নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর আনাচে-কানাচে আমি ঘুরতে চাই! আমি ট্রাভেলার মাসুদ।

ট্রাভেলার মাসুদ

ভ্রমন পাগল মানুষ

ট্রাভেলার মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুলিয়াখালি সমু্দ্র সৈকতঃ সাগরে আর সবুজের এক অনন্য সম্মিলন

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬


(গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম)

অফিসের কাজের ফাঁকে সময় পেলেই গুগল ম্যাপে বিশ্বের এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে বেড়াই। যেসব জায়গায় গুগলের স্ট্রি ভিউ আছে সেগুলো দেখি আর মনে মনে ভাবি আহা যদি ঐসব জায়গায় আমি যেতে পারতাম! তার-ই সুত্র ধরে আমি এই বাংলার সবুজ প্রান্তরের গুলিয়াখালী সি বিচ যাওয়ার পরিকল্পনা করি। কিছু দিন আগে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলাম।


(শখের বাইক, বাজাজ পালসার ১৫০ ডিটিএসআই)

বরাবরের মতোই বাইক আমার ভ্রমন সঙ্গী। বাইকে ঘুরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি! বাইকের সামনে একটা মোবাইল স্টেন্ড সেট করেছি যাতে মোবাইলটা রাখতে পারি।জিপিএস সেট করে বিসমিল্লা করে যাত্রা শুরু করলাম। যাওয়া এবং আসার পথে দুবার একটু বেখালের কারনে অল্প রিক্স ছাড়া পুরো যাত্রাই আরামদায়ক ছিল। মাঝে মাঝে যাত্রাবিরতি করে চা এবং পান খাওয়া চলছিল।


(সীতাকুন্ড বাজার বড় মসজিদ, এদিক দিয়েই যেতে হয় গুলিয়াখালী সি বিচ)

ঢাকা থেকে জিপিএস সেট করার পর আমাকে আর কোন লোকাল গাইডের সহায়তা নিতে হয়নি। সরাসরি গুলিয়াখালী সি বিচ গিয়েছিলাম। গুগলম্যাপ আমাকে যেভাবে নিয়ে গিয়েছে..নতুন বাজার-রামপুরা ব্রিজ-বনশ্রী-স্টাফকোয়াটার রোড-ডেমরা ব্রিজ-বিশ্বরোড মোর-ঢাকা সিলেট হাইওয়ে-ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে-সীতাকুন্ড বাজার। সীতাকুন্ড বাজার থেকে ব্রিজ এর নিচ দিয়ে ডানে।


(গুলিয়াখালী সি বিচ সি এন জি স্ট্যান্ড)

বাজার থেকে জিপিএস ভালই কাজ করছিল। কিন্তু বেশকিছুদূর যেয়ে একটু ট্রাবল করলো। বাইক থামিয়ে দিক ঠিক করে আবার যাত্রা। অল্প একটু পর আমি পৌছলাম গুলিয়াখালী সি বিচ। বর্ষাকালে ও শরৎ কালে অনেক সুন্দর দেখায়। এরপর হেলমেট বাধেঁর উপরের একটি দোকানে হেলমেট রাখলাম। হেলমেট রাখা বাবদ টাকা সাধলাম কিন্তু কোন টাকা রাখলো না। বললো, কিছু খেয়ে যান তাই হবে। পরে চা নাস্তা করলাম। এরপর সবুজের টানে... সি বিচের পানে!



(সুন্দর বনের শ্বাসমূল এখানেও দেখতে পাবেন)

অনেক প্রতিক্ষার গুলিয়াখালি সি বিচ। দেখলে প্রাণ ভরে যায়। ছবি উঠালাম অনেক। দুর দুরান্ত থেকে অনেক পর্যটক আসেন বেড়াতে। বর্ষাকালে চির সবুজ দেখায়। শীতকালে কেমন ফেড লাগে। তারপরও প্রকৃতি তার অমোঘ কৃর্তি এখানে ছড়িয়ে দিয়েছে। যে গাছ গুলো দেখলাম তার নাম বলতে পারবো না। সুন্দরবনের শ্বাসমূল দেখা যায় এখানে।



(সমুদ্রের পানি নিচে নেমে গেছে, সামনে কাদা)

সমুদ্রের পানি নিচে নেমে যাওয়ায় কাদার কারনে পানিতে নামা যায় না। বিশাল সমুদ্র পাশের সবুজ কে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। হৃদয়ের গহীনে বেদনা টুুকু ভুলে যেতে বলছে। পানিতে নামার অনেক ইচ্ছা ছিল। নামতে পারি নাই। বর্ষাকালে আবার যাব, তখন নামার প্লান আছে। ওখানে চটপটি ফুসকা বেশ সুস্বাধু। দাম একটু চড়া।

বাইকে যাওয়া অনেক আরামের। যেখানে সেখানে থামা যায়। স্বাধীন। কিন্তু, বাইকে একটু রিক্স থাকলেও সাবধানে ও নিয়ন্ত্রিত গতিতে চালালে কোন সমস্যা নাই।আমার সময় কম ছিল। একদিনে ঢাকা থেকে যেয়ে আবার ফেরত আসতে হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রাস্তা ভাল বিধায় যেতে আসতে কোন সমস্যা হয়নি।

