নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
সব ধরনের মানুষের সাথে চলা ফেরা করতে আমি পছন্দ করি। ধনী দরিদ্র বলে কথা নেই। যে কোন মানুষ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করার জন্য আমার মন সব সময়েই লেগে থাকে। এই জীবনে আমার বন্ধু বা পরিচিত এমন কেহ আমাকে বলতে পারবে না যে, বিপদ দেখে আমি তাকে ফেলে এসেছি। আমি আমার সামর্থ্যের মধ্যে আছে এমন কোন সাহায্য চাইলেই আমি তা করে ফেলি। বিবাহ পূর্ব মায়ের কথা শুনেছি, কত গভীর রাতে বাসায় ফিরে স্ত্রীর কথা শুনেছি তবুও আমার এই খাসিয়ত গেল না! নিজের পকেটের টাকা শেষ করে শুন্য হয়ে বাসার প্রয়োজনীয় জিনিষ না নিয়ে চুপ থেকেছি তার সব কিছু ঘুছিয়ে লিখলে বিরাট কিছু হয়ে যাবে। আজ সে দিকে যাব না! গতকাল রাতে থেকে যে সিদান্ত নিয়েছি, তাই আপনাদের বলব, পুলিশের কাছে কেন মেয়ে বিবাহ দিব না!
ঘটনা সংক্ষেপে বলি, গতকাল ভোরে আমাদের কাছে কুষ্টিয়া থেকে আসা দুই যুবককের (তারা বিদেশগ্রামী, ভিসা এসেছে, আমরা শুধু টিকেট কেটে প্লেনে তুলে দেব) একজনকে পুলিশ ধরে থানায় নিয়ে গেল। স্বাভাবিক ভাবে এদের ঢাকা শহরে কেহ নেই এবং আমিই তাদের অভিবাবক, আমার কাছেই ফোন এল। সাত সকালে অফিস খুলে না বলে আমিই ওদের অফিসের কাছে/হোটেলের কাছে থাকতে বলেছিলাম। গ্রামীন এই দুই যুবকের একজন তার মোবাইলে ফ্লাক্সি লোড করতে গিয়ে রাস্তা পার হতে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তার কাছে থাকা, পাসপোর্ট এবং টাকা দেখেও পুলিশকে বুঝাতে পারলো না যে, সে ককটেল বাহিনী নয়! তাকে থানায় নিয়েই গেল। ব্যস, তার পর থেকে আমার ভুগান্তি শুরু। থানার ওসি, ডিসি, আয়া, বুয়া সব কিছুই সারা দিন ধরে দেখে ফেললাম! দ্বারে দ্বারে ঘুরে সব কিছু শেষ করেও কাউকে আমিও কিছু বুঝাতে পারলাম না! শেষে মহামান্য ওসি সাহেব জানালার দিকে তাকিয়ে জুতা খুলতে খুলতে জানালেন, সন্ধ্যায় তিনি এর ফয়সালা করবেন।
অফিসে ফিরে এসে ফেবুতে মনের দুঃখে একটা স্ট্যাটাস দেই! তাতে আমাদের এক বড়ভাই লাইক দেন! বড়ভাইয়ের লাইক পেয়ে ফোন করি। তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তি হয়েও এই বিষয়ে আমাকে সাহায্য করতে অপারগতা জানান। তবে কে আমার এই কাজটা করে দিতে পারবে তার নাম আমাকে বলে দেন। বলেন, সে এই বিষয়ে ওস্তাদ মানুষ, সেই এই কাজে হেল্প করতে পারবে। তার সব লাইন ঘাট পরিচিত। বলা বাহুল্য, আমিও ওনাকে চিনি!
