নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সব দেখি, আসলে কিছুই দেখি না

ত্রিকালদর্শী

আমি সব জানি, আসলে কিছুই জানি না

ত্রিকালদর্শী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও ফাস্ট ফুডের দোকানে মরা মুরগির সুস্বাদু স্যূপ!!! সরবরাহ চক্রের কেউ কেউ এখন কোটিপতি।

১০ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০১



মরা মুরগির মাংস নরম তাই এ মাংস দিয়ে স্যুপ তৈরি করা হয়। ফাস্ট ফুডে মুরগির তৈরি সব খাবারে এই মরা মুরগি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চায়নিজ রেস্টুরেন্ট, ফাস্ট ফুড ও রাস্তার পাশে কিংবা পাড়া- মহল্লার খাবার হোটেলে মরা মুরগির চাহিদা বেশি। এছাড়া এক শ্রেণীর নামি- দামি হোটেলেও মরা মুরগি সরবরাহ করা হয়ে থাকে। রাজধানীসহ দেশের জেলা শহরে একটি চক্র চায়নিজ রেস্টুরেন্ট, ফাস্টফুডের দোকান ও খাবার হোটেলে নিয়মিত মরা মুরগি সরবরাহ করছে। আড়ত থেকে প্রতিটি মরা মুরগি সংগ্রহ করা হয় ১০ থেকে ২০ টাকায়। এগুলোই হোটেল রেস্টুরেন্টে বিক্রি করা হয় দেড়শ’ থেকে দুশ’ টাকায়। মরা মুরগি বিকিকিনি করে চক্রের কেউ কেউ এখন কোটিপতি। তারা পুরনো ব্যবসা ছেড়ে এখন অন্য ব্যবসা করছেন।

কারণ হিসেবে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, অধিক মুনাফার লোভে ঐসব হোটেল মালিকরা কিংবা মালিকদের অজ্ঞাতে ম্যানেজাররা মরা মুরগি ক্রয় করে থাকে।



গতকাল সোমবার ভোরে র‌্যাবের মোবাইল কোর্ট তেজগাঁও রেলগেট সংলগ্ন মুরগি আড়তে অভিযান চালিয়ে ১০২টি মরা মুরগিসহ দেলোয়ার হোসেন দেলু (৪২) ও রেশমা বেগম ওরফে কালী নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। তারা মোবাইল কোর্টের কাছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা দেলোয়ার হোসেন দেলুকে দুই বছর ও রেশমা বেগম কালীকে দেড় বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। দেলুর বাড়ি নোয়াখালী আর কালীর বাড়ি ফরিদপুর। মোবাইল কোর্টকে তারা জানায়, শুধু রাজধানীতেই নয়, এ ব্যবসা অন্য মহানগর ও জেলা শহরেও দেদারসে চলছে। কাওরান বাজার এলাকায় ছয় জনের একটি দল যারা আড়ত থেকে মরা মুরগি সংগ্রহ করে রেস্টুরেন্ট, খাবার হোটেল ও বিভিন্ন খাদ্য উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে। তারা আরো জানায়, প্রত্যেকটি মুরগির আড়ত এলাকায় মরা মুরগি বেচাকেনার একটি চক্র রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ১৫ জুন র‌্যাব -৩ কাপ্তান বাজার আড়ত থেকে এক বস্তা মরা মুরগিসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তিনি মরা মুরগি বেচাকেনার কিছু তথ্য দেন।

দেলু ও কালী জানায়, রাজধানীর কাওরান বাজার রেলগেট, কাপ্তান বাজার ও ফকিরাপুলে তিনটি বড় মুরগির আড়ত রয়েছে। এরমধ্যে কাওরান বাজার রেলগেট মুরগির আড়ত সবচেয়ে বড়। এখানে প্রতি রাতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাকযোগে দেড় থেকে দুই লাখ মুরগি আসে। ভোরের মধ্যে আড়ত মুরগিতে ভরে যায়। এরমধ্যে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার মুরগি মারা যায়। গরম বেশি পড়লে মরা মুরগির সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। ব্রয়লার মুরগি হিটস্ট্রোকে এবং চাপে পড়ে বেশি মারা যায় বলে জানান আড়ত মালিকরা। একেকটি মরা মুরগির জন্য ১০ থেকে ২০ টাকা দিতে হয়। আবার কোনো কোনো আড়ত মালিককে টাকা দিতে হয় না। অনেক সময় দোকানদাররা মরা মুরগি বেচতে না চাইলে সংঘবদ্ধ চক্রটি তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে পাঠিয়ে দেয়। ভয় পেয়ে আড়ত মালিকরা এতে বাধা দেয় না। মরা মুরগির পাখা পশম ছিলার জন্য আড়তের পাশে ছোট ছোট ঘর রয়েছে। সেখানে মরা মুরগি ছিলার কাজ শেষে বস্তাবন্দী করা হয়। কোন কোন মরা মুরগি দুর্গন্ধ হলে সেগুলোর মধ্যে লেবুর রস দিয়ে দুর্গন্ধমুক্ত করা হয় বলে তারা জানায়।



