![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজনের মন্ত্রীসভায় প্রধানমন্ত্রী!!
দেশে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকারের কেবল মাত্র একজন মন্ত্রী আছেন এমূহুর্তে। তিনি আবার প্রধান মন্ত্রী। একজনের মন্ত্রী সভায় তিনি কিভাবে প্রধানমন্ত্রী হন সেটা আমার বুঝে আসেনা। বিষয়টা এমন যে ১ জন ছাত্র বিশিষ্ট ক্লাসে ফার্স্ট বয় হওয়ার মতোই। তো এই যে জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছে এটা থেকে আওয়ামীলীগ রেহাই পাবে বলে মনে হচ্ছে না। বিএনপি ভালো খেলতে পারছে না এ কারনে আওয়ামীলীগ একাই মাঠে খেলতে খেলতে হয়রান হয়ে গেছে। যে কারনে আজ এই ভুল হলো তার মাশুলও অন্যসব বিষয়ের সাথে দিতে হবে। আমার কাছে অবাক লাগে আওয়ামীলীগ কেমন করে এতগুলো ভুল করতে পারে। হয় তারা জানেইনা সংবিধানে খয়রুল হক/শফিক কি সার্জারি চালাচ্ছিলো? অথবা যেখান থেকে সংবিধান পরিবর্তনের নির্দেশ এসেছে, প্রভু ভক্তির মতো তাদের উপর ভরসা করে আওয়ামীলীগ ভেবেই নিয়েছিলো নির্ভুল কিছু একটা হবেই। সেই একই ভুল কিন্তু শেখ মজিবও করেছিলো। কোন কিছু না ভেবে, না জেনে, না বুঝে, বাস্তবায়নের সম্ভাবনা যাচাই বাছাই না করেই একদলীয় স্বৈরতন্ত্র "বাকশাল" কায়েম করেছিলো। যার ফলশ্রুতিতে নিজ দলের মাঝেই ভাঙন ও শেষে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন। যে হত্যাকান্ডের পর সারাদেশের মানুষ আনন্দ উৎসব করেছিলো।
অবৈধ মন্ত্রীদের কর্মকান্ডও অবৈধ
খবরের কাগজে দেখলাম কিছু কিছু মন্ত্রী অফিস করছেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ফাইলে সই করছেন, পতাকা উড়িয়ে সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন। যেহেতু তারা আর মন্ত্রী নন সেহেতু তাদের এই সমস্ত কার্যকলাপ কি অবৈধ বলে বিবেচিত হবেনা? আজ হয়তো তারা বেঁচে যেতে পারেন কারন খয়রুল হক বা শামসু'র মতো পদলেহী, কুকুরসম বিচারপতি বসিয়ে রেখেছেন, কিন্তু কাল হোক পরশু হোক যখন বিচার বিভাগ আবার আগের মতো নিজ সততায় উজ্জল হবে তখন কি এরা রেহাই পাবে?
প্রশাসনের কতৃত্ব
আমার বুঝে আসেনা আওয়ামীলীগ সংবিধানে কাটা ছেড়া করে তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি রহিত করে যে ভুল করেছে,তার চেয়ে সর্বদলীয় সরকার বানানোর পাঁয়তারা করে আরো বড় ভুল করেছে। এইসব ভুলের মাশুল খুব কঠিন ভাবে আওয়ামীলীগকে দিতে হবে। সর্বদলীসরকারের একটা রুপরেখা আগেই আলোচনার মাধ্যমে যাচাই করা উচিত ছিলো। বিষয়টা এমন না যে প্রশাসনে নিজের লোক বসানো আছে। কয়েকটা ভাড়াটিয়াকে ধরে এনে কদিনের জন্য মান্ত্রী বানিয়ে দিলেম, ইলেকশন হলো তারপর আবার মন্ত্রীসভা তৈরি করলাম। বিষয়টা এতো সহজ নয়। প্রশাসনকে দলীয়করন করে যেভাবে আস্থা রাখছেন তাও ঠিক নয়।
প্রশাসনে সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দিয়ে, প্রমোশন দিয়ে তাদের বশিভুত করে সংখ্যাগুরু জনগোষ্টির উপর যে স্টিম রোলার চালাচ্ছেন বিষয়টা সিরিয়ার মতই মনে হচ্ছে অনেকটা। আদতে কি এসব করে বাঁচা যায়?