আমি সন্ধ্যায় থানাতে গিয়েও দেখলাম, একই দশা। (তাদের মুখ ফিরিয়ে রাখার ছবি এখনো আমার চোখে ভাসছে!) কিছুতে কিছু করতে পারলাম না। বুঝে গেলাম, এভাবে আর কিছু সময় পার হয়ে গেলে ছেলেটাকে নিশ্চিত কোন না কোন মামলায় জড়িয়ে কোর্টে/জেলে পাঠিয়ে দেবেই। আর দেরী না করে সেই বড় ভাইকে ফোন করলাম, তিনি মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফিরছিলেন। এ যেন ব্যাটে বল! তিনি আমাকে চিন্তে পেরে খুব কম সময়ে থানায় চলে এলেন এবং সব কিছু তার পরিচিত থাকায় খুব সহজে একটা দরদামে (!) দফারফা হয়ে গেল! মিনিট পাঁচেকের মধ্য আমি সেই যুবককে আমার হাতে পেলাম। (সেই বড় ভাই তার রিক্সা ভাড়াও নিলেন না! তিনি নিজেও এই গ্রামীন যুবককে দেখে খুব দুঃখ প্রকাশ করলেন। এমন মানুষের জন্য দোয়া করতেই হয়।)
ঘটনাটা সারা রাত আমার মনে কষ্ট দিয়েছে। পুলিশ বিষয়ক কিছু করুন কিছু ঘটনা আমার নিজের জীবনেও আছে তবে গতকালের এই ঘটনা আমাকে আরো ব্যথিত করেছে আরো বেশি। পুলিশকে বলা হয় জনগণের বন্ধু! অদতে কি তাই! না, না, না! আমি খুব তাজব হয়ে লক্ষ করলাম, পুলিশতো সাধারন মানুষের কথাই শুনে না, তাদের হেল্প করবে কি!
সারা দিন থানায় থেকে এবং আবারো এদের চালচরিত্র কাছ থেকে দেখে সিদান্ত নিলাম, কখনো পুলিশের কাছে মেয়ে বিবাহ দিবো না!
(নোটঃ সব ঘটনা খুলে লিখতে পারলাম না বলে দুঃখিত)
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এখন দারোগা জামাই মানে শশুরের পোয়া বারো। ধন্যবাদ বাঁশ ভাই, হ্যাঁ, আমি নিশ্চত একজন থানার দারোগা/ ও সি চাইলে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা কামিয়ে বাসায় প্রবেশ করতে পারেন। নিশ্চিত, আমি বুঝতে পারেছি।
আমার মেয়ে যেখানেই বিয়ে দেই, পুলিশের কাছে দেব না!
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
নতুন বলেছেন: পুলিশ তো ওদের থানায় নিয়েছে টাকার জন্য....
পকেটে পাসপোট+সামনে ফ্লাইট.= অবশ্যই ছাড়াতে আসবে টাকা নিয়ে...
পুলিশের চাকুরি পাবার পরে কি মানবতা জিনিসটা চলে যায় নাকি?
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: নূতন ভাই, আপনি বাস্তব এবং সত্য কথা লিখে দিয়েছেন। আসলে ওরা টাকার জন্য ওকে আটকে রেখেছিল। ওরা জানত, আমি এমন কাউকে নিয়ে আসবোই, যে টাকা বিনিময় করতে পারবে!
এটা আমার সেই বড় ভাইও বলেছিলেন। হা হা হা.।
হ্যাঁ, জায়গাটাই এমন যে, এরা আর মানবতা শব্দটা চিনেই না! আমি নিশ্চিত।
শুভেচ্ছা।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
পথহারা সৈকত বলেছেন: পুলিশের চাকুরি পাবার পরে কি মানবতা জিনিসটা চলে যায় নাকি? :
আমি পুলিশের ছেলে.... আমার কি বিবাহ হইব না..........????
