নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লাল পাতার কাব্য!

ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো

বাঙ্গাল

আমি একজন গবেষক..চিন্তা করাই আমার কাজ...চিন্তিত ভাই ব্রাদারদের আমার পেজে স্বাগতম। [email protected] https://www.facebook.com/bangal.miya

বাঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশের মতো মিলিটারি বা মিলিটারির মতো পুলিশ- যে কারণে ভয়ংকর

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

২৬মার্চ অনেক কারণেই স্মরণীয়। ড়েবের জন্মদিন। ২০০৪ সালের ২৬মার্চ 'লুকিং ফর শত্রু' খ্যাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবরের ব্রেইনচাইল্ড ড়েবের জন্ম। আমেরিকার সোয়াট টিমের আদলে আমাদেরও পুলিশের মিলিটারাইজেশনের শুরুয়াদ। এরপরে গেল ১০বছরে মোট কতবার অস্ত্রউদ্ধারকালে অন্ধকারে ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, জিজ্ঞাসাবাদকালে হৃদযন্ত্রের বৈকল্যে মৃত্যু হইছে তার হিসাব নাই। হাজারখানেক? পুলিশের মিলিটারি হয়ে উঠার পথে, যত্রতত্র গুলি চালিয়ে মীমাংসা করবার এন্তেজাম করতে ড়েব একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পুলিশের সাথে 'শুট টু কিল' ট্রেনিং পাওয়া আর্মি-আনসারের মিশেলে একটা সংকর বাহিনী। এর সাফল্যে পরে চিতা কোবরার মতো দল গড়ে তোলা হয়। পোষাকে আর নামধামেই একটা ভীতি জাগানিয়া বিষধর ভাব। নিজের দেশের ভেতরেই নাগরিকের সাথেই তাদের বোঝাপড়া। কিন্তু তাদের হাতে থাকে যুদ্ধাস্ত্র। রাষ্ট্র নিজের দেশের মানুষের সাথেই একটা যুদ্ধে নেমে যায়। এন্টি-টেররিজম ইউনিট। কিন্তু এই যুদ্ধে পরাজিতপক্ষই পরাজিত হয়ে মিষ্টি খেয়েছে। ক্রসফায়ারকে সন্ত্রাসদমনে জনপ্রিয় করতেই সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয় অমুক সন্ত্রাসীর ক্রসফায়ারে মৃত্যু, মৃত্যুকালে তার নামে চাঁদাবাজি, রাহাজানি সহ এতোগুলি মামলা ছিল। যেন মামলা থাকলে গুলি খাওয়া ফরজ। সুতরাং, উনি ক্রসফায়ারের যোগ্য দাবিদার। জনমনেও পুলিশ বলতে ভেড়াবাহিনী ও ড়েব বলতে সকাল সন্ধ্যে রাতে কালোচশমা পরে ঘুরে বেড়ানো সাক্ষাৎ যম হিসেবে সুনাম কামিয়েছে।



আওয়ামীলীগ সরকার আমলেও এই 'সুনামের' ধারা জারি রেখে ক্রসফায়ারকে বলা হতে থাকে 'বন্দুকযুদ্ধ' আর জিজ্ঞাসাবাদে খুনের চেয়ে গুম পরবর্তী খুনেই হাতপরিস্কার রাখা সুবিধাজনক পন্থা হিসেনে ব্যবহার করা হয়েছে। সবচেয়ে বড়কথা হচ্ছে, এসবে কারো বিচার হয় না। সাধারণত সুবিচার চেয়ে গলা ফাটানো মানবাধিকার সংস্থা বা বিরোধীদল বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিপক্ষে বললেও ড়েবের কোন সদস্যের বা তাদের আদেশ দেয়া সরকারী উর্ধ্বতন রাজনীতিবিদ কাম আইনপ্রনয়নকারীকে মামলার ফ্যাসাদে ফেলেন না, ক্ষমতায় গেলেও না। সব শাসকের পছন্দ বড় ডান্ডা, যাতে যারে তারে ঠান্ডা করে দেয়া যায়। তাই গদির ছোয়া পেলেই উনারা ড়েবের সুনাম করতে থাকেন।



