নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Digital Bangladesh Warriors - fb.com/openbd

শাল্লা, ভািটর আই িপ.

ভাটির আইপি শাল্লা।

শাল্লা, ভািটর আই িপ. › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাইলের দাম ২২০০ (বাইশ শত) টাকা

২০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩৩

এই সপ্তাহের মধ্যে এর দাম ৫০০০ পাঁচ হাজার টাকা চাই।



এইটাই একমাত্র বাস্তব রাস্তা। ডাইল বন্ধ হউক।



সবাই জানে কে কে জড়িত।

লিংক দিয়ে সমৃদ্ধ করুন।





সরেজমিন চোরাচালান - ২ ফেনসিডিল কারখানাগুলো শুধুই বাংলাদেশের জন্য



হিলি স্টেশনের পেছনে ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলা। স্টেশনের অদূরেই এ জেলার ত্রিমোহনী মোড়। এখানে পুলিশ ফাঁড়িও আছে। এ পুলিশ ফাঁড়ির কাছাকাছিই রয়েছে শন্টু ভৌমিক, টুম্পা ভৌমিক, অনীল আর ফড়িংয়ের ফেনসিডিল কারখানা। অনীল এলাকায় কাকাবাবু নামে পরিচিত। তার বাড়িতে ঢুকতে গেলে দুর্গন্ধে নিজের অজান্তেই নাক চেপে ধরতে হয়। নর্দমা আর ডাস্টবিনে ঘেরা এ বাড়িতেই বসবাস করে অনীল কাকার ছেলে দুলাল।

দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। একটি তেল চিটচিটে পর্দা ঝুলছে। দুলাল নিজেই বারান্দায় বসে বালতিতে বানানো ভেজাল আর নকল ফেনসিডিল বোতলজাত করছে।

অনীল জানায়, তাদের কাছে আসল জিনিসও আছে। যারা কম দামে খেতে চায়, তাদের জন্য এই নকল ফেনসিডিলের ব্যবস্থা। ফার্মেসি থেকে কিনে আনা কম দামের কফ সিরাফ, গুঁড়া চা পাতার পানি আর হালকা ঘুমের ট্যাবলেট (পরিমিত) মিশিয়ে নকল ফেনসিডিল বানানো হচ্ছে। অনীলের দাবি, এর মান আসল ফেনসিডিলের চেয়ে খুব একটা খারাপ না। তারা ব্যবহৃত ফেনসিডিলের পুরনো বোতল টোকাইদের কাছ থেকে কিনে নেয়। এ ছাড়া বাজার থেকে ওই বোতলের মতোই দেখতে অন্য বোতল কিনে এনে নিজেদের ছাপানো লেবেল এঁটে তাতেও নকল ফেনসিডিল ভরে বিক্রি এবং সরবরাহ করে। বিক্রির জন্য আছে নানা কৌশল। এমনকি ফেনসিডিল সরবরাহের জন্য পাইপলাইন পর্যন্ত বসানো আছে। আর এসবের জন্য স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফকে সপ্তাহ চুক্তিতে রুপি দিতে হয়।

বাংলাদেশের দিনাজপুরের হিলি ও জয়পুরহাটের সঙ্গে ভারতের প্রায় ৭২ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। কালের কণ্ঠের সরেজমিন অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, এই দীর্ঘ সীমান্তের ওপারে অন্তত ৩০টি এবং এপারে অন্তত ৭০টি নকল ও ভেজাল ফেনসিডিল তৈরির কারখানা রয়েছে। কারখানাগুলো সীমান্তের আশপাশের লোকালয়ের বাসাবাড়িতে গড়ে উঠেছে। রাতের আঁধারে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এসব নকল ও ভেজাল ফেনসিডিল প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ হাজার বোতল করে পাচার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে।

বিডিআর ও সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, ভারতের অভ্যন্তরের ফেনসিডিলের কারখানাগুলো হলো সাইন্দ্যপাড়া, তেরকাতি, শ্রীরামপুর, আগ্রা, গোসাইপুর, নন্দীপুর, হাসপাতাল মোড়, দক্ষিণ পাড়া, সীমান্ত শিখা মোড়, হিলি বাজার, গোবিন্দপুর, ত্রিমোহনী মোড়, চকপাড়া, বকশিগঞ্জ, বৈকণ্ঠপুর, শ্যামবাজার, কামারপাড়া, ঠাকুরকুড়া, ঘাসুড়িয়া ও হাড়িপুকুরে। এসব অবৈধ কারখানা সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত।

