![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় জাফর স্যার, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে মন প্রাণ দিয়ে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন যে কয়জন শিক্ষাবিদ, লেখক তাদের লিস্ট করলে আমার ধারণা আপনি একদম প্রথম দিকে থাকবেন। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধকে ভালোবাসতে অবিরাম লেখালেখি করে চলেছেন আপনি। এ মহৎ কাজটি বাংলাদেশের অনেক বড় বড় শিশু সংগঠনের চাইতেও আপনি ব্যক্তি হিসেবে বেশি করেছেন বলে আমার মনে হয়।
আপনার 'মিথ্যে বলার অধিকার' কলামটি পড়ে মনে হয়েছে বাংলাদেশে বর্তমানে বিএনপি-হেফাজত-জামাতের ডাহা মিথ্যাচারের রাজনীতিতে আপনি আমাদের মতো যারপরনাই ক্ষুব্ধ এবং ক্রুদ্ধ। জানি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সুদূর পরাহত হচ্ছে এসব মিথ্যের বেসাতিতে। আপনি হয়তো প্রতিনিয়ত অস্থির হচ্ছেন এ দুঃস্বপ্ন কখন কাটবে সে প্রতিক্ষায়। এসবই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনার নির্মল আবেগের স্বচ্ছ প্রতিফলন। যারা মিথ্যাচারের রাজনীতি করছে তারা চাইছে এ আবেগ ও স্বপ্নভঙ্গের বেদনার বশবর্তী হয়ে তীব্র প্রতিশোধ স্পৃহায় আমরা যেনো ক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে কিছু ভুল করি। আর তাহলে তো তাদের বেজায় সুবিধা হয়। তারা ক্ষমতায় যেদিন অধিষ্ঠিত হতে পারবে আমাদের সে ছোট্ট ভুলের অজুহাতে অজস্র তীব্র জঘন্য কুৎসিত সব ভুলে ভুলে তারা এ দেশ জাতিকে পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে পারে। নিতে পারে মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের স্বাদ। হ্যাঁ, ভুলের মাসুল আমাদেরই শোধ করতে হবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।
যে দুনিয়াভরা মিথ্যের পসরা সাজিয়েছিলো আমার দেশ, কাবা শরীফের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার, ধর্ম নিয়ে মিথ্যাচার, শাহবাগ নিয়ে মিথ্যাচার, যেগুলো মিথ্যাচারের সকল সীমা পরিসীমাকেও হার মানিয়েছে সে পত্রিকার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যারা মতিঝিলে হাজার হাজার হত্যার গুজব ছড়িয়েছে, যারা সাঈদীকে চাঁদে দেখিয়ে সহজ সরল মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে, যারা শত শত কোরআন শরীফ পুড়িয়েছে তাদের ইহকালেই বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। দিতে হবে সর্বোচ্চ শাস্তি। এবং শাস্তি দেবার ধীরগতি আমাদের আশঙ্কিত করে।
কিন্তু স্যার, শাস্তি দেবার এ প্রক্রিয়ায় যে কোনো ভুল আমাদের নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার সামিল। আমার মনে হয় সে জায়গাতেই এ সরকার ভুল করছে। যে প্রক্রিয়ায়, যে মহাসমারোহে এদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সেটিকে কি আরো ত্রুটিমুক্ত রাখা যেতো না?
