নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেমন ইচ্ছে লেখার আমার ভার্চুয়াল খাতা!

দিতে পারো একশ ফানুস এনে...আজন্ম সালজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই...

ত্রিনিত্রি

আমি প্রায় প্রায়ই হারিয়ে যাই, এর কারণ রোমান্টিকতা নয়, অলসতা। প্রবল আলস্যবোধের কারণে মাঝে মাঝে নিজেকেই নিজের খুঁজতে ইচ্ছে হয় না।

ত্রিনিত্রি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়ে, একবার তুমি নিজের দিকে তাকাও

১২ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৫১





কেস নাম্বার ১:

কার্ডিওলজীতে ব্যস্ত অ্যাডমিশন ডিউটি সামলাচ্ছি। দিনটাই ছিলো খারাপ, কোন রুগীকেই ভালো আছেন বলে ফেরত পাঠাতে পারছিলাম না। ট্রলিতে করে একটার পর রুগী আসছে, মাত্র দুইজন ডাক্তারের এত রুগী সামলানো একটু কষ্টকরই বটে। সেজন্য নাসরিন (ছদ্মনাম) যখন একটা ইসিজি করে এলো তখন তাকে একটু বসিয়েই রাখলাম। অভিজ্ঞতা বলে ২০-২১ বছরের ছেলে মেয়েরা হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা বুকে ব্যথা বলে পরিবার পরিজনকে ভয় দেখাতে এমনি এমনি চলে আসে। ব্যস্ততার মাঝে এসব রোগ ছাড়া রুগী অসহ্য লাগে। সব কাজ সেরে সবার শেষে আসলাম নাসরিন কে দেখতে। মেয়েটি দেখতে বেশ চমৎকার, হাসি খুশী। কলেজ পর্যন্ত পড়েছে, এর পরই বিয়ে হওয়ায় পড়াশোনা বন্ধ। বয়স ২৩, ইসিজি এক নজরে তেমন কিছু মনে হলো না, অভ্যাস বশত স্টেথোস্কোপ টা বুকে ঠেকাতেই চমকে উঠলাম। হৃদপিন্ড ভয়ংকর শব্দ করে চলেছে, এতই ভয়ংকর যে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে সব শব্দের অর্থ বোঝা অসম্ভব। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “আজকেই প্রথম এলেন? আগে কোন সমস্যা হয়নি?” উত্তরে সে এক বস্তা রিপোর্ট বের করে আমাকে দেখালো। ভালভে সব জাতীয় গন্ডগোল তার ৩ বছর ধরে। প্রেগন্যান্সিতে হার্টের সমস্যা বৃদ্ধি পায়, দ্বিতীয় বাচ্চার সময়েই সে মর মর হয়েছিলো। এখন তৃতীয় বাচ্চা পেটে, আবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে তাই এসেছে। আমার তার ডাক্তারের উপর রাগ হলো। এত খারাপ কেস, ডাক্তারের পই পই করে নিষেধ করে দেয়া উচিত ছিল যাতে আর বাচ্চা না নেয়। বাচ্চা নেয়া তার জন্য সুইসাইডের সামিল। আমি বললাম, “আপনি কি জানেন যে বাচ্চা নেয়ার জন্য আপনার জীবন সংশয় হতে পারে?” সে মাথা নীচু করে বললো, “জ্বী জানি”। হতবাক হয়ে বললাম, “তাহলে?” এবারে পাশ থেকে উত্তর দিলো তার শ্বাশুড়ি, “আগের দুইটা বাচ্চাই তো মেয়ে”। কয়েক মুহূর্ত লাগলো আমার উত্তরটা হজম করতে। সিসিউএর মাঝেই এত জোরে ধমক দিলাম মহিলাকে যে আমার বন্ধু তার রুগী ফেলে দৌড়ে এলো। রাগে কাঁপতে কাঁপতে মেয়েকে বললাম, “তোমার জামাই এর কি মত?” মেয়ে অশ্রু টলমল চোখে বলল, “তারও একই কথা”। আর কোন কথা না বলে আমি তাকে ভর্তি করলাম, শুধু তার শ্বাশুড়িকে একটা কথাই বললাম, “এই মেয়ে যদি জীবিত এই হাসপাতাল থেকে বের না হয়, ডেথ সার্টিফিকেট আমি নিজে লিখবো এবং তাতে লেখা থাকবে, দিস ইজ এ পুলিশ কেস।” শ্বাশুড়ি আমাকে বিশেষ পাত্তা দিলো না, দেয়ার কথাও না। এটা যে বাংলাদেশ তা আমি যেমন জানি, সেও জানে।





কেস নাম্বার ২:

কার্ডিওলজী ইউনিটেই স্যারের সাথে রাউন্ডে ছিলাম। দূর থেকে একটা রোগী দেখিয়ে স্যার প্রশ্ন করলেন, “বলতো ঐ রুগীর কি হয়েছে?” ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম মহিলার বয়স আনুমানিক ৫০, অত্যন্ত দরিদ্র ঘরের। আশে পাশের বাচ্চা গুনে দেখলাম ৪টি। হাপরের মত তার বুক একবার উপরে উঠছে একবার নামছে। লেফট হার্ট ফেইলুর হবার কথা। স্যার শুনলেন, তারপর বললেন, “আর?” আরেকজন ভাইয়া বললেন, আগে থেকে শ্বাসের সমস্যা থাকলে কর পালমোনালি হতে পারে। স্যার বললেন, “তোমরা আর কিছুই দেখতে পাচ্ছ না? দেখতে পাচ্ছ না তার ঐ পাশে যে একটা ছোট বাচ্চা শুয়ে আছে?” তারপরে স্যার রুগী দেখাতে নিয়ে গেলেন। ডিসিএম হয়ে ভয়াবহ অবস্থা। মহিলার বয়স ৪৭। তার স্বামী একটা গার্মেন্টসে চাকরি করে। অক্সিজেন নিয়েও সে শ্বাস নিতে পারছে না, যন্ত্রণাক্লিষ্ট মুখের দিকে চাইলেই বোঝা যায় যে সে নিজেও চাইছে পাকাপাকিভাবে মুক্তি পেতে। এটা তার ৭ নাম্বার বাচ্চা, ৪ নাম্বার বাচ্চার সময়েই তার হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে। ডাক্তারের বারংবার নিষেধ সত্ত্বেও তার স্বামী দিকপাত করে নি। দ্বিতীয় বাচ্চা ছেলে হলেও প্রতিবন্ধী, তাই তার আরেকটি ছেলে চাই ই চাই। গতকালই মহিলা তার স্বামীকে একটি পুত্রসন্তান উপহার দিয়েছে। তার স্বামীর গর্বিত মুখ দেখলাম, পুত্র সন্তান পাওয়া গেছে। এখন মহিলা মরলেও বা কি, দেশে কি আর বিয়ে করার জন্য মেয়ের অভাব?





কেস নাম্বার ৩:

ইন্টার্ণীরত অবস্থায় একবার মাথায় ঢুকেছিলো যে গাইনী এবং ইনফার্টিলিটি মেডিসিন পড়বো। একারনে আমি একজন বিখ্যাত ম্যাডামের ক্লিনিকে কাজ করা শুরু করি। টেস্ট টিউব বেবী ব্যাপারটা আমাকে খুবই ইন্টারেস্টেড করেছিলো। বিকেলের ডিউটিতে আমার কাজ ছিলো রোগীদের ইতিহাস নেয়া। প্রচুর ইনফার্টিলিটি কেসের ইতিহাস নিতে নিতে দেখলাম, ২২-২৬ বছরের মেয়েরাও বাচ্চা না হওয়ার সমস্যায় ভুগে চলে আসছে। এর কারণ অনুসন্ধান করে দেখলাম যে তারা কোন কারনে প্রথম বাচ্চা ডিএনসি বা অন্য কোন উপায়ে নষ্ট করেছিলো। এরপর থেকে আমি গাইনী আউটডোরে যতদিনই বসেছি, কাউন্সেলিং জন্য আসলে আমি স্বামী-স্ত্রীকে বলেছি বাচ্চা ডিএনসি না করতে। একদিন ম্যাডামের রুমে বসে আছি, দেখলাম ৩২ বছরের একটা মহিলা দ্বিতীয় বারের মত ডিএনসি করতে এসেছে। মহিলা তার স্বামীর সাথেই এসেছে, বেশ ভালো অবস্থাপন্ন পরিবার। তার অবশ্য একটি পুত্র সন্তান আছে। আমি তাকে বললাম, “আপনাদের কি আর বাচ্চা নেবার ইচ্ছে আছে?” সে বললো, অবশ্যই। এটা শুনে ম্যাডাম বেশ বিরক্ত হলেন। বললেন, “তাহলে আপনারা আবার বাচ্চা নষ্ট করতে চান কেন? আল্লাহর দান আপনারা স্বীকার করেন না কেন? একবার ডিএনসি করা হয়েছে, আরেকবার করলে যে আপনার আর বাচ্চা নাও হতে পারেন তা জানেন?” উত্তরে মহিলা বললো, তার শ্বশুড় বেশ অসুস্থ। অন্য কেউ ক্লিনিকে দৌড়াদৌড়ি করতে চায় না, সপ্তাহের ৭ দিনই তাকেই ক্লিনিক আর ঘর সব সামলাতে হয়। এ অবস্থায় প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলে তিনি শ্বশুড়ের যত্ম নিতে পারবেন না। ম্যাডাম রেগে বললেন, “আর কেউ নাই?” স্বামী কাঁচুমাচু করে বললো, “আমার ভাই বোন গুলি আসলে ঠিক দায়িত্ব নিতে চায় না।যদিও আমার সাথে থাকে একটা ছোট ভাই আছে, তারপরেও”। ম্যাডাম অনেক বুঝিয়েও, ডিএনসির অনেক কমপ্লিকেশন বলেও তাদের নিরস্ত করতে পারলেন না। মহিলা তার নিজের স্বাস্থ্যের চেয়ে তার পরিবারের দেখভাল করাকেই বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে করলো।





কেস নাম্বার ৪:

হাসপাতালে একটু কাজ বেশী থাকায় সেদিন বেরুতে দেরী হয়ে গিয়েছিলো। লাঞ্চ না করেই দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লিনিকে গেলাম। গিয়েই শুনলাম একটা ডিএনসি হচ্ছে ওটিতে, আমি যেন পেশেন্ট ফলো আপ করি। ম্যাডাম ব্যস্ত ছিলেন, কাজ শেষ করেই বেরিয়ে গেলেন, আমি রুগীর ঔষধপত্র লিখতে শুরু করলাম। হঠাৎ তাকিয়ে দেখি একটা মহিলা পাশে এসে বসে আছে, আমি ভাবলাম রুগীর লোক। লেখা শেষ করে ডিসচার্জ নোট দিতে গিয়ে দেখলাম মহিলার হাতে ক্যানুলা করা। পরে বুঝলাম এই মহিলারই ডিএনসি হয়েছে মিনিট পনের আগে। হায় হায় করে তাড়াতাড়ি বললাম তাকে বিছানায় শুয়ে পড়তে। মহিলা নাছোড়বান্দা, সে ডিসচার্জ পেপার নিয়ে এখনি চলে যাবে। আমি তার ব্লাড প্রেশার আর অন্যান্য চেক করে দেখলাম নরমালের একটু নীচে। তাকে বারবার বললাম তাকে বিশ্রাম নিতেই হবে, মাত্র একটা অপারেশন হয়েছে। নতুবা আমি ডিসচার্জ পেপার দেবো না। মহিলা আমাকে কাতর অনুরোধ জানালো যে তার বাচ্চার কোচিং আছে, তাই ৪০ মিনিটের মাঝে বাসায় পৌঁছাতেই হবে। আমি অবাক হয়ে বললাম, “আপনার স্বাস্থ্য বেশী গুরুত্বপূর্ণ না বাচ্চার একদিনের কোচিং? আপনার তো সাথে গাড়িও নাই, রিক্সা করে যে ঝাঁকুনি সহ্য করে যাবেন, ব্লিডিং শুরু হলে সেটা সামলাবেন কি করে?” মহিলার এক কথা, সে খুবই শক্ত, তার কিচ্ছুই হবে না। সে লুকিয়ে এসেছে ডিএনসি করতে, কারন তার বাসায় এখন দেবরের ভার্সিটির পরীক্ষা, ননদের ইন্টার পরীক্ষা, এক বাচ্চার জ়েএসসি না কি পরীক্ষা, আরেক বাচ্চার কোচিং- এখন সে প্রেগন্যান্ট হলে এদের পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হবে। নিজের যা ইচ্ছা হোক, কারো পড়াশোনার ক্ষতি করা যাবে না।





উপরের কেসগুলোর মত, বা এগুলোর চাইতেও হাজার গুণ খারাপ উদাহরন আমাদের আশে পাশেই ছড়িয়ে আছে। প্রথম যখন ইন্টার্ণী শুরু করি, তখন ভাবতাম যে দরিদ্র আর অশিক্ষিত মেয়েরাই এসবের বেশী শিকার হয়। এখন জানি, শিক্ষা অশিক্ষা বলে কিছু নেই, সব জায়গার অবস্থাই একরকম, শুধু বাহ্যিক খোলসটারই পার্থক্য। আমার এক বন্ধুর কথা জানি, যে সারাজীবন মেডিকেলের সব পরীক্ষায় চরম ভালো রেজাল্ট করেও বিয়ের পর পড়াশোনা জলাঞ্জলি দিতে বাধ্য হয়েছে। সে তার পছন্দের সাবজেক্ট ছেড়েছে তার স্বামীর সুবিধার জন্য, ট্রেনিং ছেড়েছে কারন তাতে পয়সা আসে না, পড়াশোনা ছেড়ে ক্লিনিকে চাকরি নিয়েছে যাতে তার ডাক্তার স্বামী পড়াশোনা চালাতে পারে। এত কিছু করেও তার স্বামী আর শ্বাশুড়ির মন ভোলাতে পারেনি, ডিভোর্স ঠেকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেও সে এখন তাতে ব্যর্থ। এসবের জন্য দায়ী কে? অবশ্যই আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, যে সমাজ নারী-পুরুষ উভয়ের সম-শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হলেও, সেই শিক্ষার ব্যবহার সম্পর্কে এখনো উদার হতে পারেনি। যতই আমরা একবিংশ শতাব্দী বলে গলা ফাটাই না কেন, এখনো এখানে নারীর জীবনের চেয়ে একটি পুত্রসন্তান অধিক কাম্য আর নারীর স্বাস্থ্যের চেয়ে তার পরিবারের আর সকলের দেখভাল করাই বেশী গুরুত্বপূর্ণ।





