![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ড. হেইস বাইজম্যান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের সামরিক প্রয়োজনে কৃত্রিম ফসফরাস আবিষ্কার করেন। অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাইজম্যানকে জিজ্ঞেস করলেন কি চান তিনি। এ বিজ্ঞানী প্রত্যুত্তরে অর্থ বিত্তের বদলে স্বজাতি অর্থাৎ ইহুদীদের জন্য একটি দেশ চাইলেন। তার পছন্দ ছিলো ফিলিস্তিন। ১৯১৭ সালে যুদ্ধে জয়ী হলে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বেলফোর ফিলিস্তিনে নতুন রাষ্ট্র তৈরীর ঘোষণা দিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ আরবরা ভেবেছিলো এ রাষ্ট্র তাদের জন্য। তারা এর ভেতরের চতুরতা ধরতে পারেনি। ১৯১৮ সালে ব্রিটিশ সরকার এ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে নতুন রাষ্ট্র ঘোষণার মধ্য দিয়ে।
পরবর্তী ৩০ বছরে ফিলিস্তিনদের বুঝতে আর বাকী থাকেনি সেদিন ব্রিটিশ সরকার তাঁদের ভীষণভাবে ধোঁকা দিয়েছে। কারণ এ সময়ে ব্রিটিশ সরকার আরবদের দমন পীড়ন শুরু করে এবং ব্রিটিশদের সহযোগীতায় ইহুদীরা আরবদের উপর আধিপত্য কায়েমের জন্য কয়েকটি সন্ত্রাসী সংগঠন তৈরী করে। যার মধ্যে হাগানাহ, ইরগুন ও স্ট্যার্ন গ্যাং ছিলো প্রধান। এ সংগঠনগুলো হত্যা-খুন-সন্ত্রাস-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগ সহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর মধ্য দিয়ে অসহায় ফিলিস্তিনিদের বাধ্য করতো দেশ ছাড়তে। এভাবে তারা ফিলিস্তিনকে ধীরে ধীরে তারা নিজেদের কব্জায় নিয়ে আসতে লাগলো। কিন্তু বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমগুলোতে যখন এ কর্মকান্ডগুলো উন্মোচিত হতে থাকলো তখন এরা স্বজাতির উপর বোমা হামলা করে। ১৯৪০ ও ১৯৪২ সালে ইহুদী যাত্রী বহনকারি ফিলিস্তিনগামী দুটো জাহাজ গুড়িয়ে দিয়ে যথাক্রমে ২৭৬ ও ৭৬৯ জন ইহুদীকে হত্যা করে।
নাশকতামূলক কর্মকান্ডের ধরণ ও কৌশলের দিক থেকে সন্ত্রাসী ইহুদীদের এ সংঠনের সাথে বাংলাদেশের যে কয়টি সংগঠনের অত্যন্ত সাদৃশ্যতা রয়েছে সেগুলো হচ্ছে, জামাতে ইসলাম, জেএমবি, হুজি, জেএমজি ইত্যাদি সংগঠন। জেএমবি এবং জেএমজি গত চারদলীয় সরকারের আমলে যাত্রা শুরু করে। হাগানাহ যেমন আরবদের নিধন করেছে, তেমনি এ দেশে জামাত, জেমবি'রা নিধন করছে বাঙ্গালীদের, প্রগতিশীলদের। দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে এ দেশকে। ধর্মের নামে কায়েম করতে চাচ্ছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আজ্ঞাবাহী মৌলবাদী রাষ্ট্র।
এরা এবং এদের জাত ভাইয়েরা একাত্তরে পরাজিত হয়েছিলো। পঁচাত্তরে জিয়াউর রহমান এদের পূনর্বাসিত করলো। এরপর থেকে আজ অব্ধি রাজনীতিতে অবস্থান পাকাপোক্ত করতে এ সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তি কত যে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, সংখ্যালঘু নির্যাতন, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে তার হিসেব করাটা কঠিন। দেশের প্রগতিশীল সংগঠনগুলো যেমন ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ, ছাত্র মৈত্রীর অজস্র কর্মীকে খুন করে এরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। দখল করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন হল, বিভিন্ন কলেজকে।
প্রগতিশীল সংগঠনগুলোকে বোমা মেরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য এরা একের পর এক বোমা হামলা চালিয়েছে। রমনার বটমূলে, কমিউনিস্ট পার্টির সমাবেশে, উদীচীর সমাবেশে এবং আওয়ামীলীগের সমাবেশে বোমা হামলার মধ্যে দিয়ে এরা বারবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রগতিশীল শক্তিকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছে। দেশের ৬১ জেলায় একসঙ্গে বোমা হামলা, আদালত প্রাঙ্গণে বোমা হামলা, চারটি সিনেমা হলে একসাথে বোমা হামলা সহ বোমা মেরে হত্যা করেছে আওয়ামীলীগ নেতা আহসানউল্লাহ্ মাস্টারকে, এম এস কিবরিয়াকে, কমিউনিস্ট নেতা সাংবাদিক মানিক সাহা সহ প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী অসংখ্য নেতাকর্মীকে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক এর একটিরও কোনো বিচার আমরা দেখতে পাই নাই। আজ সেই ভয়াল ২১ আগস্ট, ২০০৪ সালের এ দিনে আওয়ামীলীগ সভানেত্রীকে হত্যাচেষ্টায় উপর্যপুরি বোমা হামলায় নিহত হন আইভী রহমান সহ ২৪ জন নেতাকর্মী। আজকে সেসকল নিহত শহীদ ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। পাশাপাশি যখন দেখি এ হত্যাকান্ডের বিচার আওয়ামীলীগ গত ৫ বছরেও সম্পাদন করতে পারে নাই তখন আসলে হতাশ না হয়ে পারি না। মনে প্রশ্ন জাগে কেনো এ বিচার হলো না? এ বোমা হামলার কুশীলবদের কেনো বিচারের আওতায় আনা গেলো না?
