নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অাব্দুল্লাহ তাহির

অাব্দুল্লাহ তাহির › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৈতিকতার হালুম

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

একটা সাধু শব্দ। আরাধ্যও বটে। যে কেউ আপনাকে নৈতিকতার ছবক দিবে। এটা এমন এক জিনিস যা শুধু দেয়াই যায়। নিজের কাছে রাখাটা কঠিন ও জটিল। দু'হাত উজাড় করে অন্যকে দিতে এতটুকুও বাঁধে না।



উইকিপিডিয়া ঘেটে দেখলামঃ
নৈতিকতা(ইংরেজি: "Morality") (ল্যাটিন শব্দ "মোরালিটাস" থেকে আগত, যার অর্থ চরিত্র, ভদ্রতা, সঠিক আচরণ) হল ভাল(বা সঠিক) এবং খারাপ(বা ভুল) বিষয়সমূহের মাঝে উদ্দেশ্য সিদ্ধান্ত ও প্রতিক্রিয়াসমূহের পার্থক্য ও পৃথকিকরণ| নৈতিকতাকে একটি আদর্শিক মানদন্ড বলা যেতে পারে যা বিভিন্ন অঞ্চলের সামাজিকতা, ঐতিহ্য, সংষ্কৃতি, ধর্ম প্রভৃতির মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে| আবার অনেক ক্ষেত্রে, সামগ্রিকভাবে সমগ্র পৃথিবীর জন্য কল্যাণকর বিষয়সমূহকেও নৈতিকতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়|


ম্যানুয়ল ভেলেশকূ্য, ক্লেরে এণ্ড্রে, টমাস শ্যঙ্কস, এস জে এবং মিশেল মেয়ার
নৈতিকতা কি এমন একটি গবেষণা কে সংশোধন করেছেন। তাঁরা দেখালেন গুরুত্ববহ মাত্র দুটি বিষয়কে যার পরিধি সুদূর প্রসারী। আর এ দুটি বিষয় নৈতিকতার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ এবং মোটেই মামুলি বিষয় নয়। সাধনার মত কঠিন ঠেকতে পারে অনেকের কাছে।

নৈতিকতা বিষয়টাকে অনুভূতির সাথে গুলিয়ে ফেলেন অ্নেকে বৈকি। কিন্তু ‘নৈতিকতার’ অর্থ নিজস্ব অনুভূতির অনুসরণ নয়। কেননা এতে একজন মানুষের সঠিক পথ বেছে নেয়া থেকে পশ্চাৎপদ হতে পারে। নিজস্ব অনুভূতি অনেক সময় নৈতিকতার মান থেকে বিচ্যুত হতে পারে।

এমনকি শুধু আইন মেনে চলাও নৈতিকতার মা্ণদণ্ড নাও হতে পারে। আইন এমন কিছু নৈতিক মান নির্ধারণ করে দেয় যা মানুষ সম্মতি দিয়ে থাকে। কিন্তু ক্রীতদাস প্রথাই হোক বা দক্ষিণ আফ্রিকার পুরাতন জাতিবিদ্বেষ আইন ই হোক না কেন ; হাস্যস্পদ এহেণ উদাহরণ বলে দেয় যে আইন ও নৈতিকতার মাণ থেকে বিচ্যুত হতে পারে।

এমনকি শুধু ধর্মের সাথে নৈতিকতাকে মিলিয়ে ফেলা যায়না। যদিও সব ধর্ম ঊচ্চমাণ এর নৈতিকতার মান নির্ধারণ করে থাকে। ধর্মের সাথে নৈতিকতাকে এজন্য সীমাবদ্ধ করে ফেলা যায়না যে নাস্তিক বা আস্তিক দুজন মানুষের আচরণ এ নৈতিকতার প্রয়োগ থাকে। তবে সত্য এবং সন্দেহাতীত যে , ধর্ম ঊচ্চমাণ এর নৈতিকতার মান নির্ধারণ করে। তবে দুটি বিষয়কে এক করা চলেনা।

তাহলে কি শুধু সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকলেই সে অবস্থাকে নৈতিকতা সম্পন্ন বলে দাবী করা যায়? অধিকাংশ মানুষ, তা যে সমাজ ই হোক না কেনো, সমাজের নির্ধারণ করা মানকে গ্রহণ করে। যে মান নৈতিকতার প্রকৃত মান থেকে বিচ্যুত হতে পারে। যেমনটি ছিল নাৎসি জার্মান সমাজ; নৈতিকভাবে দুর্নীতিপরায়ণ একটি সমাজের নামান্তর বৈ কিছু নয়।

তাহলে নৈতিকতা কি?

প্রথমত, নৈতিকতা বলতে বোঝায় , ঠিক – বেঠিক এর নির্ণায়ক একটা শক্ত ভিত্তি। যা ব্যক্তি কে বলে দেয় তার উচিত/ অনুচিত , করণীয় , অধিকার, দায়িত্ববোধ, সমাজ উপকৃত হচ্ছে কিনা, ন্যায্য কিনা, এবং বিশেষ গুণাবলী ।নৈতিকতা হল সেই মান যা ব্যক্তি কে যুক্তিসঙ্গত দায়িত্ব পালণ করতে বলে; আর নিবৃত্ত রাখে কতগুলো আচরণ থেকে, যেমণঃ ধর্ষণ , চূরি, হত্যা, নির্যাতন, কুৎসা , প্রতারণা ইত্যাদি থেকে ।

নৈতিকতার মান আরও কিছূ গুণাবলী কে অন্তর্ভুক্ত করে; যেমণ; সততার গুণ, আনুগত্য ও সমবেদনা।

নৈতিকতার মান অবশ্য অধিকার এর মানের সাথেও সম্পৃক্ত; বাঁচার অধিকার, আঘাত থেকে বাঁচার স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা রক্ষার স্বাধীনতা। এ মানগুলোর পর্যাপ্ততা আছে; কারণ এগূলো সংগত ভাবে এবং সু- প্রতিস্ঠীত যূক্তি দ্বারা সমথিত থাকে।

দ্বিতীয়ত, নৈতিকতা বলতে বোঝায়, ব্যক্তির নৈতিকতার মান এর অধ্যয়ন এবং উন্নয়ন। যেমনটি উপর এ বলা হয়েছে, অনুভূতি, আইন ও সামাজিক নিয়ম পর্যন্ত নৈতিকতার মান থেকে বিচ্যুত হতে পারে। এজন্য, নিরন্তর ভাবে ব্যক্তির জীবণের মাণদণ্ড পরীক্ষা চালানোটা একটা জরুরী কাজ। এতে করে নিশ্চিত করা যায় যে, নৈতিকতার মাণদণ্ড সু- প্রতিস্ঠীত এবং যুক্তিসংগত আছে কিনা।

আবার , আমাদের নিজস্ব নৈতিক বিশ্বাস ও নৈতিক আচরণের বেপারে ক্রমাগত চেষ্টা চালানো আর যে প্রতিস্ঠান গূলোকে আমরা আকৃতি দেই, তার মান এ দূটো ই ও যেন যুক্তিসংগত আর সু- প্রতিস্ঠীত মান এর উপর ভিত্তি করে থাকে। নৈতিকতার মান পরিচালনার আর রক্ষার জন্য এটা জরূরী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.