নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মূর্খ সমাজপতি গাঁয়ে, গগনে দেখি ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ বিচ্যুত যৌবনে জোছনা আমায় করেছে উম্মাদ

উপপাদ্য

ইমেইল: [email protected]

উপপাদ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষিদ্ধ হোক সাম্প্রদায়িক শব্দ দুটি - মালাউনের বাচ্চা

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৩২

অমুসলিম ভাই ও বন্ধুদের কথা



মাঝে মাঝে ভাবি, আমার যেসব হিন্দু, খৃষ্টান, চাকমা বন্ধু ছিলো, যাদের সাথে একসময় একসাথে চলাফেরা করেছি, স্কুলে গিয়েছি, কিংবা অন্য ধর্মের বড় ভাই যাদের সাথে কত আড্ডায় মেতেছি তাদের সংগে আমি কতটা খারাপ ব্যাবহার করতে পারবো? আমার খুব কাছের এক বড় ভাই ছিলেন। তার নাম রাজু। রাজু দা ছিলেন এমসি কলেজ ছাত্র ইউনয়নের সেক্রেটারী। পুরো নাম অম্লান দেব রাজু। আমি একসময় উনাদের সাথে একই মেসে থাকতাম। যেহেতু তিনি ছাত্র ইউনিয়ন করেন সেহেতু আদর্শের জায়গায় উত্তর মেরু-দক্ষিন মেরু অবস্থান। রা্ত পার হয়েছে তর্ক করতে করতে। কখনো কখনো এমন হয়েছে রেকর্ডার নিয়ে বসেছি। যাতে ইতোমধ্যে বলা কোন কথা আমরা চেঞ্জ না করতে পারি। ত্যাক্ত হয়েছি, বিরক্ত হয়েছি, তুমুল ঝগড়া হয়েছে, শেষে আপনার সংগে আর কোন কথা নেই বলে আমরা রণভঙ্গ দিয়েছি। আবার পরেরদিন নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। এতো গেলো রাজু'দার কথা। এছাড়াও আরো অনেক বন্ধু-ভাই রয়েছেন যাদের সাথে জিবনের কোন এক সময় একসাথে চলেছি, এক সাথে খেয়েছি, এক সাথে রাত জেগে জোছনা পাহারা দিয়েছি।



নৈতিকতার শিক্ষা কতটুকু ধারন করি



আচ্ছা এই যে মানুষ গুলোর সাথে আমার এতো সম্পর্ক ছিলো। যাদের ধর্ম আমার ধর্ম থেকে আলাদা। তাদের সাথে আজ কোন কারনে মনোমালন্য হলে কিংবা তখনো যে মনোমালন্য হয়েছে তাতে করে সর্বোচ্চ কতটা খারাপ ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পেরেছি। রাজনৈতিক আদর্শগত কারনে অনেক বিবাদ হয়েছে বলে তাদেরকে কি কোন দিন আমি "মালাউনের বাচ্চা" বলে গালি দিতে পেরেছি? কিংবা আজো কি তাদেরকে "মালাউনের বাচ্চা" বলে গালি দিতে পারবো? আমি অনেক ভেবে চিন্তে নিজের মাঝে আবিষ্কার করলাম অনেক খারাপ ব্যবহার হয়তো করতে পারবো কিন্তু কোনদিন "মালাউনের বাচ্চা" বলে গালি দিতে পারবোনা। কারন আমার পরিবার, আমার পিতা-মাতা, আমার ধর্ম, আমার নবী আমাকে এই শিক্ষা দেন নি। আমি সেই আদর্শ এখনো আমার বুকের মাঝে লালন করি, যে আদর্শ আমাকে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের, কেবল মাত্র ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়ার কারনে তাকে এমন অসভ্য বলে গালি দেয়া থেকে বিরত রাখে।