এর মধ্যে বড় কারখানাগুলো হচ্ছে হিলি বাজারের দক্ষিণে ভারতের অভ্যন্তরে শন্টু ভৌমিক, টুম্পা ভৌমিক ও ফড়িংয়ের বাড়িতে এবং হাড়িপুকুরের আতিয়ার রহমান, নাজির উদ্দীন, আশরাফুল, মাহবুবুুল আলম ও নজরুলের বাড়িতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের কয়েকজন ফেনসিডিল ব্যবসায়ী কালের কণ্ঠকে জানায়, আসল ফেনসিডিলের ব্যবসায় লাভ যেমন বেশি, ঝুঁকিও তেমনি বেশি। অনেকে লোকসান দিয়ে পথের ভিখারিও হয়ে গেছে। আর এ কারণেই তারা এখন ভেজাল ও নকল ফেনসিডিল তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। জয়পুরহাটের ভুটিয়াপাড়া, কয়া, হাটখোলা, চেঁচড়া এবং দিনাজপুরের হিলি বিওপির উত্তর গোপালপুর, জিলাপিপট্টি, ফুটবল খেলার মাঠ, কালিবাড়ী, রেলওয়ের পিডবি্লউ এলাকা, চেকপোস্ট গেট, ধরন্দা, বাসুদেবপুর বিডিআর ক্যাম্পের অধীনের হিন্দু মিশন, হাড়িপুকুর, মংলা বিশেষ ক্যাম্পের অধীনের রাইভাগ, নন্দীপুর, ঘাসুড়িয়া ও মংলা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার বোতল ভেজাল ও নকল ফেনসিডিল বাংলাদেশে যাচ্ছে। এ ছাড়া তারা তেলের বড় বড় গ্যালনে করে ফেনসিডিল বাংলাদেশে পেঁৗছে দেয়। সীমান্ত এলাকায় ইদানীং পাইপ দিয়েও ফেনসিডিল পাচার হয় বলে জানা গেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতার দূরত্ব কম হলে সাধারণত চিকন নল বা পানির পাইপ ব্যবহার করা হয়। ওপারে কারখানায় বা কোনো নিরাপদ স্থানে ড্রামে ফেনসিডিল রেখে ওই নল দিয়ে তা ক্রেতার কাছে থাকা পাত্রে সরবরাহ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ফেনসিডিল টেনে নেওয়ার জন্য ইলেকট্রিক যন্ত্রও ব্যবহার করা হয়। তবে তা খুবই কম। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে জানা যায়, কিছু অভিযানে দেখা গেছে, মাটির নিচ দিয়েও অনেক সময় এ পাইপলাইন পদ্ধতিতে ফেনসিডিল পাচার হয়।

সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, শুধু বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যেই এ কারখানাগুলো বানানো হয়েছে। ১০০ মিলিমিটারের বোতলের পাশাপাশি এখন ৫০ মিলিমিটার বোতলেও ফেনসিডিল পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে শুধু ১০০ মিলিমিটার পাওয়া যেত। বোতলের গায়ে হিমাচল, বেঙ্গালুরু, কলকাতা ও লক্ষ্নৌ লেখা থাকলেও মূলত এগুলো স্থানীয়ভাবেই তৈরি। ১০০ মিলিলিটারের এক বোতল ফেনসিডিলের দাম ৬৫ থেকে ৭২ রুপি এবং ৫০ মিলিলিটারের দাম ৩৫ থেকে ৩৭ রুপি। পাচার হয়ে আসার পর ১০০ মিলিলিটার ফেনসিডিল এলাকাভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢাকায় সেটা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়।

সড়কপথে প্রাইভেট গাড়িতে, ট্রেনে, পণ্যবোঝাই ট্রাকে এবং যানবাহনের পাটাতনে বিশেষ ব্যবস্থায়, বোরকা পরা নারীদের শরীরে বেঁধে, কোমল পানীয়র বোতলে ভরে এবং আরো অনেক কৌশলে পাচার হয় ফেনসিডিল। শিশুদেরও ফেনসিডিল পাচার বা বহনকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। চোরাকারবারিরা ফেনসিডিল পাচারে বিরামপুর, ঘোড়াঘাট, গোবিন্দগঞ্জ, জয়পুরহাট ও বগুড়া রুট ব্যবহার করে টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ঢাকায় পাঠাচ্ছে বলে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, হিলি এলাকায় থেকে ফেনসিডিল ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে মাঠপাড়ার লোকমান হোসেন বেলাল ওরফে হুন্ডি বেলাল, মনতাজ হোসেন, চুড়িপট্টির হযরত আলী সরদার, শামীম সরদার, স্টেশনপট্টির কামাল হোসেন, হিলি বাজারের ফেরদৌস রহমান, পারভেজ, ফকিরপাড়ার সাজ্জাদ, নুর আলম, ফারুক, শাহাবুদ্দিন, সেলিম কমিশনার, নিলামকারী জাহিদ, অপু ওরফে পাবনাইয়া অপু, নোয়াখাইল্যা হারুন, কালীগঞ্জের মোফা, লেবার সুলতান, মধ্য বাসুদেবপুরের কাহের মণ্ডল, রায়হান হাকিম, চণ্ডীপুরের মিন্টু কমিশনার এবং সাতকুড়ির দেলোয়ার।