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: পথহারা সৈকত ভায়া, আপনার এই পরিচয় আপনাকে অনেক ভুগাবে। বিবাহ হয়ত করে ফেলবেন, তবে বাকী জীবন কষ্ট পাবেনই, আমি নিশ্চত।
তবে আপনার জন্য একটা উপায় আছে, আপনি অন্য কোন পুলিশের মেয়ে খুঁজে বের করুন। তাতে আপনিও তাকে চাপে রাখতে পারবেন।
শুভকামনা।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
প্যাপিলন বলেছেন: বাংলাদেশের অবস্থা খুব খারাপ উদারজী। এই সময়ে পরিবারে যদি একজন পুলিশ কমকর্তা (এসআই থেকে ওসি.......এসপি, ডিএসপি দের খানা নেই) আর একজন রাজনৈতিক নেতা থাকে, তাহলে আপনার চেয়ে নিরাপদ আর কেউ নাই।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: প্যাপিলন ভাই, এই দুই জিনিষই আমাদের পরিবারে নাই। আমাদের বিপদ পদে পদে! হা হা হা.।
সব কিছুর একটা শেষ আছে!
শুভেচ্ছা।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: পুলিশের কাছে মেয়ে বিয়ে দেবার জন্য তো এখনকার বিবাহযোগ্য কন্যাদের পিতামাতারা ব্যাপক উৎসাহি। টাকাটাই এর মুখ্য কারন।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ইঞ্জিনিয়র ভাই, হ্যাঁ, যা দেখলাম, এরা চাইলেই টাকায় বিছানায় ঘুমাতে পারে।
বিবাহযোগ্য কন্যাদের পিতামাতারা ব্যাপক আগ্রহ না থাকবে কেন? টাকাই যে দুনিয়া!
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
শ্রাবণধারা বলেছেন: জাস্ট কৌতুহল, নিরাপরাধ এই লোকটাকে ছাড়িয়ে আনতে কত টাকা দিতে হয়েছিল?
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: শ্রাবণধারা ভাই, ব্লগের নোটে বলেছি, এটা প্রকাশ না করাই উত্তম। আমি অনেক কিছু বাদ দিয়ে লিখেছি।
এটা প্রকাশ করা উচিত হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে এটা এখন বিশাল বানিজ্য।
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: টাকার ব্যাপারে ব্যাটাদের চক্ষু-লজ্জার বিষয়টা একেবারেই নাই আর বিবেক বোধটা নিয়ে যারা জন্ম হয় তারা হয়তো এমন পেশায় যোগ দিলেও টিকতে পারে না।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: জুলি দা,
একদম সত্য কথা লিখেছেন। সারা দিন আসলে আমিও টাকা দেয়ার লোক পাচ্ছিলাম না এবং ওরা এজন্যি আমাকে পাত্তা দিছিলো না। ওরা নিশ্চিত ছিল আমি একজনকে খুঁজে বের করেই ফেলবো! হা হা হা.।
১০০ ভাস সত্য কোন সামান্য বিবেকবান এমন চাকুরী করতে পারবেন না!
আপনাকে আরো সত্য কথা বলি, যে টাকা খেয়েছে (বিশাল পোষ্ট) তাকে আমি মাগরিবের নামাজ পড়তে দেখেছি। এই নামাজ কি কবুল হবে?
শুভেচ্ছা।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
ফাটা শারট বলেছেন:
পুলিশ,উকিল ,সাংঘাতিকদের সাথে মেয়ে বিয়ে দেবোনা ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ফাটা শারট ভাই, হা হা হা। সংবাদিক হলে সেইরাম হতে হবে!
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
ছাদিক তাল বলেছেন: পুলিশ কিভাবে এই কাজ করে। তারা কি মানুষের সমস্যা কখনোই দেখবে না। টাকা অনেকেই কামায় কিন্তু সম্মান কামানো সবার যোগ্যতার ব্যাপার নয়।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ছাদিক তাল ভায়া, এটা এমন একটা অভিজ্ঞতা যে, নিজের না হলে বুঝা যায় না। আপনার হলে আপনি বুঝতে পারবেন মাত্র। দূর থেকে তেমন কিছুই বুঝা যায় না।
সন্মানের কথা এখন কে আর চিন্তা করে।
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
দি সুফি বলেছেন: পুলিশ এবং কুকুর থেকে একশ হাত দূরে থাকা উচিত! এই দুই প্রজাতী, কোন রকম পূর্বাভাস ছাড়াই কামড়ে দেয়!