মেয়ে, অনেক হয়েছে, এখন একবার তোমার নিজের দিকে তাকাও। তুমি যদি তোমার অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হও, কেউ তোমাকে তা এগিয়ে দেবে না। হিন্দি সিরিয়ালের নায়িকাদের মত দয়া করে চুপ করে থেকো না, আল্লাহ তোমাকে জিহবা দিয়েছে কথা বলার জন্য। কথায় আছে, বাচ্চা না কাঁদলে মাও নাকি দুধ খাওয়াতে ভুলে যায়। তাই তুমি তোমাকে জানো, শক্ত হও। পথ অনেক কঠিন, আর তুমি তোমার পরিবার পরিজনের ভালোর চিন্তায় অনেক দুর্বল, তারপরেও, অন্তত একটি বার তুমি নিজেকে মেয়ে বলে না ভেবে মানুষ বলে ভাবো। তুমি যদি ভালো থাকো, অবশ্যই তোমার আশে পাশের সবাইও ভালো থাকবে।

মন্তব্য ২৫২ টি রেটিং +৯৯/-০

মন্তব্য (২৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৫৫

পাগলাঘোড়াসিটিজি বলেছেন: ১ম


কাল শিখলাম এইটা :#) :#)

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: হু, ১ম হতে পারলে অনেক ভালো লাগে না? :)

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৫৯

বিলুপ্ত বৃশ্চিক বলেছেন: অন্তত একটি বার তুমি নিজেকে মেয়ে বলে না ভেবে মানুষ বলে ভাবো। তুমি যদি ভালো থাকো, অবশ্যই তোমার আশে পাশের সবাইও ভালো থাকবে।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :(

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১১

পাগলাঘোড়াসিটিজি বলেছেন: মেয়ে হলেই ছেলে দরকার এ হীন চাহিদাটা বেশি দেখা যায়া মেয়েদরই, মানে শাশুড়ী ননদরাই বেশি এই বিষয়টা নিয়ে ঝামেলা পাকায়। এরকম উদাহারন ভুড়ি ভুড়ি আমাদের চার পাশে।



সুন্দর পোষ্ট তবে।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: এটা ঠিক, অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েরাও মেয়েদের ব্যাপারে কম বোঝে। এই মানসিকতা পরিবর্তনের উপায় কি?

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
কাজের পোস্ট মনে হচ্ছে :)

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: কাজের আসলে না, সবারই জানা ঘটনা!

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৮

আসফার বলেছেন: অসাধারন! :)

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৬

জেমসবন্ড বলেছেন:
খুব খারাপ লাগলো । সত্যি খারাপ লাগলো । পুরুষ যখন পুরুষ নয় , নারী যখন নারীর প্রতি সহিংস , আর নারী চরম দুর্বলতাই এ অবস্হার কারণ ।

নারীকে জাগানো যাবেনা , যদি না পুরুষ তার পাশে দাড়ায় ।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: তবে সবার আগে নারীকেই তার অধিকার সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৯

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: পুরোটা পরতে পারলাম না,
ইফতারি সেরে পুরোটা পরে নেবো....:)

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আচ্ছা! :) ইফতারি কেমন করলেন?

৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ১ নং কেসটা পড়ে এত মন খারাপ হল যে বাকিগুলি আর পড়লাম না। দুঃখিত।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :( ঘটনাগুলো মন খারাপকর, তারচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে, এসব ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ৩ এবং ৪ নং কেসটা পড়লে দেখতেন মেয়েদের নিজেদের মানসিকতাই এমন হয়েছে যেন তারা মানুষই নয়। সবার শেষে আসবে তাদের কথা।

৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩১

বোকা ছেলে বলেছেন: অন্তত একটি বার তুমি নিজেকে মেয়ে বলে না ভেবে মানুষ বলে ভাবো।
আমাদের সমাজটাই মেয়েদের এভাবে ভাবতে শেখায় না। তুমি ‘মেয়ে’ এই মানসিকতায় মেয়েদের বড় করা হয়। এটা পারবে না, ওটা পারবে না- এসব বলেই তাদের পিছিয়ে রাখা হচ্ছে। অবশ্যই শিক্ষার অভাবই এর একটা বড় কারণ। এ সমাজে শিক্ষিত নারীরাও পুরুষতন্ত্রের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য নিজেদেরকে বিকিয়ে দিতে বাধ্য হয়।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: শিক্ষার অভাব একটা কারন, তার চেয়েও বড় কারন যারা শিক্ষা পেয়েছে, তাদের সচেতনতা অথবা শিক্ষার প্রয়োগের অভাব।

১০| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩২

রাজকন্যে বলেছেন: এই না হলে সর্বসহা। শারাটা জীবন ই মেয়েরা এভাবে নিজেদের বঞ্ছিত করে যায়। আর কত!

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: হাজার বছর ধরে যে মানসিকতা গড়ে উঠেছে, তা ভাংতে মনে হয় আরো সময় লাগবে। :(

১১| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শাহরিয়ার কবির ড্যানি বলেছেন: ভালো লাগলো, আলট্রাসোগ্রাফি ওয়ারড এ পড়ার সময়, দেখছি এক মহিলা আসছে ( কলেজের টিচার) চেক করতে , উনার অলরেডি ৩ টা মেয়ে আছে, এর পরেও আরেক টা বাচ্চা নিছে, আবার মত বদলায়ে ক্লিনিক এ ভর্তি হইছিল সমস্যা মিটায় ফেলতে এখন দেখতে আসছে মিটছে কিনা


মেয়েরা যতই শিক্ষিত হোক, নিজের বিষয়ে নিজে ডিসিসন নিতে না পারলে লাভ কি হইল এত দুর পড়াশুনা করে? আমার এক ফ্রেন্ড রে বাপ মা , এই পরিক্ষার আগে বিয়ে দিছে , কারন ওর ভাই বিদেশ চলে যাচ্ছে /:)

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আজকাল ডিভোর্সের হারও অনেক বেড়ে যাচ্ছে, এর পিছনে এই জোর করে বিয়ে দেয়া অথবা অসময়ে বিয়ে দেয়া একটা বড় কারন।

নিজের ডিসিসন মেয়েরা তো কখনোই না, ছেলেরাও আমাদের দেশে মাঝে মাঝে নিতে পারে না। আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটাই এমন, যে সবই মুরুব্বিরা ঠিক করে দেন।

১২| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪১

আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন: ভাল লিখেছেন অনেক কিছুই জানতে পারলাম যদিও প্রতিটা ঘটানর পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক ফোটা অশ্রু।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নীরব 009 বলেছেন: বেশ সুন্দর একটা পোস্ট। কত অজানা কারনও যে থাকতে পারে ডিএনসি করার পেছনে তা আপনার পোস্ট না পড়লে জানতে পারতাম না। সমস্যাগুলো এতো প্রকট হয়ে গেছে যে হয়তো কেউ ভাবতেই পারে না এটা সমস্যা। এগুলো হয়তো সবার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে অথবা চিরাচরিত নিয়ম মেনে নিয়ে হয়তো সবাই এ ধরনের অন্যায় আবদার পূরণ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।


অন্তত একটি বার তুমি নিজেকে মেয়ে বলে না ভেবে মানুষ বলে ভাবো।
সহমত।

ভাল লাগা রেখে গেলাম।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: কিন্তু কারণ গুলো এত সিভিয়ার না যে তার জন্য ডিএনসি করে ফেলতে হবে। আমার এটা ভেবেই কষ্ট লেগেছে যে মহিলারা তাদের পরিবারের কথা ভাবতে ভাবতে এটাই ভুলতে বসেছে যে তাদেরো যে ইচ্ছা অনিচ্ছা বলে কিছু আছে।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫১

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: sticky........kore rakhlam..........
Tobe kisu q ase...pore disscuss korbo....

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আচ্ছা!

১৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: সরি, আগের কমেন্টে টাইপিং মিস্টেক ছিল। কেমন এর জায়গাতে কেমনে হবে।

মানসিকতার পরিবর্তন করবেন কেমনে? শিক্ষায় আর কাজ হচ্ছে না।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আগের কমেন্টটা তাই মুছে দিলাম।

ভালো প্রশ্ন করেছেন কিন্তু উত্তর নেই। আমারো একি প্রশ্ন, মানসিকতার পরিবর্তন হবে কি করে!

১৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: " হিন্দি সিরিয়ালের নায়িকাদের মত দয়া করে চুপ করে থেকো না, আল্লাহ তোমাকে জিহবা দিয়েছে কথা বলার জন্য। কথায় আছে, বাচ্চা না কাঁদলে মাও নাকি দুধ খাওয়াতে ভুলে যায়। তাই তুমি তোমাকে জানো, শক্ত হও। পথ অনেক কঠিন, আর তুমি তোমার পরিবার পরিজনের ভালোর চিন্তায় অনেক দুর্বল, তারপরেও, অন্তত একটি বার তুমি নিজেকে মেয়ে বলে না ভেবে মানুষ বলে ভাবো। তুমি যদি ভালো থাকো, অবশ্যই তোমার আশে পাশের সবাইও ভালো থাকবে। "

মাশাল্লাহ আপু ভালো একটা কম্পেয়ার করেছ ....:)

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:০০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! :)

১৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০১

সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: খুব খারাপ লাগল।
পরিবারের জন্য অবদান থাকা চাই,কিন্তু এত ছোট কারনে নিজের জীবন সংশয়ে ফেলা,ছোট ছোট বাচ্চাদের জীবন অনিশ্চয়তায় ঠেলে দেওয়া কারো কাছেই কাম্য নয়।
আর যাদের হাসবেন্ড রা বুঝেও না বুঝার চেস্টা করে তাদের কথা বলে কোন লাভ নেই।
আসলে মেয়ে ছেলে হিসেবে বিবেচনা না করে মানুষ হিসেবেই সবাইকে বিবেচনা করা উচিত।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:০১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আসলে মেয়ে ছেলে হিসেবে বিবেচনা না করে মানুষ হিসেবেই সবাইকে বিবেচনা করা উচিত।

সহমত!

১৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৪

পটল বলেছেন:

মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। লোকদেখানো সব কাজে নিজেদের সপে দিয়ে আত্মতৃপ্তিতে ভুগার চেষ্টা যে নিতান্তই সমাজে বিষফোড়ার মতো জমছে, সেটা আর কেউ দেখছে না।

পোস্টটা শেয়ার দিলাম ফেসবুকে। ধন্যবাদ

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:০৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আপনার লাইনটা মাথায় গেঁথে গেলো। লিখতে গিয়ে আমারো মনে হচ্ছিলো, যে সব কারনে মহিলা দুইজন ডিএনসি করতে এসেছিলেন, কারণ গুলি কি এত গুরুত্বপূর্ণ? যদিও তাদের পরিবারের মাঝে তাদের কি অবস্থা আমি জানি না, কিন্তু আরেকজনের টেক কেয়ার করতে গিয়ে বাচ্চা নষ্ট করাটা কতটা লজিকাল??

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৭

জোম্বি বলেছেন: আশ্চর্য !!!! এসব আপনি সহ্য করেন কিভাবে? আমি হলে মারামারি লাগায় দিতাম। ৩ নং কেসের স্বামীটাকে কষে একটা লাথ্থি দিতাম। ভাই-বোনরে পাঠাতে পারেনা বাপের দেকাশুনা করতে তো বউরে বলির পাঠা বানায় ফেলল!!!!!

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:১৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: মারামারি করবো? হাহাহা, কি বলেন ভাই! ডাক্তার হয়ে মারামারি করলে পেপারে উঠে যাবে যে, তখন তো এই সামুতেই পোস্ট আসবে, "ডাক্তারদের জঘন্য ব্যবহারে মার খেলেন একজন রোগীর অসহায় স্বামী"। :P :P :P

১ আর ২ নং কেসে স্বামীটাকে লাত্থি মারাই উচিত। ৩ নং কেসের স্বামীর সাথে কথা হয়েছে, তাকে যথেষ্টই আনকমফরটেবল আর অনিশ্চিত মনে হয়েছে, একবার তাকে বলতেও শুনলাম, তাহলে থাক, বাচ্চা থাক। তার পার্সোনালিটির অভাব, তাই সে শক্তভাবে তার স্ত্রীর সাথে থাকতে পারেনি।

২০| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৯

মনে নাই বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে যায় এসব কাহিনী দেখলে, যদিও আমাদের সামনেই ঘটছে তারপরও কিছু করার নেই।
আমাদের গ্রামে ১ লোকের কারনে বাচ্চা হচ্ছেনা, কিন্তু সেই লোকের মা, মানে মহিলার শ্বাশুড়ী তার ছেলেকে আবার বিয়ে দিয়ে নাতির মুখ দেখতে চান, কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে শ্বাশুড়ীটাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বিয়েটা ঠেকানো গেছে। আমার মনে হয় মেয়েরাই মেয়েদের বড় শত্রু, বিশেষ করে ননদিণী আর শ্বাশুড়িনী, স্বামীকে বোঝানো গেলেও মহিলাদেরকে মানানো যায় না।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:১৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: হুমম, আপনি যদি কিছু বলতে যান, তাহলে আপনাকে মুখের উপর বলে বসবে আমাদের ঘরের মামলায় আপনার কি?