সবচেয়ে ভাল হয় তিন দিনের সময় করে গেলে। সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়, মহামায়া লেক ও খৈয়াছড়া ঝর্ণা সহ আর অনেক দর্শনীয় স্থান আছে। সীতাকুন্ডে মোটমুটি ভাল মানের হোটেল আছে। খাওয়ার জন্য নিচের এই হোটেল খারাপ না।

(সীতাকুন্ড বাজারেই এই হোটেল, মজাদার খাবার)

এই হলো আমার সীতাকুন্ডের গুলিয়াখালী সি বিচ ভ্রমন। আজকে এই পর্যন্তই...পরবর্তীতে আরও নতুন জায়গার বিবরণ ছবিসহ আসবে। সেই পর্যন্ত সাথে থাকুন...

শুভ ব্লাগিং...শুভ ভ্রমন...


*** ভ্রমন সঙ্গীঃ
১। ক্যামেরাঃ আই ফোন সিক্স ১২৮ জিবি
২। সনি এনড্রোয়েড ফোন
৩। বাজাজ পালসার ১৫০ ডিটিএস আই
৪। জিপিএস পার্টনার গুগল ম্যাপ

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৫

ইসিয়াক বলেছেন: শুভ কামনা রইলো।ধন্যবাদ

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৪

ট্রাভেলার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক।

ভালো থাকুন সবসময়...

আপনার ভ্রমন হোক নিরাপদ ও আনন্দদায়ক!

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: খানে আমি যাই নি। তবে যাব।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৫

ট্রাভেলার মাসুদ বলেছেন: হাসালেন।

আমার ধারা বর্ণনা টা এই টাইপের হইছে মনে হয়, “খানে আমি যাই নি। তবে যাব।”

তবে, আপনার মন্তব্যে বেশ মজা পেলুম,পোষ্টে কিছু বানান ভুল আছে ঠিক করে দেব।

ধন্যবাদ রাজীব নুর। শুভকামনা রইল আপনার প্রতি!

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩০

অবনি মণি বলেছেন: যাব একদিন ইন শা আল্লাহ। গল্প শুনেছি,এখন পড়লাম!!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

ট্রাভেলার মাসুদ বলেছেন: সময় করে ঘুরে আসুন!

ধন্যবাদ @ অবণি মণি।

শুভকামনা রইলো।

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ট্রাভেলার মাসুদ,




একা একা অতোটা পথ মটরবাইকে চেপে যাওয়াটা আসলেই রিস্কি হতে পারতো। তাও আবার একই দিনে যাওয়া আসা। ভালোভাবে ফিরতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। ভবিষ্যতে মটরবাইকে এমন রিস্ক নেবেন না। যদিও একজন ট্রাভেলারকে থামায় সাধ্যি কার ?

খুব সুন্দর হয়েছে লেখাটি।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪০

ট্রাভেলার মাসুদ বলেছেন: আপনার পরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

তবে, একা ঘুরতেই বেশ পছন্দ আমার!

আপনার পরামর্শ আমাকে কাজে দিবে, সঙ্গী খুঁজে নেবো নেক্সস্ট ভ্রমনে।

পরবর্তী পোষ্টেও আসবেন আশাকরি।

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ট্রাভেলার মাসুদ,



প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
একা একা ভালো লাগলে একা ঘুরুন, ক্ষতি নেই। তবে মটরবাইকে লম্বা ভ্রমনে নিজের জীবনের নিরাপত্তার দিকটিও মাথায় রাখুন আগে। কারন, আমাদের হাইওয়েতে ছোট যানবাহনগুলোই দূর্ঘটনার শিকার হয় সবচেয়ে বেশী। বাস-ট্রাক, টেম্পু-ইজিবাইক, নসিমন-করিমনের চালকেরা কেউই হাইওয়েতে চলার নিয়ম-কানুনই জানেনা। আর রাস্তাগুলোও হাই্ওয়ের উপযুক্ত নয়। সুতরাং সাবধান।
ট্রেনে বা বড়সড় বাসে যেতে পারলে সবচেয়ে ভালো।
শুভেচ্ছান্তে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫০

ট্রাভেলার মাসুদ বলেছেন: সত্য বলেছেন। হাইওয়েতে মটরসাইকেল দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বেশ লম্বা। আর নিয়ম কানুনের কথা বলছেন, ড্রাইভিং না জানলেও মাত্র ১০ হাজারে মিলবে লাইসেন্স!

