![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই লেখায় অনেক লিঙ্ক ব্যবহার করেছি । আশা করি এই লিঙ্ক গুলোতে একটু ঢু মেরে দেখবেন । এতে করে ব্লগটির বিশয়সমুহ বুঝতে সহজ হবে।
“আরব বসন্তের” পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনীতি আরও জটিল হয়ে পরেছে । আচ্ছা, একটু চিন্তা করি, আরব বসন্তের ফলাফল ?
১। তিউনিসিয়ায় একনায়ক ও পাশ্চাত্যের প্রতি উদার বেন আলী সরকারের পতন ও ধর্মান্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর খমতা লাভ ।
২। লিবিয়ায় গাদ্দাফির পতন ও লিবিয়া একটি অস্থিতিশীল দেশে পরিণত হওয়া ।
৩। মিসরে মুরসির ক্ষমতা গ্রহন; ধর্মীয় ও সামাজিক নানা ইস্যুতে মিসরীয়দের বিভক্তি, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা লাভ ।
৪। সিরিয়ায় উদ্দেশ্যহীন গৃহযুদ্ধ ।
আরব বসন্ত কিন্তু সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাদশদের কে তাদের ক্ষমতা সীমিত করতেও পারে নাই, কিংবা অইসব রাজতন্ত্রের দেশে গণতন্ত্রও স্থাপন করতে পারে নাই । কিন্তু ধর্মীয় উগ্রবাদীদের ঠিকই স্পটলাইটে এনেছে । সিরিয়ার বিদ্রোহী দল আলকায়েদা দারা পরিচালিত হলেও পশ্চিমা দেশ গুলু থেকে সাহায্য সহযোগিতা পেয়েই যাচ্ছে ।
এখন আমি এত বিশাল কিছু নিয়ে কথা বলব না । এখানে আইএসআইএস, ইরাক ও সিরিয়ার কিছু কিছু বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হবে ।
প্রথমেই ISIS বা Islamic State of Iraq and Syria সম্পর্কে আলোকপাত করা যাক । আল-কায়েদার ছায়ায় গড়ে ওঠে এই গ্রুপ । তবে এই দলের হিংস্রতা এতটাই ভয়াবহ যে, আল-কায়েদা পর্যন্ত এই গ্রুপের সাথে নিজেদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে । নিচে একটি ভিডিও দেয়া হল । যেখানে এই গ্রুপের সদস্যরা তাদের হিটলিস্টে থাকা লোকদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে । এটা সম্ভবত তিকরিত বা ফাল্লুজায় তোলা
লিঙ্কঃ http://www.liveleak.com/view?i=699_1400360595' target='_blank' >http://www.liveleak.com/view?i=699_1400360595
তবে এই গ্রুপটি কয়েকদিনেই গড়ে উঠে নি । আমেরিকা যখন ২০০৩ সালে ইরাকে অভিজান চালায় তখন Abu Musab al-Zarqawi আল কায়েদা ও সুন্নি উগ্রপন্থিদের নিয়ে এই গ্রুপ টি গড়ে তোলেন । যদিও প্রথমে এই গ্রুপ কে ইসলামিক স্টেইট অফ ইরাক নামেই পরিচালিত হত । তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইরাকে শিয়া ও সুন্নিদের মাঝে একটি সংঘর্ষের সুচনা করা এবং ইরাক কে আরও অস্থিতিশীল করে তোলা ; যাতে করে ইরাক একটি সুন্নি প্রধান দেশে পরিনত হওয়া এবং ইরাক দখল করে থাকা ন্যাটো বাহিনী ইরাক ছেরে চলে যেতে বাধ্য হয় ।
ছবিতেঃAbu Musab al-Zarqawi