আসলেই কি করা উচিত জানি না!

২১| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১২

অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: শিক্ষার গুরুত্বটা তাহলে আর থাকলো কোথায় ?? আমি ভেবেছিলাম এইসব থেমে গেছে কিন্তু এখনো এমন মানুষ আছে আজ জানলাম । সরকারকে নতুনভাবে আইন প্রণয়ণ করা উচিত । অনেক সচেতনতামূলক একটা লিখা ।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:১৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: সরকার তো আইন প্রনয়ন কম করেনি, বরং যা আছে তার যদি বাস্তব প্রতিফলন হয়, তাতেই চলবে। আইন তো আইনের জায়গায় আছে, কে মানে তা?

তবে সমস্যা হচ্ছে, ভালো করে খতিয়ে দেখলে এদের কেউই আইন ভঙ্গের মাঝে পড়বে না। ঐ মহিলা নিজের জীবন সংশয় জেনেও স্বামী শ্বাশুড়ির কথায় বাচ্চা নিয়েছে, এমন কিন্তু না যে স্বামী বা শ্বাশুড়ি গায়ে হাত তুলেছে। যেখানে শারীরিক আঘাতের বিচারই হয় না, মানসিক আঘাত কে দেখবে?

মানসিকতার পরিবর্তন এবং মানবিকতা ছাড়া উপায় নেই এই সমস্যা সমাধানে।

২২| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৭

ইন্জিনিয়ার জনি বলেছেন: আপনার এই লেখায় আবহমান বাংলার প্রতিচ্ছবি ফুঠে উঠেছে, হয়তো একদিন আপনার এই লেখা সার্থ্বক হবে যবে সব নারী সচেতন হবে, তাদের নিজেদের অধিকার নিজেরা আদায় করে নিতে শিখবে, শুধু পুরুশের গলগ্রহ হয়ে থাকবে না।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ইনশাল্লাহ।

২৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২০

নিঃসঙ্গ নির্বাসন বলেছেন: ভয়াবহ।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :(

২৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২

কাউসার রুশো বলেছেন: শিক্ষা অশিক্ষা বলে কিছু নেই, সব জায়গার অবস্থাই একরকম, শুধু বাহ্যিক খোলসটারই পার্থক্য।

নির্মম সত্য

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :(

২৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩

কাউসার রুশো বলেছেন: মেয়ে, অনেক হয়েছে, এখন একবার তোমার নিজের দিকে তাকাও। তুমি যদি তোমার অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হও, কেউ তোমাকে তা এগিয়ে দেবে না। হিন্দি সিরিয়ালের নায়িকাদের মত দয়া করে চুপ করে থেকো না, আল্লাহ তোমাকে জিহবা দিয়েছে কথা বলার জন্য। কথায় আছে, বাচ্চা না কাঁদলে মাও নাকি দুধ খাওয়াতে ভুলে যায়। তাই তুমি তোমাকে জানো, শক্ত হও। পথ অনেক কঠিন, আর তুমি তোমার পরিবার পরিজনের ভালোর চিন্তায় অনেক দুর্বল, তারপরেও, অন্তত একটি বার তুমি নিজেকে মেয়ে বলে না ভেবে মানুষ বলে ভাবো। তুমি যদি ভালো থাকো, অবশ্যই তোমার আশে পাশের সবাইও ভালো থাকবে।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে আমরা জেনেও অনেক সময় ঠিক কাজটা করতে পারিনা।

২৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৬

কাউসার রুশো বলেছেন: সামু ব্লগে মন খারাপ করা একটা পোস্টের তালিকা করলে এ পোস্টটা খুব উপরের দিকে থাকবে । কিছূ কিছু জায়গা মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। আমরা আসলে এখনো পশু রয়ে গেছি। জানি না কখনো মানুষ হতে পারবো কিনা....................

পোস্টটা স্টিকি করা হোক

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: এই পোস্ট স্টিকি করে কোন লাভ নাই, আমাদের দরকার আমাদের মন মানসিকতার উন্নতি সাধন। কি করে উন্নতি সাধন করা যাবে, সে বিষয়ে পোস্টে আসলে কিছু বলা নেই। অনেক ভেবেও অল্প কথা কি লিখবো বুঝতে পারিনি। ৩ আর ৪ নং উদাহরনটা দেখুন। এই কারণে বাচ্চা নষ্ট করার কোন যৌক্তিকতা কি আছে?

পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। যদিও মন খারাপ করাতে চাইনি। শুধু জানাতে চেয়েছি কাছ থেকে দেখা কিছু ঘটনা।

২৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০

নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: আমাদের নারী জাগরন সীমাবদ্ধ হয়ে আছে কর্পোরেট জগতে শরীর দেখানো সুন্দরী বের করার জন্য নির্বোধ কিছু মেয়েকে নিয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করার মধ্যে। কিভাবে আপনি এদেশের মেয়েদের জাগাবেন? এখানে সমাজের এক অংশ মেয়ে সন্তানের বদলে ছেলে সন্তান পেতে উদগ্রীব আর আরেক অংশে নব্য নারী জাগরনের ব্যবসায়ীরা উদগ্রীব মেয়েদের পন্য বানানোর জন্য। কিন্তু শিক্ষা, আত্বনির্ভরশীলতা , সিদ্ধান্তে অংশগ্রহন এগুলো! হাহ, দিল্লী বহুত দূর। শহুরে শিক্ষিতরা ব্যস্ত হিন্দি সিরিয়ালের নোংরামি নিয়ে, উচ্চবিত্ত শ্রেনী ব্যস্ত নিত্য-নতুন বিকৃত নারী নির্যাতন নিয়ে আর সমাজের অনগ্রসর অংশ ব্যস্ত নারীকে পুড়িয়ে-পিটিয়ে মারাতে। কি করবেন? কিভাবে জাগাবেন এই মেয়েদের? যখন শাশুড়ী নিজেও একজন মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ের জীবনের শত্রু হয় দাঁড়ায় , তখন কি করার থাকে?????????? যে সমাজে কোন নৈতিকতার শিক্ষার এতটা অধঃপতন হয় , সেখানে আপনার কথাগুলো নির্মম সত্য হলেও অরন্যে রোদন মাত্র। তবুও আশা করি একদিন এই সমাজের, আমাদের পরিবর্তন হবে। সেদিন মেয়েরা ও নিজেদের মানুষ হিসেবে ভাবতে শিখবে। অনেক ধন্যবাদ এরকম একটা লেখার জন্য।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২৭

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আপনার বলিষ্ঠ কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

সমাজের নৈতিকতার যে চরম অধঃপতন হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, নতুবা সীসা লাউঞ্জ গুলো এত কানায় কানায় পূর্ণ থাকতো না, আর পেপারেও রোজ বউ পিটানো বা সামান্য কারনে বন্ধু, ভাই আর শিশু হত্যার মত খবর আসতো না।

২৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫০

নীল-দর্পণ বলেছেন: খারাপ লাগে এসব শুনলে। আসলে বাঙ্গালী মেয়েদের মাঝে খুব একটা তফাৎ নেই, কি শিক্ষিত কি অশিক্ষিত...সবাই এক...

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু।

২৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

আপনি মন খারাপ করে দেন কেন?

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: কি করবো? মন খারাপ করা ঘটনাই যে বেশী ঘটে।

৩০| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নিরুদ্দেশ বলেছেন: হে নারী, আর কত পরীক্ষা দিতে হবে তোমায়?
তবুও মেলে না পৃথিবীর আলো-হাওয়ার
শ্বাস নেবার অধিকার.........

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৩২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: হে নারী, আর কত পরীক্ষা দিতে হবে তোমায়?
তবুও মেলে না পৃথিবীর আলো-হাওয়ার
শ্বাস নেবার অধিকার.......

:(

৩১| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:০৩

নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: নিজেদের বিলিয়ে দেওয়াতে কি সুখ মেলে? আমি আমার মা কে দেখেছি। সারাদিন খাটছেন। সারাদিন রান্নাঘর। কাজের লোক রেখেও মা কে রান্নাঘর থেকে বের করতে পারিনা।

মেয়ে, তুমি সুখে থাকো, ভালো থাকো। দেখবে, তোমার চারপাশের সবাই ভালো আছে। তোমার আত্ববিসর্জনে, তোমার সন্তানেরা কখনোয় সুখী হবেনা।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৩৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: বিলিয়ে দিয়ে হয়ত সুখ মেলে, সন্তানের জন্য কাজ করে সুখ পান না, এমন মা নেই। তবে, বিলিয়ে দেয়ারও একটা লিমিট আছে। মারা যদি ভালো না থাকেন, তবে কি করে তার পরিবার ভালো থাকবেন?

অনেক ধন্যবাদ।

৩২| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:০৩

শশী হিমু বলেছেন: ভালো লিখেছেন আপু।

অনেক কিছু জানলাম, আপনি না লিখলে হয়ত অজানা থেকে যেত!

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৩৭

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ শশী।

৩৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:১২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম, কঠিন বাস্তবতা !! কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছি না !! :| :| :|

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৩৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :( :(

৩৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৩০

আর.এইচ.সুমন বলেছেন: অন্তত একটি বার তুমি নিজেকে মেয়ে বলে না ভেবে মানুষ বলে ভাবো। তুমি যদি ভালো থাকো, অবশ্যই তোমার আশে পাশের সবাইও ভালো থাকবে।


এই বোধ টুকু জন্মালে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে !!

অনেক কিছু জানলাম । ধন্যবাদ আপু !!

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৪৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ সুমন।

৩৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৩৩

েপচাইললা বলেছেন: নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: আমাদের নারী জাগরন সীমাবদ্ধ হয়ে আছে কর্পোরেট জগতে শরীর দেখানো সুন্দরী বের করার জন্য নির্বোধ কিছু মেয়েকে নিয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করার মধ্যে। কিভাবে আপনি এদেশের মেয়েদের জাগাবেন? এখানে সমাজের এক অংশ মেয়ে সন্তানের বদলে ছেলে সন্তান পেতে উদগ্রীব আর আরেক অংশে নব্য নারী জাগরনের ব্যবসায়ীরা উদগ্রীব মেয়েদের পন্য বানানোর জন্য। কিন্তু শিক্ষা, আত্বনির্ভরশীলতা , সিদ্ধান্তে অংশগ্রহন এগুলো! হাহ, দিল্লী বহুত দূর। শহুরে শিক্ষিতরা ব্যস্ত হিন্দি সিরিয়ালের নোংরামি নিয়ে, উচ্চবিত্ত শ্রেনী ব্যস্ত নিত্য-নতুন বিকৃত নারী নির্যাতন নিয়ে আর সমাজের অনগ্রসর অংশ ব্যস্ত নারীকে পুড়িয়ে-পিটিয়ে মারাতে। কি করবেন? কিভাবে জাগাবেন এই মেয়েদের? যখন শাশুড়ী নিজেও একজন মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ের জীবনের শত্রু হয় দাঁড়ায় , তখন কি করার থাকে?????????? যে সমাজে কোন নৈতিকতার শিক্ষার এতটা অধঃপতন হয় , সেখানে আপনার কথাগুলো নির্মম সত্য হলেও অরন্যে রোদন মাত্র। তবুও আশা করি একদিন এই সমাজের, আমাদের পরিবর্তন হবে। সেদিন মেয়েরা ও নিজেদের মানুষ হিসেবে ভাবতে শিখবে। অনেক ধন্যবাদ এরকম একটা লেখার জন্য।

সহমত নাহিয়ান

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৪৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: হুমম।

৩৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৫০

সুরঞ্জনা বলেছেন: সমাজ সচেতনামুলক পোস্ট। অসাধারন!!!

হায় মেয়ে!!! তুমি মানুষ হবে কোন জনমে?

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:০৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য! কিন্তু আপনার প্রশ্নের উত্তর যে নেই। :( :( :(

৩৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:২৪

মোঃ গোলাম কিবরিয়া বলেছেন: আমার অনেক বন্ধু আছে মেডিকেল এ থার্ড ইয়ার এ পড়ে । অদের কারো কারো বিয়ে দেয়ার জন্য বাবা মা উঠে পড়ে লেগেছে। অথছ ওরা খুব ভাল ছাত্রী বলেই মেডিকেল এ পড়ে তাই না। মেডিকেল এর ৩য় বর্ষের মেয়েদের নাকি খুব ভাল জায়গায় বিইয়ে দেয়া যায় তাই বাবা মায়ের এই তাড়াহুড়া। অথচ আমার ফ্রেন্ড রা সেই স্কুল থেকে মেডিকেল সব যায় গায় আমাদের মানে অন্য ছেলেদের থেকে ভাল রেজাল্ট করে আসছে নিয়মিত। আমার কোন ফ্রেন্ড ই বিয়েতে আগ্রহি নয়, অন্তত এম্বিবিএস পাস না করে নয়। সবার বাবা মাই যে এমন টা বলছি না। তবে অনেকেই মেয়ে কে ভাল জায়গায় পড়ায় ভাল বিয়ে দেয়ার জন্য। আপনার লেখাটা অসাধারন হইছে। প্লাস এবং প্রিয়তে ।

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৪৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

এই জোর করে বিয়ে দেয়ার ফলটা খুব বেশী ভালো হয় না। তবে সমস্যা হচ্ছে শেষ প্যারার আগের প্যারা টা পড়লে দেখবেন আমার এক বান্ধবীর কথা লিখেছি যে সব মেডিকেলের মত জায়গায় সব পরীক্ষায় উপরের দিকে থাকার পরে এবং ডাক্তারের সাথে বিয়ে হবার পরও কি অবস্থা হয়েছে। এই অবস্থা আমাদের কারো কাম্য না, এবং সেটা যাতে না হয়, সেকারনে মেয়েদের সচেতন হতে হবে, এবং স্বামী এবং শ্বশুড়বাড়ির মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।

আবারো ধন্যবাদ।

৩৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৪৬

মুখোশে ঢাকা আমি মুকিত বলেছেন: আমরা যতই শিক্ষিত হইনা কেন, আমাদের মানষিকতার কোন পরিবর্তন আমরা ঘটাতে পারিনি। খুব খারাপ লাগে এসব দেখলে।
পোষ্ট ভালো লেগেছে।


বস আপনি ডাক্তার ? :)

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:০৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: সর্বনাশ! এটা কিসের ছবি! মানে, এই ছবি দিয়ে কি হবে? B:-)

হু, ডাক্তার তো। অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৩৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:২৬

সুদীপ্ত কর বলেছেন: হতা্শ পুরাই হতাশ। আর কত আত্মত্যাগ????