বাংলাদেশের ফেনসিডিল ব্যবসায়ী আরমান আলী ও হযরত (ঢাকার ফুলবাড়িয়া এলাকার) কালের কণ্ঠকে জানায়, ভারত থেকে এসব নিম্নমানের ফেনসিডিল তাদের কেনা পড়ে বড় বোতল (১০০ মিলিমিটার) ৮০ রুপি এবং ছোট বোতল (৫০ মিলিমিটার) প্রায় ৪০ রুপি। কিন্তু ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ, বাংলাদেশের বিডিআর ও পুলিশ (জিআরপি, ডিবি, থানা), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন খাতে টাকা দিতে দিতে সীমান্ত এলাকা পার হয়ে গাড়িতে উঠতেই প্রতি বোতলের দাম দাঁড়ায় চার-পাঁচ শ টাকার মতো। এরপর মূল গন্তব্যে পেঁৗছাতে পথেঘাটে আরো অনেক খরচ আছে।

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোজাম্মেল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ফেনসিডিল চোরাচালান এখন আগের চেয়ে অনেক কম। বর্তমানে বাজারে চড়া দাম দেখেই বোঝা যায়, সীমান্ত এলাকায় কড়াকড়ি আছে। এর পরও পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মাঝেমধ্যে ধরাও পড়ছে।

এসপি এ কথা বললেও জয়পুরহাট সদর থানার ওসি আবু হেনা মোস্তফা কামাল বললেন অবাক হওয়ার মতো কথা। তিনি জানান, তাঁর থানায় চোরাচালানিদের কোনো তালিকা নেই। এর কারণ হচ্ছে, জয়পুরহাট এলাকায় কোনো চোরাচালানি নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, সীমান্ত এলাকার অঘোষিত করিডরগুলোতে বিডিআর প্রহরা আরো জোরালো না করা হলে ফেনসিডিল চোরাচালান রোধ করা সম্ভব নয়। তবে এর আগে দরকার এ এলাকায় চোরাচালান রোধে যাঁরা নিয়োজিত, তাঁদের এ ব্যাপারে আরো সততা দেখানো।

ওপারে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্ত এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সৈয়দ হোসেন মির্জা ফেনসিডিল চোরাচালানের ব্যাপারে কালের কণ্ঠকে জানান, সীমান্ত এলাকায় উৎপাদন দূরে থাক, ফেনসিডিল বহন বা বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ চোরাচালানি চক্রকে ধরতে তাঁদের নেটওয়ার্ক বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। কালের কণ্ঠে অস্ত্র চোরাচালান নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় তাঁরা এ বিষয়গুলো আরো সতর্কতার সঙ্গে নতুনভাবে খতিয়ে দেখছেন বলে তিনি জানান।



স্টোরী ২



ভারতীয় ছিটমহল তেরঘর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিল আসছে বেনাপোলে ভারতীয় ছিটমহল তেরঘরকে ল্যান্ডিং পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে গাতিপাড়া এবং দৌলতপুর দিয়ে

প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল পাচার হয়ে আসছে বন্দর নগরী বেনাপোলে। একটি শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে লাখ লাখ টাকার মাদক পাচার করে আনছে বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থল বন্দরে। এই বন্দর থেকে অভিনব কায়দায় বাস, ট্রাক, ট্রেন, কন্টেইনার,

কভার ভ্যান, মটর সাইকেল এবং ভ্যানে করে পৌঁছে যাচ্ছে মরণনেশা ফেন্সিডিল ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে। ভারতীয় ৫৭ রুপী মূল্যের এই ফেন্সিডিল ঢাকাছাড়া বিভাগীয় শহরে বিμি হচ্ছে সাড়ে

৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকার মধ্যে। ব্যবসাটি অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এই ব্যবসায় পুজি খাটাচ্ছে। সরেজমিনে বেনাপোল চেকপোষ্ট থেকে ৩ কিঃমিঃ দক্ষিণে গাতিপাড়া ও দৌলতপুর গ্রামের মাঝে যেয়ে

দেখা গেল ভারতীয় ১৩ ঘর নামক ছোট্ট ছিটমহল। পূর্বে এই ছিটমহলের ভিতর বিএসএফ-এর একটি ক্যাম্প ছিল। প্রায় ৩ বছর আগে বিএসএফ এই ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ভারতীয় ১৩টি পরিবার

বাস করার কারণেই ছোট্ট এই ছিটমহলের নাম ১৩ ঘর। কিন্তু এখন আর ১৩ পরিবার ঐ ছিটমহলে বসবাস করে না। সর্বমোট ৬/৭ পরিবার ঐ ছিটমহলে বাস করে। ভারতীয় ভূ-খন্ড দখলে রেখে মাদকসহ অন্যান্য চোরাচালান ব্যবসা করার জন্যই ঐ সকল পরিবারের বাস। যাদের সকলেরই ঘরবাড়ি, ফসলের জমি সবই রয়েছে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বনগাঁ শহরের আশেপাশে। ১৩ ঘর ছিটমহলের দু’পাশে সমতল ভূমিতে রয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের দুটি পোষ্ট। বাংলাদেশের সমতল ভূমি গাতিপাড়া গ্রামের মাটির সাথে মিশে আছে ১৩ ঘর ছিটমহল। সামনে ছোট হাওড় ও পরে মেহেন্দীর টেক নামে একটি টিলা। যেখানে বাস করে ৪টি পরিবার। এলাকাবাসী জানায়, বর্ষা মৌসুমে নৌকা এবং শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটেই বনগাঁ শহরে যাতায়াত করে। ভারত এবং বাংলাদেশের শক্তিশালী সি-িকেট একত্রিত হয়েই ফেন্সিডিলের ব্যবসা করে। ওপারের

একটি সূত্র জানায়, ফেন্সিডিল বাংলাদেশে পাচারে বিএসএফ কোন বাধা দেয় না। ফলে বনগাঁ শহর থেকে অনায়াসে ১৩ ঘর ছিটমহলে ফেন্সিডিলের চালান চলে আসে। যেখান থেকে প্রায় প্রত্যেক ঘরেই ল্যান্ড করে ফেন্সিডিল। তবে ঐ ছিটমহলে লক্ষ্মী বৌদির কথা সবারই জানা। সেই সবচেয়ে বেশি ফেন্সিডিল মজুদ রাখে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গাতিপাড়ার পাকা রাস্তা থেকে ১৩ ঘর ছিটমহলের লক্ষ্মী বৌদির ঘর পর্যন্ত

আসা-যাওয়া করতে চোরাচালানীদের সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। যার কারণে এই রুটেই বেশি ফেন্সিডিল পাচার হয়ে আসছে। বেনাপোল বন্দর থেকে ৩৮ কিঃমিঃ রাস্তা পেরিয়ে ফেন্সিডিল চলে যায় যশোর শহরে। প্রশাসনের টোকেন সিস্টেম থাকার কারণে কোথাও ফেন্সিডিলের চালান আটক হয় না। ফেন্সিডিল বহনের জন্য বাস, ট্রাক বা ট্রেন কভার ভ্যান

ছাড়াও বিশেষ সিস্টেমে ট্রাকে ডবল পার্ট বডি তৈরী করা হয়। বর্তমানে ফেন্সিডিল বহনের জন্য ভ্যানগাড়িরও ডবল পার্ট বডি তৈরী হচ্ছে। ভ্যানের কাঠের তৈরী বডির নাট খুলেই কাগজে ১০ পিচ করে ফেন্সিডিল বেঁধে মোট ২২৫ পিচ ফেন্সিডিল বডিতে লুকিয়ে আবার নাট আটকিয়ে দেয়া হয়।

অপরদিকে মোটর সাইকেলে ৩ জন আরোহীর মাঝখানে বসা ব্যক্তির গায়ে বিশেষ জ্যাকেটে পকেট সিস্টেম করে ১২০ বোতল ফেন্সিডিল বহন করা হচ্ছে।







মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১৪/-১

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪২

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: আহারে! আমাদের আমলে ছিলো ৬৫টাকা বোতল