কথিত প্রগতীশীলদের সাম্প্রদায়িক চেহারা



গত কয়েকদিন যাবৎ আমার মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছে শাহবাগে জড়ো হওয়া তরুনদের সংগঠনের মধ্যে অন্তর্কলহ থেকে মারামারির বিষয়টি। এক হিন্দু ছেলের উপর হাত উঠাতে ও মারধর করতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের দ্বারা নিগৃহীত হওয়ার এক পর্যায়ে তাকে "শালা মালাউনের বাচ্চা" বলে গালি দেয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ডকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা প্রায় ফ্যাসিবাদী শাহবাগ আন্দোলনের পানি অনেক দিন যাবৎ অনেক দিকেই গড়িয়েছে। শাহবাগের আন্দোলন হচ্ছে আওয়ামীলীগের নিজস্ব আন্দোলন, এই আন্দোলনের সমস্ত সাপোর্ট, জনবল যোগান, নিরাপত্তা, সকালের নাস্তা, বিকেলের ডিনার, যাবতীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া হয়েছে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে। শাহাবাগ ও আওয়ামীলীগ একে অপরের পরিপূরক ছিলো, এখনো আছে। সেখানেই অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা ও ভিক্টিম নবেন্দু একে অপরের খুব পরিচিত কিংবা অন্তরঙ্গ হন। শাহবাগ আন্দোলনের শুরু থেকে এরা পরষ্পর পরষ্পরের হয়ে কাজ করছেন। কিন্তু আজ ভাগ্যের নির্মম কোন এক পরিহাসে তারা শত্রু হয়েছেন। রাজনীতি ও নোংরা রাজনীতিতে আমাদের দেশে আজকের বন্ধু কাল শত্রু আবার আজকের শত্রু কাল বন্ধু হয়ে যেতে পারেন কিন্তু তাই বলে কারো ধর্ম তুলে গালাগাল, "শালা মালাউনের বাচ্চা" বলে একজনের শিকড় ধরে গালাগাল মেনে নিতে কষ্ট হয়, কারন হিন্দু বিরোধী বলে যেসব সংগঠনের নাম আমাদেকে গেলানোর চেস্টা করা হয় যেমন, ছাত্রদল বা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আজো আমরা এমন গালি দিতে শুনিনি কখনো কোনদিন কোন হিন্দু ভাই-বোনকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু প্রগতীবাদের তথাকথিত ধারক সংগঠন ছাত্রলীগ তাদেরই ভোট ব্যাংক হিন্দু ধর্মের কোন ব্যাক্তিকে যখন "শালা মালাউনের বাচ্চা" বলে গালি দেয় তখন প্রগতীশীলতার সংজ্ঞা কি তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হয়।



আসাম্প্রদায়িকদের আরো কৃষ্ণ চেহারা



চরম আদর্শগত সংঘাত থাকার কারনে যাদের সংগে বিভিন্ন সময়ে ঝগড়া কিংবা বাক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলাম তাদেরকে আমি কোন দিন এমন একটি রেসিস্ট গালি দিতে পারিনি। কিন্তু একই আদর্শের সতীর্থ হয়েও যখন ছাত্রলীগ নবেন্দু কে এই চরম প্রতিক্রিয়াশীল, সাম্প্রদায়িক ও রেসিস্ট গালি দিতে পারে তখন বুঝতে বাকী থাকেনা এসব সংগঠনের নৈতিক মান কোন পর্যায়ের। এখানেই শেষ নয়, আরো দুঃখের বিষয় হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতার শ্লোগানে ভরপুর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পালিত গুন্ডা পুলিশও যখন নবেন্দুকে পেঠানোর সময় "মালাউনের বাচ্চা" বলে গালি দেয় তখন সরকার, সরকারী দল, সরকারী কর্মচারী, সরকারের পুলিশ, র‌্যাব, বিডিআরদেরও নৈতিকতার অধঃপতন দেখে লজ্জায় মুখ লুকাতে হয়। ছাত্র লীগের সর্বোচ্চ মুরুব্বী ও বাংলাদেশ পুলিশের অভিভাবক হিসেবে এই সাম্প্রাদায়িক রেসিস্ট গালির দায়ভার কি প্রধানমন্ত্রীর উপর কিছুটা হলেও বর্তায় না?



সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনের ব্যার্থতা



সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে আমরা অনেক শ্লোগান শুনি, মিছিল দেই, বড় বড় গলায় বক্তৃতাবাজি করি। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে কারো কারো স্বার্থের পক্ষে দালালী করি, কিন্তু প্রকৃত অর্থে আমাদের যুদ্ধটা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে হয়না। হয় কোন বিশেষ দলের বিরুদ্ধে, হয় কোন বিশেষ ধর্মের বিরুদ্ধে, হয় কোন বিশেষ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। তাই আমার কাছে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করছেন তাদের জন্য বিশেষ করুনা হয়। তারা না সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে পারছেন, না সাম্প্রদায়িকতা চিহ্নিত করতে পারছেন, না সাম্প্রদায়িকতার ভয়াবহতা সত্যিকারভাবে অনুধাবন করতে পারছেন। আর তাই আজ যাদের নিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তথাকথিত যুদ্ধ করা হচ্ছে তারাই একে অপরকে "মালাউনের বাচ্চা" বলে গালি দিচ্ছে।



একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মানের স্বপ্ন



আমার কাছে সবসময় বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনের ব্যর্থতার মূলে রয়েছে একটি বিশেষ দলের দালালিবাজি, সেই বিশেষ দলটির স্বার্থ সিদ্ধির জন্য কাজ করা। সাম্প্রদায়িকতা ও সংখ্যালঘুদের হেয় করা ও তাদের সাথে অন্যায় আচরন করা বলতেই এদেশে যেমন করে বিএনপি-জামায়াত চিহ্নিত করার চেস্টা করা হয় সে সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার মূল চিহ্নিত করতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প সম্পর্কে অবগত হতে হবে। আজ আমরা যদি এই দুই শব্দের ছোট্ট গালিটিকে সিরিয়াসলি না নিয়ে উড়িয়ে দেই তাহলে কাল আমরা হয়তো হিন্দু মুসলিম দাঙ্গাকেও প্রশ্রয় দেয়ার বাহানা খুঁজে নেব। তাই নিষিদ্ধ হোক ঘৃনিত এই শব্দ দুটি। মুছে যাক সমাজ থেকে এই ধরনের সাম্প্রদায়িক গালি। মুলোৎপাটন করি যাবতীয় রেসিজমের।



সবাইকে সদা সতর্ক হওয়ার তাগিদ দিচ্ছি। আসুন সকলে মিলে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। আসুন আপনার আমার সকলের জন্য, আমাদের অমুসলিম বন্ধু-বান্ধবদের জন্য একটি সুখী সুন্দর সমাজ বিনির্মান করি। যেখানে কোন উদ্ধত পুলিশ কিংবা কোন রাজনৈতিক ভারাটে "শালা মালাউনের বাচ্চা" বলে আমার বন্ধুকে গালি দিবে না।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪১

অর্বাচীণ স্বজন বলেছেন: এক সময় মুসলমানদের হিন্দুরা যবন বলে গালি দিতো।
এটা আর কিছুই নয়। বিকৃত, সাম্প্রদায়িক এক রূপ। নিজেদের মূল্য যারা সঠিক বুঝতে পারবে, তারা অন্যের মূল্যও দিতে শিখবে। পারস্পরিক শ্রোদ্ধাবোধের জায়গা থেকে আমরা অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছি।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:১১

উপপাদ্য বলেছেন: হিন্দুরা এ অঞ্চলের মুসলিমদেরকে অনেক কিছুই ডাকতো সে ইতিহাস লিপিবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু আশার দিক হচ্ছে জ্ঞানের বিকাশের সাথে সাথে এ অঞ্চলের মানুষ এসব ভুলে হিন্দুদের বৈষম্যমূলক আচরনের জন্য কখনোই প্রতিশোধ পরায়ন হয়নি। কারন এ অঞ্চলের মানুষজন সব সময়ই ঐতিহ্যগতভাবে অসাম্প্রদায়িক ছিলো।

