হত্যা করে মার্কিন সেনাবাহিনী।



ঘটনা পাঁচঃ

আফগানিস্তানে লাদেন রয়েছে এ অজুহাতে ৯/১১ এর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা করে। সেখানে হামিদ কারজাইকে প্রেসিডেন্ট করে আমেরিকার নিয়ন্ত্রিত একটি পুতুল সরকার গঠন করে। এখনো সেখানে মার্কিনী সৈন্য উপস্থিত। ২০০১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ মারা গিয়েছেন। যদিও পরবর্তীতে লাদেনকে মার্কিন সেনারা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হত্যা করে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তবু আজও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়নি।



ঘটনা ছয়ঃ

১৯৪৮ সাল হতে আজ অব্ধি জায়নবাদি ইসরায়েল কর্তৃক প্রায় ১৫ লক্ষ ফিলিস্তিনী নাগরিককে হত্যা করা হয়। ৫০-৬০ লক্ষ ফিলিস্তিনী নাগরিক উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছেন। আর এসব হত্যাকান্ড ও অপরাধ সংঘটনে ইসরায়েল প্রতিনিয়ত আমেরিকার সামরিক ও সকল ধরনের সুবিধা ও সমর্থন পাচ্ছে।



এছাড়াও,

* মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের চক্ষুশূল হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সহযোগিতা করে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার ব্যবস্থা করে।



* লাতিন আমেরিকার ইতিহাসে চিলির প্রথম সমাজবাদী, মার্কসবাদী প্রেসিডেন্ট সালভেদর আলেন্দে, যিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত তাকে সামরিক একনায়ক পিনোচেট হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডে আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পিনোচেটকে সহযোগিতা করে।



* আরব জাতীয়তাবাদের নেতা গালাল আব্দেল নাসেরকে হত্যায় আনোয়ার সাদাতকে সহায়তয়া করে সিআইএ।



* লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফিকে হত্যায় বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করে আমেরিকা।



* কিউবার অবিসংবাদিত নেতা, আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের দুশমন, বিশ্বের শোষিত মানুষের মুক্তির নিশানা, জীবন্ত কিংবদন্তি নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রোকে কয়েক শতবার হত্যা চেষ্টা চালায় আমেরিকা।



পৃথিবীর দেশে দেশে আরো কত কত হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বা তাতে মদদ দিয়েছে আমেরিকা তার হিসেব করা খুবই কঠিন।

তাই আমেরিকা যখন নিজে সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্ত হবার নাটক সাজায় বা ভয় পাবার অভিনয় করে তখন বুঝতে বাকী থাকে না যে, তার অন্তর্নিহিত অন্য কোনো তাতপর্য আছে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০২

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: ভাই আমি নিজেও ডরে আছি। ওরা যখন এমন অ্যালার্ট দিছে তখন কি জানি কি হয় বুঝতে পারতেছিনা। আমি শিওর এয়ারলাইন্সগুলার প্যাসেন্জার কইমা গেছে

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

গাদ্দার বলেছেন: এয়ারলাইন্সের প্যাসেঞ্জার কমার খুব একটা এফেক্ট নাই এ মূহূর্তে। এর সাথে আরো কিছু নাটক যুক্ত করে কোনো দেশ আক্রমনের পায়তারা করছে কিনা কে জানে?

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭

রামন বলেছেন:
সবচেয়ে জঘন্য বিষয় হচ্ছে এরা মুখে গণতন্ত্র ও মানবতার কথা বলে বেড়ালেও স্বার্থের জন্য যে কোনো দেশের নির্বাচিত সরকারকে সমূলে উৎপাটন ও হত্যা করতে দ্বিধাগ্রস্থ হয় না।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে এরা নমরুদ, ফেরাউন ও অত্যাচারী রোমানদের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী ; একমাত্র নিজেদের ধ্বংস নিজেরা না নিয়ে আসলে কেউ এদের থামাতে পারবে না।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

গাদ্দার বলেছেন: আমাদের নিজেদের স্বার্থেই এদের ঠেকাতে হবে।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

এস.আর.এফ খাঁন বলেছেন: হুম!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

গাদ্দার বলেছেন: :)

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: আমেরিকারে থামানির একটাই পথ। এশিয়ান ইউনিয়ন। আজও জাপানে সৈন্য বসিয়ে রাখছে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

গাদ্দার বলেছেন: হ্যাঁ। আঞ্চলিক জোট শক্তিশালী হলে এদের দমানো সহজ হবে।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১০

খইকাঁটা বলেছেন:
আমরা করলে বিপ্লব, ওরা করলে সন্ত্রাস।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

গাদ্দার বলেছেন: কি রকম?

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

জহির উদদীন বলেছেন: ঠেলার নাম বাবাজী....বিশ্ব মোড়ল গর্তে লুকায়ছে......।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

গাদ্দার বলেছেন: আমার কাছে এইটা পুরাই নাটক মনে হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.