নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হোটেল হীরাঝিলঃ সাহাদাত উদরাজী

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

হোটেল হীরাঝিলঃ সাহাদাত উদরাজী

আমরা দুইজন খাবারের টেবিলের দুই পাশে বসা,
তিনি সরু সাদা ভাত, মুরগী মাসাল্লাম আর কাঁচা মরিচ লেবু সালাদ
আমি ভেড়ার মাংশের খিছুড়ি ও লেবু শসা
দুই জনেরই আছে খাবারের পানির বোতল, একুয়া মিনি!
আমরা কেহ কাউকে চিনি না,
আমি বসার পরে তিনি এসে সামনে বসলেন
আমার ওয়ার্ডার আগে নিয়েও আমার খাবার সামান্য সময় পরে এল
অপেক্ষাকৃত কম সময়েই উনার খাবার আগে চলে এল।

এই হোটেলের সার্ভিসম্যানদের কাছে এ কোন ঘটনা নয়,
তাঁরা প্রতিদিন প্রতিটা চেয়ারে আলাদা আলাদা মানুষকে সার্ভ করে থাকে।
ওরা জানে এখানে মানুষের ভীড় বেশি,
ফলে সবার জন্য আলাদা টেবিল দেয়া সম্ভব নয়,
চারজনের টেবিলে আলাদা আলাদা চার জনেই খেয়ে চলে যায়, অনায়েশে!
এই বান্যিজের স্থান, মতিঝিলে!

আমার কিছু কিছু ফালতু খেয়াল হয়,
খিচুড়ি মুখে দিয়ে আমার বিপরীতে বসা লোকটার মুখের দিকে তাকালাম,
তার মুখমণ্ডলের রেখা গুলো ভাল করে পড়তে লাগলাম।
খুব একটা অপরিচিত মনে হচ্ছে না, আমার চেয়ে দুই তিন বছরের বড় হতে পারেন,
চুলের সত্তর ভাগ পাকা, আজ সকালে সেইভ করেন নি, কদম ফুলের উপরি, তবে গ্ল্যামার ভরা মুখ!

বেশ আয়েসে খাচ্ছেন,
সাদাভাতে প্রথম ঝোল মেখে হলদে করে তাতে মাংশ পুরে নলা তুলছেন,
এর পরেই সালাদ থেকে নেয়া কাঁচা মরিচ দাঁত দিয়ে কেটে চিবুচ্ছেন!
এমন খাবার খুব হোটেলে খাওয়া অভিজ্ঞতায় ভরপুর না হলে হয় না!
আমি উনাকে আরো খুটিয়ে দেখতে থাকি!
মাঝে মাঝে তিনিও দুই একবার আমার প্লেটের দিকে তাকাচ্ছেন,
হয়ত ভাবছেন, আজ খিচুড়ি খেলেই মন্দ হত না!
এদিকে আমারো কিছুটা আফসোস হচ্ছে, এই হোটেলের খিছুড়ি এতএত বার খেলাম
অথচ কখনো সাদাভাতের সাথে এমন মুরগী মাসাল্লাম খেলাম না!

উনার কপালে কিছু বলি রেখা পড়ছে, গায়ের রং এবং চামড়ার ভাষ্য বেশ,
গ্রাম থেকে উঠে আশা কোন তরুণ এই শহরে এই বয়সে যেমন দেখায় তিনি তেমনি!
শিক্ষায়, আর্থিক সাফল্যে তাকে উচুবিত্তের মধ্যবিত্ত মনে হল, পোষাকেও!
আবার খাবারের হাত মুখে তোলার ষ্টাইলে আমি কিছুটা কনফিউজ!
উচুমধ্যবিত্তের পুরুষ গুলো কিছুটা ম্যারা, তেমন রুক্ষ নয়,
কোথায় যেন হারিয়ে ফেলা মন নিয়ে চলা, তিনি তেমনি!

আমার খুব জানতে ইচ্ছা হয় যদি প্রশ্ন করতে পারতাম,
আপনি কেন হোটেলে খেতে এসেছেন!
আপনার কি ঘরে খাবার রান্না হয় না, অফিসে কেন খাবার নিয়ে আসেন না!
আজ সকালে কি নাস্তা খেয়ে বাসা থেকে বের হয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি!
আবার চিন্তা করি, এই আমি যে কারনে হোটেলে খাচ্ছি, তিনিও হয়ত তাই!
ঘরে প্রিয়তমা স্ত্রী, আদরের পুত্র ও দরদের কন্যা থাকতেও হয়ত কেহ উঠে সকালের নাস্তা বানায় নি,
দুপুরের খাবারের কথা তো অনেক পরের জিজ্ঞাস্য!
আজকাল সংসারে যে ব্যাক্তি আর্থিক যোগান দেয়, সে তো সব সময়েই অবহেলিত এখন!
দুপুর থেকে বিকেল গড়িয়ে এই হোটেলে খেতে আশা প্রতিটা পুরুষের গল্প হয়ত একই!
দুপুরে হোটেলের খাবার শরীরের তাগিদে, মনের তাগিদে নয়!
আশা নিয়ে তবু এই পুরুষ গুলো বেঁচে বেঁচে রয়!

(নয়াপল্টন, ঢাকা, ৪ নম্ভেবর ২০২০, আরো স্থির চিন্তার দরকার ছিলো হয়ত)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৬

আমি সাজিদ বলেছেন: বেশ গভীর ভাবনা। ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অপূর্ব উপলব্ধির উপস্থাপন। বেশ মুগ্ধ হলাম।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আবেগ আছে লেখায়।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


গদ্য, পদ্য, রক-লিরিক, নতুন কিছু?

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

দার্শনিক টাইপ ভা্ব্না !!
সত্যিইতো বাসায় সব থাকতে
কেন আমরা হোটেলে খাই !!

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪১

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: লেখার শুরুটা বেশ ভাল লেগেছে। যেহেতু কবিতার ফর্মে লেখা, শেষদিকের অংশটা আরেকটু ভাবতে পারেন, একটু অন্যভাবে একই কথা বলা যেত যদি!
সবমিলিয়ে ভাল লেগেছে।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনি এসেছিলেন দাওয়াত দিতেন দুইজনে মিল্যা দেখতাম তার খাওয়া।

ভাইয়া অনেকেই আছেন খাবার আনা হয় না তাদের। আমিও ভাবি কেমন বউ তাদের , কিনে খেতে হয়। অথচ এক বাটি ভাত আর এক বাটি তরকারী দিলেই অফিস কর্মকর্তারা আয়েসে খেতে পারতেন। উনারা বউদের বেশী আদর কইরা মাথায় তুলছেন এবার মজা বুজুক হাহাহা

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০২

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ভাল লাগল।

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৫

স্থিতধী বলেছেন: ইরফান খান অভিনীত লাঞ্চ বক্স ছবিটার কথা মনে পরে গেলো ।

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৮

ওমেরা বলেছেন: পুরুষ গুলো এত অলস কেন ! নিজের খাবার নিজে রেডী করে, নিলেই পারে। স্ত্রীরা যখন জব করে তারা নিজেরাই কিন্ত নিজের খাবার রেডী করে নেয়। তাহলে স্বামীরা কেন পারে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.