কিন্তু এর বর্তমান নেতা আবু বকর আল বাগদাদীর চিন্তাভাবনা আরও বিস্তৃত । তার ইচ্ছা ইরাক, সিরিয়া ও ইসরাইল মিলিয়ে একটি বৃহত্তর ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা । তিনি নিজেকে একজন ইসলামিক চিন্তাবিদ বলে পরিচয় দেন ।
তার এই চিন্তাভাবনা ও তার সামাজিক মর্যাদা অনেক প্রাক্তন ইরাকি অফিসার এবং আল কায়েদা সদস্যদের দৃষ্টি আকরশন করে । শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ইরাকি প্রাক্তন জেনারেলদের কাছে এই গ্রুপ নিজে থেকে যোগাযোগ করে, এবং তারাও এই গ্রুপে যোগ দেয় । ফলশ্রুতিতে এই গ্রুপে আগে থেকে জেকোন সামরিক বাহিনীর মতন নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় থাকে । মার্কিন বাহিনী ইরাক ছেরে চলে জাবার পরপরই তারা পুনরায় মাথাচারা দিয়ে ওঠে ।
এই সংঘটনটি অন্যান্য সন্তাসী দল থেকে আলাদা । তারা সুসংগঠিত, তাদের অনেক সদস্য বিদেশী, এবং সামরিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত । সিরিয়ার আল-নুস্রাত ফ্রন্টের অনেক সদস্যই এই দলে যোগ দেয় । বর্তমানে আইএসআইএস আলেপ্পো থেকে বাগদাদের কাছাকাছি পর্যন্ত এলাকা নিয়ন্ত্রন করছে । এবং বর্তমানে এই গ্রুপটি ইরাক ও সিরিয়ার অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলছে ।
মূলত সিরিয়ায় যখন থেকে আসাদ বিরোধী সসস্ত্র আন্দোলন শুরু, তখন থেকেই মার্কিন সরকার সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে আসছে । এই বিদ্রোহী দের সাথে উগ্রপন্থী আল কায়েদা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের যোগাযোগ থাকা সত্তেও মার্কিন প্রশাশন এদের সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে আসছে ।
শুধু তাই নয়, আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে সাথে সিরিয়ান বিদ্রোহীদের আধুনিক অস্ত্রও দিয়ে আসছে মার্কিন প্রশাশন । মার্কিন প্রশাশন বা অবামা সরকার যে আল -কায়েদা জঙ্গীদের আর্থিক বা সআমরিক সাহায্য দেয় তা নতুন কিছু নয় । আপনাদের হয়তো মনে আছে যে কিছুদিন আগে সবাই বলাবলি করছিল যে বাশার আল আসাদ তার জনগনের উপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যাবহার করেছেন । আর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে অবামা তো প্রায়ই সিরিয়া আক্রমন করে ফেলেন ! কিন্তু প্রমানিত হই যে, সিরিয়ান বিদ্রোহীরাই এই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের সাথে জরিত এবং এখন অনেকে তা বিশ্বাসও করছে ।
রাশিয়ার কাছে নাকি এর পক্ষে শক্ত প্রমাণও রয়েছে ।
আর এদিকে ইসরাইল আবার সিরিয়ান আল কায়েদা বিদ্রোহীদের আর্থিক ও সামরিক সাহায্য প্রদান করা সমর্থন করে । অর্থাৎ যারা ইসরাইলকে ধ্বংস করে ফেলতে চায়, ইসরাইল আবার তাদেরকেই পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করে ! বিষয়টা কি দাঁড়াল ?
