নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গাদ্দার

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, যুক্তি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

গাদ্দার

গাদ্দার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভর্তি ফরমের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারে চবি ছাত্রজোটের ধর্মঘট মূল্যায়ন

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

ছাত্রলীগ নয় এবার কি শিক্ষকরা ব্যবহৃত হলেনঃ

চবিতে এই প্রথম ভর্তি ফরমের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারে ছাত্রদের ধর্মঘট পন্ড করতে পুলিশের সাথে মাঠে ছিলেন দুই সহকারী প্রক্টর। অন্য জায়গায় সাধারণত পুলিশের সাথে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনকে (বর্তমানে ছাত্রলীগ) দেখা যায়। ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের ব্যবহার না করে এবার প্রশাসন শিক্ষকদের পাঠানোতে দুটি ব্যাপার ঘটেছে, ১. ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটেনি। এবং ২. ছাত্রদের জানমাল রক্ষা করা শিক্ষকদের নৈতিক দায়িত্ব হলেও এবার প্রশাসনের স্বার্থে তাঁরা ছাত্রদের উপর পুলিশকে হামলা করতে নির্দেশ দিয়েছেন এভাবে, 'এটাক।' ছাত্রদের দেখিয়ে বলছেন, 'একে এরেস্ট করো, ওকে এরেস্ট করো।' ছাত্রদের অবিরাম ধমকিয়েছেন এ দুই শিক্ষক। শিক্ষকদেরকে আমরা সাধারণত যে চরিত্রে দেখি তাতে এ দুই শিক্ষক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন এঁরা। দোষ যে শুধু এ দুই শিক্ষকের তা নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের আন্দোলন মোকাবিলায় শিক্ষকদের পাঠিয়ে চরম অন্যায় করেছেন। এবং ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ থাকবে।



পুলিশ হুকুমের দাসঃ

ধর্মঘটের কারণে এমনিতেই প্লাটফরমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো হাতেগোনা। তারপরও জোট নেতাকর্মীরা সাধারণ কোনো শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে বাঁধা দেয়নি। কোনো পুলিশের সাথে বিন্দুমাত্র অসদাচরণ করেনি। তবুও পুলিশ প্লাটফরমে মিছিল করতে দেবে না। এ ঘটনাও প্রথম। এবং নির্দেশদাতা যথারীতি শিক্ষকরা। কিন্তু ছাত্ররা সেটি মানতে রাজি নয়। ফলে যা হবার তাই হলো। দফায় দফায় ধ্বস্তাধস্তি, পুলিশের কিল-ঘুষি-লাথি, ব্যানার টানাটানি। পরে সমানে লাঠি চার্জ চললো রেল লাইনের উপর থেকে সরিয়ে দেবার জন্য। কিন্তু ছাত্ররা দমে যাবার পাত্র নয়। সামনে যেয়ে বসার চেষ্টা করলে কয়েক দফায় ধাওয়া দিয়ে প্রথমে কদমতলি রেল ক্রসিং পরে দেওয়ানহাট ওভারব্রিজ পর্যন্ত ছাত্রদের নিয়ে যায়। ছাত্রদেরকে পেরিয়ে ট্রেন চলে গেলে পুলিশ ছাত্রদের আবার লাঠিপেটা শুরু করে। গ্রেপ্তার করে ১১ জন ছাত্রকে।



সাহসঃ

পুলিশ প্লাটফরমে যখন বারবার মিছিল করতে বাঁধা দিচ্ছিলো তখন প্রায় তিনবার পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ছাত্ররা মিছিল এগিয়ে নিয়ে যায়। এবং প্রতিবার ব্যারিকেড ভাঙ্গার পর ছাত্রদের স্লোগানের আওয়াজে চারপাশ ভেঙ্গে পড়তে থাকে। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙ্গার ঘটনাগুলো ছাত্রদের ভীষণভাবে সাহস যুগিয়েছে।



করুনাঃ

সেই শিক্ষকরা কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়েই থাকবেন। প্রক্টর হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু ছাত্ররা হয়তো তাঁদের আগের মতো সম্মান করতে পারবে না। হয়তো ছাত্ররা একটু করুনা করতে পারে তাঁদের। ধর্মঘট জানার পরও অল্প কিছু শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছে। যাবার সময় দেখলাম এরা আমাদের দিকে লজ্জায় তাকাতে পারছে না। তাদেরও করুনা দেখানো যেতে পারে।



মিডিয়াঃ

বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট জানার পরও দু'তিনটি টেলিভিশন ছাড়া সুনামধন্য বেশিরভাগ প্রিন্ট কিংবা ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার চবি প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। এর প্রভাব পড়েছে খবরে। খবরে পুলিশ ও শিক্ষকদের ভাষ্যই গুরুত্ব পেয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকলে হয়তো প্রকৃত খবরটিই ছাপতেন এঁরা। যেমন ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভুঁয়া। ছাত্ররা নাকি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। অথচ যারা বটতলিতে উপস্থিত ছিলেন সকলেই জানেন পুলিশ ও সহকারী প্রক্টর দুইজন সকাল ৬.৩০ থেকে হাজির ছিলেন। এছাড়া মুচলেকার বিষয়টিও সম্পূর্ণ ভুল। শিক্ষকরা বলেছেন আন্দোলন করবে না বলে ছাত্রনেতৃবৃন্দ মুচলেকা দিয়েছে। এটা খুবই হাস্যকর। পুলিশ কি আন্দোলন করার জন্য ছাত্রদের গ্রেপ্তার করেছে? পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে প্রশাসনের নির্দেশে। এবং গ্রেপ্তারকে জায়েয করার জন্য পাথর ও পুলিশের উপর হমলার ঘটনা সাজিয়েছে পুলিশ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের ছাড়িয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে কারণ তা না হলে ছাত্ররা আরো বৃহত্তর কর্মসূচীর ঘোষণা দিতো। কাজেই মিডিয়ার এসব খবর দুঃখজনক।



মাইরে ভাইটামিন আছেঃ

মাইরে ভাইটামিন আছে। এ ভাইটামিন পরের আন্দোলনে পুষ্টি যোগাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.