নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উনত্রিশে এপ্রিল ; মরণ কে খুব কাছ থেকে দেখার দিন।জীবন কে নতুন ভাবে অনুধাবন করার দিন।

উনত্রিশে এপ্রিল

উনত্রিশে এপ্রিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্ল্যাক মিউজিয়াম,প্রযুক্তি যেখানে যেতে পারে!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭


V একজন নিউরোলজিকাল রিসার্চার। ব্ল্যাক মিউজিয়াম এর স্বত্বাধিকারী।

D একজন ডাক্তার।যে কিনা রোগীদের পারফেক্ট কোন ট্রিটমেন্ট এর অপশন খুঁজে বেড়াচ্ছেন। V
তার জন্য একটা প্রস্তাব নিয়ে আসে। রোগ নির্ণয় বা নিরুপনের একটা উন্নত মানের প্রযুক্তির। যেটাতে দুটি ডিভাইস থাকবে এর একটি ডিভাইস D এর শরীরে আরেকটি ডিভাইস রোগীর শরীরের সাথে সংযুক্ত থাকবে।এতে করে রোগীর শরীরের ব্যাথাটা কোথায় বা কি কারনে উনি অসুস্থ সেটা D খুব ইজিলি আইডেন্টিফাই করবেন।

X আর Y স্বামী-স্ত্রী Z তাদের ২-৩ মাস বয়সের ছেলে।
বেড়াতে গিয়ে Y মারত্মকভাবে এক্সিডেন্ট করে কোমাতে চলে যায়।এভাবে কোমাতেই ৪-৫ বছর কেটে যায়।V এবার X কে একটা উন্নত মানের প্রযুক্তি গ্রহনের প্রস্তাব দেয় যেটা দিয়ে কোমাতে থাকা Y এর অনুভূতি X এর মাধ্যমে প্রকাশ পাবে।

C একজন ক্রিমিনাল যার কিনা অল্প কিছুদিনের মধ্যে ইলেক্ট্রিক চেয়ারে মৃত্যুদন্ড কার্যকর হবে।এখানে V লোভনীয় এক প্রস্তাব নিয়ে আসে C র জন্য। C কে দেয়া প্রস্তাবটা হচ্ছে ; তোমাকে বেশ ভাল কিছু অর্থ দেয়া হবে যা দিয়ে তোমার স্ত্রী-কন্যা বাকী জীবন খুব সুন্দর ভাবে কাটিয়ে দিতে পারবে।আমরা শুধু তোমার মৃত্যুদন্ডকার্যকালীন অনুভূতি-অভিব্যক্তি একটা ডিভাইসের মাধ্যেমে ধারন করে রাখব আমাদের ভবিষ্যৎ গবেষণার জন্য।

তাহলে কি দাঁড়ায়?
D উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে খুব দ্রুত রোগীদের সারিয়ে তুলছে!

X কোমাতে থাকা তার প্রিয়তমা স্ত্রীর সাথে অনুভূতি শেয়ার করছে আর সাথে থাকা Z কে যখন X আলিংগন করে তখন X এর সাথে সাথে Y ও রিয়েল মাতৃত্বের স্বাদ পাচ্ছে!

C এর মৃত্যুদন্ডকালীন অনুভুতি-অবিব্যাক্তি কি রকম হতে পারে সাধারণ মনুষজন ও জানতে পারছে!

ভবিষ্যত এই ধরনের প্রযুক্তি আসলে আসলেই কি ভাল হবে?

Black Museum
IMDb:8.7
Created by:Charlie Brooker
Director: Colm McCarthy
ব্ল্যাক মিরর সিরিজের সিজন ফোর এর ছয় নাম্বার এপিসোড।

ব্ল্যাক মিরর সিরিজ যারা দেখেছেন বা রিভিউ দিয়েছেন প্রায় প্রত্যেকেই এই সিরিজের বেসিক থিম হিসেবে প্রযুক্তির ডার্ক সাইটের প্রতি আলোকপাত করেছেন।অবশ্য এন্থোলজী সিরিজ হিসেবে এর প্রতিটি পর্ব ডার্ক ই হবে এটা অনুণমেয়।
আমার হিসেবে কেন জানি মনে হয়েছে ব্ল্যাক মিররের ক্রিয়েটর চার্লি ব্রুকার প্রতিটি এপিসোডেই প্রযুক্তির প্রচারণা চালিয়েছেন। অনেকটা সিগারেটের গায়ে থাকা "ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক" লিখে দিয়ে কোন একটা ভয়ংকর রোগের ছবি দিয়ে দেয়ার মত অথবা কোন বলিউড মুভি রিলিজের সময় নায়ক-নায়িকার সম্পর্ক বা নেগেটিভ প্রচারণা করে মুভির কাটতি বাড়ানোর মত।আমরা তো নেগেটিভ গুলাই আগে খাই!এটা জাস্ট আমার ওপিনিয়ন। তবে এই সিরিজটিকে আমার দেখা ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট সিরিজ হিসেবেই রাখব।