কিন্তু আজ বিশেষ রাজনৈতক উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়া হচ্ছে সেটা আরো বেশী ভয়ানক। কারন আপনি চাইলেও এটাকে পশমিত করতে পারছেন না। ক্ষমতার খেলায় যারা মত্ত তারা সাম্প্রদায়িকতার মাধ্যমে ফায়দা লাভ করতে চায়।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:০৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: একটা প্রশ্ন--এই যে ছাগু শব্দটা প্রচলিত, সেটা কি কোন হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধের বেলায় কখনও, কোনদিন, কোনকালে ব্যবহার করা হয়??? নাকি শুধু মুসলিম নামধারী দেখলেই ব্যবহার করা হয়? শব্দটা যে প্রকান্তরে একটা সম্প্রদায়কে বুঝায়, যাদের একটা অভিন্ন ধর্মীয় পরিচয় আছে, সেটা ভেবে দেখেছেন?

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:২২

উপপাদ্য বলেছেন: আপনি যদি ব্লগীয় পরিভাষা বুঝাতে চান তাহলে আপনি নিজেও হয়তো কখনো কখনো "ছাগু" শব্দটির দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। এখানে ধর্ম পরিচয় খুব বেশী গুরুত্ব বহন করে না। এখানে আপনি আমার মতাদর্শকে ধারন করেন কিনা সেটা গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠে। ধন্যবাদ।


বি. দ্র:
আরেকবার ফালতু কথা বলতে আমার পোস্টে আসলে বিকল্প ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৩৩

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আমার ব্লগিং এর বয়স প্রায় ৮ বছর হতে চললো, তার পরিভাষা সম্পর্কে ভাল মত অবগত আছি। শুরুতে শুধু স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীকেই বুঝানো হত, পরবর্তীতে মুসলিমদেরই যেকোন একটা সাব-গ্রুপ যারা মৌলবাদী বা রক্ষণশীল ভাবধারায় বিশ্বাসী তাদের ক্ষেত্রে শব্দটি ব্যাপক প্রচলন শুরু হলো। অর্থাৎ ছাগু শব্দের অর্থ স্বাধীনতার বিরোধীতার পাশাপাশি একটি ধর্মগোষ্ঠীর উগ্রতা পরিমাপের মানদন্ড হয়ে উঠলো।

ধন্যবাদ দিয়ে তিরষ্কার করলেন? পারেনও আপনারা।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৫৬

উপপাদ্য বলেছেন: আপনাকে আমি অনেক দিন ধরে চিনি, আপনি আমার সিনিয়র ব্লগার কিন্তু আপনার কমেন্টের তীর্যক ভাবটা আমার ভালো লাগেনি।

দুঃখিত।

ভালো থাকবেন।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৩৩

পথহারা নাবিক বলেছেন: মালাউনের অনেক প্রতিশব্দ আছে যেমন মাল্লু, ডেটা, ডেটাইয়া ইত্যাদি। এসব বলে কি ওদের ডাকা যাবে দাদা!!

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩১

উপপাদ্য বলেছেন: কারো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ধরে গালিগালাজ করা কখনোই কাম্য নয়। এটাই রেসিজম। সভ্য সমাজে রেসিজম থাকতে পারে না।

অনেক ধন্যবাদ

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:২৬

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: মালু বা মালাউন শব্দ প্রয়োগ এর তিব্র নিন্দা জানাই !!!
তবে আপনার কাছে প্রশ্ন কাঁঠাল কে আপনি কি নামে চিনেন???