গত মাসের হরতালের সময় এক পরিচিত লোকের ছোটভাইকে পুলিশ রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায়। সে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। ১০ হাজার টাকা দেয়ার পর তাকে ছেড়েছে!
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: দি সুফি ভাই,
প্রতিদিন প্রতিটা থানাতে এমন বহু লোককে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। টাকা এবং মধ্যস্তাকারী কাউকে পেলেই ছুটানো যাচ্ছে।
আপনি এমন একটা অভিজ্ঞতার সাক্ষী, যেটা আমিও হলাম।
শুভেচ্ছা।
১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
হুপফূলফরইভার বলেছেন: প্রিয় উদরাজি ভাই, আমি কেবল গতকালকেই ঘটে যাওয়া আমার এক বন্ধুর স্টেটাসটা হুবহু শেয়ার করলাম। পাঠকরাই জেনে নিক বর্তমান গভার্নমেন্টের আমলে নিরিহ নাগরিকের সাথে পুলিশের আচরনের ধরন। আর দুহাত তুলে দোআ করি, আল্লাহ তাদেরকে বিবেকান্ধ পুলিশ না হয়ে সুবিবেকবান মানুষ হিসেবে বেচে থাকার তাওফিক দান করুন।
"বড় খালার ১৭ বছর বয়সি ছোট ছেলেটা ঢাকার উত্তরা একটা মাদরাসা পড়ে। গতকাল সকালে ময়মনসিংহ থেকে রওয়ানা দিয়ে দুপুর ১.৩০দিকে উত্তরা হাউস বিল্ডিং স্টপেজে নামে, সেখান থেকে তাকে পুলিশ এ্যারেস্ট করে নিয়ে যায়। গতকাল বিকেলে যখন মাদরাসায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে মাদরাসায় পৌঁছেনি তখনি খোঁজাখুজি শুরু হয়, কিন্তু কোনো হদিস মেলেনি, গতরাতটা আমাদের ভয়াবহ টনশনে কাটে। আমাদের আশংকাতেই ছিলো যে দেশের গোলযোগ পরিস্থিতিতে অযথা কোনো পুলিশী হয়রানিতেই সে পড়েছে। ঠিক তাই, আজ ভোরে সে বাসায় ফোন করে: গাড়ি থেকে নামমাত্রই পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায় অজানা স্থানে, সারারাত আটকে রেখে চলে নির্যাতন, সাথে থাকা টাকাকড়ি সব কেড়ে নেয়। ভোরের দিকে তাকে কমলাপুর রেলস্টেশনের কাছে মসজিদে রেখে যায়। সেখান থেকে কোনো এক মুসল্লির মোবাইল থেকে আজ ভোরে বাসায় ফোন করে ঘটনা জানায় সে।
এইমাত্র বড় ভাই ফোন করে জানায় ছোট ভাইটা তিস্তা ট্রেনে করে ময়মনসিংহ স্টেশনে নামলো।
শুকরিয়া আল্লাহর ! আমরা ওকে জীবিত ফিরে পেয়েছি !
আল্লাহ আমাদের মাফ করুন, পুলিশদেরকে সঠিক পথ দেখান !"