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৪

পুংটা বলেছেন: ...বিয়ার লিগাল কইরা দে রে বালের সরকার :P

২০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৮

শাল্লা, ভািটর আই িপ. বলেছেন: .বিয়ার লিগাল কইরা দে রে বালের সরকার

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫১

গরম কফি বলেছেন:
ডাইলের দাম ২২০০ (বাইশ শত) টাকা =p~ =p~

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৯

মাথা পাগলা ⎝⏠⏝⏠⎠ বলেছেন: পুসট টা জটিল । আমি শুনছি এই ঈদে একজন, ১৬০০ টাকা দিয়া ১ বোতল খাইছে, কিনতুক দাম না, তার দু:খ হইল সেইডাও ভেজাল... :D

৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৯

বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: ডাইল বন্ধ হউক।

বিয়ার কি আসলেই ইল্লিগাল নাকি? B:-)

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০০

অগ্নিবীনা বলেছেন: আরো বৃদ্ধি পাক।

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০১

মাহাবুব উল্লাহ বলেছেন: নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: আহারে! আমাদের আমলে ছিলো ৬৫টাকা বোতল

আমাদের আমলে তো ২৫০টাকা বোতল আছিলো :( :( B-)) B-))

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৩

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: ১০০০০ টাকা হলে ভাল হত।

৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৩

হাসানুর বলেছেন: ডাইল ছাড়া আমি ভাত খাইতে পারিনা ! গত পরশু ও তো কিনলাম ১২০টাকা কইরা !

১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১২

কাউসার রুশো বলেছেন: ডাইল বন্ধ হউক।

১১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৬

ফয়সালরকস বলেছেন:
আমাগো সময়ে ছিল ৮.৫০ টাকা!!!

আব্বা নিজের হাতে কিনা আইনা খাওয়াইছে। কিন্তুক আমারে পোলারে অহন আর খাওয়ান যাইবো না! হে জানি কুনদিন চিনতে না পারে, টের না পায় এইডা কি জিনিস।

আহারে...চিন্তা কইরাই গলা মলা শুকাইয়া আইতেছে।

@পুংটা...

বিয়ার লিগাল...আপনে মনে হয় জানেন না! বাজারে চলতেছে ধুমাইয়া...যমুনা গ্রুপের মাল!

তয় দাম ২২০০ টাকা হইলেই কি আর না হইলেই কি...সব বখরা তো যায় বালের পুংটা পুলাপাইনের কাছে!

১২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৮

পুংটা বলেছেন: ভাই মোহাম্মদ ফয়সাল রকস্..... ঢাকার বারগুলোতে হান্টার ২০০ টাকা কইরা নেয়... তবে বাজারে পাওয়া যায় না... আমনে একটা দোকানের ঠিকানা দিতারেন... জাতি খুইজ্জা খাইবো... :||

১৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৯

রাজর্ষি....... বলেছেন: আমার জীবন সার্থক হলো...নাম অনেক শুনলেও তার চেহারাটা আজ দেখলাম.....ধন্যবাদ।

১৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৭

নীল ভোমরা বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ!...দোয়া করি উত্তরোত্তর আরও উন্নতি (আপওয়ার্ড) হোক!

১৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৮

শ।মসীর বলেছেন: হাই হাই, একবার খাইয়া দেখনের শখ আছিলো, এত দাম হইলে খামু কেমনে :(:(

১৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪২

েভােরর স্বপ্‌ন বলেছেন: ভাই সর্দি কাশির জন্য কত খাইছি !!! ১৫/২০ টাকা দাম ছিলো, পরে ব্যান খাইয়া দাম বাড়ল

১৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:১৮

রাহুল বিশ্বাস বলেছেন: ঈদে বাড়িতে গিয়ে খাইলাম।ভোমরা বডার থেইকা আনছিলাম।১১০০ করে লইছিল।৫ পিছ।পুরাই intec মাল।

১৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৮

অর্ণব আর্ক বলেছেন: বাই আমিতো আইজক্যাও ডাইল দিয়ে ভাত খাইলাম ।

১৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:০৭

ফয়সালরকস বলেছেন:
@পুংটা...
আমনে কই থাকেন? মানে এলাকা আরকি...

আমার পাশের মুদি দুকানে পাওন যায়...১৫০/- !:#P

তয় যমুনা গ্রুপ লোক ঠকাইনা বিজনেস করে। এলকোহল রেশিও ঠিক থাকে না কখনোই। কই পামু ফষ্টারের স্বাদ...আহ!!!

