![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[বিগত রমজান মাসে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রদত্ত বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ন অংশের সংক্ষিপ্ত আলোচনা]
তারেক রহমানের সর্বশেষ বক্তব্য রাজনৈতিক অংগনে ঝড় তুলেছে। যুক্তরাজ্য বিএনপি'র ইফতার মাহফিলে জনাব তারেক রহমান একটা গুরুত্বপূর্ন ও জাতীয় জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনের জন্য যেসব প্রাথমিক ও প্রধান করনীয় রয়েছে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা মূলক একটি বক্তন্য দিয়েছেন। এই বক্তব্যটিকে নিছক বক্তব্য না বলে বাংলাদেশের রাজনীতি ও দেশের উন্নয়ন সাধনের পথ পরিক্রমার নতুন সংবিধান বলা যেতে পারে। বক্তব্যটি পুরোপুরি শুনলে একটা বিষয় খুবই স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে এটি একান্তই তারেক রহমানের নিজস্ব চিন্তা ধারা। বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভরশীল রাস্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে তারেক রহমানের এই চিন্তাধারা মোটেও উচ্চাবিলাসী নয়। বরং সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তৈরি খুবই সম্ভব একটা বিষয়। তার প্রমান রয়েছে এই বক্তব্যে।
বক্তব্যের মূলবক্তব্য
দারুন একটি প্রশ্নের মাধ্যমে শুরু করেছেন তারেক রহমান। তার প্রশ্নটি ছিলো। আমাদের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য কি? ক্ষমতায় যাওয়াটাই কি মূল উদ্দেশ্য? তিনি নিজেই উত্তরে বলছেন, ক্ষমতায় যাওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য নয়। বরং এটাকে একটা অংশ হিসেবে মেনে নিয়ে রাস্ট্রের উন্নয়নটাকেই রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এও পরিষ্কার করেছেন রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতা অর্জন করে কিভাবে সমৃদ্ধ রাস্ট্র গড়া সম্ভব। এ জন্য তিনি ভূমিকাতে তিনটি বিষয়ের অবতারনা করেছেন।
১. সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, ভবিষ্যতমুখী চেতনা ও দায়বদ্ধতা
২. গতানুগতিক রাস্ট্র পরিচালনা ব্যাবস্থার পরিবর্তন
৩. রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনকে মেনে নেয়া
তারপর তার নিজস্ব চিন্তা ভাবনার নোট থেকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন। পিতা জিয়াউর রহমানের মতোই তারেক রহমানের চিন্তা ও চেতনার সামঞ্জস্য রয়েছে। তার বক্তব্যে যেসব বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে সেসব বিষয়ের সুষ্টু ব্যবস্থাপনা ও অর্জনের মধ্যে শুধু বাংলাদেশই নয় এরকম আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটের যেকোন রাস্ট্রেরই উন্নয়ন সম্ভব।
তারেক রহমানের এই "বাংলাদেশ: উন্নয়নের রূপরেখা" বক্তব্যটিকে ৫ টি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়।
১. কৃষি
২. শিক্ষা
৩. প্রযুক্তি
৪. পর্যটন শিল্প
৫. নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা
ক. কৃষি
যে কৃষি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বেঁচে থাকা। একবিংশ শতকে সেই কৃষি খাত হারিয়ে যাচ্ছে পর্যাপ্ত সহযোগীতা ও ব্যবস্থাপনার অভাবে। সারা বিশ্ব যখন শিল্প উন্নয়নের চেয়ে কৃষি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে যাচ্ছে সেখানে আমাদের দেশ বাংলাদেশে সার, বীজ ও সেচের অভাবে উর্বর জমিও আবাদ করতে পারছেননা কৃষকেরা। ঠিক এই জায়গাতেই তারেক রহমান শুরু করেছেন। তার বিশ্বাস কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশের খাদ্যাভাব মেটানো এমনকি বিদেশে রফতানি করাও সম্ভব। তাই দেখা যায় এই কৃষির উন্নয়ন সাধনের জন্য কৃষি খাতকে ৬ টি মৌলিক ভাগে ভাগ করেছেন।
১. কৃষির প্রয়োজনীয় মূলধনকে কৃষকদের কাছে সহজ লভ্য করা
২. কৃষি ভর্তুকি উপযোগীতা নিশ্চিত করা
৩. মূল্য নির্ধারন কমিশন গড়ে তুলে কৃষকদের ন্যায্য মুল্য প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা
৪. কৃষি পন্যের সুষ্ঠু ও সুষম বিতরন নিশ্চিত করা
৫. কৃষকদের সব ধরনের তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য একটি "কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডার" গড়ে তোলা
৬. পাহাড়ী ও অন্যান্য কৃষিকে মূল কৃষি কাঠামোর মধ্যে সংযুক্ত করা
খ. শিক্ষা
যেকোন জাতীর উন্নয়নে শিক্ষাই আসল চাবিকাঠি। সেজন্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মতো দরিদ্র রাস্ট্রের চাহিদা অনুযায়ী সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিত জনশক্তির চেয়ে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনশক্তি বেশী প্রয়োজন। কারিগরী শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে তিনি আরো স্পেসিফিক্যালি বলে দিয়েছেন কারিগরি শিক্ষার ঠিক কোন কোন বিষয় আমাদের জন্য এ মুহুর্তে গুরুত্বপূর্ন। এজন্য তিনি চারটি বিষয়ের উপর সয়ংসম্পূর্নতা বাড়াতে জোর দিয়েছেন।
