![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন গবেষক..চিন্তা করাই আমার কাজ...চিন্তিত ভাই ব্রাদারদের আমার পেজে স্বাগতম। [email protected] https://www.facebook.com/bangal.miya
যেসব কারণে সর্বদলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় সরকারপ্রধান যেই হোক (খালেদা বা হাসিনা বা স্বতন্ত্র আজিম সাহেব বা উপনির্বাচন দিয়া আনা কোন টেকনোক্রট) সেটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়কের চেয়ে কম কার্যকর হবে -
১. নির্দলীয় সরকার খুব দ্রুত এক হপ্তায় শ-খানেক বদলি ওএসডি করে, জেলায় জেলায় ডিসিদের পরিবর্তন করে একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন দিতে পারে। এমন সিদ্ধান্ত নিতে বেশ বেগ পেতে হবে সর্বদলীয় ব্যবস্থায়। কারণ প্রত্যকে দলের প্রতিনিধি তার নিজের দলের ডিসি, এস্পি, আমলাদের রাখতে চাইবে। সিদ্ধান্তগ্রহণে দেরী হবে, অনেকক্ষেত্রে নেয়ায় যাবে না.
২. দলীয় ব্যক্তির অধীনে থাকে মন্ত্রনালয়গুলি নিরপেক্ষ আচরণ করতে পারবে না। কনফ্লিক্টিং আচরণ করে অন্তর্বর্র্তিকালীন সরকারকে বিপদে ফেলতে পারে।
৩. সন্ত্রাসী ও ছোট অস্ত্রের প্রভাব কমাতে পুলিশ রেবকে যেভাবে একলক্ষ্যে কাজ করতে দেখা গেছে আগের কেয়ারটেকার সরকারের আমলে, সেটা এবার দলীয়ভাবে বিরুদ্ধপক্ষ দমনে ব্যবহৃত হতে পারে। আবার নিরপেক্ষ কাজ করলেও তার দলীয় সমালোচনা আসতে পারে। ধরেন ৫জন বিএনপির ক্যাডার ধরলো আর ৩জন লীগ, তাতেও প্রশ্ন আসবে, উল্টো হলেও প্রশ্ন আসবে।
৪. সর্বোপরি কেউ সাবোটাজ করলে সেই উপদেষ্টাকে অপসারণে বেশ বেগ পেতে হবে প্রধান উপদেষ্টাকে। সেক্ষেত্রে পক্ষপাতের অভিযোগ হবে বিব্রতকর।
৫. সর্বদল এর মধ্যে যে বিভাজন (অনাস্থা অর্থে নয়)- বন্টন হবে সেটা কোন বিচারে হবে? আগের নির্বাচনের ভোটের পার্সেন্টেজ হিসাবে নাকি সিটের হিসাবে। যদি প্রচলিত ৫+৫ তত্ত্বেও যাই, সেখানে নতুন ও দুর্বল দলের প্রতিনিধিত্ব কি করে হবে? দুই পার্টি যদি নিজেদের জন্য একটা একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করে অন্য কাউকে ভাগ না দেয়- সেক্ষেত্রে নতুন রাজনৈতিক শক্তির বিকাশে একটা বর বাধা হয়ে দাড়াবে সর্বদলীয় সরকার ব্যবস্থা।
সকলেই তত্ত্বাবধায়কের প্রধান নিয়ে লাফঝাপ দিলেও বুঝতে হবে ওটা দ্বন্দের শুরুয়াদ। যদি উভয়পক্ষ মেনেও নেই সর্বদলীয় বা নির্দলীয়, এরপরেও নির্বাচন কমিশন প্রধান নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। আগেও এমন বিতর্কে দিনের পর দিন হরতাল হয়েছে, মানুষের ভোগান্তি হয়েছে। তাই অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী স্বাধীন করা, নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব মুক্ত করার জন্য অডিটর নিয়োগ করা, নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসনকে নিউত্রালাইজ করে প্রস্তাব রাখতে হবে... দুই দলই এসব ব্যাপার এড়িয়ে গিয়ে গেল বিশ বছরে তিলে তিলে এই নির্বাচনী বছরের সংকট ও সংঘাত তৈরী করেছেন। তারচেয়েও বড় ঝামেলায় ফেলছেন, বিএনপির আমেরিকা তোষণ আর লীগের ভারত তোষণ। ফলে নির্বাচনটি মূলত জনগনের ভোটে না হয়ে পরাশক্তিদের মধ্যেই হচ্ছে
©somewhere in net ltd.