নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অতি সাধারণ একজন মানুষ হবার প্রচেষ্টায়......................।

আজ তুমি অন্যের...........প্রীতি!

তুহিন সরকার

অমরে একুশে..............\nআমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি............\nএকাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। প্রজন্মের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। “রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ” সাঈদী/জব্বার সহ অন্যান্য সকল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি। জয়বাংলা।

তুহিন সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রেকিং নিউজ- মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী কুখ্যাত রাজাকার কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় আপিল বিভাগে বহাল।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

এই রায় প্রদানের মধ্য দিয়ে এ মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হলো।

এটি আপিল বিভাগের দেয়া মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের মামলার তৃতীয় চুড়ান্ত রায়।

বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার সকাল ৯টা ১৩ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করে।

এর আগে আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ অভিযোগে কামারুজ্জামানকে মুত্যুদণ্ড দিয়েছিল।

ব্রেকিং নিউজ- আলবদর নেতা কুখ্যাত রাজাকার কামরুজ্জামানের ফাঁসি।

আজ ০৩/১১/১৪ খ্রিঃ রোজঃ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এ দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। আপিল বিভাগের চার বিচারপতির সর্বসম্মতিতে হত্যা ও গণত্যার দায়ে দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

আজ সকাল নয়টা ১৩ মিনিটে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এ রায় ঘোষণা করেন।

প্রতিক্রিয়াঃ-

বর্তমান সরকারের আমলেই যুদ্ধাপরাধের সব রায় কার্যকর করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

এ সব পাপীর রায় শিগগিরই কার্যকর হোক: আইনমন্ত্রী

সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশিত ছিল: ইমরান

রিভিউ পিটিশন করা হবে: কামারুজ্জামানের আইনজীবী

রিভিউর সুযোগ নাই: এর্টনি জেনারেল

রিভিউয়ের সুযোগ নেই: প্রসিকিউশন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ঃ-

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই কুখ্যাত রাজাকার আল-বদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে গত বছর ৯ মে তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে আনা সাতটির মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ (১, ২, ৩, ৪ ও ৭) সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।

অভিযোগ গুলোঃ-

১নং অভিযোগ (বদিউজ্জামান হত্যা) একাত্তরের ২৯ জুন সকালে কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে আলবদর সদস্যরা শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার রামনগর গ্রামের আহম্মেদ মেম্বারের বাড়ি থেকে মো. ফজলুল হকের ছেলে বদিউজ্জামানকে অপহরণ করে আহম্মেদনগর সেনাক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে সারা রাত তাঁকে নির্যাতন করে পরদিন গুলি করে হত্যা করা হয়।

প্রথম অভিযোগে অপরাধের গভীরতা ও আনুপাতিকভাবে আসামির সংশ্লিষ্টতা বিবেচনা করে কামারুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে এই অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

২নং অভিযোগ (সৈয়দ আবদুল হান্নানের প্রতি অমানবিক আচরণ): একাত্তরের মে মাসের মাঝামাঝি এক বিকেলে কামারুজ্জামান ও তাঁর সহযোগীরা শেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানকে প্রায় নগ্ন করে শহরের রাস্তায় হাঁটাতে হাঁটাতে চাবুকপেটা করে।

দ্বিতীয় অভিযোগে কামারুজ্জামানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। এই দণ্ড সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

৩নং অভিযোগ (সোহাগপুরে নির্বিচারে হত্যা): একাত্তরের ২৫ জুলাই সকালে আলবদর ও রাজাকাররা পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে সোহাগপুর গ্রামে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় ও নারীদের ধর্ষণ করে। ওই হত্যাযজ্ঞের পর থেকে গ্রামটি ‘বিধবাপল্লী’ নামে পরিচিত হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ২০(২) ধারা অনুসারে তৃতীয় অভিযোগে কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এই অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