হোটেলে সরবরাহ করে আরেক গ্রুপ : প্রথম গ্রুপ মরা মুরগি সংগ্রহ করে তা ছিলে বস্তাবন্দী করে দ্বিতীয় গ্রুপের কাছে বিক্রি করে। দ্বিতীয় গ্রুপ এ জন্য প্রথম গ্রুপকে একেকটি মুরগির জন্য দেয় ৪০- ৫০ টাকা। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের একেকটি মুরগি রেস্টুরেন্টে বিক্রি হয় দেড়শ’ থেকে দুশ’ টাকা।





‘মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর’ : কিডনি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ ইত্তেফাককে বলেন, মুরগি সাধারণত বার্ড ফ্লু কিংবা কোন ভাইরাসজনিত কারণে মারা যায়। মোট কথা মরা মুরগি খেলে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশংকা শতভাগ। পরবর্তীতে লিভার ও কিডনি রোগে আক্রান্ত কিংবা কিডনি অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মরা মুরগিতে নানা ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থাকে। এগুলো মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।



ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন একই মত পোষণ করে বলেন, এগুলো শিশুদের বেশি ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। গর্ভবতী মায়েরাও একারণে ঝুঁকিতে পড়তে পারেন বলে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সার জানান।









সূত্রঃ এখানে

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০৮

নিশাচর নাইম বলেছেন: স্যুপ নাম জিন্দিগীতে আর নিমু না রেস্টুরেন্টে গেলে.... :-P :-& :-&

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:১৮

শিক কাবাব বলেছেন: দেলুকে দুই বছর ও রেশমা বেগম কালীকে দেড় বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন

কামের কাম হইছে একখান। আমিতো ভাবছিলাম বাংলাদেশর পরিবর্তন হইছে। যেই কদু সেই লাউ-ই রয়ে গেল। গরীবদের জন্যইতো বানানো হইছে এইসব জেলখানা। মরা মুরগীর ক্রেতা হোটেল মালিক বা ম্যানেজাররা মনের সুখে আকিজ বিড়িতে সুখটান মারতাছে আর দেলু-রেশমার উপর দিয়া সুপ্রিম কোর্টের পাওয়ার কত তা দেখায়া দিল।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:২৩

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: ফাস্ট ফুড আর না X(

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৩২

লিংকন১১৫ বলেছেন: ওয়াক থুঃ

জীবনে আর খাইতাম না

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৩৭

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: আমাদের বাঙ্গালীদের পেটে সবই দেখি এড্‌জাষ্ট হয়ে যায় :P

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:৩৪

ভদ্র পোলা বলেছেন: সবার জন্য chicken fry , পোস্ট টা পড়ে খাওয়ার রুচি থাকলে , test করে দেখতে পারেন

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:৪৬

চেনা মুখ বলেছেন: :| :| :| :|

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৭:৩৫

তিথির অনুভূতি বলেছেন: তোরা যে যাই বলিস ভাই
আমার বাসার খাবার চাই **

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৮:২৩

পথিক০২১ বলেছেন: Those of us who lived outside of the country are quite careful about eating in restaurant abroad. Specially many of us don't eat chicken in the restaurants in foreign countries cause its not Jabiha. Same principle applies here. Dead chicken is basically Haram. So those of who are sensitive about this issue should be careful.

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৮:২৪

পথিক০২১ বলেছেন: Be careful of one place in Gulshan. The name of the Restaurant is Baton Rouge. I know for sure they use dead chicken meat.

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৯:২০

সারথী মন বলেছেন: মরা-পচা মাছ খাইতে পারেন-মরা মুরগী খাইলে দোষ কি! :)

১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:৫৪

শিক কাবাব বলেছেন:
সারথী মন

মাছের ভিতর খুব কম পরিমান রক্ত থাকে। একটা ১ কেজি ইলিশ মাছে একটি মার্বেলের পরিমাণ রক্ত থাকে। পক্ষান্তরে একটি ১ কেজি মুরগীতে প্রায় ১টা ডিমের পরিমাণ রক্ত থাকে।

১ কেজি মাছের এই মার্বেল পরিমাণ রক্ত খুব একটা এফেক্ট করে না। পুরা রক্তটাই ফূলকার ভিতর থাকে। যেখানে পশুপাখির রক্ত সম্পূর্ণ দেহে বিদ্যমান (রগের মাধ্যমে)।

ফলে, জবাই করলে পশুপাখি থেকে রক্তটা বের হয়ে চলে যায়। জবাই না করা হলে মারা গেলে রক্তটা পুরা শরীরে জমাট বেধে থেকে যায়, যা পরে খাওয়ার সময় আমাদেরকে বাধ্য হয়ে খেতে হবে।

রক্ত খাওয়া মানুষের জন্য ক্ষতিকর।

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:৩০

প্রকৌশলী মোঃ জুলফিকার আলী জুয়েল বলেছেন: বাজার থেকে তরতাজা মুরগী কিনে বাসায় এনে নিজে জবাই করে বউ এর হাতের রান্না খান। অযথা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ২০০ টাকার মুরগীর এক পিস ২৫০ টাকা দিয়ে খাওয়ার দরকার নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.