১. কৃষি খাতের যন্ত্রপাতি
২. কনস্ট্রাকশন খাতের যন্ত্রপাতি
৩. অটোমবাইল শিল্পের যন্ত্রাংশ
৪. জাহাজ নির্মান শিল্প
তবে এখানে তারেক রহমান মনোযোগী হয়েছেন কৃষি খাতের যন্ত্রাংশের ১২ বিলিয়ন ডলারের বিশ্ববাজারের অন্তত ১ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে আনার প্রতি। এবং এটা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। যদি সরকার সহযোগীতা করেন তাহলে ৫ বছরের ভেতর নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে কৃষি যন্ত্রপাতি রপ্তানী করা কোন স্বপ্ন নয়।
গ. প্রযুক্তি
প্রযুক্তি খাত নিয়ে তারেক রহমানের চিন্তা খুব আশাব্যাঞ্জক যা অসম্ভব কোন কিছু নয়। একটু চেস্টা করলেই সম্ভব এমন একটি স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তিনি প্রযুক্তি খাতের যেব বিষয়গুলোতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান সেগুলো হচ্ছে ডাটা প্রসেসিং, ডাটা এন্ট্রি, কল সেন্টার ও কাস্টমার সার্ভিস জাতীয় আউটসোর্সিং এ।
পাশপাশি তিনি নাগরিক সুবিধা সহ আইটি পার্ক স্থাপনের মাধ্যমে গ্লোবাল বিভিন্ন কোম্পানীকে আকর্ষন করার কথা বলেছেন। তিনি আলাদা আরেকটি সাবমেরিন কেবল সংযোগের কথা উল্লেহ করেছেন। একই সাথে ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানো, ব্যান্ডইউথ প্রাইস কমানো ও ইকমার্সে জগতের পুরোপুরি সুবিধা প্রধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন যা অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক আমাদের তরুন সমাজের জন্য।
ঘ. পর্যটন
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সসবাজারকে একটি অত্যাধুনিক বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে তৈরির করে বিদেশী পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় ও মনোরম হিসেবে গড়ে তোলার পক্ষে মতামত দিয়েছেন।
পাশাপাশি কক্সবাজারকে পর্যটন ও বানিজ্যকিক কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করার পক্ষে মতামত ব্যাক্ত করেছেন। তিনি কক্সসবাজার সৈকতে যে সিলিকন আছে তাকে কাজে লাগানোর প্রতি গুরাত্বারোপ করেছেন। এবং প্রস্থাব করেছেন এখানে একটি "সিলিকন বীচ সিটি" তৈরি করে এশিয়ার নতুন "টেকনলজি হাব" হিসেবে গড়ে তুলতে।
ঙ. নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা
ঢাকা শহর পৃথিবীর বসবাসের অনুপযোগী শহরের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে। তারেক রহমানের নগড় পরিকল্পনার চিন্তা আমাকে বিশেষ ভাবে অনুপ্রানিত করেছে। যা একটি অবশ্যম্ভাবী কর্তব্য বলে মনে করি। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা শহরকে বাঁচানোর জন্য এবং এ শহরের ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষকে বাঁচানোর জন্য অচিরেই একটি মাস্টার প্লান দরকার। তবে তারেক রহমানের বক্তব্যে তার ইংগিত রয়েছে স্পষ্টই। তিনি কিভাবে ঢাকা শহরকে একটি আধুনিক বসবাসের উপযোগী শহর বানাতে চান তা নিম্নোক্ত রকমের। যেটাকে মুটামোটি লন্ডন মডেল বলা যেতে পারে।
১. অভারগ্রাউন্ড ট্রেন চালু করা
২. আশে পাশের জেলাগুলির সাথে দ্রুতগতির রেল যোগাযোগ স্থাপন করা
৩. ঢাকা থেকে বের হওয়া ও ঢোকার জন্য নতুন প্রশস্ত রাস্তা নির্মান
৪. আশে পাশের জেলা গুলিকে স্যাটেলাইট সিটি হিসেবে গড়ে তোলা যাতে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা থাকবে
৫. শিল্প কারখানা ঢকার বাইরে স্থানান্তর করা
উন্নয়নের এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন কি সম্ভব
তারেক রহমান আজ যে তার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের কথা জাতিকে শোনালেন সেই একই স্বপ্ন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে আরো হাজারো তরুনও দেখছেন। বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, খাদ্যাভাব থাকবেনা, বেকার থাকবেনা এ স্বপ্ন কার নয়? হাজারো তরুন বহু বছর ধরে এ স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু সঠিক নেতৃত্বের ও দূরদর্শী নেতার অভাবে আমাদের এই প্রচেস্টাগুলো হারিয়ে যায় মাঝপথে, আজ যখন তারেক রহমান আমাদের সাথে সুনির্দিষ্ট করে উন্নয়নের রূপ রেখা তুলে ধরেন তখন নিশ্চিত করেই আশাবাদী হতে হয়।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১২
উপপাদ্য বলেছেন: না, কারন খাম্বার ব্যবসা উনি করেন না।
যারা খাম্বা ব্যাবসা করেন তারা হয়তো আপনাকে এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারবেন।
২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
মতিলাল বলেছেন: তারেক কে তার পিতার মত নিবদিত হয়ে রাজনীতি করতে হবে....