@ শামসীর...

আমনে অহনও খান নাই??? আমি তো ছুডু বেলাতেই খাইছি! ১৯৭৯ সালের কথা...আহ! কি সেই দিন ছিল! ডাক্তারে ভালবাইসা আমারে কাছে বসাই আদর কইরা খাওয়াইতো!

২০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:১৭

পাঙ্খাবাবা বলেছেন: আমি আসলে একজন নেশাগ্রস্থ মানুষ। বলা যায় নেশাখোড়। আজ আপনাদের নিয়ে যাব নেশার রাজ্যে। সঙ্গে থাকবেন আশাকরি।

অনেক অনেক দিন আগের কথা ....

আমি তখন নবীন যুবক। সেই সময় আমাদের দেশে এলো এক নতুন মাদক নাম ফেন্সিডিল। এটি মুলত একটি কফ সিরাপ । আমরা তরুনরা এটাকে নেশার সামগ্রী হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করি এবং ভয়ংকর ভাবে সমাজের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে অনেক অনেক যুবক এই সর্বনাশা নেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, আমিও তা থেকে বাদ যাইনি। আসুন দেখি কি এই ফেন্সিডিল ।ফেন্সিডিল মুলত একটি কফ সিরাপ। এটি তৈরী হয় কোডিন ফসফেট, ইফিড্রিন হাইড্রোক্লোরাইড, প্রমিথিজিন হাইড্রোক্লোরাইড এই তিনটি উপাদানে সমন্নয়ে। এবার আসুন দেখি কিভাবে কাজ করে। কোডিন ফসফেট হচ্ছে মরফিন এর একটি ডেরিভেটিভ এতে প্রায় ৫% মরফিন থাকে। এটি গ্রহন করার আধাঘন্টার মধ্যে শরীরে মরফিন তৈরী হয়। আর মরফিন এর কাজ হলো আমাদের স্নায়ু ও মাংশপেশীকে শীথিল করে দেয়া। ইফিড্রিন হাইড্রোক্লোরাইড এর কাজ হলো আমাদের শ্বাসনালীর শ্লেষাকে শুকিয়ে দেয়া। প্রমিথিজিন হাইড্রোক্লোরাইড অনেকটা সিডেটিভ হিসাবে কাজ করে।

প্রথম দিন অতি আনন্দে ফেন্সিডিলের একটি বোতলের অর্ধেক সাবার করে দেই। অপেক্ষায় থাকি কখন নেশা হবে, এক অজানা আশংকায় অস্থির থাকি। ধীরে ধীরে ফেন্সি তার কাজ শুরু করে । কোডিন আমার স্নায়ু ও মাংশপেশীকে শীথিল করে দেয়, ইফিড্রিন হাইড্রোক্লোরাইড আমার শ্বাসনালীর শ্লেষাকে শুকিয়ে দেয়, প্রমিথিজিন হাইড্রোক্লোরাইড অনেকটা ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আসে। ফলে যা আমি উপলব্ধি করি কোডিনের ফলে আমার মাংশ পেশী গুলি শীথিল হয়ে আছে তা বড় কোন কায়িক পরিশ্রমের উপযুক্ত না। শ্বাসনালী সম্পূর্ণ শুস্ক হয়ে আছে এবং মুখ শুকিয়ে আছে তার সাথে প্রমিথিজিনের ঘুম ঘুম ভাব। স্নায়ূ ও মাংশপেশী শিখিল থাকার কারনে শরীরে খাদ্য থেকে সাধারন উত্পন্ন শক্তি খরচ করতে পারছি না তার উপর শ্বাসনালী শুস্ক থাকার আমি অক্সিজেন বেশী নিচ্ছি ফলে এটিপি ভেঙ্গে দেহের অভ্যন্তরে শক্তি উত্পন্ন হচ্ছে বেশী কিন্তু আমি তা খরচ করতে পারছি না স্নায়ূ ও মাংশপেশী শিখিল থাকার কারনে। শরীরের তাপমাত্রে বাড়তে থাকে প্রকৃতিক নিয়মে শরীর ঠান্ডা করতে গিয়ে প্রচুর ঘাম বের হতে থাকে ।কিন্তু শক্তির যেহেতু বিনাশ নেই তাই আমাকে তা খরচ করতে হবে সমতারক্ষা জন্য আমাকে এই শক্তি খরচ করতে হয় মানিসিক কাজ করে। আমার অবচেতন মন আমার ভালো মন্দ সব ভবনার শৃঙ্খলকে করে অবমুক্ত । আমি ভাবতে থাকি ভাবতে খাকি যা ভাবি তাতেই আনন্দ পাই ।আমি উড়ে বেড়াই আকাশে বাতাসে। সমস্ত স্বপ্নকে কল্পনায় রূপ দেওয়া বেপারই না। এই সময় উদ্ভট ভাবে আমি ভাবি আমিই বঙ্গের লাট কিং অব দা ওয়াল্ড । আর ফেন্সির নেশাকে আমি সংজ্ঞায়িত করি আমি এইভাবেই।

দিন যায়..