সংখ্যা লঘু হলেও কিন্তু ওরা মানুষ, ওদেরও জ্ঞান, বুদ্ধি, বিচার-বিবেক আছে। সবাই তো আর ওসি প্রদীপ সাহা নয়।
দরকষাকষিতেই গোলতাল পাকবে
হাসিনার বর্তমান লেজে গোবরে অবস্থা দেখে যা মনে হচ্ছে। তাতে উনি দিশেহারা হয়ে আছেন বলেই মনে হচ্ছে। আপনার সর্বদলীয় সরকারে কেউ যাবে না, এমনকি মেননকে পাবেন না। এই ভ্যালুলেস দুদিনের তামাশার সরকারে কেউ যোগ দিতে চাবে না আনলেস আনলেস আপনি এরশাদকে বড় কোন দান দিচ্ছেন। যেমনটা গত বার ২০০৮ এ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ও ৫০ সিটের বিনিময়ে রফা করেছিলেন, শেষে কিন্তু ৫০ সিট দেন নাই বেচারাকে। আরো কটা সিট বিক্রি করতে না পারার হতাশা কিন্তু এরশাদের এখনো যায়নি। তাই সর্বদলীয় সরকারে তাকে নিতে হলে এবারের চাহিদা কিন্তু হাজার কোটি ছাড়িয়ে সাথে ১০০ আসনের নিশ্চয়তা চাবে। এই সব দফা রফা, দরকষাকষি চলতে চলতে অনেক সময় চলে যাবে। তখন সময় হাতে থাকবেনা, অনেক তাড়াহুরা আপনাকে করতে হবে। আর জানেনতো তারাহুড়ার সময় ভুল অনেক বেশি হয়। সবচেয়ে বেশি হিমশিম খেতে হবে আপনার প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তাদের নিয়ে। এখানে একটু ভুল করছেন তো ইন্ডিয়া-রাশিয়া, পুটিন-মনমোহন কিছুই কাজে আসবেনা। তবে আপনি নিশ্চিত করেই বলছি আপনি গোলতাল পাকাবেন প্রশাসনে। আপনাকে গোলতাল পাকাতেই হবে। ৫ বছর রক্ত আর গোলামীর মধ্য দিয়ে আপনি মোটামুটি সুন্দর ভাবেই সাজিয়ে এনেছেন। বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেনি। কিন্তু এটা ঘটতেই হবে। অন্যায়কারীর রেহাই নেই। অন্যায়কারিকে অবশ্যই তার শাস্তি পেতে হবে।
অতি চালাকের গলায় দড়ি
বুবু একটা কথা বলি, ছোট বেলায় পড়েছিলাম, "অতি চালাকের গলায় দড়ি"
আপনি গত ৫ বছরে প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ইত্যাদিকে যেভাবে দলীয়করন করেছেন, যেভাবে অতি চালাকির সহিত জামায়াত কার্ড খেলে দেশকে বোকা বানিয়েছেন, বিএনপি কে মোটামুটি যুদ্ধাপরাধিদের দোসর বানানোর খেলায় মেতে ছিলেন, সব কুপরিকল্পনাতে আপনি অনেকটাই সফল হয়েছেন সত্য। কিন্তু সংবিধান নিয়ে যে কুপরিকল্পনা করেছিলেন যেটা বুমেরাং হবে শীঘ্রই। আপনিই আপনার সর্বনাশ ডেকে এনেছেন। সেই সর্বনাশ যখন হবে তখন কিন্তু আজ যারা আপনার চারপাশে বসে মজা নিচ্ছে তারা কেউ ই এগিয়ে আসবেনা। বরং পালানোর জন্য বিভিন্ন রাস্তা খুঁজবে। আঁতাত করবে। মোসাদ্দেক আলী ফালু কি শুধু বিএনপিতেই আছে নাকি? এরকম ফালু আওয়ামীলীগেও আছে?
তাই আমার মনে হচ্ছে,
বিপ্লবটা মাঠে নয়, কিংবা সেনা বাহীনিতেও নয়, বিপ্লবটা সম্ভবত প্রশাসন থেকেই শুরু হবে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
উপপাদ্য বলেছেন: এজমত বিদ্রোহী ভাই...