আমি স্যার আপনার সামনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আলাপ হাজির করতে চাই। হেফাজত, শাহবাগ, মতিঝিল নিয়ে যে প্রচন্ড মিথ্যাচার চলছে সেটি যেমন সত্য আবার এসব মিথ্যে বিশ্বাস করার লোকেরও কিন্তু অভাব নেই। কাজেই এ জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মানের প্রচন্ড ঘাটতি কিন্তু এখন স্পষ্ট। এ দূর্বলতার পুরো রাজনৈক সুবিধা নিচ্ছে বিএনপি-জামাত-হেফাজত। কাজেই এ জনগোষ্ঠীকে মুক্তিযুদ্ধের আলোকে শিক্ষিত করার কোনো বিকল্প নাই। দুটি ভাগে এ কাজ করতে হবে বলে আমি মনে করি, একটি রাজনৈতিক প্রচারাভিযান। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো গ্রামে হাটে গঞ্জে ছোটো ছোটো পথসভা, হাটসভার মাধ্যমে সকল মিথ্যাচারের জবাব দিতে হবে। এ কাজে আওয়ামীলীগের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি হতে পারতো ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ এর অঙ্গসংগঠনগুলো। কিন্তু এরা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে অন্তর্কলহ, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। তবে গণজাগরণ মঞ্চকে বিভাগীয় শহরগুলোর বাইরে ছড়িয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে এটি আরো কার্যকরভাবে করা যেতো। অথচ সরকার একটা নির্দিষ্ট সময় পর গণজাগরন মঞ্চকে বন্ধ করার প্রচেষ্টা চালায়। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীসভার বৈঠকে নিজ মুখে বলে বসলেন, গণজাগরণ মঞ্চের বক্তব্য ঔদ্ধত্বপূর্ণ। কাজেই হাটে, মাঠে ছড়িয়ে দেবার কাজটি আওয়ামীলীগ নিজেও করলো না এমনকি গণজাগরণ মঞ্চকেও করতে দিলো না। আরেকটি উপায় হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করা। ইতিমধ্যে প্রাথমিকে ছাত্র ভর্তির হার বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। এটি একটি বড় অর্জন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ধরে রাখা যাচ্ছে না। শিক্ষা কাঠামোটি বিজ্ঞানসম্মত নয়। বাংলাদেশের যদি এ মূহূর্তে সবচেয়ে বড় কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলো প্রতি ৩ জন ছাত্রের ১ জন কওমী মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। কওমী মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়া নয় বরং এ মাদ্রাসাগুলো বিজ্ঞানের প্রতি উদাসীন ও বিরক্ত একটি বিশাল ছাত্র সমাজ তৈরী করছে। শিক্ষা ব্যবস্থার এ সংস্কার সাধন অবশ্যই হুট করে কোরে ফেলা সম্ভব হবে না। তবে সরকারের সদিচ্ছার ঘাটতি স্পষ্ট হয় যখন দেখা যায় এর জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দের বদলে কোনো কোনো সময় বরাদ্দ উল্টো কমানো হয়। এবং বাজেটে শিক্ষা বরাদ্দ না বাড়ানোয় শিক্ষামন্ত্রীও বিভিন্ন সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রিয় জাফর স্যার, এসকল মৌলিক কাজে সরকারের যখন কোনো আগ্রহই নাই তখন মাহমুদুর রহমান, আদিলুর রহমানদের গ্রেপ্তারে আমরা খুব একটা খুশি হতে পারি না। এবং গ্রেপ্তার প্রক্রিয়ার ছোটো খাটো ত্রুটি আমাদের বিরক্ত করছে।
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
রাজীব দে সরকার বলেছেন: চোরাবালির কমেন্ট পড়ে হাসতে হাসতে পেট ফেটে গেলো!
তবে যাই হোক, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ফালতু কথা বলায়
আপনাকে তিরষ্কার
আমার দেশ পত্রিকায় লিখুন, কামাই ভালো হবে
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
চোরাবালি- বলেছেন: রাজীব দে সরকার@ মুক্তিযুদ্ধকে ফালতু করে তুলছে আমাদের দেশের কিছু মিথ্যেবাদী সুবিধাভোগীরা।
৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
রাজীব দে সরকার বলেছেন: দুঃখিত চোরাবালি মহাশয়
মুক্তিযুদ্ধকে ফালতু করে তুলছে তোমার মতো বহুরুপী কিছু মানুষ
হেফাজতী জানোয়ার গুলো যাদের কাছে মহাপুরুষ
তাদের মুখে এ কথা জানতেও চাই না
দূরে থাকো
৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩০
মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: চোরাবালি- সহমত
সত্য অনেকের কাছে তিতা লাগে..