একটা বিষয় পরিস্কার, সিরিয়ায় যাদেরকে সমর্থন দেয়া হয়েছে তারাই এখন ইরাকে গণহত্যা ও দেশটিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে তৎপর । এদিকে অবামা আবার বসে নেই । পার্সিয়ান সাগরের দিকে মার্কিন নৌবাহিনীর Aircraft Carrier যাত্রা শুরু করেছে । ইউএসএ না এই কিছুদিন আগেই ইরাক থেকে তাদের সৈন্য প্রত্তাহার করল ? তারাই না তখন বলল ইরাকি সেনাবাহিনি নিজেদের সুরক্ষায় সক্ষম ? তবে এখন কেনো ইরাকি সেনাবাহিনি তাদের অস্ত্র ও রসদ সন্ত্রাসীদের হাতে ফেলে পালিয়ে যাচ্ছে ? এইসব ফেলে যাওয়া সরঞ্জাম পেয়ে আইএসআইএস সন্ত্রাসীরা তো খুশিই হবার কথা ! শুধু হাম ভি ই না, হেলিকপ্টার, anti-aircraft মিসাইলও রয়েছে এইসব সরঞ্জামের মাঝে ।
এখন এতসব কিছুর মাঝে আমি আম্র চিন্তাভাবনা টা ব্যাক্ত করি । সিরিয়াকে পশ্চিমা বিশ্বের প্রয়োজন যাতে সিরিয়ার উপর দিয়ে সৌদি গ্যাস তুরস্ক হয়ে ইউরোপে পৌছাতে পারে । রাশিয়ার এতে সমস্যা হবে কেননা এতে করে ইউরোপীয়ান বাজারে তাদের জ্বালানির গুরুত্ত কমে যাবে । সৌদি সরকার চায় ইরাক ও ইরান যাতে অস্থিতিশীল হয়ে থাকে যাতে করে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে তাদের আধিপত্য বজায় থাকে । একই সাথে শিয়ারা যাতে অসহায় থাকে যেন মধ্প্রাযচ্চে কোন শক্তি অয়াহাবী দের জন্য হুমকি হয়ে না দাড়ায় । আর মার্কিন সরকারের স্বার্থ হচ্ছে “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” এই ইস্যুতে তারা তাদের বিশাল সামরিক ব্যায় বিজায় রাখতে পারে ও মার্কিন জনগনের নিরাপত্তার খাতিরে মার্কিন জনগনের উপর নতুন নতুন নিয়ম ও আইনকানুন চাপিয়ে দিতে পারে । সর্বোপরি যেন মার্কিন অর্থনীতির পেট্রোডলার সুরক্ষিত থাকে ।
আপনারা কি মনে করেন এই ব্যাপারে ? দয়া করে কমেন্টের মাধ্যমে জানান । ভালো লাগলে প্রিয়তে নিতে ভুলবেন না ।“আরব বসন্তের” পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনীতি আরও জটিল হয়ে পরেছে । আচ্ছা, একটু চিন্তা করি, আরব বসন্তের ফলাফল ?
১। তিউনিসিয়ায় একনায়ক ও পাশ্চাত্যের প্রতি উদার বেন আলী সরকারের পতন ও ধর্মান্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর খমতা লাভ ।
২। লিবিয়ায় গাদ্দাফির পতন ও লিবিয়া একটি অস্থিতিশীল দেশে পরিণত হওয়া ।
৩। মিসরে মুরসির ক্ষমতা গ্রহন; ধর্মীয় ও সামাজিক নানা ইস্যুতে মিসরীয়দের বিভক্তি, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা লাভ ।
৪। সিরিয়ায় উদ্দেশ্যহীন গৃহযুদ্ধ ।
আরব বসন্ত কিন্তু সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাদশদের কে তাদের ক্ষমতা সীমিত করতেও পারে নাই, কিংবা অইসব রাজতন্ত্রের দেশে গণতন্ত্রও স্থাপন করতে পারে নাই । কিন্তু ধর্মীয় উগ্রবাদীদের ঠিকই স্পটলাইটে এনেছে । সিরিয়ার বিদ্রোহী দল আলকায়েদা দারা পরিচালিত হলেও পশ্চিমা দেশ গুলু থেকে সাহায্য সহযোগিতা পেয়েই যাচ্ছে ।
এখন আমি এত বিশাল কিছু নিয়ে কথা বলব না । এখানে আইএসআইএস, ইরাক ও সিরিয়ার কিছু কিছু বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হবে ।
প্রথমেই ISIS বা Islamic State of Iraq and Syria সম্পর্কে আলোকপাত করা যাক । আল-কায়েদার ছায়ায় গড়ে ওঠে এই গ্রুপ । তবে এই দলের হিংস্রতা এতটাই ভয়াবহ যে, আল-কায়েদা পর্যন্ত এই গ্রুপের সাথে নিজেদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে । নিচে একটি ভিডিও দেয়া হল । যেখানে এই গ্রুপের সদস্যরা তাদের হিটলিস্টে থাকা লোকদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে । এটা সম্ভবত তিকরিত বা ফাল্লুজায় তোলা