আসলে যারা বেশী অত্যাচারী হয়ে উঠে মাঝে মাঝে তাদের মধ্য থেকেই কিছু মানুষ বিদ্রোহী হয়। ৭৫ এর পূর্বের কোন অপরাধ বিএনপি বা জামায়াতের ঘাড়ে চাপাতে আওয়ামীলীগ অনেক চেস্টা করেও পারেনি। যদি পারতো তাহলে এই পাঁচ বছরে আরো কোন প্রহসনের ট্রাইবুনাল দেখতে পেতাম।
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
বেবি বলেছেন:
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২
উপপাদ্য বলেছেন:
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
মীর মফিজুল ইসলাম মানিক বলেছেন: প্রশাশনিক বিপ্লব আইডিয়াটা মাথায় আসে নি। মোসাহেব রা বিপ্লব ক্যামনে করবে, আমি এখনো কনফিউজড। যাক, আমি এটুকু বিশ্বাস করি “পিপিলিকার পাখা গজায়, মরিবার কালে”
ওদের পাখা গজিয়েছে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫২
উপপাদ্য বলেছেন: ৯৬ এ আওয়ামীলীগ কিন্তু প্রসাশনিক বিপ্লবই ঘটিয়েছিলো। মনেপড়ে মখার নেতৃত্বে সচিবদের বিশাল এক দল জনতার মঞ্চে যোগ দিয়েছিলো। তবে আওয়ামীলীগ ঐ সময় জামায়াত ও জাতিয়পার্টিকে নিয়ে রাজপথে তুমুল আন্দোলন জমাতে পেরেছিলো।
আসলে আন্দোলনের বিকল্প নেই এই লেডী হিটলার কে ক্ষমতা থেকে নামাতে হলে। আন্দোলন জোড়দার হলে এতোদিনে প্রশাসন ছারখার হয়ে যেতো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
বিজন শররমা বলেছেন: প্রধান মন্ত্রী ছাড়া অন্য সব মন্ত্রীদের পদ এই মুহুর্তে শুন্য । তবে এ কারনে দেশের রুটিন কাজে শুন্যতা তৈরীর হবে না। কারন মন্ত্রীদের অবর্তমানে সেক্রেটারীগন প্রেসিডেন্টের অধীনে ও তত্ত্বাবধানে কাজ করতে পারেন । বরঙ পদত্যাগী মন্ত্রীদের অধীনে কাজ করাই হবে তাদের জন্য বিপজ্জনক । রাজনীতিকরা না হয় পরে দল বদল করে, রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে অথবা বিদেশে গিয়ে জবাবদিহি এড়াতে পারবেন, কিন্তু প্রজাতন্ত্রের সরকারী কর্মচারীরা কি ভাবে তা এড়াবেন ?
আওয়ামী লীগ চেয়েছিল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে, এটা সংবিধান সম্মত । আর বি এন পি চাচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তা এই মুহুর্তে সংবিধান বহির্ভূত । আবার অবস্থা বেগতিক দেখে এখন আওয়ামী লীগ চাচ্ছে বহুদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে, এটা সংবিধান বহির্ভূত । এটা করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে । আর সংবিধান সংশোধন করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারই যুক্তিযুক্ত । কারন আওয়ামী লীগ জনগনের ম্যান্ডেট ছাড়াই তত্ত্বাবধায়কের বিধান বাতিল করেছে, যা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পছন্দ ছিল ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫১
উপপাদ্য বলেছেন: আপনার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তত্বাবধায়ক বাতিল করার কারনে।
এই ধরনের সিদ্ধান্ত যারা নিয়ে দেশকে আজ অস্থিতিশীল করে তুলেছে দেশের প্রতি জনগনের প্রতি তাদের মায়া, ভালাবসা যে নেই তা নিে আমাদের একটুও সন্দেহের অবকাশ নেই।
ধন্যবাদ
বিজন দা
৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: হীরক রাজার দেশে সব হয়!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
উপপাদ্য বলেছেন: কথা সত্য।
৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: পাপ বাপরেও ছাড়ে না।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯
উপপাদ্য বলেছেন: ছাড়ার তো কথাও নয়।
এবং এটাই যেন হয়, প্রকৃতি যেন উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করে এই কামনা করি
৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
অপরাজিত একজন বলেছেন: খুব চমৎকার একটি পোস্ট পড়লাম। আপনার বিশ্লেষন ভালো লাগসে
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
উপপাদ্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
ব্লগ ৪১৬ বলেছেন: রেসিপি সীম ভর্তা
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
উপপাদ্য বলেছেন:
৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সংশোধনী = দিয়ৈছির বাঙ্গবন্ধুকে হবে= দিয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে (সরি ফর টাইপো)
১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৭
বেঈমান আমি. বলেছেন: শেখ হাসিনাকি ব্লগ পড়ে নাকি?
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
উপপাদ্য বলেছেন: পড়েনা বলেইতো এতো সমস্যা।
পড়লেতো নিজে থেকে কিছু জানতো, শিখতো।
১১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
ভাইটামিন বদি বলেছেন: ...অপেক্ষায় আছি....কিন্তু কিসের???
...একটা বিপর্যয়ের.....কিন্তু কেন???
....এটা কি এড়ানো যায় না????
.....লক্ষ প্রান বাচতো তাতে।।।
১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫২
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: ভাই মখাচোদার কথা আর কইয়েন না। আর পরিবর্তন আসার আসুক। তবে আমি বর্তমান সরকারের আবার আশা দেখিতে আগ্রহী।
১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
অ্যানোনিমাস বলেছেন: অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে দেশ
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৭৫এ ও আগের চাটুকার কাউকে পাশে পাঔয়া যানি বরং তাদের বড় অংশই নবগঠিত সরকারের যোগ দিয়ৈছির বাঙ্গবন্ধুকে দাফন না করেই্
তারা কালো কোট পরা লোকই ছিল-বিএনপি ছিল না।কারণ তখনো জন্মই হয় নি।
সো সাধূ সাবধান।