লাগামহীন ভাবনার জগতের সন্ধান পেয়ে আমার আস্তে আস্তে এর প্রতি নির্ভরশীলতার জন্মহয় আমি বুঝতে পারি কিন্তু আমলে নেই না ভাবি এ আর এমনকি ছেড়ে দিলেই হলো।ধীরে ধীরে মাদক গ্রহণ আমার প্রতিদিনের রুটিনের অন্তর্ভুক্ত হয় আমার অজান্তে।

বলে রাখা ভালো আমি প্রেম করি। আমি তাকে খুব ভালবাসি, বড় ভালবাসি, প্রচন্ড ভালবাসি। এমনকি তার সাথে থাকবার সময় ও আমি থাকি নেশায় আছন্ন। কারণ এই বল্গাহীন কল্পনার জগতে তাকে সাথে নিয়ে বিচরণ করতে আমার ভালই লাগে। তারে নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনতে আরও বেশী আনন্দময় মনে হয়। তারে চোখে আমি স্বপ্ন পূরণের ঝিলিক দেখতে পাই। তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকি। ধীরে ধীরে আমার পৃথিবীকে ছোট করে আনি। আমার বাস্তর পৃথিবীর গন্ডিও ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসে কারন আমার একা একা থাকতেই বেশী ভাল লাগে। একা একা থাকলেই আমার ভাবনা গুলো পাখা মেলতে পারে। আর আমি তাকে কল্পনায় পরিনতি দিতে পারি। বুঝতে পারি আমার জীবনিশক্তি খরচ হচ্ছে এই সব করে । অতদিনে তা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।

দিন যায়...

হঠাত আমি সঞ্চিত ফিরে পাই এ আমি কি করছি? এ যে অন্যায়। ভাবি সব ছেড়ে ছুড়ে দিব যেইভাবা সেই কাজ ছেড়ে দিলাম। কিন্তু দীর্ঘদিন মাদক গ্রহনের ফলে শরীরবৃত্তীয় কার্যকলাপের পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আবার নরমাল হতে গিয়ে জানালো তীব্র প্রতিবাদ। ভয়ংকর সেই প্রতিবাদ দুমড়ে মুচড়ে আমাকে তার কাছে মাথা নত করতে বাধ্য করলো। আমি পরাজিত হলাম। মাদক ছাড়তে পারলাম না।

আমার পৃথিবী দিন দিন আরও ছোট হতে লাগলো। নেশার জগতে থাকতে থাকেত আমি এখন অন্য মানুষ কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে আমার অস্বস্তি লাগে। বড়দের উপদেশ আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। বন্ধু বান্ধব কে মনে হয় দূরের মানুষ। ধীরে ধীরে আমার সামাজিক দায়বদ্ধতার জ্ঞান লুপ্ত হতে থাকে। আমি দিন দিন অসামাজিক হয় উঠি। জীবন শক্তিও নিশ্বেষ হতে থাকে। আস্তে আস্তে সবার চোখের দৃষ্টি তীর্যক থেক সন্দেহে দিকে ধাবিত হয় এমন কি আমার প্রেমিকা সেও একদিন সন্দেহ করে আমাকে জিজ্ঞাসা করে আর আমি মিথ্যার বসতি গড়ে তুলি। বুঝতে পারি অন্যায় কিন্তু আমি নিরুপায় একদিকে তাকে হারানো ভয় অন্যদিকে মাদকের জন্য শরীরের তীব্র আকুতি। সত্য সবসময় সত্য ধীরে ধীরে আমার মুখোশ খুলে যায় আমি তার কাছে ধরা পড়ি। আমি দেখতে পাই তার মন ভাঙ্গার কষ্ট। সে আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আমি নির্বাক হয় শুধু তার চলে যাওয়া দেখি। কিছুই বলতে পারি না। ভাবি এই চলে যাওয়াটাই তো স্বাভাবিক। তার এবং আমার মধ্যে এমন কোন বন্ধন নেই যে সে আমার শুধরানো পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। এইবার আমি পুরো পুরি বিধস্ত হই। ভালবাসার যখন ঘেন্নায় রূপ নেয় তখন তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। কারণ দুই পক্ষই দুইজনের দূর্বল জায়গাগুলো জানে। যথারীতি সে আমার দূর্বলতম জায়গাগুলোতে আঘাত আঘাতে আমাকে একদলা মাংশপিন্ডে পরিনত করে ছুড়ে ফেলেল। আমি তখন প্রতিবাদ হীন অথর্ব এক মাংশপিন্ড।