লিঙ্কঃ http://www.liveleak.com/view?i=699_1400360595' target='_blank' >http://www.liveleak.com/view?i=699_1400360595
তবে এই গ্রুপটি কয়েকদিনেই গড়ে উঠে নি । আমেরিকা যখন ২০০৩ সালে ইরাকে অভিজান চালায় তখন Abu Musab al-Zarqawi আল কায়েদা ও সুন্নি উগ্রপন্থিদের নিয়ে এই গ্রুপ টি গড়ে তোলেন । যদিও প্রথমে এই গ্রুপ কে ইসলামিক স্টেইট অফ ইরাক নামেই পরিচালিত হত । তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইরাকে শিয়া ও সুন্নিদের মাঝে একটি সংঘর্ষের সুচনা করা এবং ইরাক কে আরও অস্থিতিশীল করে তোলা ; যাতে করে ইরাক একটি সুন্নি প্রধান দেশে পরিনত হওয়া এবং ইরাক দখল করে থাকা ন্যাটো বাহিনী ইরাক ছেরে চলে যেতে বাধ্য হয় ।
ছবিতেঃAbu Musab al-Zarqawi
কিন্তু এর বর্তমান নেতা আবু বকর আল বাগদাদীর চিন্তাভাবনা আরও বিস্তৃত । তার ইচ্ছা ইরাক, সিরিয়া ও ইসরাইল মিলিয়ে একটি বৃহত্তর ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা । তিনি নিজেকে একজন ইসলামিক চিন্তাবিদ বলে পরিচয় দেন ।
তার এই চিন্তাভাবনা ও তার সামাজিক মর্যাদা অনেক প্রাক্তন ইরাকি অফিসার এবং আল কায়েদা সদস্যদের দৃষ্টি আকরশন করে । শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ইরাকি প্রাক্তন জেনারেলদের কাছে এই গ্রুপ নিজে থেকে যোগাযোগ করে, এবং তারাও এই গ্রুপে যোগ দেয় । ফলশ্রুতিতে এই গ্রুপে আগে থেকে জেকোন সামরিক বাহিনীর মতন নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় থাকে । মার্কিন বাহিনী ইরাক ছেরে চলে জাবার পরপরই তারা পুনরায় মাথাচারা দিয়ে ওঠে ।
এই সংঘটনটি অন্যান্য সন্তাসী দল থেকে আলাদা । তারা সুসংগঠিত, তাদের অনেক সদস্য বিদেশী, এবং সামরিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত । সিরিয়ার আল-নুস্রাত ফ্রন্টের অনেক সদস্যই এই দলে যোগ দেয় । বর্তমানে আইএসআইএস আলেপ্পো থেকে বাগদাদের কাছাকাছি পর্যন্ত এলাকা নিয়ন্ত্রন করছে । এবং বর্তমানে এই গ্রুপটি ইরাক ও সিরিয়ার অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলছে ।
মূলত সিরিয়ায় যখন থেকে আসাদ বিরোধী সসস্ত্র আন্দোলন শুরু, তখন থেকেই মার্কিন সরকার সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে আসছে । এই বিদ্রোহী দের সাথে উগ্রপন্থী আল কায়েদা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের যোগাযোগ থাকা সত্তেও মার্কিন প্রশাশন এদের সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে আসছে ।
শুধু তাই নয়, আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে সাথে সিরিয়ান বিদ্রোহীদের আধুনিক অস্ত্রও দিয়ে আসছে মার্কিন প্রশাশন । মার্কিন প্রশাশন বা অবামা সরকার যে আল -কায়েদা জঙ্গীদের আর্থিক বা সআমরিক সাহায্য দেয় তা নতুন কিছু নয় । আপনাদের হয়তো মনে আছে যে কিছুদিন আগে সবাই বলাবলি করছিল যে বাশার আল আসাদ তার জনগনের উপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যাবহার করেছেন । আর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে অবামা তো প্রায়ই সিরিয়া আক্রমন করে ফেলেন ! কিন্তু প্রমানিত হই যে, সিরিয়ান বিদ্রোহীরাই এই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের সাথে জরিত এবং এখন অনেকে তা বিশ্বাসও করছে ।
রাশিয়ার কাছে নাকি এর পক্ষে শক্ত প্রমাণও রয়েছে ।
আর এদিকে ইসরাইল আবার সিরিয়ান আল কায়েদা বিদ্রোহীদের আর্থিক ও সামরিক সাহায্য প্রদান করা সমর্থন করে । অর্থাৎ যারা ইসরাইলকে ধ্বংস করে ফেলতে চায়, ইসরাইল আবার তাদেরকেই পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করে ! বিষয়টা কি দাঁড়াল ?