২০০৪-২০০৫ সাল ড়েবের বড় কামিয়াবির বছর। জঙ্গিদমনে তারা ছিলেন সিদ্ধহস্ত। কিন্তু জঙ্গিলালনে পুলিশবাহিনী কেন খ্যাতি পাচ্ছিলো, কেন জঙ্গিদের বেড়ে ওঠার ঘটনাকে সরকারি দল 'মিডিয়ার অতিরঞ্জন' বলে চালিয়ে দিচ্ছিলো সেগুলি এড়িয়ে গিয়ে ড়েবকে বোলানো হলো। শুধু জঙ্গি দমনেই ড়েবের চাহিদা ফুরিয়ে যায় নি। যেন দেশে অফুরান জঙ্গি-ভান্ডার আছে তাই ড়েবকে নিয়মিত ব্যবহার করে চলে শাসকগোষ্ঠি। ড়েবের দেখাদেখি পুলিশও বুকে মাথায় গুলি চালাতে থাকে আওয়ামী লীগ আমলে। গেল দেড়বছরে আড়াইশো খুন হয়েছে। আসাদুজ্জামান নূরের উপর হামলা করা আসামিরা মারা পড়তে থাকেন। রাজনৈতিক সহিংসতার আছরে আরো বেশি ব্যবহার হচ্ছে গুলি। মাঝে পিপারস্প্রে নিয়ে যে বাহাস হলো সেটা যেন গুলির ব্যবহারে বাকহারালো।



বিচারবিভাগের নানা ফাঁকফোকর বন্ধ করে পুলিশে আস্থা না ফেরালে, পুলিশের মিলিটারাইজেশন না থামালে এই পাইকারি গুম-খুন-বন্দুকযুদ্ধ থামবে না। এই না থামার ফলাফলস্বরূপ প্রতাপশালী শাসক তৈরি হবে। ভোট বা ভোটবিহীন নির্বাচনে শাসকের চেহারার পরিবর্তন হলেও তার আচরণে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন আসবে না।



১.ক্রসফায়ার সেটা উপকারি বা অপকারি যাই হোক বন্ধ করুন।

২.পুলিশের মিলিটারাইজেশন বন্ধ করুন। ড়েবকে মিলিটারিমুক্ত করে সিভিলিয়ান পুলিশ ফোর্স হিসাবে গড়ে তুলুন।

৩.বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, রিমান্ডে নির্যাতনকে না বলুন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৫

রাবার বলেছেন: :-& :-&

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬

হেডস্যার বলেছেন:
কয়জন ভদ্রলোক র‍্যাবের হাতে মরছে?

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

বাঙ্গাল বলেছেন: কে ভদ্রলোক কে না সেইটা বিচারের দায় বিচারবিভাগের। গুলি করার এখতিয়ার নাই কারো। যারা মার খায়, আর যারা গুলি খায়- সবাই দেশের নিম্নবিত্ত বিধায় তাদের অভদ্রজন হিসাবে খরচের খাতায় ফেলে দিচ্ছেন কি?

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

হাসিব০৭ বলেছেন: @ হেডস্যার লিমন কি পেশাদার খুনি???????

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

হাসিব০৭ বলেছেন: এজন্যই মাঝে মাঝে মনে হয় যদি একটা পারমানবিক বোমা পেতাম তাহলে এই দেশটাকে ধ্বংস করে সেখানে নতুন সত্য ও ন্যায়ের রাজ্য গরে তুলতাম যেখানে কোন দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি থাকবে না

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

হাসিব০৭ বলেছেন: এজন্যই মাঝে মাঝে মনে হয় যদি একটা পারমানবিক বোমা পেতাম তাহলে এই দেশটাকে ধ্বংস করে সেখানে নতুন সত্য ও ন্যায়ের রাজ্য গরে তুলতাম যেখানে কোন দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি থাকবে না

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

হেডস্যার বলেছেন:
অবশ্যই নিরীহ কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে সেটা গ্রহনযোগ্য না।
তবে র‍্যাব যে পরিমানে সন্ত্রাসী ক্রসফায়ারে দিছে সেইটারে সাধুবাদ জানানো যায়।