সময় নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমি বেশ সৌখিন, ভোর ৪ টায় বের হই লং জার্নিতে, রাস্তা ফাঁকা থাকে, আর ছুটির দিনে। তবে ইচ্ছা আছে বাইকে সারা দেশ ভ্রমন। নসিবে হলে ভারত যাবো! ইউটিউবে দেখলাম অনেকেই গেছে! অবশ্যই সাবধানে, আর গ্যঞ্জাম মুক্ত সময়ে।

তবে বাইক নেশা বাদ দিয়ে বাস/ট্রেন জার্নি করা যায় কিনা বিবেচ্য। আমার সেফটিও হবে।

ধন্যবাদ, শুভকামনা জানাবেন।

৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০১

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: এক সময় বাইকের নেশা আমাকে বেশ টানত, কিন্তু কয়েকটি দূর্ঘটনায় পড়ে অল্পের জন্য বেচে ফিরে এসে এখন বাইক ছাড়াই চলি। তবে ভ্রমণের নেশাটা এখনও পুরোপুরি ছাড়তে পারিনি। যদিও বেশ কিছু দিন ধরে কোথাও বেরুতে পারছি না। তবুও ভার্চুয়াল ভ্রমণে দুধের সাধ ঘোলে মিটিয়ে নিচ্ছি। আর আপনারা তো আছেনই আমার ভ্রমণসঙ্গী। ধন্যবাদ ভাইয়া এত রিক্স নিয়ে এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য। তবে মনে হয় ভবিষ্যতে ভ্রমণে আরও একটু সতর্ক হবেন। তবে হ্যাঁ নিজে যত ভাল বাইকারই হন না কেনো, অন্যসব ঘাতক গাড়িগুলোকে একদম বিশ্বাস করবেন না। আগামীর ভ্রমণগুলো সুন্দর ও আনন্দময় হোক।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৮

ট্রাভেলার মাসুদ বলেছেন: আপনাকে বেশ অভিজ্ঞ মনে হলো বাইকের ব্যপারে! আল্লাহর রহমতে বড় কোন বিপদ আছর করে নাই। তবে আরো সাবধানী হবো।

ভার্চুয়াল ভ্রমনে আমিও কম যাই না। মিল আছে আপনার সাথে!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা জানবেন।

৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাইকে সুন্দর ভ্রমন কাহিনী । ছবিগুলো বেশ ঝাপসা হয়ে গেছে। পোস্টে প্লাস++

শুভকামনা জানবেন।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭

ট্রাভেলার মাসুদ বলেছেন: বেশ বেশ!

হা হা হা ,,,

৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:১৩

কালীদাস বলেছেন: বাংলাদেশের বাইকারদের দুইচোখে দেখতে পারিনা, আইন ভাঙাই এদের একমাত্র মটো মনে হয় সবসময় X(( অনেক দেশেই দেখেছি বাইকাররা দলবেঁধে ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতে ঘুরে বেড়ায় সারা দেশজুড়ে, এটা অন্যরকম একটা এডভেঞ্চার, স্বাধীনতার একটা আলাদা স্বাদ। ঢাকা থেকে চিটাগং কতই বা দূর?! কিন্তু আমাদের বাইকারদের উশৃংখল স্বভাবের জন্য এটাও বিপদজনক মনে হয়।

লেখাটা মন্দ হয়নি। কিছু বানান ভুল আছে, ঠিক করে নেবেন প্লিজ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৯

ট্রাভেলার মাসুদ বলেছেন: শুধুমাত্র মোটরসাইকেল চালকই নয় বাংলাদেশর রাস্তায় যে সকল যানবাহন চলাচল করে তাদের চালকগণ একটু ফুরসৎ পেলেই ট্রাফিক আইন অমান্য করতে বদ্ধপরিকর। এর একটি প্রতিকার দরকার। প্রয়োজন ট্রাফিক আইনের যথাযত প্রয়োগ এবং ট্রাফিক পুলিশ, যানবাহন চালক, পথচারী সকলকে আইন মানতে বাধ্য করা! যেটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ দূরুহ বটে! তবে চেষ্টা করলে কি-না হয়।

আমি ইউটিউবে দেখেছি যে, বিদেশে ২০/৩০ জন বাইকারদের সঙ্গবদ্ধ ভ্রমন। রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে দেখেছি। যেটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিরল। এরা বাইক পেলে হাওয়ায় ভাসতে চায়। তবে আমি কিন্তু ওমন না। ট্রাফিক আইনের প্রতি যতেষ্ঠ শ্রদ্ধাশীল।

অনিয়ন্ত্রীত ও দ্রুতগতি সব যানবাহনের জন্যই বিপদজনক। তবে বাইকের ক্ষেত্রে এটা আরও বিপদ বয়ে আনে। প্রতিদিনের খবরের কাগজ খুললেই বিভিন্ন বাইক দুর্ঘটনার খবর দেখা যায়। এরও একটা প্রতিকার দরকার। যা আমি উপরে লিখলাম।

সবশেষ, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই, আমার প্রতি আপনার এমন গঠনমূলক সমালোচনা অব্যহত থাকবে এই আশা রইল। পোষ্টের বানান গুলো দ্রুত ঠিক করে দেব।

৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: বানান আমি খুব বেশি ভুল করি। ক্ষমা করবেন।
ভুল গুলো শুধরানোর সময় দিবেন।

ভালো থাকুন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

ট্রাভেলার মাসুদ বলেছেন: আমার ভূল বানান ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.