ফলাফল যা মাদকে প্রতি আমার নির্ভরতা বেড়ে গেল। ধীরে ধীরে আমার অর্থকষ্ট আরও বেড়ে গেলে মাদকে বর্ধিত চাহিদা নিয়ে চিন্তা করতে হয়। এখন দিনের বেশীর ভাগ সময় আমার কাটে নেশা করে।বাকীটা সময় নেশার টাকা জোগার করার চিন্তায় খাকি। ধীরে ধীরে আমার দায় দেনা বুদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু আমার একটা চক্রে বন্দী । এর থেকে আমার মুক্তি নেই।

হেড়ে গলায় গান গাই

দম ফুরাবে চক্ষূ মুদিবে, হাতে পায়ে খিল ধরিবে
আজরাইল আসিয়া জান কবচ করিবে।

মায়া ময়ের কায়া তখনহবেরে দুদর্শা,
সাড়ে তিন হাত মাটির নীচে নিবাস হবে
সেথায় পোকায় করবে বাসা।

কোথা হতে দমের পাখী, আসে দেহের খাচায়
দম ফুরালে ময়না আমার, কোথা গিয়ে লোকায়
ফুরুত করে দমের পাখী ,উড়ে পালাবে
মহাশূন্যে মিলাবে
আজরাইল আসিয়া জান কবচ করিবে.

দম ফুরাবে চক্ষূ মুদিবে, হাতে পায়ে খিল ধরিবে
আজরাইল আসিয়া জান কবচ করিবে।


ধীরে ধীরে সামাজের চোখে হেয় প্রতিপন্ন হতে থাকি। পারিবারিক জীবনে হয় যাই বোঝা। আমার চিন্তার শুধু মাদক এই ঘোর পাক খায়। প্রতিদিন প্রতিজ্ঞা করি আর খাবো না আর প্রতি বারই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হয়। শরীরে বিরোধীতায়। জীবন শক্তি এস তলানিতে ঠেকে। বুঝতে পারি কিন্তু কিছুই করতে পারি না।

দিন যায়...

আমার জীবন এখন পশুর জীবনের মতো। শুধু একটাই চান্ত কেমন করে মাদক গ্রহন করবো। অন্য মানবীয় গুনাবলী আমার থেকে বিলুপ্ত হয়েছে। মাদকের জন্য আমি যা খুশী তাই করতে পারি। আমি সামাজিক ভাবে অবাঞ্চিত হইতে থাকি সব জায়গায়। আমার পৃথিবী সরু থেক সরুতম হয় যায়। আমার করার কিছুই থাকে না। আমি এর খেকে মুক্তি চাই কিন্তু মুক্তি মেলে না।

আমার মদক গ্রহনের পরিমান বেড়ে যায়। এমনি এক আগ্রহয়নের সন্ধ্যা অতিরিক্ত মাদক গ্রহনের ফলে আমার ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয়।

কিন্তু মরেও আমার শান্তি নেই। আমার বিরুদ্ধে এখন নিজেকে হত্যা, সামাজিক বিশৃংখলা সৃষ্টি, ঋণখেলাপী, কথার বড়খেলাপ, দ্বায়িতহীনতা সহ হাজার রকমের প্রমানিত অভিযোগ। এই নিয়ে বিধাতার সামনে দাড়াতে হবে। আমি নিশ্চিত নরকবাসী হবো । আমার দুখের দিন আর ফুরোবে না।

পাঠক অনেক আশা নিয়ে আপনাকে নেশার জগত ঘুরিয়ে দেখার জন্য সাথে এনেছিলাম। দেখতেই পাচ্ছেন আমি এখন পৃথিবীর সমস্ত বন্ধন ছিণ্ণ করে অনন্তে অভিযাত্রী। আপনি একা এক ফিরে যান। শুধু একটাই অনুরোধ মাদক গ্রহণ করবেন না।





আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.