১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৪৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :( :(

৪০| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫১

অচেনা রাজ্যের রাজা বলেছেন: এই রকম কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতার চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।


অন্তত একটি বার তুমি নিজেকে মেয়ে বলে না ভেবে মানুষ বলে ভাবো।

স হ ম ত

পোষ্টে যথারীতি প্লাস !

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:১১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪১| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫৬

অহন_৮০ বলেছেন: আমরা আমাদের কে শিক্ষিত বলে দাবী করি কিন্তু আমরা কি আসলেই সু শিক্ষিত???? খুব ভালো একটা পোষ্ট হইছে.....অনেক ধন্যবাদ

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:১৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: প্রমথ চৌধুরী একটা চমৎকার বাণী দিয়ে অমর হয়ে আছেন, সুশিক্ষিত ব্যক্তি মাত্রই স্বশিক্ষিত। এটাই আমাদের সমস্যা, আমরা কাগজে কলমে শিক্ষিত, কিন্তু আত্মার উন্নয়ন হয়নি এক বিন্দু।

অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৪২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:০৩

সেলিনা11 বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো পড়ে :( :( :(

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:১৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :( :(

৪৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:০৪

শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
সামাজিকতার নামে এতসব ত্যাগ স্বীকার করে নারীদের প্রাপ্তির খাতা যখন শূন্য হয় তখন নিজেদেরকেই হীন মনে হয়।

পোস্টের জন্য প্লাস।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:১৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৪৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:০৬

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন আপু । আমাদের সমাজের সমস্যা, আমাদের নানা অবক্ষয় ইত্যাদি যত কথাই আমরা বলি না কেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ মহিলাদের স্বাস্থ্যগত অসচেতনতাও কম দায়ী নয় । আমার দেখা (নিকটজনের মধ্যে ) মধ্যবয়সী অনেকেই একটু রোগটা কমতির দিকে থাকলেই অষুধ খেতে চান না । স্বামী সন্তানকে খাওয়াতে গিয়ে আয়রনের অভাবে অ্যানিমিয়ায় ভোগেন, সারাদিন ঘরের কাজ শেষের ফল শ্বাসকষ্ট - এক বারো ভাবতে দেখিনা, তারা নিজেরাও মানুষ, কোন রোবট নয় ।

আর গ্রামাঞ্চলের বা স্বল্পশিক্ষিত নারীদের জন্য গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মীরা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিলেন । তাদের মোটিভেশন এবং প্রগ্রেস মনিটর করা হলে তারা ব্যাপক অবদান রাখতে পারতেন । কিন্তু সে প্রোগ্রাম কেন যে বাতিল হল বুঝলাম না ।

অনেক ভাল লিখেছেন

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: প্রোগ্রাম বাতিল নাকি??? সেটা তো জানি না! সে কি! কবে হলো? উনারা কিন্তু আসলেই অনেক কাজের ছিলেন, অ্যাট লিস্ট জন্মের সময় যদি স্টেরাইল জিনিস পত্র ব্যবহার করা যায় তাতেও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে অর্ধেক করে ফেলা যায়। আসলে ভালো কিছুই হয়ত কারো পছন্দ না!!

অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৪৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:২৭

কথক পলাশ বলেছেন: ত্রিনিত্রি, শুরু করতে হবে সেই প্রথম থেকে। ছোটবেলায় হাতে খেলনা হাঁড়ি-পাতিল ধরিয়ে দিয়ে প্রথম বিভেদটা করা হয়। ছেলেদের কিনে দেয়া হয় পিস্তল কিংবা ফুটবল/ক্রিকেট ব্যাট।

তারপর থেকে দুজন শিশুর ভেতরে ছেলে-এবং মেয়ে জন্ম নেয়, জন্ম নিয়ে হাঁড়িপাতিল আর পিস্তল হাতে নিয়ে দুজন হাঁটা ধরে উলটো পথে।

তোমার কেস স্টাডি পড়ে মন খারাপ হলো। শুনতে খারাপ লাগলেও বলি, এই সব মেয়ের পশু জামাই গুলোর কোন পার্মানেন্ট ব্যবস্থা করা যায় না! শখ মিটে যেতো!

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন পলাশ ভাই। নিজেদের একটা ঘটনা বলি, ছোট বেলা থেকেই আমার পুতুল পছন্দ, কিন্তু আমার ছোট বোন পুতুল টুতুল দুই চোখে দেখতে পারতো না। তার প্রধান পছন্দ ছিলো গাড়ি আর বন্দুক। তো আব্বু আম্মু ওকে যখন গাড়ি বা বন্দুক জাতীয় কিছু কিনে দিতো, সাথে সাথে এপাশ ওপাশ থেকে বলতো, "সে কি! এতো ছেলেদের খেলনা। মেয়েদের এসব কিনে দেয়া ঠিক না, মেয়েরা জেদী হয়"। আমার নিজের কানে শোনা। আমি তখন অনেক ছোট, এইসব ছেলে মেয়ে বিভেদ তখনো মাথায় আসে নাই। শুনে খালি বিরক্ত লাগতো, একবার এক খালামণিকে বলেও ছিলাম, "আমার বোন যা ইচ্ছা নিয়ে খেলবে, তাতে সমস্যা কি?"

সুতরাং ঠিক বলেছেন, গোড়াতেই গলদ।

ভাইয়া, খেয়াল করে দেখেন, জামাইগুলো যেমন পাজি, শ্বাশুড়িরাও কিন্তু কম যায় না। এখানেই আমার আপত্তি, একজন মহিলা কেন আরেকজন মেয়ের দুঃখ বুঝবে না? শুধুমাত্র নিজের রক্ত নয় বলে? এটাকে মানবিকতার অভাব ছাড়া আর কি বলা যায়!

৪৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৫৪

পাগলা যোদ্ধা বলেছেন: আসলেই আপু কত বিচিত্র অভিজ্ঞতা যে হয়... পরে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে সব কিছু নিয়ে প্রচন্ড হতাশ লাগে

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২৭

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৪৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৫৭

বাদ দেন বলেছেন: এ পরিস্থিতি সবচাইতে খারাপ নোয়াখালীতে

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: নোয়াখালীতে আসলে কখনো থাকা হয়নি আমার। তবে আমার মনে হয় বাংলাদেশের সর্বত্র এই অবস্থা।

৪৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:১৮

আরিশ ময়ুখ বলেছেন: হসপিটালে প্রথম ঘটনার মতো অনেক ঘটনাই দেখেছি।
------------------------
আপনার পোস্টের শিরোনাম, সেই সাথে লেখা চমৎকার হয়েছে

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ময়ুখ ভাই।

৪৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:২৬

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: যতদিন মেয়েরা নিজের পায়ে দাড়াতে শিখবে না ততদিন এ পরিস্থিতি বাদলাবে না।

মন খারাপ করে দিলেন

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৩১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: মন খারাপ করিয়ে দেয়ার জন্য দুঃখিত। কিন্তু পরিস্থিতি বদলানো এত সহজ নয়। হিসাব করে দেখুন, আগের চেয়ে নারী শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে। এখন সবাই মেয়েদের পড়াতে মোটামোটি আগ্রহী। কারন গ্রামেও প্রচলিত যে ম্যাট্রিক/ইন্টার পাশ না হলে মেয়ের ভালো বিয়ে হবে না। কিন্তু তাতে কোন লাভ হচ্ছে না। ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়েও বিয়ের পরে অনেককেই বাধ্য করা হচ্ছে পেশাগত দিক পুরো পুরি অফ করে দিয়ে। এই পরিস্থিতি দুঃখজনক। শিক্ষা নিয়ে লাভ কি যদি আমি তা ব্যবহার না করতে পারি?

অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৫০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩৯

সায়েম মুন বলেছেন: অন্তত একটি বার তুমি নিজেকে মেয়ে বলে না ভেবে মানুষ বলে ভাবো। তুমি যদি ভালো থাকো, অবশ্যই তোমার আশে পাশের সবাইও ভালো থাকবে।

দীর্ঘশ্বাস! দীর্ঘশ্বাস এক বিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশের জন্য! পড়াশুনা জ্ঞান গড়ীমায় হার বাড়ছে। সমাজের বিবেকবোধ মানুষের মনুষ্যবোধ বাড়েনি। পৈশাচিক কর্তৃত্ব পরায়ণতা আর অবিবেচক সিদ্ধান্ত গ্রাস করেছে আমাদের।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৩২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: এক কথায় বলতে পারি, শিক্ষার হার বেড়েছে, সুশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বাড়েনি। একারণে এই অবস্থা!

৫১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৪৭

ক্ষুধার্ত বলেছেন:
কেস নাম্বার ৫ - হাসপাতালের কান্নার শব্দ ভেসে আসা নতুন নয় বা অবাক হবারও কিছু নয়, তবুও ২০৫ নাম্বার কেবিনের সমানে দিয়ে হেটে যেতেই একটা অপরিচিত কান্নার শব্দ কানে আসতেই থেমে যাই, পাশে দাড়ানো ক্লিনিক কর্মকর্তার কাছে রুগী তথা কান্নার কারণ জানতে চাইলে সে বল্লো একটু দেখে যান, নবজাতক কে কোলে নিয়ে শিশুটির মুখের দিকে তাকিয়ে এক বৃদ্ধার এমন কান্না দেখে অবাক হলাম,ঘটনার বিবরণ নির্বাক করে দিলো আমাকে।

বৃদ্ধার মুখ থেকে- কি কমুরে বাবা,গরীবরে আল্লাও পর্যন্ত পছন্দ করেনা, মাইনসের কি দোষ, এইটা আমার মাইয়া, (পাশে দেয়ালে হেলান দিয়ে উদাস দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা শিশুটির মা ), কালকে তার জামাই তারে তালাক দিব, আরো আগেই দিত, হাদিসে নাকি আছে বাচ্চা পেটে থাকলে নাকি তালাক হয়না, তাই এতদিন দেয়নাই,সমাজি ( সালিস) কইসে বাচ্চা হবার পরদিন তালাক হইবো। জামাই বিদেশ থাকে, সে নাকি কার কাছে শুনছে আমার মাইয়া চরিত্র খারাপ। এইডা তার মাইয়া না (শিশুটি মেয়ে)।যদি একটা পোলা হইতো তাও দুঃখ আসিলনা,হইসেতো হইসে মাইয়া, তার উপর আবার ঠোট কাটা, এখন আমি কি করুম এই দুই অভাগিনীরে লইয়া।

কথা গুলো বলতে বলতে এক হাতে নিজের বুকে নিজেই হাত দিয়ে আঘাৎ করছেন আর অঝরে কেঁদে যাচ্ছেন বৃদ্ধাটি, পাশে বসে থাকা নির্বাক নারীটির দিকে আমি আর তাকানোর সাহস পাইনি পুরুষ হবার কারণে।নিজের অজান্তেই দরজায় হাত রেখে ভারসাম্য রক্ষা করে নিরবে কিছুক্ষন মেয়ে শিশুটির দিকে তাকিয়ে থাকলাম।

আমি ঐ শিশুটির উপর নজর রাখলাম যতদিন সম্ভব।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৪২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: এধরনের হাহাকারে সরকারী হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোও মনে হয় ক্রন্দন রত। এরকম অসংখ্য কেস দেখা যায় যে বিয়ের পর স্বামী মিডল ইস্টে চলে যায় এবং কোন খবর রাখে না। কিছু বছর পরে পাঠিয়ে দেয় তালাক নামা।

কিছু বলার নাই। তবে মহিলা যেহেতু অন্যায়ের শিকার, সেহেতু ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার সাহায্য করতে পারতো, অথবা এনজিও। অবশ্য আমি নাম জানি না সেই এনজিওর, কিন্তু ক্লেফট লিপ আর ক্লেফট প্যালেট দরিদ্র শিশুদের বিনামূল্যে অপারেশন করায় প্রতি এক/দুই বছর অন্তর। এ্যাসিড বা গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে যেসব মেয়েদের নির্যাতন করা হয়, তাদেরকে বিনামূল্যে স্কিন গ্রাফটিং আর স্টিকচার অপারেশন করার জন্য নিউজিল্যান্ড থেকে আগত একজন ডাক্তারের দুইটি অপারেশনে অ্যাসিস্ট করার সৌভাগ্য হয়েছিলো। এখন আপনার লেখা পড়ে এনজিও টার নাম মনে না রাখার জন্য মন খারাপ হচ্ছে।

৫২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৫৮

আরিফ্ ৯১ বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন আপু। তন্ময় হয়ে শুধু পড়ে গেলাম, বাস্তবতার নির্মম ছোয়া আপনার লেখায় পেলাম।

ভাল থাকবেন।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৫৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০৬

পোষ্টপেইড বলেছেন: mon kharap hoye gelo pore :-(

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :(

৫৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:১৩

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: না মেয়ে, তোমার জন্য কখনই কস্ট পুষে রাখিনা।
চোখের জল তোমার এতই স্বচ্ছ যে
বুঝতেই পারিনা কখন তুমি কেঁদে বুক ভাসাও,
অথবা আদৌ কাঁদতে জানো কিনা।

তোমার জন্য তবু কিছু কামনা রেখেছি,
প্রেম নাম দিয়ে অল্প কিছু করুনাও রেখেছি।
করুনা আর দয়া নাকি সমার্থক
আর প্রেম ভালবাসা এসবই জৈবিক ব্যাপার।
কেই বা না জানে,
জীবে দয়া করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বরে?