একটা বিষয় পরিস্কার, সিরিয়ায় যাদেরকে সমর্থন দেয়া হয়েছে তারাই এখন ইরাকে গণহত্যা ও দেশটিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে তৎপর । এদিকে অবামা আবার বসে নেই । পার্সিয়ান সাগরের দিকে মার্কিন নৌবাহিনীর Aircraft Carrier যাত্রা শুরু করেছে । ইউএসএ না এই কিছুদিন আগেই ইরাক থেকে তাদের সৈন্য প্রত্তাহার করল ? তারাই না তখন বলল ইরাকি সেনাবাহিনি নিজেদের সুরক্ষায় সক্ষম ? তবে এখন কেনো ইরাকি সেনাবাহিনি তাদের অস্ত্র ও রসদ সন্ত্রাসীদের হাতে ফেলে পালিয়ে যাচ্ছে ? এইসব ফেলে যাওয়া সরঞ্জাম পেয়ে আইএসআইএস সন্ত্রাসীরা তো খুশিই হবার কথা ! শুধু হাম ভি ই না, হেলিকপ্টার, anti-aircraft মিসাইলও রয়েছে এইসব সরঞ্জামের মাঝে ।
এখন এতসব কিছুর মাঝে আমি আম্র চিন্তাভাবনা টা ব্যাক্ত করি । সিরিয়াকে পশ্চিমা বিশ্বের প্রয়োজন যাতে সিরিয়ার উপর দিয়ে সৌদি গ্যাস তুরস্ক হয়ে ইউরোপে পৌছাতে পারে । রাশিয়ার এতে সমস্যা হবে কেননা এতে করে ইউরোপীয়ান বাজারে তাদের জ্বালানির গুরুত্ত কমে যাবে । সৌদি সরকার চায় ইরাক ও ইরান যাতে অস্থিতিশীল হয়ে থাকে যাতে করে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে তাদের আধিপত্য বজায় থাকে । একই সাথে শিয়ারা যাতে অসহায় থাকে যেন মধ্প্রাযচ্চে কোন শক্তি অয়াহাবী দের জন্য হুমকি হয়ে না দাড়ায় । আর মার্কিন সরকারের স্বার্থ হচ্ছে “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” এই ইস্যুতে তারা তাদের বিশাল সামরিক ব্যায় বিজায় রাখতে পারে ও মার্কিন জনগনের নিরাপত্তার খাতিরে মার্কিন জনগনের উপর নতুন নতুন নিয়ম ও আইনকানুন চাপিয়ে দিতে পারে । সর্বোপরি যেন মার্কিন অর্থনীতির পেট্রোডলার সুরক্ষিত থাকে ।
আপনারা কি মনে করেন এই ব্যাপারে ? দয়া করে কমেন্টের মাধ্যমে জানান । ভালো লাগলে প্রিয়তে নিতে ভুলবেন না ।
©somewhere in net ltd.