২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
উপপাদ্য বলেছেন: তারেক রহমানের বর্তমান কর্মকান্ড আশা জাগানিয়া।এখন পিতার পথেই হাঁটছেন বলে ধরে নেওয়া যায়
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
ডিজিটাল বোকা বলেছেন: এখন তো শুনলাম বাংলাদেশের সেরা ১০ ধনীর তালিকা মধ্যে আছে ।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য মনে হয় পৃথিবীর সেরা ১০ এর তালিকায় আসায় ........ আর কিছু বললাম না ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৩
উপপাদ্য বলেছেন: তো দেখা যাক আসলে কি হয়?
এভাবে অনেকেই অনেক কথা বলেন কিন্তু তারেক রহমান সম্পর্কে নেগেটিভ প্রায় সব কথাই মিথ্যআ প্রমানিত হয়েছে।
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
***হাফিজ*** বলেছেন: ক্ষমতায় আসার জন্য এখন অনেক মূলাই ঝুলাইবো ...
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
উপপাদ্য বলেছেন: দেখা যাক তবে কি হয়।
তবে তারেক রহমানের রাজনৈতিক পরিপক্ষতা এখন অন্য সবার চেয়ে অনেক বেশী পরিপূর্নতার দিকে।
তাই আমি আশাবাদী
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১০
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: তারেক জিয়া তার বাবার মতই কারো বা কোন দেশের দালালী করে না।বাংলাদেশের স্বার্থ নিয়েই তার চিন্তা ও চেতনা।এই দেশ প্রেমিক নেতাকে বিতর্কিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টার কোন কমতি নেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুপচি মেরে বসে থাকা বিদেশি দালালদের।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
উপপাদ্য বলেছেন: আমিও আপনার মতো বিশ্বাস করি তারেক রহমানের মধ্যে তার বাবার মতো দেশের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা বিদ্যমান।
৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: তারেকের কথা বলার ধরণটাই ভালো, আর ্যে এ নিজের মতামত আর গোল সেট আপ করেছে এটা ভালো কাজ, অন্তত প্রাচীন কালের দেখে ফেলা স্বপ্ন নিয়া যে তারেক কাজ করতেছে এটা ভালো দিক।
নতুন নেতাদের কাছ থেকে নতুন কিছুই জনগণ শুনতে চায়, প্রাচীন কালে কে কি স্বপ্ন দেখেছিলো তা নয়।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
উপপাদ্য বলেছেন: আমার কাছে যা মনে হয় তা হলো, তারেক রহমান আরো বেশী পোক্ত হয়েছেন রাজনীতিতে। তখন সরকারী দলে ছিলেন অনেক সুবিধাও হয়তো পেয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে ইতিহাসের বিরোধী দল হিসেবে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে বিএনপি। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে তারেক রহমানকে সাহায্য করবে বলে আশা করি।
৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: তারেকের কথা বলার ধরণটাই ভালো, আর ্যে এ নিজের মতামত আর গোল সেট আপ করেছে এটা ভালো কাজ, অন্তত প্রাচীন কালের দেখে ফেলা স্বপ্ন নিয়া যে তারেক কাজ করতেছে এটা ভালো দিক।
নতুন নেতাদের কাছ থেকে নতুন কিছুই জনগণ শুনতে চায়, প্রাচীন কালে কে কি স্বপ্ন দেখেছিলো তা নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
অগ্নি সারথি বলেছেন: খাম্বা নিয়া কিছু বলেন নাই?