বাংলাদেশে এমন একটা সময় আসবে যখন মুসলমানদের কেউ সংখ্যা লঘু হিসেবে চিনিহ্ত করা হবে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২১

উপপাদ্য বলেছেন: বাংলাদেশে এমন সময় আসার আগেই ইতোমধ্যে ধর্মপ্রান মুসলমানদেরকে কেউ কেউ সংখ্যা লঘু ঠাহর করতে শুরু করেছেন, বিষয়টি নিশ্চয় আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি।

কিন্তু কথা হচ্ছে বাংলাদেশে ধর্মপ্রান মুসলিমরা যদি সংখ্যালঘুতে পরিনত হয় তাহলে দায়ী কারা হবে?? মুসলিম নামধারি নাস্তিক সম্প্রদায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নাকি আমরা যারা ঘুমন্ত মুসলিম তারা? স্পেনে মুসলমানদের পরাজয়ের জন্য কি মুসলিমদের বেশী দায়ী করেন নাকি আক্রমনকারী ক্রিশ্চিয়ানদের বেশী দায়ী করেন? এটা ভাবতে হবে কারন ইতিহাসের শিক্ষা এখানেই।

আমার পোস্টের বক্তব্য হচ্ছে মালাউনের বাচ্চা নামক এই সাম্প্রদায়িক শব্দটি কারা ব্যাবহার করছে? কারা এ থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে? ধর্মপ্রান মুসলমান নাকি সমাজের ভন্ড ও নোংরা রাজনীতির কুপমন্ডুকেরা। দেখুন শাহবাগের তথাকথিত প্রগতীশীলরা তাদের সতির্থকে পেটাতে গিয়ে এই ঘৃনিত শব্দ ব্যাবহার করছে। মিডিয়া না থাকলে হয়তো বলা হতো ছাত্রদল-শিবিরের ছেলেরা এই গালি দিয়ে গনজাগরন মঞ্চের কর্মীকে পিটিয়েছে।

তাই আমি এই ঘৃনিত শব্দ দিয়ে যেনো কেউ কাউকে আঘাত করতে না পারে তার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। রাস্ট্রীয়ভাবে শব্দটির ব্যবহার নিষিদ্ধ চাচ্ছি। কারন বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রের সীমা নেই।

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:১৫

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: পোস্টের বিষয় এবং লেখার সাথে একমত। কিন্তু "সাঈফ শেরিফ"-এর মত ডিসেন্ট ব্লগারের সাথে যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন সেটা ভাল লাগে নাই।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

উপপাদ্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সীমানা ভাই।

সিনিয়র ব্লগার হিসেবে সাইদ শেরিফ অবশ্যই শ্রদ্ধেয়। কিন্তু আমি বলেছি কেন তার প্রথম মন্তব্য আমার পছন্দ হয়নি।

কারন আমার পোস্টের কন্টেন্টের সাথে তার বক্তব্য সামঞ্জস্যপূর্ন নয়।

৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:




পোষ্টের বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনি ভাষাটা যে সাম্প্রদায়িক সেটাও ঠিক কিন্তু কিছু জায়গায় উদাহরন টেনেছেন, যেমন -


ছাত্রদল বা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আজো আমরা এমন গালি দিতে শুনিনি কখনো কোনদিন কোন হিন্দু ভাই-বোনকে উদ্দেশ্য করে।


শুধু ছাত্রদল বলতেন সেই ক্ষেত্রে হয়ত ব্যাপারটা নিয়ে মাথা ঘামাতাম না কিন্তু সাথে এমন একটা ছাত্র সংগঠনের নাম বললেন যাদের কাজই হলো সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করা।


সাম্প্রদায়িকতা ও সংখ্যালঘুদের হেয় করা ও তাদের সাথে অন্যায় আচরন করা বলতেই এদেশে যেমন করে বিএনপি-জামায়াত চিহ্নিত করার চেস্টা করা হয় সে সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।


এখানে ও আপনি বিএনপি নাম নিলে চুপ করেই থাকতাম যদিও এখন বিএনপি আর মূলধারায় নেই তারা এখনো জামায়াতের ধারাই আছে। জামায়াত এই ধরণের কাজ করে অবশ্যই এবং এই দেশের সাম্প্রদায়িকতা ও সংখ্যালঘুদের হেয় করা ও তাদের সাথে অন্যায় আচরনের কিয়দাংশই জামায়াতের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপেই হয়। এটা সংস্কৃতি নয় এটাই সত্য।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