চতুর্থ অভিযোগ (মোস্তফা হত্যা): একাত্তরের ২৩ আগস্ট কামারুজ্জামানের নির্দেশে আলবদর সদস্যরা শেরপুর শহরের কলেজ মোড় এলাকা থেকে গোলাম মোস্তফাকে ধরে সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়িতে স্থাপিত আলবদর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। গোলাম মোস্তফার চাচা তোফায়েল আহমেদ সেখানে কামারুজ্জামানের কাছে গিয়ে তাঁকে (গোলাম মোস্তফা) ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু রাতে কামারুজ্জামান ও আলবদর সদস্যরা গোলাম মোস্তফা ও আবুল কাসেম নামের একজনকে সেরিহ সেতুর কাছে নিয়ে গুলি করে। গোলাম মোস্তফা নিহত হন এবং আঙুলে গুলিবিদ্ধ কাসেম নদীতে লাফিয়ে পড়ে প্রাণে বেঁচে যান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ২০(২) ধারায় চতুর্থ অভিযোগেও কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে আপিল বিভাগ এই অভিযোগে তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

সপ্তম অভিযোগ (দারাসহ ছয়জনকে হত্যা): মুক্তিযুদ্ধকালে ২৭ রমজান বেলা একটার দিকে কামারুজ্জামান ১৫-২০ জন আলবদর সদস্যকে নিয়ে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার কাঁচিঝুলি গ্রামের গোলাপজান রোডে ট্যাপা মিয়ার বাড়িতে হামলা চালান। ট্যাপা ও তাঁর বড় ছেলে জহুরুল ইসলাম দারাকে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে অবস্থিত আলবদর ক্যাম্পে নেওয়া হয়। পরদিন সকালে আলবদররা তাঁদের আরও পাঁচজনের সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে সারিতে দাঁড় করায়। প্রথমে ট্যাপাকে বেয়নট দিয়ে খোঁচাতে গেলে তিনি নদীতে লাফিয়ে পড়েন। আলবদররা গুলি করলে তাঁর পায়ে লাগে, তবে তিনি পালাতে সক্ষম হন। অন্য ছয়জনকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়।

সপ্তম অভিযোগে অপরাধের গভীরতা ও আনুপাতিকভাবে আসামির সংশ্লিষ্টতা বিবেচনা করে কামারুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তাঁর এই দণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

আপিলঃ-

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ও খালাস চেয়ে গত বছরের ৬ জুন আপিল করেন কামারুজ্জামান। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেনি। চলতি বছরের ৫ জুন থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয়। ১৬তম দিনে ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষ হয়। ওই দিন আপিল বিভাগ রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।

রায় প্রদানঃ-

এক মাস ১৬ দিনের মাথায় আজ কামারুজ্জামানের করা আপিলের রায় ঘোষণা করা হলো।

নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর ‘বিধবাপল্লীতে’ নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের দায়ে (তৃতীয় অভিযোগ) কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। এই অভিযোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত ও সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে আপিল বিভাগ একমত হলেও সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে।

গোলাম মোস্তফাকে হত্যার দায়ে (চতুর্থ অভিযোগ) কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। এই অভিযোগে তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ।

দারাসহ ছয়জনকে হত্যার (সপ্তম অভিযোগ) দায়ে কামারুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এই দণ্ড বহাল রেখেছেন।

একাত্তরে শেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানের প্রতি অমানবিক আচরণের (দ্বিতীয় অভিযোগ) দায়ে কামারুজ্জামানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এই দণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।



তথ্য সূত্রঃ-

চূড়ান্ত রায়ে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড-দৈনিক ইত্তেফাক

চূড়ান্ত রায়েও কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড-দৈনিক প্রথম আলো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আমীন :)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩১

তুহিন সরকার বলেছেন: ছুম্মা আমিন।

“রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ
মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ”

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৭

পাকাচুল বলেছেন: আপনি কি একটু আগে ঘুম থেকে উঠলেন নাকি?

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

আবদুল্লাহ আল জাফর মালেক বলেছেন: এই পোস্টটা স্টিকি হোক

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৭

ওয়্যারউলফ বলেছেন: জামাতে ইসলামের রাজনৈতিক চরিত্র অনুযায়ি এসব যুদ্ধাপরীদের জন্য দোয়া-দরুদপড়ার কথা।অথচ তারা তা না করে হরতাল করছে। ইসলাম কি হরতাল সমর্থন করে ?

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: ওয়্যারউলফ বলেছেন: জামাতে ইসলামের রাজনৈতিক চরিত্র অনুযায়ি এসব যুদ্ধাপরীদের জন্য দোয়া-দরুদপড়ার কথা।অথচ তারা তা না করে হরতাল করছে। ইসলাম কি হরতাল সমর্থন করে ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.