ফিলিস্তিনের জনগণ এত অত্যচার নির্যাতনের পর আজও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাই ফিলিস্তিনের জনগণ আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা। আমরাও নিশ্চয় হাল ছাড়বো না। তাই আমরা সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদি ও সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২২
গাদ্দার বলেছেন: জামাত শিবির সংখ্যালঘুদের উপর হামলা-ধর্ষণ চালায় এটা যদি কেউ অস্বীকার করেন। সেটা তাদের প্রতি ব্যক্তিগত মোহ থেকে হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন সময় এরা ধর্ষণ, এমনকি সম্প্রতি এদের কয়েকজন নেতার পতিতালয়ের ব্যবসা পর্যন্ত উদ্ঘাটিত হয়েছে। পতিতালয়ে একাধিকবার শিবিরের নেতা কর্মীরা গ্রেপ্তার হয়েছে।
২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আমি খুব স্পেসিফিকভাবে ধর্ষণের কথা জানতে চেয়েছি কোনো মৌলবাদী গোষ্ঠী/ব্যক্তি কর্তৃক । টুপি, দাড়ি রাখা জামাত/হেফাজত কর্মী ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্ট --এমন তথ্য দয়া করে এখানে সূত্র সহ দিবেন । আওয়ামীলীগের আমলে কোথাও গণ ধর্ষণ হলে কেউ বলেনা, ছাত্র লীগ ধর্ষণ করেছে, যতক্ষণ না ছাত্র লীগের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা থাকে । ঠিক? বি এন পির আমলে যা হয়েছে সেটার দায় মৌলবাদীদের উপর সরলিকরন করে ঢালবেন না ।
২০০১ সালে অবশ্যই সংখ্যালঘুদের উপর হত্যা, ধর্ষণ হয়েছে --সেটা যদি এলাকার সুবিধাভোগী, জমি-সম্পত্তি দখলকারীরা বি এন পির ছত্র ছায়ায় করে থাকে সেটার দায় ধর্মের উপর বা ধর্মের নামে বা গনিমতের মাল হিসেবে করেছে --এই অনুসিদ্ধান্ত দিতে পারেনা না ।
জামাত-শিবিরের পতিতালয়ের খবর কি জনকন্ঠ বা বিডি নিউজ ২৪ এর রিপোর্ট ? এক হেফাজত তেতুল বলাতে আপনার মত লোক জন চিত্কার করে দেশ উদ্ধার করে ফেলে, আর জামাতের পতিতালয়ের খবর কেউ জানেনা --- এটা কোনো কথা হলো ? নাকি সমাজতন্ত্র করেন? কথার চেয়ে গলার জোর বেশি ?
আর ফিলিস্তিনের যে উদাহরণ দেন ---ওরা তো হামাস, ফাত্তাহ বিভিন্ন জঙ্গি, সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে বোমা মেরে নিরীহ ইহুদিদের হত্যা করছে --সে দিকটা দেখেন না ? নাকি ফিলিস্তিনিরা নির্যাতিত হচ্ছে বলে বোমা মেরে পাল্টা সাধারণ মানুষ হত্যা সমর্থন করেন ?
২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১১
গাদ্দার বলেছেন: Click This Link
উপরের লিঙ্কটিতে সিরাজগঞ্জের পূর্ণিমা ধর্ষণের ঘটনার রায় দেয়া হলো।
আর শিবির জামাত যে কি পরিমাণ ধর্ষণ একাত্তরে করেছিলো তার কি কোনো ইয়ত্তা আছে? এখনো যেকোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনে তারা আগুন লাগানো ও ধর্ষণের ঘটনা অহরহ ঘটাচ্ছে। সংখ্যালঘু মানুষজন এদের আতঙ্কে থানায় মামলা পর্যন্ত করে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫৭
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: এরপর থেকে আজ অব্ধি রাজনীতিতে অবস্থান পাকাপোক্ত করতে এ সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তি কত যে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, সংখ্যালঘু নির্যাতন, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে তার হিসেব করাটা কঠিন।
স্বাধীনতার পরে মৌলবাদীরা ধর্মের নামে ধর্ষণ করেছে উদাহরণ দিতে পারবেন? নাকি লাগাম ছাড়া মুখে যা আসে সব এক সাথে বেহিসাবে বলার অভ্যেস?