নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মূর্খ সমাজপতি গাঁয়ে, গগনে দেখি ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ বিচ্যুত যৌবনে জোছনা আমায় করেছে উম্মাদ

উপপাদ্য

ইমেইল: [email protected]

উপপাদ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুতুলের অটিজম বিলাস ও সীমান্তে এক প্রতিবন্ধীর আর্তচিৎকার

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

১.

ক'বছর পূর্বে সায়মা ওয়াজেদ জয় জাতিসংঘে প্রতিবন্ধি বিষয়ক এক সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সেখানে তিনি বলেছেন "আমাদের একটু আন্তরিক সহানুভূতিপূর্ণ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি একজন প্রতিবন্ধী মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। এটি সভ্যতার দায়িত্ববোধও বটে।" বাহ কি সুন্দর কথা। এই বক্তব্যটুকু শোনার পর থেকে নিশ্চয় আমরা বিশ্বাস করি সায়মা ওয়াজেদের আন্তরিকতায় কোন ঘাটতি নেই। নিজেকে বিলিয়ে দেয়া এই নারী প্রতিবন্ধিদের অধিকার আদায়ে সবকিছু করতে সক্ষম।



আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সন্তান সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রতিবন্ধিদের অধিকার, বেড়ে উঠা, সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি বিষয়ে বেশ সোচ্চার। দেশে বিদেশে সভা সেমিনার করে বেড়ান তিনি। দীর্ঘ কিংবা নাতিদীর্ঘ বক্তৃতা বিবৃতি দেন। আমরা আশান্বিত হই। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি যে শেষ পর্যন্ত সমাজের প্রান্তিক ও নিগৃহিত শ্রেনীর জন্য কিছু করার প্রায়াস পেয়েছেন একজন প্রধানমন্ত্রী কন্যা। এতে আশান্বিত হওয়ার বহু কিছু আছে। কারন বাংলাদেশে রাজনৈতিকরা কিছুই দেন নি। এদেশে আমার দেখা মতে যা কিছু হয়েছে তার সবকিছু অনেক দর কষাকষি করে অর্জন করতে হয়েছে। এই যেমন বয়স্ক ভাতা , বিনামূল্যে বই, মেয়েদের শিক্ষা বৃত্তি, কাজের বিনিময়ে খাদ্য, একটু বাড়ী একটি খামার, ধুমপান বিরোধী আইন, যৌতুক বিরোধী আইন, আ্যাসিড সন্ত্রাস বিরোধী আইন ইত্যাদি। এসকল মহৎ কাজের পিছনে সুশীল সমাজের বিরাট অবধান। সুশীল সমাজ ও বেসরকারী প্রেশার গ্রুপ বিভিন্ন সভা সেমিনার করে নেতাদের তেল মালিশ করে বার বার বলতে হয়েছে এটা দরকার, ওটা দরকার। এটার জন্য আইন করুন ওটার জন্য ভাতার ব্যবস্থা করুন। তারপর মাঝে মাঝে তারা দয়াপরবশ হয়ে সংসদে একটি-দুটি বিল উত্থাপন করতেন।



তাই আমি খুবই আশান্বিত এই কারনে যে প্রতিবন্ধিদের নিয়ে আমাদের আর অত কিছু না ভাবলেও চলবে। কারন প্রতিবন্ধি শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা নিজেই সরাসরি। তাই আ্যাডভোকেসী, চাপ প্রয়োগ, সামাজিক আ্যাকশন সহ কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বা সামাজিক অধিকার আদয়ের যে কটি ধাপ পেরোতে হয় তার সবকটিই খাবার টেবিলে বসে বসে সায়মা ওয়াজেদ করে নিতে পারবেন। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিবন্ধিদের বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিয়ে নিরাপত্তা, অধিকার, সম্মান প্রদানে এই নারী বিশেষ ভমিকা রাখতে নিশ্চয় সক্ষম হবেন।



২.