উপপাদ্য বলেছেন: অমুসলিমদের নির্যাতনের দোষে বাংলাদেশে জামায়াত ও বিএনপিকে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা হয় । এবং আবারো বলছি এটাই আমাদের সংস্কৃতি। কিন্তু সত্যটা ভিন্ন। বিদেশী যেসব সংস্থা ও সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে তাদেরকেতো দেখিনা এই দল দুটিকে দোষারূপ করতে।

এটা শুধুই সংস্কৃতিই না এটা অনেক পুরানা সংস্কৃতি। আওয়ামী বিরোধী যে দলই হোক না কেন তাদেরকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অপবাদ সইতে হবে।

আর এর মূল কারন কি জানেন?? মুল কারন হচ্ছে বেশীরভাগ অমুসলিমরা আওয়ামীলীগকে ভালোবেসে ভোট দেয় বলেই। ভোট দেয় বলেই আওয়ামীদের একটা ইমেজ দাঁড়িয়েছে তারা অমুসলিম সহানুভুতিশীল। দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই সহনাুভুতীশীলতার সুযোগ নিয়ে বিগত সময়গুলোতে আওয়ামী কর্মী সমর্থক দ্বারা যে পরিমান অমুসলিম নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছেন অন্যসব দল মিলে তার সিকিভাগই করতে পারেনি>

আপনার সুন্দর মন্তব্যের শেষ অংশটা প্রমান সাপেক্ষ ও পর্যালোচনার অবকাশ রাখে।

অনেক ধন্যবাদ।

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪০

ফিলিংস বলেছেন: হিন্দুরা সাধারনত আ লীগ পন্থি, আর আ লীগের বিরোধিতা করতে গেলে তাদের ও বিরোধিতা করালাগে। দলবাজির এত নগ্ন চেহেরা বছর দশ অাগেও ছিলনা। এখন দলবাজি এত নগ্ন পযার্য়ে পৌছেচে যে এর দ্বারা সামাজিক সম্প্রিতি নষ্ট হবার যোগার। মসুলমান অথচ পরস্পর বিরোধীদের ঘায়েল করা সহজনা কারন দুজনের অবস্থা সমান। পক্ষে বিপক্ষে লোক যোগার করাও সুবিধার না। কিন্তু হিন্দুর বেলাই ধমের্র ধোয়া তুললে কিছু লোক বুঝেনাবুঝে চলে আসবে বিরোধিতা করতে।

আমার কিছু প্রশ্ন কেউ কি একটু উত্তর দেবেন।

১। এটা পরিষ্কার যে ৭১ এর মুক্তি যুদ্ধ কোন ধমের্র বিরেদ্ধ ছিলনা। সেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সব ধমের্র লোকের সমান অংশগ্রহন ছিল। তবুও এসময় ধমের্র রং লাগানো হয়ে ছিল। মসুলনাম হিসেবে ধর্মরই যদি বিভাজনের মান দন্ড হয় তাহলে সে সময় আরবিকে কে রাষ্ট ভাষা না করে উর্দু কে রাষ্ট ভাষা করে ধমের্র কোন পুন্ন্যি টা করে ছিল।

২। মুক্তি যুদ্ধের সময় কোন হিন্দু কি বীর উত্তম, বীর বিক্রম উপাধি পাইনি। কেন হিন্দু দের বীর উত্তম, বীর বিক্রম উপাধি দিয়ে রেখেছেন ??? কেড়েনেন।

৩। সিডর, আয়ালা হিন্দুদের উপর দেয়ে গেছে না মসুলমানের উপর দেয়ে গেছে।

৪। হিন্দুরা আপনার সাথে যত অন্যায় করছে তার চাইতে ঢেড় বেশি করছে আল্লাহ তায়ালার সাথে, সেই আল্লাহ তায়ালায় যদি উনা দের কে বাচিয়ে রাখ ত বে আপনি মারার কে ???

৫।বিশ্বে আপনার দেশের অবস্থান যত শক্ত, আপনার গুরুত্ব তত। পরস্পর বিরোধিতা পরস্পর কে ই ধংসকরে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশের পাস পোর্ট নিয়ে বলে বেরান আমি বাংলাদেশি, আর দেশে এসে বলেন আমি মসুলমান কেন ???

