নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উনত্রিশে এপ্রিল ; মরণ কে খুব কাছ থেকে দেখার দিন।জীবন কে নতুন ভাবে অনুধাবন করার দিন।

উনত্রিশে এপ্রিল

উনত্রিশে এপ্রিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্ডাররেটেড

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৭



চ্যার্টার উড়োজাহাজ এ মোনালিসা সহ যাত্রীসংখ্যা মাত্র ১৩ জন।পাশের সিটের মধ্যবয়সী ভদ্রলোকটি মোনালিসাকে জিজ্ঞ্যেস করে "কি করেন আপনি?
-মডেলিং,ক্যাটওয়ার্ক।আপনি কি করেন?
-আমি মিউজিক কম্পোজার।
-ওহ।আমার এক্সবয়ফ্রেন্ড ও মিউজিক কম্পোজার।
-নাম কি তার?
-প্যাপিলাস।
-প্যাপিলাস!ওতো তেমন ভাল একটা মিউজিক কম্পোজ করেনা।বেলো এভারেজ।
-হুম।
আগের সিটে বসা এক বয়স্ক মহিলা সিট থেকে উঠে বলতে থাকে " তোমরা যে প্যাপিলাসের কথা বলছো ও আমার স্কুলের স্টুডেন্ট। ও তো ছোটবেলা থেকেই বেলো এভারেজ স্টুডেন্ট ছিল।পড়াশোনার জন্য রেগুলার ওর মা-বাবার কাছে রিপোর্ট পাঠাতে হতো।

এবার পেছনের সিট থেকে এক যুবক দাঁড়িয়ে বলতে থাকে "প্যাপিলাস আমাদের কলেজে পড়তো।খুবই চুপচাপ থাকতো,মজার ব্যাপার হচ্ছে ও রেগুলার আমাদের কলেজের ফ্রেন্ডদের দ্বারা রেগিং এর স্বীকার হতো কিন্তু কোন সময় তাকে কাউন্টার দিতে দেখা যাইনি,বড়ই ভদ্রগোছের ছেলে ছিল,ভীষণ স্লো"।

একটা পর্যায়ে দেখা যায় উড়োজাহাজ এ থাকা এয়ারহোস্টেজ থেকে শুরু করে বাকী ১৩ জন আরোহীর সবাই কোন না কোন ভাবে " প্যাপিলাস"কে চিনে!

প্যাপিলাসের মা-বাবা বাগানের চেয়ারে বসে কফির সাথে ম্যাগাজিন পড়ছিল,দুরে একটা উড়োজাহাজ এর আওয়াজ পেয়ে একবার তাকিয়ে আবার ম্যাগাজিনে মশগুল হওয়ার পর এবার আরো জোরে উড়োজাহাজ এর আওয়াজ টা কানে আসলো। এবার যখন দুইজনেই উড়োজাহাজ এর দিকে তাকায় তখন দেখে প্লেন টি তাদের দিকেই আছড়ে পড়ছে!

প্যাপিলাস আসলে উড়োজাহাজটি হাইজ্যাক করেছিল।এর আগে যাদের যাদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল সবাইকে ওই উড়োজাহাজ এ একত্রিত করে পুরো প্লেনটি ওর মা-বাবার উপরে গিয়ে ক্রাশ করায়।কারন প্যাপিলাসের এই ঘটানায় ওর মা-বাবাকেও দায়ী মনে করে।

উপরের গল্পটি সিনেমার হলেও নীচের গল্প সিনেমার লোকদের বাস্তবতা নিয়ে!

অমিতাভ বচ্চনের ছেলে অভিষেক বচ্চন ও ছোটবেলায় পড়ালেখা বা সোশ্যাল একটিভিটিতে অনেক অনেক দুর্বল ছিল।অথচ এখন দেখেন বিশ্বের সেরা সুন্দরী মেয়েটি তার বউ!
এডিএইচডি(এটেনশন ডেফিসিট হাইপার এক্টিভিটি ডিসঅর্ডার)এই রোগে আক্রান্ত ছিল অভিষেক বচ্চন।কিন্তু অমিতজি আর জয়া বচ্চনের ডেডিকেশন এবং প্রোপার গাইডেন্স এর কারনে অভিষেক সেটা ওভারকাম করে।
আবার উল্টো দিক ও আছে;
অমিতাভ-জয়া যেমন তুমুল ব্যাস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রী ছিল তেমনি সুনীল দত্ত-নার্গিস ঠিক ওইরকম ছিল। অভিষেক বচ্চনের এডিএইচডি থাকলেও সঞ্জয় দত্তের ওইসব কিছুই ছিলনা বরঞ্চ অভিষেকের চেয়ে অনেক হ্যান্ডসাম ছিল।কিন্তু সুনীলরা সঞ্জয় কে প্রোপার গাইডেন্স না করার কারনে যতেস্ট প্রতিভাবান, হ্যান্ডসাম থাকার পরেও সঞ্জয় এর জীবন অনেক কলংকময়।যদিও সে অভিষেক অপেক্ষা অনেক জনপ্রিয়।
পক্ষান্তরে অভিষেকের জীবনে কিন্তু কোন কালির ফোঁটা নেই।
অমিতাভের নায়ক ক্যারিয়ারের শেষের দিকে "এবিসি" নামক প্রযোজনা সংস্থা ব্যাপক লসের মুখে পড়ে গিয়ে অমিতাভের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার উপক্রমের সময় অভিষেকের অভিনয়ের প্রতি ইচ্ছা না থাকা স্বত্তেও বেশ কিছু মুভিতে অভিনয় করে বাবাকে দেউলিয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দেয়।অপরদিকে সুনীল যখন মারা যায় সঞ্জয় তখন জেল থেকে এসে বাবার শেষকৃত্য পালন করে।

সুতরাং ;আন্ডাররেটেডদের অযত্ন অবহেলা নয় বরঞ্চ ভালবাসা অনেক অনেক আদর দিয়ে যত্ন দিয়েই গড়ে তুলতে হয়।বঞ্চনা,অবহেলায় ওদেরকে আরো তলিয়ে যেতে দেয়া কোন ভাবেই উচিত না।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: দারুন লিখেছেন। এক জীবনে কার কি হবে সেটা বুঝা মুস্কিল!

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:০৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: খুব ভালো এবং শিক্ষণীয় পোস্ট।
+

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: কখনই কোনো মানুষকে অবহেলা করা ঠিক নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.