মেয়ে, তুমি নিজের দিকে তাকিয়ে দেখ
তুমি পেয়েছো গুছিয়ে রাখবার জন্য সত্যিকারের একটা ঘর,
অথবা সারাজীবন সাজিয়ে রাখবার জন্য ছোটবেলার পুতুলের মত নয়
বরং সত্যিকারের একটা সংসার;
যত বেশী মন দিয়ে খেলবে, তত কম বকা খাবে,
ঠিক তোমার শৈশবের উল্টো।


না মেয়ে, তোমাকে আমরা বঞ্চিত করিনি,
বরং দিয়েছি সেইসব কিছুই, যা তুমি নিজেই সবসময় চেয়েছো।




১-৪ নং কেস স্টাডির নারী অথবা মেয়েদের জন্য সামান্য পরিমানও মন খারাপ অথবা করুণা কিছুই লাগছেনা। এসব ঘটনা কি খুবই স্বাভাবিক না??

@ ক্ষুধার্ত ভাই, ৫ নং কেস স্টাডির এই লাইনগুলো পড়ে তবু কেমন যেন বোধ করলাম অথবা কোথাও কিছু শূন্য মনে হল। হীনমন্যতা কাকে বলে?

কথা গুলো বলতে বলতে এক হাতে নিজের বুকে নিজেই হাত দিয়ে আঘাৎ করছেন আর অঝরে কেঁদে যাচ্ছেন বৃদ্ধাটি, পাশে বসে থাকা নির্বাক নারীটির দিকে আমি আর তাকানোর সাহস পাইনি পুরুষ হবার কারণে।নিজের অজান্তেই দরজায় হাত রেখে ভারসাম্য রক্ষা করে নিরবে কিছুক্ষন মেয়ে শিশুটির দিকে তাকিয়ে থাকলাম।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৪৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: চোখের জল তোমার এতই স্বচ্ছ যে
বুঝতেই পারিনা কখন তুমি কেঁদে বুক ভাসাও,
অথবা আদৌ কাঁদতে জানো কিনা।

কাঁদতে জানে। বেচারীদের ঐ একটা সম্বলই আছে। নতুবা সবাই মানসিক রোগী হয়ে বুক ফেটে মরতো। :(

এটাই বর্তমান সমস্যা, খারাপের পরিমাণ এত বেশী যে দেখতে দেখতে এটাকেই আমাদের কাছে মনে হয় স্বাভাবিক। কেউ হঠাৎ ভালো কিছু করলে আমরা চোখ বড়বড় করে অবাক হয়ে তাকাই। অথচ, হওয়া উচিত উলটাটা।

অনেক ধন্যবাদ।

৫৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:১৩

অগ্নির বলেছেন: মেয়েমানুষ কোনো ভালো জিনিষ না । পেইন । পৃথিবীটা নারীশূন্য হোক । আই হেইট উইমেন ।

আমিও তো মেয়ে ! আই হেইট মাইসেল্ফ ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আর যাই করা যাক, নিজেকে ঘৃণা তো আর করা যায় না। কিন্তু কিছু কিছু মুহূর্তে যখন অসহায় থাকি, তখন অস্বীকার করবো না, নিজের দীনতা ক্ষুদ্রতা দেখে মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করে।

৫৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩৫

লুকার বলেছেন:
ভাল স্টাডি করেছেন। এসব তথ্য-উপাত্ত-সমস্যা নিয়ে সরজারী-বেসরকারী হেলথ সেকটর আর এনজিওদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করুন, সমাধান বেরিয়ে আসবে। হুকেও ডাকতে পারেন।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৫৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ভালো পরামর্শ দিয়েছেন। তবে আমি তো পাবলিক হেলথের নই, ওয়ার্কশপ করার জন্য আরো অনেক তথ্য লাগে। এসবই শুধু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। তবে এসব দেখেই আমি হিউম্যান রাইটসের উপর কাজ করে এমন সংস্থার সাথে যোগাযোগ রাখবো ভাবছি। অনেক ধন্যবাদ।

৫৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। এটা নিয়ে আরো কাজ করুন, সামনে এগিয়ে যান। পূর্ণ সমর্থন রইলো।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাই।

৫৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:২৪

অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: মানুষ হউন, নারী নয় বরং মানুষ হউন
এ বিষয়ে এই লেখাটা বেশ ভাল লেগেছিল।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৫৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ঘুরে আসছি এখনই। ধন্যবাদ।

৫৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৫৫

নির্ণয় বলেছেন: কেস নাম্বার ৩: এটা শুনে ম্যাডাম বেশ বিরক্ত হলেন। বললেন, “তাহলে আপনারা আবার বাচ্চা নষ্ট করতে চান কেন? আল্লাহর দান আপনারা স্বীকার করেন না কেন?

কেস নাম্বার ২: এটা তার ৭ নাম্বার বাচ্চা, ৪ নাম্বার বাচ্চার সময়েই তার হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে। ডাক্তারের বারংবার নিষেধ সত্ত্বেও তার স্বামী দিকপাত করে নি। দ্বিতীয় বাচ্চা ছেলে হলেও প্রতিবন্ধী, তাই তার আরেকটি ছেলে চাই ই চাই। গতকালই মহিলা তার স্বামীকে একটি পুত্রসন্তান উপহার দিয়েছে। তার স্বামীর গর্বিত মুখ দেখলাম, পুত্র সন্তান পাওয়া গেছে।



আপনার ম্যাডাম আল্লাহর দান অস্বীকার করতে বারণ করেন। তাহলে সাত বাচ্চার বাপ কেন আল্লাহর দানকে অস্বীকার করবে? কেস নাম্বার ২: তে আপনার দেখা গর্বিত মুখের স্বামী যদি বলে যে সাতটা তো সাতটা, আল্লাহর দান ১৭ হলেও নেব, তখন আপনার ম্যাডাম কী উত্তর দেবেন!

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:০৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আসলে ম্যাডাম পর্যন্ত যেতে হবে না, এটার উত্তর আমিই দিতে পারবো। আপনি মনে হয় কেসটা ভালো করে বুঝতে পারেননি। যেমন,

কেস নাম্বার ২ এ আপনি নিজেই কপি করেছেন যে ৪ নং বাচ্চার সময়ে তার হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে। তখনই ডাক্তার বারবার নিষেধ করেছে আরো বাচ্চা নিতে। কারন প্রেগন্যান্সিতে হার্টের যে ভালবের সমস্যা থাকে তা অ্যাগ্রিগেট করে এবং রুগীকে জীবন সংশয়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এছাড়া আপনি পড়লে দেখবেন এই মহিলার বয়স ৪৭। যেখানে আমরা দুইটা বাচ্চা হয়ে গেলে ৩৫ এর উপরই মহিলাদের বাচ্চা নিয়ে নিরুৎসাহিত করি, সেখানে উনি একে রিস্ক জোনে আছেন ,তার উপরে হার্টের সমস্যা। বাচ্চা নেয়া তার জন্য জীবন হানিকর।


অপরদিকে কেস নাম্বার ৩ এ, পড়লে দেখবেন মহিলার মাত্র একটি বাচ্চা, তার বয়স ৩২ এবং সে আরেকটি বাচ্চা নিতে আগ্রহী। পূর্বে তার একটি ডিএনসি করা আছে, এবং আবার ডিএনসি করা হলে তার ইউটেরাসের ক্ষতি হতে পারে, হয়ত তার ভবিষ্যতে বাচ্চা নিতে সমস্যা হতে পারে। সেজন্য তাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে যাতে উনি এই বাচ্চাটিই রেখে দেন। এমন যদি হতো যে মহিলা আর বাচ্চা চান না, সেক্ষেত্রে হয়ত ম্যাডাম ডিএনসি করে দিতে আপত্তি করতেন না।



আশা করি বক্তব্য বুঝাতে পেরেছি। অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৬০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৫৮

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: অসাধারন একটা লেখা। ছেলে কিংবা মেয়ে সেটা বড় বিষয় না। আমাদের সবাইকে ভাবা উচিত যাইই হোক সে একজন মানুষ। এ দৃষ্টিভঙ্গি জন্মালে সবার মনে তবেই আমাদের মুক্তি এ দুর্দশা হতে।



দারুন লিখেছেন।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:০৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৬১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৩৭

জাকিয়া তানজিম বলেছেন: হুমম আসলেই তাই। আদিযুগ হতে এখনকার যুগে আমার মনে হয়না মেয়েদের অবস্থার কোন উন্নতি হয়েছে। খোলসটা পাল্টেছে মাত্র !

আপনার লেখা শুরু থেকেই পড়ছি যদিও কমেন্ট করা হয়নি। বরাবরই ভাল লিখেন। অনেক ভাল লাগে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:০৭

ত্রিনিত্রি বলেছেন: যা কিছু পার্থক্য সবই বাইরের, ভিতরে সবই এক।

অনেক ধন্যবাদ আমার লেখা পড়ার জন্য।

৬২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৫৭

জুন বলেছেন: খুব সুন্দর করে বলেছো ত্রিনিত্রি।
সত্যি আমরা বেশীরভাগ নিজেদের মেয়েই ভাবি, মানুষ ভাবার চিন্তা ভাবনা কখোনোই আমাদের মাথায় প্রবেশ করানো হয়না ।
ভালোলাগা রইলো অনেক ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:০৭

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জুন আপু!

৬৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:১৬

নুপুরের রিনিঝিনি বলেছেন: পোস্ট টা পড়লাম! মন দিয়ে..পড়ার শেষে শব্দ হারিয়ে ফেলেছি!!
একটা কথা খুব ই সত্য যে আমরা মেয়েরা যদি আমাদের কথা না ভাবি তাহলে অন্য কেও আমাদের কথা ভাববে না!!!

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:০৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু, আমরা যদি জোর গলায় নিজেদের কথা বলতে না পারি তবে অন্য কেউ চেষ্টা করলেও আমাদের তা পাইয়ে দিতে পারবে না।

৬৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:২৪

চানাচুর বলেছেন: মেয়েরা নিজেরাই নিজেদের এই অবস্থার জন্য দায়ী। আপনি যে পোস্টের টাইটেলটা দিলেন, এটা এখন কোনো মেয়ে পালন করতে গেলে বলবে, মেয়েটা সেলফিশ দায়িত্বজ্ঞানহীন। আর কিছু বলার নাই :(


ভালো পোস্ট।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:১১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: এই মেয়েটা সেলফিস, এই বাক্যটা শোনার ভয়েই তো কি সব তুচ্ছ কারণে ৩ আর ৪ নং কেসের মহিলা ডিএনসি করালো। আসলে সমস্যা কি জানেন আপু? এই যে সেলফিস কথাটা? এটা কিন্তু সবার আগে বাড়ির মেয়েরাই বলবে। আগে বলবে শ্বাশুড়ি আর ননদ, তারপরে পাড়া প্রতিবেশী এবং সব শেষে শ্বশুড় আর জামাই। এটাই বেশী দুঃখজনক।

অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৬৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৩০

ফাইরুজ বলেছেন: ভালো পোস্ট।+

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:১২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।

৬৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:২৯

অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: আসলেই আমাদের আগে মানসিকতার পরিবর্তন দরকার । এইরকম ঘটনা না হলে সারাজীবনেও কমবে না ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:১৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: সহমত!

৬৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:১২

ইলুসন বলেছেন: এখনো এমন বেকুব প্রজাতির মানুষ আছে ভাবতেই কষ্ট হয়। এদের এভাবে বুঝালে হবে না। জেল জরিমানার ব্যাবস্থা করা দরকার এদের জন্য।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:১৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ভাইরে, এরা বেকুব না, এরা পাজি। এদের কথা হচ্ছে, ডাক্তার এসব বলেই, কি আর হবে। আমার দরকার ছেলে।

ঠিক বলেছো। এদের জেল জরিমানার ব্যবস্থা করা দরকার।

৬৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫

চতুষ্কোণ বলেছেন: গুড পোষ্ট

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:১৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:০৯

সুনীল সমুদ্র বলেছেন:

বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা পোস্টটি সবাইকে ছুঁয়ে দিতে পেরেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:২০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

৭০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:১১

পাগলমন২০১১ বলেছেন: ভাল পোষ্ট।তবে মন খারাপ হয়ে গেল।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:২৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: কি করবো ভাই বলেন। মন খারাপ করা ঘটনা গুলিই বেশী ঘটে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:০৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মেয়েকে মেয়ে হিসেবেই বড় করা হয় যে! জন্মের পর থেকে তার মগজে গেঁথে দেয়া হয় এই চিন্তাটা 'তুমি একজন মেয়ে। তুমি একজন মেয়ে।' আর তারপর সে মেয়ে হয়ে যায়, নারী হয়ে যায়। মানুষ আর হতে পারে না কোনদিন। এবং তার হাতে তৈরি হয় তারই একটি ডুপ্লিকেট, আরেকজন মেয়ে...........মানুষ নয়।

১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: সহমত আপু।

৭২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

িনদাল বলেছেন: X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X(( X((

১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :( :(

৭৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৫০

ডেইফ বলেছেন:
চমৎকার!
শেষ প্যারাটি মনের কথাগুলোর সাথে মিলে গেলো।

১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৫৭

জয় রাজ খান বলেছেন: কি বলবো বুঝতেছিনা!! আমাদের তথাকথিত সমাজ ব্যবস্থা এখন সেকেলে রয়ে গেছে /:)কি উনিশ শতক?? কি একুশ শতক!!
দিনে দিনে মানুষ বিবেক লোপ পাচ্ছে সত্যি দুঃখজনক :(

১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আমাদের "পাছে লোকে কিছু বলে" এই প্রবাদ টাই আসলে পেছনে টেনে রাখে বেশী।

৭৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৩২

বড় বিলাই বলেছেন: কি আর বলব, এদেরকে বলতে বলতে গলা ব্যথা করে ফেললেও এরা শোনে না কথা। তারপরও গলা ব্যথা করেই যাই।

১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আপু আপনার কষ্ট বুঝতে পারছি। আপনি কোন সাবজেক্টে আছেন আপু?