সব শেষে একটা কথা বলি, হিন্দু যদি হিন্দুত্ব নিয়ে মারা যাই। তবে
আপনাকে কিন্তু জবাব দিহি করতে হবে। কেন তাকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া হয় নি???

বিরোধিতার সার্থে বিরোধিতা করিয়েন না। দেশের উন্নয়নে সবার গুরু্ত্ব সমান। এদেশ গঠনে হিন্দুদের অবদান কখনও অস্বীকার করা যাবেনা। আর এদের কে বাইরে রেখে দেশের উন্নতি ও সম্ভব না।
তাই সবাই দেশকে ভালবেশে তার উন্নয়নে একসাথে কাজ করি।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৬

উপপাদ্য বলেছেন: আপনার কমেন্ট টি পড়েছি। অনেক চিন্তা করেছি। আপনার বক্তব্য অনেক ক্ষেত্রে ঠিকই আছে। কিন্তু আমার বক্তব্য অন্য জায়গায়। রাজনৈতিক মতবিরোধ, ব্যাক্তিগত বিরোধ, ক্ষমতার দ্বন্ধ থেকে বিভাজিত হয়ে কাউকে তার ধর্ম তুলে গালাগালি করা কতটা যুক্তি সংগত?

আর সেই বৈষম্যের প্রকাশ বা রেসিজম যদি হয় ধর্ম নিরপেক্ষ বলে দাবীদারদের পক্ষ থেকে তাহলে সেটা আরো বেশী করে আলোচনা সমালোচনার দাবী রাখে।

তাই আমি মনে করি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরকে কেউ যেন ধর্ম বৈষম্যের শিকার না হয় সে বিষয়ে সচেতন হতে। এমনকি অমুসলিমদেরকেও বলছি তারাও যেন বিষয়টা গভীরভাবে ভেবে দেখেন, ধর্ম নিরপেক্ষতার শ্লোগান দিয়ে যারা তাদের ভোট দখল করে তারা কি আসলেই ধর্ম নিরপেক্ষা নাকি সুবিধাবাদি। এটাও অমুসলিম ভািডের বুঝতে হবে।

অনেক ধন্যবাদ।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

অদৃশ্য বলেছেন:






সংখ্যালঘু শব্দটা আমাদের পরিহার করা উচিৎ... কোন এক গোষ্ঠিকে সংখ্যালঘু নামে ডাকাটা আমার আমার খুবই অন্যায় মনে হয়... সংখ্যালঘু শব্দটা আমার কাছে এখন একটি বাজে শব্দ ছাড়া আর কিছুই নয়...


লিখাটি চমৎকার...
শুভকামনা...

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

উপপাদ্য বলেছেন: শুভ কামনা সহ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:

হুম এটা ঠিক। আমাদের হিন্দু ভাইদেরকে মালাউন বলার কিছু নাই। এমনিতেই যদিও তাদের অনেকেরই সোনাগাছির স্বপ্নে বিভোর থাকেন, তাদের কিন্তু দাদাবাবুরা বাংগাল বলেই ডাকেন। দুই দিক দিয়ে ঠেলার কোন দরকার নেই।


বাংলাদেশ হউক অসাম্প্রদায়িক

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৯

উপপাদ্য বলেছেন: পোকা ভাই, নববর্ষের শুভেচ্ছা।

"বাংলাদেশ হউক অসাম্প্রদায়িক"

১১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৩

প্রনব দাস বাবু বলেছেন: একজন ঘূণপোকা, আপনি যে কথা টিটকারি করে বলেছেন সেই ঘটনারর জন্য আপনার মত মানুষেরাই দায়ী...... কোন ভাবে হিন্দু হটিয়ে যদি জায়গা দখল করা যায়....... এবং এটাই করছে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির এর মত বুর্জুয়া দল গুল। না হলে বাংলাদেশ আপনার যতটুকু তার চেয়ে কি আমার কোন অংশে কম........