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হুপফূলফরইভার ভাই,
এমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটেই চলছে। কত মায়ের বুক খালি হয়ে যাচ্ছে। অনেকে তো লাশ টাও পান না, জান্তেও পারছেন না। এটা বিরাট কষ্ট সেই পরিবারের জন্য।
আমি গতকাল ওকে/ওদের বের করে একটা হোটেলে তুলে সকালে অফিসে নিয়ে এসে কাজ শেষ আবার বাড়ী ফেরত পাঠিয়েছি।
যাকে ধরেছিল সে বার বার বলছিলো, বাড়ীতে যে খবর না দেয়া হয়। কারন তা হলে বাড়ীতে কান্নার রোল সহ কষ্ট বেড়ে যাবে।
গ্রামীন এই যুবকদের ঢাকা আসার বিশাল অভিজ্ঞতা হল। যাই হোক, ওরা ফিরে যাচ্ছে, এটাই আনন্দের। টাকা হাতের ময়লা!
আপনার বন্ধুর ভাইটার জন্য সমবেদনা।
১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
গান পাগলা বলেছেন: ভাই আমি তো এখনো বিয়ে করিনি, আমি চিন্তা করতেসি, লাগে বিয়া করুমনা, তাও পুলিশের মাইয়া আনুম না কি বলেন?
পুলিশ কি মানুষ? মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: পাগলা ভাই, এটা এমন একটা অভিজ্ঞতা যে, আপনার না হলে আপনি বুঝতে পারবেন না।
আপনার পুলিশে কিছু অভিজ্ঞতা আছে বুঝা যায়।
না, মানুষ না! আমি নিশ্চিত।
১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
বিচার চাই বলেছেন: ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আপনার কষ্টের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। জানিনা এতে আপনার কষ্ট বিন্দুমাত্র কমছে কিনা।
তবে আমি বলতে চাই এই হয়রানির কি কোনই প্রতিকার নেই?
আমরা সবাই জানি পুলিশরা কি করছে, তবু কেন এভাবে প্রকাশ্যে তাদের এই নিপীরন?
প্রকৃত সন্ত্রাসীরা, অপরাধীরা কিভাবে অবাধে ঘুরে বেড়ায় তাতো আমরা ঠিকই জানি, তবুও কেন সাধারন মানুষের এই হয়রানি?
অনেকেই এই পোস্ট পড়ছেন, তাই বলছি আপনারা সবাই এই পোস্টটি শেয়ার করুন এবং সবাই মিলে আসুন পুলিশের এই অপকর্মকে ঘৃনা করি। পুলিশকে প্রকৃত জনগনের বন্ধু হিসাবে পরিনত করতে আমাদের যতটুকুই সামর্থ আছে তাই কাজে লাগাই।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বিচার চাই ভাই,
আমার আর বিচার চাইতে ইচ্ছাও হয় না।
কার কাছে বিচার চাইবো?
প্রকৃত সন্ত্রাসীরা, অপরাধীরা কিভাবে অবাধে ঘুরে বেড়ায় তাতো আমরা ঠিকই জানি, তবুও কেন সাধারন মানুষের এই হয়রানি? - সাধারন মানুষে সহজে নাগালে পাওয়া যায়।
১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
আবু সালেহ সুমন বলেছেন: পুলিশে যখন একটা লোক চাকুরিতে ঢুকে, তখন তাকে এমন একটা যন্ত্রের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হয় যে সে অনায়াসে মানুষ থেকে জানোয়ার হয়ে যায়!
শুনেছি এখন নাকি কনস্টেবল পদে ঢুকতেও লাখ দশেক টাকা অগ্রিম দেওয়া লাগে। তো জনাব, পুলিশ এতো টাকা ইনভেস্ট করে যখন চাকুরিতে ঢুকে, তাকে তো পলিটিক্যাল-নন পলিটিক্যাল/আসামী-ভালো মানুষ বাছ বিচার করলে চলবে না।
তাকে তো তার ইনভেস্টমেন্ট তুলতে হবে!!!
১৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
গান পাগলা বলেছেন: আমি সাধারন একটা জিডি করতে যাইয়া বুচ্ছি কত খারাফ ওরা, একটা জিডি নিতে আমাকে তিন দিন ঘুরায়ছে।
ওদের নরমালি কেউ সম্মান করে কিনা আমার সন্দেহ হয়, মানুষ বিপদে পড়লে এক আদবার সার সার করে।
১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
হেডস্যার বলেছেন:
গুড ডিসিশান ইনডীড।
এরা মানুষের কাতারেই পড়ে না।
১৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২
যঙযঙ বলেছেন: প্রথম কমেন্ট
১৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩০
রাজীব বলেছেন: আবু সালেহ সুমন বলেছেন: পুলিশে যখন একটা লোক চাকুরিতে ঢুকে, তখন তাকে এমন একটা যন্ত্রের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হয় যে সে অনায়াসে মানুষ থেকে জানোয়ার হয়ে যায়!
শুনেছি এখন নাকি কনস্টেবল পদে ঢুকতেও লাখ দশেক টাকা অগ্রিম দেওয়া লাগে। তো জনাব, পুলিশ এতো টাকা ইনভেস্ট করে যখন চাকুরিতে ঢুকে, তাকে তো পলিটিক্যাল-নন পলিটিক্যাল/আসামী-ভালো মানুষ বাছ বিচার করলে চলবে না।
তাকে তো তার ইনভেস্টমেন্ট তুলতে হবে!!!
শধু তাই নয়, পুলিশের চাকুরীতে টিকে থাকতে হলেও অনক ইনভেস্ট করতে হয়। এই টাকা তারা পাবে কোথায়??
১৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
নীল আকাশ আর তারা বলেছেন: মজা পাইলাম ।
২০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৩
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: এই পুলিশ আর কুত্তার জাতের মইদ্ধে আমি কুনু ফারাক দেহিনা,এরা মাইনসের পা চাটবারও পারে আবার কামড়াইবারও পারে
নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে একটা কথাই বলতে ইচ্ছে করছে এই দেশে ...ন....র.. লা ছাড়া কেউ এই চাকরি করতে পারে না
ব্যাতিক্রম হলেও সেটা নিত্তান্তই তুচ্ছ
২১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
পুলিশের আচরন যাতে চেঞ্জ হয় এর জন্য দায়িত্বশীলদের ভুমিকা নিতে হবে !
২২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
মামুন রশিদ বলেছেন: পুলিশের কাছে ভাগ্নি বিয়ে দিয়ে বুঝতে পারছি পুলিশ কি জিনিস! ভাগ্নিটা কিছুদিনের জন্য লন্ডন গিয়েছিল, এই সুযোগে নিজের টেনে পড়ুয়া মেয়ের সামনে আরেক কনস্টবলের মেয়েকে বাসায় এনে রাখছে । ছিঃ
২৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
অন্ধকার ছায়াপথ বলেছেন: গান পাগলা ভাই...আপনি হয়ত জানেন না যে জিডি আপনি অনলাইনেও করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ডিএমপি এর ওয়েবসাইট এ ঢুকে চার্টার সিটিজেন এ ক্লিক করলে অপশনটি পাবেন।
২৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
অন্ধকার ছায়াপথ বলেছেন: সৈকত ভাই...আমিও পুলিশের ছেলে। বাবা বিসিএস ক্যাডার। কিন্তু আজ পর্যন্ত বাবার মধ্যে এমন কিছু দেখিনি যা আমার মনে তার সম্মান কমিয়ে দেয়। বহু লোক দেখেছি বাবার কাছে এলে বাবা তাদের এমনিতেই সমস্যা সমাধান করে দেন।
আর লেখককে বলছি, আপনি যদি উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জানাতেন বা লিখিত অভিযোগ করতেন তাহলে আপনার টাকা খরচ হত না। আর আপনি ব্লগ লিখতে পেরেছেন তাহলে ডিএমপি কমিশনার বরাবর মেইল করতে পারেন নাই...??