৭৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০৩

ফলে পরিচয় বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল। :( :( :( :(
আশে পাশে প্রচুর দেখেছি এমন। X(( X((

পোস্টে ++++++

১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আজকাল প্রতিবাদ করতেও ভয় লাগে। আজকে খবরের কাগজ দেখেছেন? স্কুলের সামনে দিয়ে ভারী ট্রাক যাওয়া বন্ধ করার আবেদন জানানোর জন্য সন্ত্রাসীরা প্রধান শিক্ষকে খুন করেছে।

বাংলাদেশের মানুষের এত অধঃপতন কি করে হলো?

৭৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৪৪

হাসিমুখ বলেছেন: "মেয়েদের এই অবস্থার জন্য মেয়েরাই দায়ী" এটা ঠিক, কিন্তু শাশুরি-ননদরা না, ওই মেয়েটা নিজে দায়ী।
১ন ও ২য় কেসের স্বামীদের না, পিটানো উচিত আপনার ওই বন্ধুকে যে "তার পছন্দের সাবজেক্ট ছেড়েছে তার স্বামীর সুবিধার জন্য, ট্রেনিং ছেড়েছে কারন তাতে পয়সা আসে না, পড়াশোনা ছেড়ে ক্লিনিকে চাকরি নিয়েছে যাতে তার ডাক্তার স্বামী পড়াশোনা চালাতে পারে"
১টা ডাক্তার মেয়ে যদি এই সব মেনে নেয় তাহলে যে মেয়ের পায়ের নিচে মাটি নাই সে মেনে না নিয়ে কই যাবে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৪২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আমি আপনার সাথে সহমত নই। আর আমার বন্ধুকে আমি জানাই স্যালুট। শেষ লাইনটা মনে হয় মিস করে গেছেন। নতুবা জানতেন, কারন তার এতটুকু মানসিক শক্তি বা দৃঢ়তা আছে যার জন্য বিয়ের এক বছরের মাঝেই সে ডিভোর্স ফাইল করতে পেরেছে। সে এসব মেনে নেয় নি।

তবে, বিয়ে কোন ছেলে খেলা নয়। আপনি যখন কারো সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন, তখন দুই পক্ষেরই কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়। নিজের সব কিছু দেখলে সবসময় চলে না। একারনেই আমার বন্ধু পছন্দের সাবজেক্ট ছেড়েছিলো, এবং ক্লিনিকে চাকরী করতে ঢুকেছিলো যাতে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু যখন তাকে বলা হলো যে তাকে কখনোই পড়তে দেয়া হবে না, তখনই সে প্রতিবাদ করে। কিন্তু তার স্বামী দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। সে এক ফোঁটা স্যাক্রিফাইস করে নি। সেও যদি কিছুটা ছাড় দিতো, তবে আমার বন্ধু ঘর এবং কাজ দুইই সামলাতে পারতো।

সুতরাং স্বামী তার দায়িত্ব এড়াতে পারে না। আপনি ছেলে বা মেয়ে যাই হোন না কেন, একবার ভেবে দেখুন, বিয়ের মাত্র ৩/৪ মাসের মাথায়ই যদি আপনার উপর এরকম জুলুম শুরু হয়, তবে কি আপনি সাথে সাথে ডিভোর্স নেবেন না সম্পর্কটাকে আরেকটু সুযোগ দেবেন?

এবং হ্যা, শ্বাশুড়ি ননদরা সব ক্ষেত্রে নয়, তবে অনেক ক্ষেত্রেই দায়ী। কারন তারা মেয়ে হয়েও সবসময় বুঝতে চায় না একটা মেয়ের স্বনির্ভর হওয়াটা কত জরুরী।

১ এবং ২ নং স্বামী যা করেছে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে আমি মনে করি।

৭৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩২

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: লেখক বলেছেন: হিসাব করে দেখুন, আগের চেয়ে নারী শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে। এখন সবাই মেয়েদের পড়াতে মোটামোটি আগ্রহী। কারন গ্রামেও প্রচলিত যে ম্যাট্রিক/ইন্টার পাশ না হলে মেয়ের ভালো বিয়ে হবে না



নির্মম সত্য, আমরা মেয়েদের স্বনির্ভর হওয়ার জন্য শিক্ষা দেই না, দেই একটু ভাল দামে চালানোর জন্য। য্বকোন পণ্যের মত। যে আমরা বুঝব মেয়ের পণ্য নয় সম্পদ তখন কেবল বদলাবে

১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৪৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: সহমত, এটাই নির্মম সত্য। আমি যা লিখেছি, এই ডায়লগটাই আমি নিজ কানে অনেক বার শুনেছি। শিক্ষার আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে বিয়ের বাজারে দাম বাড়ানো।

তবে আশার কথা, এখন সবার সচেতনতা বাড়ছে, এবং মেয়েদের পড়াতে চাচ্ছে। নিরাশার কথা, প্রাপ্ত শিক্ষা অনেক ক্ষেত্রেই তার কাজে আসছে না; কারন সুযোগ পাচ্ছে না।

৭৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৫৮

রিয়েল ডেমোন বলেছেন: মেয়ে হলে কি সমস্যা সেটাই বুঝি না। বাংলাদেশের মানুষ বয়সকালে ডিপেন্ডেন্ট হয়। সেজন্যই ছেলের জন্য এতকিছু। আর যৌতুকের একটা ব্যাপার তো আছেই। যদিও সেটা এককালীন। বৃদ্ধ বয়সে নিজের দেখাশোনার জন্য তারা ছেলের বিকল্প ছারা কিছু বুঝে না। আর আমাদের দেশে লিমিটেড বৃদ্ধাশ্রম ছারা বয়স কালে তাদের কোন পথও খোলা থাকে না। গরীব গভর্নমেন্ট এদের ভরনপোষনও করতে পারে না।

১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ঐ যে অনেক কাল আগে যে ছিলো মেয়েরা ঘরে থাকবে, আর বিয়ে হলে পর হয়ে যায় ---- সেই ধারনা থেকে মনে হয় এখনো বেশীর ভাগ মানুষ বের হতে পারেনি।

আর অশিক্ষিত মানুষকে আর কি বলবো, আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিকই তো ছেলে ছেলে করে তিন মেয়ের পরেও বাচ্চা নিয়েছিলেন। সুতরাং, শিক্ষা অনেক পেয়েছে, এখন মানসিকতার পরিবর্তন চাই।

৮০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০০

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: অনেক সময় না বুঝে মানুষ ভুল পদক্ষেপ নেয় জানতাম,আর আজ জেনে শুনে ভুল পদক্ষেপ নেয়।
আর দাদা আপনাকে শ্রশদ্ব সালাম জানাই।কারণ আপনার মত সেবকরা এই দেশে থাকলে কোন রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না।

১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:১০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: জেনে শুনে নাকি চাপে পড়ে, সে বিষয়ে ডাউট আছে। অথবা পটল ভাই এর কমেন্টটা পছন্দ হয়েছে। তুচ্ছ বিষয়ে নিজেদের বিলিয়ে দিয়ে আত্মতৃপ্তি পেতে চায়।

অনেক ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য। তবে কিনা আমি দাদা নই, আপু।

৮১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:৪৫

লাবণ্য ও মেঘমালা বলেছেন: পোস্ট পড়ে নিজেরই মন মেজাজ খারাপ লাগছে, বিশেষ করে ১ নং কেস টা পড়ে।
আর কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না,
পোস্ট ভালো হয়েছে ত্রিনিত্রি।

১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:১১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।

৮২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:২৩

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মেয়েরা কবে মানুষ হবে:(

১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:১২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: উহু, মেয়েরা কবে বিশ্বাস করবে যে তারা মানুষ, আর এত বেশী স্যাক্রিফাইস কারো জন্য সুফল বয়ে আনেনা।

৮৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৩৭

ত্রাতুল বলেছেন:
বলতে গেলেতো অনেক কিছুই বলতে হয়। আবার হয়তো নিজের ধারণাটাই অনেক ক্ষেত্রে স্পষ্ট না। জেনারেশন গ্যাপ একটা অন্যতম সমস্যা মনে হয় আমার কাছে। কেউ কাউকে মনের কথাটা খুলে বলতে পারে না। চাপিয়ে দেয়া হয় অনেক কিছু। প্রাপ্তবয়স্ক একটা ছেলে বা মেয়ে নিজের মত করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না এখনো আমাদের দেশে। মেয়ে হলেতো হাজারটা কথা চিন্তা করতে হয়। নিজের আশেপাশে এমনকি খুব আপনজনদের মধ্যে এসব দেখে দেখে ঘৃণা ধরে গেছে। মন-মেজাজ তিরিক্ষী হয়ে থাকে অনেক সময়। কোনদিন বিস্ফোরিত হব জানি না।

১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:১৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। আমাদের দেশে অনেক সময় ছেলেরাই ডিসিশন নিতে পারে না, মেয়েরা তো আরো না।

আমরা খুবই পরিবার কেন্দ্রিক, যেটা খুবই ভালো ব্যাপার, কিন্তু সবকিছুর ড্রব্যাক আছে। ড্র ব্যাক হচ্ছে এইটা, এটা কাটিয়ে উঠতে আমাদের অনেক সময় লাগবে।

৮৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৩১

মুহিব বলেছেন: কেস নম্বর ১ এখনও দেশে হয়?

১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:১৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: শুধু হয় না, ঢাকা সিটিতেই পেলুম। সুতরাং পেরিফেরির দিকে যে আরো কি হয় সে ব্যাপারে কিছু না বলাই ভালো।

৮৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৫১

পুচকে ফড়িং বলেছেন:
"নাহিয়ান বিন হোসেন" ভাইয়ের সাথে সহমত।

"আমরা কাগজে কলমে শিক্ষিত, কিন্তু আত্মার উন্নয়ন হয়নি এক বিন্দু।" -সম্পূর্ণ সহমত।

"গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মী প্রোগ্রাম" বাতিল জেনে অবাক হইনি। ভালো কিছু এদেশে বেশি দিন চলতে পারেনা।

ইদানিং অনেক মেয়েদেরই নারী স্বাধীনতা নিয়ে গলা ফাটাতে দেখা যায়। এদেরকে আমি সহ্য করতে পারিনা কারন "চাকরী করার স্বাধীনতা"; "নিজের ইচ্ছা মত যে কোনো ড্রেস্ পড়ার স্বাধীনতা"; "যতক্ষণ ইচ্ছা, যার সাথে ইচ্ছা বাইরে ঘোরার স্বাধীনতা" ইত্যাদিতেই তারা তাদের স্বাধীনতাকে সংকীর্ণ করে ফেলে। আসল সমস্যা যে আরও অনেক গভীর, এদেরকে তা কখনও বোঝাতে পারিনি।

"তবে এসব দেখেই আমি হিউম্যান রাইটসের উপর কাজ করে এমন সংস্থার সাথে যোগাযোগ রাখবো ভাবছি।"- ভালো ভাবনা। অন্যদেরকেও উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন।

জনমানসিকতার একটা সামগ্রীক পরিবর্তন জরুরী। তার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা শুরু করেন।

১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৩২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: নারী স্বাধীনতা নিয়ে যারা গলা ফাটায় তাদের অবশ্যই যৌক্তিক কারণ আছে। চাকরী করার স্বাধীনতা তো ভাই আমার কাছে মৌলিক নিডের পরেই আসে। কারন সে শিক্ষা গ্রহণ করেছে, সুতরাং তার রাইট আছে নিজের পরিচয় নিজের নাম এবং পদবী দিয়ে দেয়ার। ড্রেস পরার স্বাধীনতাটা আসলে আমি বুঝতে পারছি না। আর বাইরে ঘোরার স্বাধীনতাটা ভাই টিন এজারদের দাবী, ওটার জন্য বিরক্ত না হওয়াই উচিত। টিন এজারদের তো কত রকম দাবীই থাকে।

মূল সমস্যা আমাদের ভিতরে। যেমন ধরেন, আমি এই পোস্ট দিতে পেরেছি কারন আমি অত্যন্ত লাকি যে আমার জন্ম আমার পরিবারে হয়েছে। ছোট বেলা থেকেই নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিয়ে অভ্যস্ত। দেশের ভেতরে তো অবশ্যই, দেশের বাইরেও আমি একাধিক বার বন্ধুদের সাথে অনেকদিনের জন্য ঘুরতে গিয়েছি। কিন্তু আমার অনেক বন্ধুই কিন্তু পারেনি। মেয়ে বলে তাদের সাফ মানা করে দেয়া হয়েছে। এখন আমার বাবা মাও যদি আমার উপরে তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতো আগে থেকেই, আমিও কি খুব দুর্বল ভাবে বেড়ে উঠতাম না? আমার পার্সোনালিটি কি এখনকার থেকে অনেক বেশী দুর্বল হতো না? সুতরাং আমাদের ব্রট আপেই সমস্যা। প্রতিটি মেয়েকে ছোট বেলা থেকেই ধারনা দিতে হবে যে তারা মানুষ, মেয়ে বলে এটা করোনা, মেয়েদের সব মানিয়ে চলতে হয় -- এই বাক্যগুলো বলা বন্ধ করতে হবে। তাহলেই অবস্থার অনেক পরিবর্তন হবে।

এবং এতে বাবা, ভাই এবং স্বামীদের সহযোগিতা থাকতে হবে। আপনজনদের সাথে যুদ্ধ করা যায় না। সবার সহযোগিতা না পেলে অবস্থা যা আছে, তার চেয়ে দিন কে দিন আরো খারাপ হবে।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৮৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৪৪

জিসান শা ইকরাম বলেছেন: কবে যে মেয়েরা নিজের মত করে স্বিদ্ধান্ত নিতে পারবে। আমাদের চারপাশে এমন ঘটনা হামেশাই ঘটছে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৩৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ইনশাল্লাহ অবস্থার পরিবর্তন হবে। আশাবাদী না হয়ে উপায় নাই!