নিজরা না পের জনগনকে বোকা ভাবে...এখন আসছে জনগনকে শিক্ষা দিতে..
হরতাল দিলে বাসায় কি হত্যা করা হবে ..এধরনের মন্তব্য দিব আর জনগন কে মুক্তিযোদ্ধ শিক্ষাতে আসবে..
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
চোরাবালি- বলেছেন: বুদ্ধিজীবি টাইপের লেখায় প্রচন্ড হাসির খোরাক আছে যারা নিয়মিত রাজনীতির হালচালের খোজ রাখেন।
আওয়ামী লীগের একটি শীর্ষস্থানীয় নেতা নিজের এলাকায় একটি সভা করার সময় গাড়ি পোড়ানো সহ ইটপাটকেল মারার মত ঘটনাও ঘটে। এবার বোঝেন শীর্ষস্থানীয় নেতাদের যদি এই অবস্থা হয় তা হলে তাদের পাতি নেতাদের কিখবর। আর এই সব কিন্তু পাতি নেতাদের সাধারণ জনগনের উপর অত্যাচারের ফসল। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নে আপনি কারো পেটে ভাত দিতে পারবে না, পারবেন না কোন এতিম কে লালন করতে এমনকি পারবেন না কারো মন থেকে অত্যাচারের দাগ তুলে দিতে।
হেফাজত সহ ইসলামিক দলগুলোর বড় শক্তি কোথায় জানেন ??? খোজ নেয়ার প্রয়োজন নেই আপনাদের বা ততদূর জ্ঞান শক্তি আছে কিনা জানি না।
হেফাজত সহ ইসলামি মনোভাপন্ন লোকগুলি প্রতিবছর দেশের হাজার হাজার এতিম শিশুকে লালন পালন করছে আপনাদের দরবারে হাত পেতে। তাদের দায় এখানেই যে আপনারা যেখানে বস্তিতে ৩টাকার কাপড় দান করতে গিয়ে ৩০টাকার ফটোশেসন করেন আর অন্যান্য সময় নিজেদের অবৈধ কাজে ব্যবহার করেন আর এর বিপরীতে তারা শিক্ষিত করে তুলছে। আপনি এবার বলবেন আরে ৩টাকার আরবী মৌলবাদি শিক্ষা। অন্যের কাছ থেকে হাত পেতে ধার করে এনে অন্যের সন্তানকে এই মৌলবাদি শিক্ষাই কি আপনার অন্যান্য দল দিচ্ছে কখনও?
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কোন অনাহারীর পেটে ভাত জোটে না; কাউকে আঘাত করলে সে আঘাত উঠে আসে না। কোন রাস্তার খোলা ইট জোড়া লাগে না।
আর এই সকল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চেতনা করে যারা রাতদিন ঘুম হারাম করছে তাদের অবস্থা জানেন? খোজ নিয়েছেন কখনও?
সরকারের ৫বছর মেয়াদে তারা সবাই কোটিপতি বনে গেছে, পাটকাঠির বেড়ায় একচালার টিনের ঘরের জায়গায় উঠেছে ৫তলা বিল্ডিং। এসব অর্থ কোন পথে আসে সেটা এখন গ্রামের লাংল বাওয়া চাষীও জানে। তারাও এখন যোগ বিয়গের হিসেব করতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে যদি লুটে পুটে খাওয়া হয় সে চতনার ভাতি সাধারণ খেতে চায় না। সে চতনা মুক্তিযুদ্ধকে ধিক্তার দিতে শেখায়। যে চেতনা সুপারিশের মাধ্যমে পদ পাওয়া শেখায় সে চতনায় ধিক্কার জানানো ছাড়া আর কিছু থাকে না।