ব্যাপারটা বোধগম্য হল না।
মনে রাখবেন লেখক সব মানুষ একরকম হয় না। সবাইকে একই দাড়িপাল্লায় মাপলে সঠিক ওজন পাওয়া যাবে না। ধন্যবাদ
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: @অন্ধকার ছায়াপথ ভাই, আপনাকে শুধু এটা বলব, একদিন সকালে আপনি আপনার বাবার অফিসে গিয়ে সারাদিন থেকে আসবেন। দেখবেন উনারা কি কাজ কর্ম করে। কিভাবে মানুষকে হয়রানী করে, মানুষ কিভাবে নির্যাতিত হয়।
এর বেশি আর বলতে চাই না। ব্লগ লিখছি মনের দুঃখে রে ভাই! মেইল লিখে আবার কোন ঝামেলায় পড়ি সেই চিন্তা করে অই পথে আর আগাই নাই।
যাক আরো কিছু কথা আছে, বাদ দেন।
২৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
অন্ধকার ছায়াপথ বলেছেন: যারা যারা পুলিশকে তুচ্ছ বা ঘৃনা করছেন তাদের বলছি..ধরে নিন পুলিশ ঘোষনা দিল যে আগামী ১ ঘন্টা তারা থানা থেকে বের হবে না। ঐ ১ ঘন্টার ভেতরে কোন রকম অঘঠন ঘটলে কোন মামলা বা জিডি হবে না । তাহলে কি বলতে পারেন আমাকে, ঐ ১ ঘন্টায় ভেতরে কি কি করা সম্ভব...???
শুধু কয়েকটা প্রশ্ন করব আপনাদের কাছে -
১। আপনাদের নিরাপত্তা কে দেবে ?
২। কোন ব্যাংক ডাকাতি হলে দায়ভার কে নেবে? ঐ ব্যাংকে যদি আপনার একাউন্ট থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
৩।আপনার চোখের সামনে আপনার পরিবারকে খুন করলে, বিচারের নিশ্চয়তা কে দেবে?
৪। কোন মেয়ে ধর্ষন হলে তার কি হবে?
৫। গুরুত্বপুর্ন ব্যাক্তিত্বকে খুন করলে সেটার কি হবে?
৬। মানুষের জান মালের নিশ্চয়তা কে দেবে?
৭। রাস্তার দাদারা দাদাগিরি দেখালে আপনার কন্যাকে কিভাবে রক্ষা করবেন?
এবং সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয় যেটা তা হল
**** দেশের সার্বভৌমত্ব তথা সমাজের নিরাপত্তা কে দেবে...??
আজ পুলিশ তাদের ভাঙ্গা পিকআপ ভ্যান এ করে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে বলেই আপনি রাস্তার মোড়ে বসে সিগারেটের ধোঁয়া ওড়াতে পারেন। পুলিশের ভাঙ্গা পিকআপ দুর থেকে দেখেই আজ দুর্বৃত্তরা আপনার কাছে এসে আপনার ক্ষতি করতে পারে না।
শেষ প্রশ্ন সকলের কাছে -
বলতে পারেন একজন কনস্টেবলের বেতন কত....?? ৫২০০ টাকা তাও কেটেকুটে ৪৮৯৫টাকা পায় তাতেও কয়েক পয়সা কম ।
এই টাকা দিয়ে আপনি ঢাকার বুকে সংসার চালাতে পারবেন..?????
দু:খিত , একটু বেশী বলে ফেললাম। ক্ষমা করবেন। আমি পুলিশের ছেলে। বিসিএস দিয়ে বাবার মত অফিসার হতে চাই। প্রিলিতে টিকেছি। কিন্তু তারপরেও ক্ষমা চাচ্ছি। কিন্তু আমি পুলিশের ছেলে। এটার গৌরব আমার সারাজীবন থাকবে।
( লিখাটি আমি আমার ব্লগেও শেয়ার করলাম )
২৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
মরিযাদ হারুন বলেছেন: দি সুফি বলেছেন: পুলিশ এবং কুকুর থেকে একশ হাত দূরে থাকা উচিত! এই দুই প্রজাতী, কোন রকম পূর্বাভাস ছাড়াই কামড়ে দেয়!
২৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৪
অন্ধকার ছায়াপথ বলেছেন: অন্যকে অসৎ ট্যাগ দিতে এক মিনিট ও লাগে না আমাদের। কিন্তু নিজেদের সততার কথা আসলে তখন বলি আরে অত সৎ হলে কি চলে ?? একটু আধটু অসৎ হতে হয়, তা না হলে যে পিছে পড়ে থাকবে...
স্বাস্থ্য-শিক্ষা-বিচার-পুলিশ আমার মনে হয় এই বিভাগ কয়টির রাজনৈতিকীকরন দেশে জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।
আওয়ামি লীগ-বিএনপি র ঘষাঘষি পুলিশের দফা শেষ।পুলিশ যদি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারত তবে জনগনের ভালবন্ধু হতে পারত। আর দেশ থেকে দুর্নীতি ১ ঘন্টায় শেষ হইত...তখনতো আবার আপনিই চিল্লাবেন। কারন আমরা প্রতিদিন কিছু না কিছু ছোট-বড় বে-আইনি সুযোগ নেই যা পুলিশ দেখেও আপনাকে ছাড় দিয়ে যায়।
দুর থেকে অনেকেই অনেক কিছু বলতে পরে। যদি আসলেই আন্তরিক হন তাহলে সরকারী অফিসার হয়ে সিস্টেম ঠিক করার চেস্টা করুন।
২৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৬
অন্ধকার ছায়াপথ বলেছেন: সবাইকে বলছি.....
আজ আপনার বা আমার ছেলে খুন করে ধরা পড়লে আমরা ঘুষ নিয়ে যাই পুলিশের কাছে ! কোন সৎ অফিসার ঘুষ নিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে গালাগাল করি "ব্যাটা সততা ফলায় !" তারপর পরিচিত মন্ত্রী টাইপ কেউ থাকলেত তার পোস্টিং বান্দরবান বা খাগড়াছড়ি বা পর্বত্য জেলা গুলোতে করাই ! তারপরও নীচ মানুষ আমি আপনি হই না ! হয় ঐ পুলিশ অফিসার টাই ! এই নীতিগত বৈষম্য কেন ? আমরা কখনই বলবো না ৯০ ভাগ মানুষ ই খারাপ ! যদিও ৯০ ভাগ মানুষ ই অন্যায় অনৈতিক দাবি নিয়ে পুলিশের কাছে যাব ! সেই সুশীল মানুষরাই কিন্তু নিজের মেয়ে নির্যাতিত হলে ন্যায়বিচার চেয়ে মানব বন্ধন করব। আবার সেই সৎ অফিসারকে খুজে বের করব। কিন্তু নিজের ছেলে যখন অন্য কারো মেয়েকে নির্যাতন করবে আমরা একটা দুর্নীতি বাজ পুলিশ খুঁজবো ! কাউকে না কাউকে তো পাবই ! তখন সে হয়ে যাবে বিপদের বন্ধু ! ভাই, আমরা নিজেরা কি ভালো ? বলতে পারেন, আমাদের মধ্যে কয় ভাগ মানুষ ভালো ? পার্সেন্টেজ হিসেব করে বলেন তো....???
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০২
বাঁশ আর বাঁশ বলেছেন: পুলিশের মেয়ের অভাব হয়না। এখন দারোগা জামাই মানে শশুরের পোয়া বারো। আপনার মেয়েকে বরং কোন সুশীল বা সাংবাদিক এর সাথে বিয়ে দিয়েন। ওরা তো দেশের রক্ষক।