৮৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সরলতা বলেছেন: পুরোটা মনোযোগ দিয়ে পড়লাম আপু। মেয়ে নিজের দিকে তাকাবে কি? জন্মের পর থেকে তাকে তাকাতে হয় আশেপাশের দিকে--কোন নোংরা স্পর্শ আছে কিনা দেখতে,বিয়ের পর তাকাতে হয় স্বামী,সংসার,বাচ্চা-কাচ্চার দিকে,নিতে হয় বাবা-মা'র দায়িত্ব। ছেলেরা তো বাবা-মা'র জন্য ওষুধের টাকা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করে। আসল দায়িত্ব পালন করে মেয়েরাই। আমাদের দেশের,শুধু আমাদের দেশের কেন--সারা পৃথিবীতে মেয়েরা অসহায়--যত-ই নারী স্বাধীনতা হেন তেন বলুক না কেন। শিক্ষিত মেয়েরাও অসহায়। কারণ মাঝে মাঝে শিক্ষিত হলেও পাপ। মনে নেই,রোমানা মঞ্জুর শিক্ষিত দেখে তাঁকে কত কথা শুনতে হয়েছে?

কি আর বলব? এত সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ আপু।

১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৩৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: হুমম, শিক্ষিত হওয়া কিছু ক্ষেত্রে পাপ বইকি। যেমন, অনেক ভালো স্টুডেন্টদের বর জোটে না। ব্যাপারটার নগ্ন প্রকাশ আমি কিছুকাল আগে দেখেছি। আমাদের এক আপু চরম ভালো স্টুডেন্ট এবং কোয়ালিফাইড ডাক্তার হয়েও বর জুটছে না, কারন ডাক্তার ছেলেরাই বলে যে "এত কোয়ালিফিকেশন, না না বিয়ে করা ঠিক হবে না"। কারন তারা ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভোগে। যে ভাইয়া আপুটার জন্য পাত্র খুজছিলো, উনি খুব মন খারাপ করে একদিন ওয়ার্ডে বললেন, "কি আর বলবোরে আপু, আমাদের দেশের ছেলেরা এত খারাপ যে আমার নিজের লজ্জা হয় ছেলে হবার জন্য"।

তবে আমি আশাবাদী যে অবস্থার পরিবর্তন হবে, হয়ত অনেক সময় লাগবে, কিন্তু হবে ইনশাল্লাহ।

৮৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫৭

জলমেঘ বলেছেন: আমাদের সমাজে মেয়েদের নিজের দিকে তাকানো শুধু অপরাধই নয়, অনেক বড় একটা পাপ। আমাদের সমাজই তো শেখায় সেবা আর ত্যাগই নারীর মুল ধর্ম। খুব ভালো কথা। কিন্তু যে মেয়েটা নিজেকে এভাবে সবার জন্য তিলে তিলে বিলিয়ে দিচ্ছে, সেই মেয়েটার আপন মানুষগুলোরও কি একটু সময় হয়না মেয়েটার দিকে নজর দেয়ার? যখন কাছের মানুষগুলোই মুল্যায়ন করতে শেখেনি, সমাজের কাছে আর কি চাওয়ার থাকতে পারে?

১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৩৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আপনি খুবই ভালো একটা পয়েন্ট বলেছেন। আপনজনরা যদি মুল্যায়ন না করে তাহলে আর বাইরের মানুষের কাছে কি চাওয়ার থাকতে পারে!

৮৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:১১

বিভ্রান্ত পথিক ২০১০ বলেছেন: :(
X(( X((

১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৪২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :( :(

৯০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৩২

নাদিয়া জামান বলেছেন: কি বলবো ..... দিন বদলের অপেক্ষায় :(

১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৪৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পরিবর্তন আসবে নিশ্চই।

৯১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:০৯

পুচকে ফড়িং বলেছেন:
আপু, আমার কমেন্টটা মনে হয় একটু ভুল বুঝেছেন। নারী স্বাধীনতা নিয়ে গলা ফাটানোকে আমি অযৌক্তিক বলছিনা। আমার আপত্তি নারী স্বাধীনতার সংজ্ঞাকে আমার উল্লেখিত পয়েন্টগুলোতে সীমাবদ্ধ করে ফেলায়। শুধুমাত্র এই কাজগুলো করতে পারলেই তো সর্বোচ্চ স্বাধীনতা অর্জন করা হয়না।

আপনার কথা জানিনা, কিন্তু অনেক মেয়েকে জানি যারা আপনার পরিবারের মত সম মানসিকতার পরিবারে, নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিয়ে অভ্যস্ত হলেও কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলতে হয় একজন মেয়ে হওয়ার কারনে।

"মূল সমস্যা" আমাদের ভিতরে। ছেলে-মেয়ে সবার ভিতরে।

যেমন অধিকাংশ মেয়েকে ছোট বেলা থেকেই এই ধারনা দেয়া হবে যে তারা মেয়ে বলে অনেক কিছুই নিজের ইচ্ছা মত করতে পারবে না, মেয়েদের সব মানিয়ে চলতে হবে; তেমনি অধিকাংশ ছেলেকে ছোট বেলা থেকেই শেখানো হয় যে তারা মেয়েদের থেকে বাড়তি কিছু সুযোগ পাবে।

আগেই বলেছি, "জনমানসিকতার একটা সামগ্রীক পরিবর্তন জরুরী।" শুধু মেয়েদের অথবা শুধু ছেলেদের মানসিকতার পরিবর্তন হলে চলবে না।

১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:২৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: "জনমানসিকতার একটা সামগ্রীক পরিবর্তন জরুরী।

সহমত। কিন্তু পথ অনেক বন্ধুর! কারন এখনো আমাদের দেশে সবাই কিছু করার আগে "পাছে লোকে কিছু বলে" প্রবাদটা আরেকবার নজর বুলিয়ে নেয়। আশা করি পরিবর্তন হবে।

৯২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৪১

রেজোওয়ানা বলেছেন: সমাজের একেবারে নীচ থেকে শুরু করে উপর সব স্তরেরই একই অবস্থা! পারিবারিক ভাবে সচেতনতা না বাড়ালে শুধু মেয়েদের কিছুই করার নেই এখানে.....

ভাল লেগেছে তোমার পোস্ট!

১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৩০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু পড়ার জন্য।

৯৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
ইতিহাসের শুরু থেকে মেয়েদের চিন্তাক্ষমতাকে অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দেহের বাহ্যিক এবং ভৌতগুণাবলী ছাড়া - তাদের মন ও আন্তর্গত বেদনাকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে । গ্রামে গঞ্জে প্রবাদ আছে যে অভাগার মরে গরু, কপাল-অলার মরে বউ ...মৃত্যুকে অবমাননার এক সহজ দৃষ্টান্ত।

আপনার লেখা ভিষণ ভাবে আপ্লুত করল। (যদিও এরকম আপ্লুত করেও, যদিও একটু পরে সব ভুলে মধ্যযুগেই ফিরে যাই) এখানে স্পষ্ট ভাবে উঠে আসে এখনো মেয়েরা ক্রীতদাসী..আর সন্তান প্রজননের একটি সস্তা যন্ত্র। তার নিজের দেহের কোন মূল্য নেই।

এই অবস্থার পরিবর্তন হোক। সবার ভিতরে মনুষত্য জাগ্রত হোক। সচেতনতা বৃদ্ধি পাক। মেয়েরাও নিজেদের অধিকার সচেতন হোক।

১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৩৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: দুঃখ জনক হলেও সত্য মানুষ এটাও বোঝে না যে কাজটা অমানবিক হচ্ছে। যেমন ১ নং কেসের শ্বাশুড়ির কথা, "আমরা কি বউএর অযত্ম করি? এই যে বউএর রোগ, আমরা তো ডাক্তার দেখাই, ঔষধ খাওয়াই"। কিন্তু তার বা মেয়েটির স্বামীর মাথায় এটা আসে না, যে বারবার তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়াটা কোন মানবিক কাজের মাঝে পড়ে না। প্রত্যেকবার ডাক্তারের কাছে আসার বা ডাক্তারের সুস্থ করার এখতিয়ারের মাঝে নাও পড়তে পারে।

আপনি একদম ঠিক বলেছেন। মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হোক।

৯৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:১০

ছোট ভাই বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগল আপু। তবে এই বিচিত্র মানুষগুলোর কর্মকান্ড দেখে অনেক খারাপ লাগল।

১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৩৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: তোমার আশে পাশে এরকম কিছু দেখলে সবসময় প্রতিবাদ কইরো। তাহলেই লেখাটা লেখা সার্থক হবে!

অনেক ধন্যবাদ ছোট ভাই।

৯৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৩৯

টিনটিন` বলেছেন: আপনি এত সিরিয়াস লিখতে পারেন, ভাবিনি।

ভাবলেও অবাক হই, অদ্ভূত আমাদের চিন্তাধারা, জীবনযাত্রা। খুবই অদ্ভূত।

১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৪৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: কেমন আছেন টিনটিন? আপনাকে দেখাই যায় না, নাকি আমাকেই দেখা যায় না। ২ দিন পর ঢুকলাম ব্লগে।

জহির রায়হান একটি চমৎকার লাইন আমার মাথায় সবসময় ঘুরপাক খায়। সেই লাইন থেকে আমাদের বের হতে হলে প্রচুর চেষ্টা করতে হবে, কিন্তু সেই চেষ্টাই নেই।

লাইনটি হচ্ছে, "রাত বাড়ছে, হাজার বছরের পুরনো সেই রাত"। লেখার কিছু কেস দেখে কি অবাক লাগছে না? যে ঢাকা শহরে এরকম কেস হয় এখনো? কিছু হয়, হচ্ছে এবং দুঃখজনক ভাবে হবেও।

অনেক ধন্যবাদ।

৯৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫৬

আইনউদদীন বলেছেন: দারুণ লিখা

১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৯৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৪৭

সেলিম তাহের বলেছেন:
"যে সমাজে নারীর শারীরিক মুক্তিই নেই, সেই সমাজ কেন দেবে নারীকে মানসিক মুক্তি?"

পোস্টটি পড়ে পুরুষ হিসেবে আরেকবার লজ্জা পেলাম।

Hats off to you!

১৮ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৫৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৯৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৫৯

আলিসন আলভা বলেছেন: নির্মম বাস্তবতা!

২০ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৫২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৯৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২৫

মিঠাপুর বলেছেন: আজব!!!









খুব খারাপ লাগলো ঘটনা গুলো পড়ে---
তয় কিছু জিনিস শিখলাম--








পিলাস--------------

২০ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৫২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। পান্ডার প্রোপিকটা অসাম হয়েছে।

১০০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৩৮

কি নাম দিব বলেছেন: অফলাইনে পরেছিলাম আপু।
কবে যে 'নারী' না হয়ে 'মানুষ' হবো!

২০ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: মানুষ তো হয়েই আছি আপু, বলেন কবে যে স্বীকার করবো যে আমরা মানুষ এবং নারী।

১০১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: কঠিন বাস্তবতার অসাধারন সুন্দর উপস্থাপন যেনো সেলুলয়েডের ফিতা বন্দী সাদা কালো চিত্র!!!

৫৯ তম ভালো লাগলো জানালাম।

২০ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুলভার্ন ভাই।

১০২| ২১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:১৬

ইষ্টিকুটুম বলেছেন: শুধুই পুরুষদের দোষ নেই। আমি এটা বলেছি কারন- সন্তান পেটে ধরার থেকে শুরু করে জন্মদান অথবা ডিএনসি করে বাচ্চা নষ্ট করার মত কঠিন কষ্টের ঝুঁকিমূলক এইসব কাজগুলো তো কোন পুরুষকে করতে হয়নি বাঁ কখনো হবেওনা- তাই এরা বুঝবে কি করে... এর যন্ত্রণা!!!

আমি ঘৃণা করি ঐসব শাশুড়িদের যারা নিজেরাও একজন নারী। নারীত্বের স্বাদ নিতে হলে কি পরিমাণ যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়, তা তারা জানেন। তবুও তারাই আবার লালায়িত করেন ছেলে সন্তানের জন্য বার বার প্রেগনেন্সিকে। নইলে বউমাকে খারাপ খারাপ কথাও শুনান। ধিক ঐসব মায়েদেরকে যারা তার ছেলে সন্তানকে তার বউয়ের যত্ন নেয়ার পক্ষপাতী তো করেনই না উলটো একটা গাধা বানাতে চেষ্টা করেন।

চারটে লেখাই খুবই হৃদয়বিদারক!! আমাদের দেশের নারীগুলোও কম বেক্কল নয়। নিজেরা নিজেদের শান্তির ব্যবস্থা করতে না চাইলে এই সমাজ কোনদিনও এদের শান্তির ব্যবস্থা করবেনা।

যাহোক, তুমি কেমন আছ? ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা রইলো।

২১ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: সহমত ইষ্টি! তুমি আছো কেমন? তোমাকেও ঈদের শুভেচ্ছা!