যাই হোক চলেন যাই ব্ল্যাক মিউজিয়ামে ঘুরে আসি। দেখা যাক কি আছে মিউজিয়ামে।
আচ্ছা আরেকজন আছে এই এপিসোড টিতে N।
আপাতত মনে করেন N হচ্ছে একজন দর্শনার্থী।
V যখন N কে মিউজিয়াম ইন্ট্রডিউস করাচ্ছিল তখন বারবার মিউজিয়ামের এসি অফের কারনে V তৃষ্ণায় কাতরাচ্ছিল।N এর সাথে থাকা পানির বোতল V পান করার অফার করে।আর বেশি বলাটা ভাল হবেনা।
উপরে বর্নিত ৩ টি এক্সপেরিমেন্ট এর বর্ননায় প্রতিটির এক্সপেরিমেন্ট এর পরিনতি কি হয় তা বলে দিলে পুরো স্পয়লার হয়ে যাবে।
তবে ৩ নাম্বার প্রযুক্তিবাদে বাকি দুটি প্রযুক্তি আমার কাছে তুলনামূলক যুতসই মনে হয়েছে।১ম এবং ২য় প্রযুক্তি দুটি পুরোপুরি ব্যাক্তির উপর নির্ভর করে এখানে একটা লিমিটেড লেভেল পর্যন্ত ব্যাবহার করলে তার ভাল রেজাল্ট পাওয়ার চিত্র ও দেখানো হয়েছে।
যেহেতু ব্ল্যাক মিরর এন্থোলজী সিরিজ তাই এন্ডিং সবগুলোতেই ডার্ক সাইটের প্রতি প্রেজেন্টেশন হয়েছে।
রিভিউতে N কে ওইভাবে এক্সপোজ করা না হলেও ব্ল্যাক মিউজিয়ামে N এর ভাল একটা টুইস্ট আছে।

এই সিরিজটি নিয়ে আসলে ওই ভাবে রিভিউ চোখে পড়েনা।প্রতিটি এপিসোড নিয়েই আলাদা আলাদা রিভিউ বা ডিটেইলস ভাবে আলোচনা হতে পারে বলে আমার মনে হয়।বিশেষ করে হোয়াইট বিয়ার,হ্যাং দি ডিজে,আর্কএংগেল,হোয়াইট ক্রিসমাস।সবচেয়ে কম রেটিং পাওয়া মেটালহেড ও আমার ভাল লেগেছে।
অসাধারণ একটা সিরিজ।অনেকেই দেখে ফেলেছেন। যারা দেখেন নাই ঈদের ছুটিতে দেখে ফেলুন।
হ্যাপি ওয়াচিং।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৯

অন্তরা রহমান বলেছেন: সায়েন্স ফিকশন টিভি সিরিজের জগতে ব্ল্যাক মিরর নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলতে কি এই পোষ্ট বুঝার মতো মেধা আমার নেই।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৭

উনত্রিশে এপ্রিল বলেছেন: ভাইয়া অত কঠিন কিছু লিখেছি বলে মনে হচ্ছে নাতার পর ও কিছু বিষয় ক্লিয়ার করে দেই;
V ভিলেন
X স্বামী
Y স্ত্রী
Z বাচ্ছা
C অপরাধী
N মিউজিয়ামে আসা নিস এর আদ্যাক্ষর।সিরিজটি দেখেন ভাল লাগবে আশাক।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এটা দেখা হয় নি। ছবি দেখে প্রথমে এনিমে ভেবেছিলাম।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

শাহীন মহিউদ্দীন বলেছেন: যাক একটা কিছু পেলাম দেখার মতো। আপনাকে ধন্যবাদ। আমি খুব সুন্দর করেই লিখেছেন। ভালোবাসা নিবেন।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এই সিরিজ একখান জিনিস তবে এখন আর এইসব দেখার টাইম পাই না। আফসোস।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮

উনত্রিশে এপ্রিল বলেছেন: ঈদের ছুটিতে দেখেন।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪১

মাহের ইসলাম বলেছেন: এখনো দেখিনি।
সিরিজ দেখা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
মুভি হলে ভালো হতো।

ঈদ মোবারক।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

শায়মা বলেছেন: ব্লাক মিরর, ব্লাক মিউজিয়াম, ডার্ক সাইড এসব দেখে শুনে পড়ে তো আমার মাথা ঘুরছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.