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২১

উপপাদ্য বলেছেন: প্রনবদা, বাংলাদেশ সবার সমান। আপনি যদি এ মাটিতে জন্ম গ্রহন করেন তাহলে এই মাটির দাবী আছে আপনার প্রতি। মানুষ যেমন সবাই সমান ঠিক তেমনি দেশটাও সবার সমান সমান।

কিন্তু কিছু কুচক্রী ফায়দা লুটে। কিছু কুচক্রী দুষ্ট লোক যেমন নির্বাচন আসলে হাতে তাসবী, মাথায় পট্টি, নির্বাচনী ব্যানার পোস্টারে টুপি লাগায় ঠিক তেমনী কিছু দুষ্টু রাজনিতিবিদ সনাতন ধর্মকে তাদের রাজনীতিতে টেক্কার মতো ব্যবহার করছে।

আর ঘুনপোকা যা বলেছেন তার জন্য আসলে ঘুনপোকার মতো মানুষ দায়ী নয় ভাই। তার জন্য দায়ী হচ্ছে বাংলাদেশের একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল ও সয়ং রাস্ট্র ভারত। কারন এরা সবসময় আমাদের হিন্দু প্রতিবেশীকে বোঝাতে থাকে যে আমি উপপাদ্য প্রতিবেশী হিসেবে তার জন্য ঝুঁকি পূর্ন।

বাংলাদেশ আপনার যতটুকু তার চেয়ে কি আমার কোন অংশে কম........ মোটেই না। আমরা সবাই যদি কাঁধে কাঁধ হাতে হাতএ রেখে চলতে পারি বাংলাদেশের মুক্তির যূর্য উদিত হতে ৫ বছরও লাগবে না ভাই।

অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন

১২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: হয়তো আমি-আপনি না পারলেও রাজনৈতিক বিভেদে কিছুই অসম্ভব না।।
এখানে কোথায় সেই বন্ধুত্বের অমলিন বাধন??সবিছু যে নির্ণয় হয় "উপর" থেকে!! বিবেকটা যে বাধা সেখানেই।।
এখানে যেমন বলছি,সেখানে শুনছিও তেমনি।। ধন্যবাদ।।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৭

উপপাদ্য বলেছেন: এটাই হচ্ছে বিভেদের রাজনীতি। বিভেদেই আমাদেরকে দাস বানিয়ে রাখা সম্ভব। তা নাহলে হিন্দু মুসলিম সবাই একসাথে গর্জে উঠবে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে।

ধন্যবাদ সচেতন ভাই।

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪

প্রনব দাস বাবু বলেছেন: একজন ঘূণপোকা
বলেছেন:
হুম এটা ঠিক।
আমাদের হিন্দু
ভাইদেরকে মালাউন বলার
কিছু নাই। এমনিতেই যদিও
তাদের অনেকেরই
সোনাগাছির
স্বপ্নে বিভোর থাকেন,
তাদের কিন্তু
দাদাবাবুরা বাংগাল
বলেই ডাকেন। দুই দিক
দিয়ে ঠেলার কোন দরকার
নেই।
কথা গুল খেয়াল করে দেখবেন পশ্চিম বাংলার মানুষেরা বাংলাদেশিদের বাংগাল বলে, শুধু হিন্দুদের নয় ঘুণ পোকা.......

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১

উপপাদ্য বলেছেন: ইন্ডিয়া একটা অপশক্তি। শিক্ষার অভাবে দেশটি এখনো কূপমন্ডুক হয়ে আছে। যে দেশ একটা মেয়েকে কুকুরের সাথে বিয়ে দেয়ার হাট থেকে বাঁচাতে পারেনা সেই দেশের কালেক্টিভ চিন্তা চেতনা নিয়ে যথেস্ট চিন্তার বিষয় বৈকি।

তাই কোলকাতাইয়ারা আমাদের ঠিক কি ডাকলো তা নিয়ে যেমন আমাদের পূর্বপুরুষেরা কোন গুরুত্ব দেন নি তেমনি আমারাও দেইনা।

অনেক ধন্যবাদ দাদা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.