![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি কোন রকেট পৄথিবী প্রদক্ষিনকালে কোন কারনে বায়ুমন্ডলের মধ্যে দিয়ে চলতে হয়,তাহলে বায়ুর সাথে সংর্ঘসে এর গতিবেগ কমে যায়।প্রত্যেক বারেই এমনি কমতে থাকলে এটা এক সময় পৄথিবীর দিকে নেমে আসতে বাধ্য হবে।কাজেই গতিবেগ যদি কোন সময় না কমে যায়,সেই জন্য রকেটের বা উপগ্রহের কক্ষপথের সবটুকুই বায়ুমন্ডলের বাইরে থাকা চাই।
এই জন্য স্থায়ী উপগ্রহের প্রতিস্ট করতে হলে দেখতে হবে,কোন সময়েই যেন এটা পৄথিবীর 1,000 মাইলের মধ্যে না আসে।এতে করে দেখা যাচ্ছে যে স্থায়ীভাবে কৄত্রিম উপগ্রহ প্রতিস্টা করতে গেলে প্রধানত তিনটি শর্ত পালন করতে হবে।প্রথমতঃএকে নির্দিস্ট গতিতে নিক্ষেপ করতে হবে।এর পড় খেয়াল রাখতে হবে,এটা যেন ভূ-পৄস্টের সমান্তরাল ভাবে নিক্ষিপ্ত হয়।
এবং এর কক্ষপথের সকল অংশই যেন বায়ুমন্ডলের বাইরে থাকে।কোন রকেট ভূ-পৄস্টের সাথে সমান্তরাল ভাবে নিক্ষিপ্ত না হলে এটা আবার ভূ-পৄস্টে পড়ে যাবার সম্ভাবনা আছে;সুতরাং যখন উপগ্রহ বয়ে নিয়ে উর্ধে উঠে যায়,তখন যথা সময়ে এটাকে ভূ-পৄস্টের সমান্তরালে চলতে হবে।নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি নিখুত না হলে এটা সম্ভব নয়।ভূ-পৄস্ট থেকে অনেক দূরে যদি উপগ্রহ প্রতিস্টা করতে হয় তাহলে গতিবেগ কম হতে হবে।
পৄথিবী থেকে 240,000 মাইল দূরে কোন উপগ্রহ প্রতিস্টা করতে ঘন্টায় 23,00 মাইল গতিবেগের প্রয়োজন।কিন্ত একটা কথা মনে রাখতে হবে।দূরে উপগ্রহ প্রতিস্টা করতে প্রয়োজনিয় গতিবেগ কম হলেও কাজটা সহজতর হয় না,বরং কঠিনই হয়ে দাড়ায়।কারন ভূ-পৄস্ট থেকে অতদূরে উপগ্রটাকে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দূরহ ব্যাপার।রকেটের গতিবেগ নির্ভর করে সেটা কতখানি জ্জালানি বয়ে নিতে পারে এবং কত তারাতারি সেই জ্জালানি পুড়তে পারে তার উপর।
রকেটের গতি অন্য দিক থেকে ও বিচার করা যেতে পারে ।সেটা হলো রকেট মটরের ডিজাইন এবং জ্জালানী ভিন্ন ভিন্ন জ্জালানী থেকে যে গ্যাসের শিখা রকেটের খোলা মুখ দিয়ে সজোরে বেরিয়ে আসে তার গতিবেগ বিভিন্ন হয়।জ্জালানী পুড়তে যে অক্সিজেন দরকার হয় তা তরল আকারে ট্যাঙ্কে ভরে দেওয়া হয়।
হয়।তরল অক্সিজেনের পরিবর্তে ক্ষেত্র বিশেষ নাইট্রিক এসিড অথবা ক্লোরিন ও ব্যাবহার করা যায়।কোন জ্জালানী কত ভালোতা নীচের তালিকা থেকে অনুমান করা যাবে।
জ্জালানির নাম শিখার গতি (ঘন্টায়)
(অক্সিজেন)এবং এ্যালকোহল 5,500 মাইল।
অক্সিজেন এবং পেট্রোল 5,600 মাইল।
ঐ এমোনিয়া 5,800 মাইল।
ঐ হাইড্রোজিন 6,600 মাইল।
ঐ হাইড্রোজেন 7,100 মাইল।
(ক্লোরিন) হাইড্রোজেন 8,650 মাইল।
এছাড়া কেরোসিনের মধ্যে এলুমিনিয়ামের গুড়ো মিশিয়েও জ্জালানী হতে পারে।এর দহন কালে অক্সিজেন দরকার।এসব জ্জালানীর সুবিধা এবং অসুবিধা সবদিক বিবেচনা করে ব্যাবহার করা হয়।তরল জ্জালানীর পরিবর্তে কঠিন জ্জালানী বড় রকেটে ব্যাবহার করতে হলে রাবার অথবা এসফল্ট এর সাথে পারক্লোরেট মিশিয়ে চাপ প্রয়োগ করে কঠিন করে ফেলা হয়।
এটাকে সিলিন্ডারের আকারে তৈরী করে এর মাঝখান দিয়ে একটা ছিদ্রের মত রাখা হয়।এই ছিদ্রের মধ্যেই আগুন ধরিয়ে দিতে হয়।জ্জালানী ভিতর দিক থেকে পুড়তে শুরু করে এবং বাইরের দিকে এসে শেষ হয়।তবে উপরের তালিকা থেকে দেখা যাবে যে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন ব্যাবহার করা যুক্তিসংগত;কিন্তু এতে বহু অসুবিধে রয়েছে।
চলবে.....................
১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮
নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: হতে পারে সবাই তো আর সব লেখা পড়ে না।আপনারা পড়েলেই হবে।
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলুক সাথেই আছি...
১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০
নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: আপনারা সাথে না থাকলে আমি অচল।বিশেষ করে আপনি।
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯
লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেক কিছু জানলাম।
পরেরটিও পড়বো।
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০
নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ,অবশ্যই পড়বেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: জানা টপিক হলেও টেক নিয়ে পোস্ট ...
দ্বিতীয় ভালোলাগা (+) ...
বুঝলাম না, টেকি পোস্টের পাঠক কি কমে যাচ্ছে ব্লগে..!?