অবশ্য এইটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। সবার সাথে না ও মিলতে পারে। @ হাসিব০৭

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

বাঙ্গাল বলেছেন: ব্যক্তির নিধন আর ব্যক্তির অপরাধের বিচারের পার্থক্য বুঝলে খুশি হয়ে উঠতেন না। সন্ত্রাসী বলে জে কাউকে খুন করাটা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর কাজ না। তাদের কাজ আইনের মুখোমুখি করা। আইমের কাজ অপরাধের বিচার করা। এখন একটা শর্টকাট খাড়া করে ব্যক্তির নিধন হচ্ছে। অপরাধের বিচার হচ্ছে না। যে খুন হলো তাকে কোন কোন অপরাধের সাজা হিসেবে খুন করা হলো, সেই অপরাধের কতখানি প্রমান আছে সেটা কি প্রচার হয়?

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: র‍্যাব হল বর্তমান সময় এর জন্য >>>>>>>>>>>.......

৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১২

কালীদাস বলেছেন: কিছু মনে কইরেন না, পলিটিকালি যতক্ষণ ইউজ না হয় আর যতক্ষণ নিরীহ একটা লোকও সাফারার হয় ততক্ষণ পর্যন্ত র‌্যাব পালতে আমার কোন আপত্তি নাই। বিএনপির আমলে যখন র‌্যাব বানায়, র‌্যাবের ক্রসফায়ারে সবচেয়ে বেশি মরছে বিএনপির ছ্যাচড়া আর মাঝারি মাস্তানগুলাই। এগুলারে জীবনে আপনে আমি কোর্টে নিয়া বিচার করতে পারতাম না।


আর মানবাধিকার কয়া যেইডি গলা ফাটায়, সেই মা****দগুলার একটারেও আপনে কোনদিন কোন ভিক্টিমের বাসায় যাইতে দেখবেন না। খোদ ঢাকা শহরেই কিছু এরিয়া আছে যেখানে সন্ধ্যার পর প্রশাসনের কোন অস্তিত্ব থাকে না। মানেন বা না মানেন, বাংলাদেশের ছ্যাচড়া বা**গুলা একমাত্র র‌্যাবরেই ডরায়।

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

বাঙ্গাল বলেছেন: আপ্নি শুট টূ কিল পাওয়ার সিভিলিয়ান্দের উপরে কিভাবে এস্তেমাল করবেন?পাড়ার মাস্তানের পাপ কতখানি? যে তারে গুলি খাইতে হবে?


স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রে যে মানবিক মর্যাদার কথা ছিল সেইখানে বন্দুকের নল দিয়া, কালো পোষাক, কালো চশমা লাগায়া দেশশাসনের অঙ্গীকার ছিল না। কথা ছিল 'বাঙলার মানুষ অধিকার চায়', কথা ছিল 'আর যদি একটা গুলি চলে'। এখন দেখা যাইতেছে শুধু গুলিই চলতেছে। এইটা লাগামহীন ব্যাপার। আপনি একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট অপরাধের কম্ব্যাট করতে এক্সক্লুসিভলি শুট টু কিল পাওয়ার দিতে পারেন। কিন্তু সেইটা ১০বছর ধরে দিলে বুঝতে হবে এইটা আইনশৃঙ্খলার ব্যাপার না। শাসন প্রক্রিয়ার ব্যাপার। দাবায়ে রাখার কৌশল।

৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩২

নতুন বলেছেন: পুলিশ/আমলা/নেতারা দূনিতি বন্ধ না করলে ড়েব/মেলিটারি কিছুতেই সমাধান হবেনা.....

প্রতিটা জেলা শহরে ২০-৫০জন বেশি হলে ১০০ সন্ত্রাসী আছে.... আর সবাইকেই পালন করছে রাজনিতিক দল....

আমরা নিজেদের সুবিধার জন্য পালন করছি ঐ নেতাদের.....

মাদক+অস্রের মতন জিনিস রাজনিতিক নেতাদের মদদ ছাড়া সারা দেশে প‌ৈছানো সম্ভব না...

আমরা ভাল না হইলে পুলিশ.ড়েব,মেলেটারি কেউই ভাল হইবোনা... :|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.