১০৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:২৩

শিশিরের বিন্দু বলেছেন: আপু এককথায় প্রচন্ড মর্মাহত হলাম। সত্যি ভাবতেই অবাক লাগে আমরা এখনো নিজেদের ভাবনা বদলাতে পারিনি। :(

২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: সবার মত আমিও অপেক্ষায় আছি।

১০৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:৫৪

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: মাঝখানে কিছুদিন পরীক্ষার জন্য ব্লগে আসা হয়নি। আজ পড়লাম। খুব সুন্দর করে লিখছেন। ভাল লাগল। আমাদের সোশ্যাল বিলিফ চেঞ্জ করার সময় হয়েছে অনেক আগেই। এভাবে আর কত!

২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৩৭

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফ্লাইং ডাচম্যান। চেঞ্জ করার সময় অনেক আগেই হয়েছে, কিন্তু হচ্ছে না। আমরা পুরানো কে আঁকড়ে ধরে থাকতে ভালোবাসি। :(

১০৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫৬

রােশদ হাসান বলেছেন: কুব বাল লিকেচ বকত। তমী বাল বকত? পেলাস দিয়েচ বকত।

২২ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৩৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: /:) /:) /:)

১০৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:০১

ফারিয়া বলেছেন: কষ্ট লাগলো আপ্পি

২৬ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১০৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৭

জন ঢাকা বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগল আপু। তবে এই বিচিত্র মানুষগুলোর কর্মকান্ড দেখে অনেক খারাপ লাগে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জন। মানুষ বিচিত্র না তার কর্মকান্ড--সেটা নিয়েই এখন সন্দেহ লাগে। মানুষ কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে।

১০৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:১৭

পুরাতন বলেছেন: :(

২৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:২০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :(

১০৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৮

অনিক_৩৩ বলেছেন: পোষ্টটা ভাল হয়েছে কিন্তু মনটা খারাপ হয়ে গেল।শিক্ষিত হয়েও আমরা বর্বরই রয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই সমাজ বদলাবে না যতদিন না আমরা নিজেদেরকে বদলাব।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: সহমত।

অনেক ধন্যবাদ।

১১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:০৩

নিঃসঙ্গ পৃথিবী বলেছেন: আমার নিজের এক আত্মীয়েরও ১ম কেসের মত ঘটনা ঘটেছে। কোন রকমে বেঁচেছে। কিন্তু শোনার পর আমার এমন বিতৃষ্ণা জেগেছিলো যে , কি আর বলব। স্রষ্টা আমাদের সকলকে বুঝ দিন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আমিন।

১১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৩১

সমুদ্র.নীল বলেছেন: কষ্ট পাইলাম! এইসব শুনতাম, কেউ চাক্ষুস দেখসে এইরকম কারো কাছ থেকে শুনি নাই!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: হুম, তাও অন্যদের তুলনায় আমার অভিজ্ঞতা একটু হলেও নরমাল, সেটাই বা কম কি?

১১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৪০

অনিন্দিতা_একা বলেছেন: :( :( :( .... আমি নিজেই যদি নিজেকে ছোট ভাবি... অসহায় ভাবি... তাহলে আর অন্য কেউ কি করবে?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: মানসিক দৃঢতা দরকার। কিন্তু আমাদের যে তা নেই, সে কিন্তু সম্পূর্ন আমাদের দোষ না। ছোটবেলা থেকেই আমাদের মাঝে যে অসহায়ত্বের বীজটা বপন করা হয়.। তা সামলে ওঠা অনেকের জন্যই কষ্টকর বইকি। কিন্তু তারপরেও আমাদের শক্ত হতে হবে, পাছে লোকে কিছু বলে -- কথাটাকে মন থেকে বিদায় করতে হবে!

অনেক ধন্যবাদ।

১১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:০৮

কিষান বলেছেন: মেয়ে, অনেক হয়েছে, এখন একবার তোমার নিজের দিকে তাকাও। তুমি যদি তোমার অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হও, কেউ তোমাকে তা এগিয়ে দেবে না। হিন্দি সিরিয়ালের নায়িকাদের মত দয়া করে চুপ করে থেকো না, [/sb

বড় সত্য কথা লিখেছেন। এমন বাস্তব একটা লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৪৯

টুকিঝা বলেছেন: অন্তত একটি বার তুমি নিজেকে মেয়ে বলে না ভেবে মানুষ বলে ভাবো। তুমি যদি ভালো থাকো, অবশ্যই তোমার আশে পাশের সবাইও ভালো থাকবে।

অনেক সুন্দর কিন্তু অনেক বেশি কষ্টের!!!! :(

০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:০১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

১১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৫১

রাজীব দে সরকার বলেছেন: পুরুষ রা শিক্ষিত হলেও পুরুষই থাকে,
জৈবিকভাবে যে পুরুষ তাকে সমব্যাথী করা কষ্টকর ও বিরল

০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:০৭

ত্রিনিত্রি বলেছেন: সর্বক্ষেত্রে নিশ্চই নয়। সেটাই আমাদের আশা। পুরুষ হোক আর নারী -- উভয়েরই উচিত নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া, এবং মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন হওয়া।

১১৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:৪১

অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: কতদিন পর ঢুকলাম, ফেসবুকে এক ফ্রেন্ডের শেয়ার দেখে পড়া শুরু করলাম, আরে এটা তো আমাদের ত্রিনিত্রি আপু যার ভুতের, রহস্য টাইপ পড়তে এত ভাল লাগত। চমৎকার লিখেছেন আপু। এতদিন পর ব্লগে আসার কারণ হওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।:)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:০৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।

১১৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:১২

যোগিনী বলেছেন: মেয়েগুলো তো এমন বোকায় হয়, এ আর নতুন করে বলার কি আছে, আপু??

০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:১০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: চালাক হওয়াও কিন্তু খারাপ! শ্বাশুড়িগুলি অতিরিক্ত চালাক এবং টাকার হিসাবটা ঠিকই বুঝে বলে বউগুলিরে এত কষ্ট দেয়।

১১৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৫১

সাহাজাদা সলীম বলেছেন: আপনার কেসস্টাডিগুলো পড়ে ভাল লাগল। কিন্তু এ ধরনের তথ্য পেলে ভাল রিপোর্ট করা যায় সংবাদ মাধ্যম গুলোতে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:১৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আসলে দিন তারিখ নাম রিপোর্ট এসব কিছুই নেই তো, একারনে সংবাদ পত্রে রিপোর্ট করা যাবে না। যখন দেখেছি, তখন তো আর এটা মাথায় আসে নি।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১১৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:২৮

সানজিদা হোসেন বলেছেন: কাঊসার রুশো বলেছেন: সামু ব্লগে মন খারাপ করা একটা পোস্টের তালিকা করলে এ পোস্টটা খুব উপরের দিকে থাকবে ।


সহমত।++++

০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৪১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১২০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১১

সমকালের গান বলেছেন: ভাল লিখেছেন। সহমত।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭

বীরেনদ্র বলেছেন: লেখা পড়লাম। খুব ভাল লাগলো আপনার প্রতিবাদ। পুরুষ শাসিত সমাজব্যাবস্থায় প্রতিদিনই নারীরা অযত্ন, অবহেলা নির্যাতনের শিকার। তারপর ও সমাজপতির্‌ ধর্মীয় নেতারা নারীদের ধর্মের দোহাই দিয়ে , সমাজের দোহাই দিয়ে, ধর্মের দোহাই দিয়ে নারী নির্যাতনে উৎসাহ যুগিয়ে চলেছেন।

ধর্মের কথা বলেই কিন্তু নারী নির্যাতন করা হয় সেই আল্লহ'র আইনের দোহাই দিয়েই। ধর্ষিতা ধর্ষনের বিচার তো পায়ই না উলটো ধর্ষিতাকে দোররা খেতে হয়।


অল্প কিছুদিন আগে এই টরন্টোতেই এক পাকিস্তানী তার মেয়েকে খুন করল। পুলিশের কাছে তার দাবী ছিল"এটা হল Honour killing, পরিবারের এবং ধর্মের সম্মান রাখতে সে শরীয়া আইন অনুসারেই এ কাজ করেছে এবং সে বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নয়, মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড ছিল সাদা"



বৌ পিটানো, যৌতুক, যৌন নির্যাতন, নারীকে পন্য বানানো, এসিড সন্ত্রাস এমনি হাজারো নির্যতনের শিকার নারীরা যার অবসান হওয়া উচিৎ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: কাল রাতেই আমি আসনের কাবুলের গ্রন্থবণিক পড়ছিলাম। সেখানে গ্রন্থবণিককে অনেক উন্নত মানসিকতার বললেও তার পরিবারের নারীসদস্যদের প্রতি আচার আচরণ দেখে ভয় পেলাম। পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের আর সৌদির কাহিনী পড়লে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে হয় যে বাংলাদেশে আছি!

অবসান অবশ্যই হওয়া উচিত, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সমাজের এক জাতি অনেক এগিয়ে, এবং আরেকজন পিছিয়ে। সুতরাং সমান অধিকার বলে চেঁচালেই তো আর হবে না, আগে উভয় কে সমান অবস্থায় আনতে হবে, তারপরে সমান অধিকার। নারীরা যেহেতু অনেক পিছিয়েই আছে, পুরুষদের সহযোগিতা ছাড়া অগ্রগতি এমন ধীরই হবে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৩

সালমাহ্যাপী বলেছেন: এত সুন্দর একটা পোস্ট এত দিনে পরলাম :( :( :( :(


যাই হোক লেখাটা পড়ে আসলেই সেসব মেয়েদের জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে যারা অন্যের জন্য নিজেকে বিলীন করে দিচ্ছে।এতটুকুও চিন্তা করছেনা এর পরিনামের কথা।

আসলেই মন খারাপ করে দেয়ার মত একটা লেখা :( :(

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

১২৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৮

লজ্জাবতী বলেছেন: পোস্ট এবং প্রত্যকেটা মন্তব্য পড়লাম।

মেয়ে শিক্ষিত হোক আর অশিক্ষিত হোক, এদের অবস্থানের কোন পরিবর্তন নেই, খুব কষ্ট নিয়ে কথা টা বললাম।

মেয়েদের কষ্ট সবখানেই এক, কষ্টের ক্ষেত্রে শিক্ষা কোন ভূমিকা রাখে না।
শুধু নানা পাত্রে।

কালো মেয়ের বিয়ে। ছেলে সন্তানের প্রত্যাশায় বার বার............। সুন্দরী হলেও সমস্যা, ঘর থেকে সাবধানে বের হ। গার্ডিয়ান ছাড়া চলা যাবে না।
মেয়েদের আবার ছেলে বন্ধু কেন থাকবে?

বিবাহিত দম্পতিদের সমস্যার কথা কি আর বলবো!
স্বামী কখনো বউয়ের কোন কথা মানতে রাজী না, সব ক্ষত্রে স্ত্রীকেই কম্প্রোমাইজ করতে হবে, সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য। চাইলেই সব মেয়ে আলাদা থাকতে পারে না ডিভোর্স নিতে পারে না। আবার একা একটা মেয়ের জন্য এই জীবন যেন নরকসম!!

কত বলবো আপু, বললেও
শেষ হবে না। এই সমাজ মেয়েদেরকে কখনো জীবনের স্বাদ স্বাধী্নতার স্বাদ বেচেঁ থাকার স্বাদ নিতে দিবে না। কেম তবে জন্ম হলো??

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আর আমরা মেয়েরাও এর জন্য আসলে কম দায়ী না। সেটাতেই দুঃখ বাজে বেশী। একটা মেয়ে যখন আরেকটা মেয়ের জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, এর চাইতে প্যাথেটিক আর কিছু আছে বলে মনে হয় না।

অনেক ধন্যবাদ মতামত শেয়ারের জন্য।

১২৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৫

ধূসর পৃথিবী বলেছেন: প্রথম দুইটা কেস পড়লাম.........আর সামনে আগাইতে পারলাম না।
আমার কাদতে ইচ্ছা করতেছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :(

১২৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৫০

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: হতাশ দীর্ঘশ্বাস। নারীদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমার মনে হয় নারীদের সাইকো-ফিজিওলজি সন্তান/পরিবার পালনে যত্নশীল। আমরা অক্সিটোসিন হরমোনের কথা জানি যা সন্তানের সাথে বন্ডিং সৃষ্টিতে সহায়তা করে। পরিবার পালনের মহান ব্রত থেকে নারীদের হঠাৎ বেরিয়ে আসাটা সমাধান নয়; নারীরা নিজেরাও তা চাইবে বলে মনে হয়না। পশ্চিমা স্বাধীকার সচেতন সমাজের স্বয়ংসম্পূর্ণ নারীদেরকেও দেখেছি পরিবার/সন্তান এসব নিয়ে তার স্বামীর চেয়ে অনেক বেশি চিন্তিত হতে। সমাধান হল: পুরুষদেরকে অনেক বেশি রেসপনসিভ হতে হবে; নারীকে মূল্যায়ণ করতে হবে; শ্রদ্ধা করতে হবে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পরিবার থেকে বের হয়ে এসে কি করবে? এক পেপারে ১০০ আরেক পেপারে ০ পেয়ে তো লাভ নেই। দুইটাই দরকার একটা মানুষের জীবনে। একদম ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

১২৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৫

জাহাঙ্গীর আকবর শাকিল বলেছেন: সচেতন হতে হবে, এর বিকল্প নেই ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৪৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.