গত ২০শে এপ্রিল ২০১৪, রবিবার বিকেলে মেহেরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে সায়েম উদ্দীন নামক এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী সংস্থা বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। বিএসএফ জওয়ানরা তাঁকে অমানুষিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে প্রতিবন্ধি এই ছেলেটির উপর কুকুর লেলিয়ে দেয়া হয়। কুকুর কামড়ে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে তাকে। এরপর রাতে বিএসএফ জওয়ানরা কাঁটাতারের এপারে বাংলাদেশের সীমানায় তাকে ফেলে চলে যায়।



আমি জানিনা একজন প্রতিবন্ধি ছেলে কি অপুরণীয় ক্ষতিটাইবা করেছে বিএসএফের। সে কি ভারত সরকার কিংবা ভারতীয় ভুখন্ডের বিরুদ্ধে ভয়ংকর কিছু করেছে? একজন প্রতিবন্ধি যেখানে তার নিজেকেই ঠিক মতো আবিষ্কার কর‌তে পারেনা সেখানে ভীনদেশী কোন পিশাচ বাহিনী কিংবা ভীনদেশের বিরুদ্ধে কিছু করার সুযোগ তার নেই। সেই ছেলেটির সাথে বিএসএফ যে অমানবিক কাজটি করলো তার বিচার আমরা কার কাছে চাইবো? নাকি অতীত সীমান্ত হত্যা বিষয়ক সবকের মতো আরো একবার কোন এক মন্ত্রী মহোদয় আমাদেরকে ধমক দিয়ে বলবেন " রাস্ট্র সীমান্তে ভারতীয় বাহিনী কতৃক বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার মতো ছোট খাটো বিষয় নিয়ে চিন্তিত নয়"।







যেহেতু আমি বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য কন্যা প্রতিবন্ধিদের জন্য কাজ করেন এবং প্রতিবন্ধি বিষয়ক জাতিসংঘ কমিটিতে এদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। তাহলে ধরে নেয়া যায় বাংলাদেশের প্রতিবন্ধিদের অভিবাবকত্বের দায়িত্ব অনেকটাই তার উপর রয়েছে। তাই আশা করতেই পারি তিনি তার মায়ের সংগে আলোচনা করে ভারতীয় সরকারের কাছ থেকে একটু সুদুত্তর জানতে চেস্টা করবেন ক্যানো বাংলাদেশের একটি প্রতিবন্ধি ছেলেকে ভারতের সরকারী সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশের ভেতর থেকেই ধরে নিয়ে নির্যাতন করলো? কেনো তার উপর ট্রেইন্ড কুকুর লেলিয়ে দেয়া হলো বিভভৎস নির্যাতনের জন্য? জিজ্ঞেস করবেন ভারতীদের মধ্যে সভ্যতার দ্বায়িত্ববোধ কতটুকু আছে? আশাকরি একটা নিরীহ প্রতিবন্ধি ছেলেকে নির্যাতনের ক্ষতিপূরনটুকু আদায় করে নিতে পারবেন। আর যদি না করেন তাহলে আমরা খুব সহজেই অনুধাবন করতে সক্ষম হবো যে, জাতিসংঘে আলোচনা, দেশে বিদেশে সভা সেমিনার এসব শুধুমাত্র হাই প্রোহাইল ইমেজ তৈরির চেস্টা মাত্র।



মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: উনার পুত্র কন্যারা সম্পদের পাহাড়ে বসে নিজেদের থলেতে আরো ভরার জন্য প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে স্টান্ট বাজি !!!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৬

উপপাদ্য বলেছেন: উনাদের দাদা (আসলে নানা) কিন্তু কবরে যাওয়ারা সময় সম্পদের পাহাড় নিয়ে যান নি।

স্ট্যান্টবাজি ছাড়লেই ভালো।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৩

দেশান্তর বলেছেন: উলুবনে মুক্তা ছড়াচ্ছেন ভাই, এদের পারিবারিক সংযাত্রায় বুঁদ হয়ে থাকার মত অকালকুষ্মাণ্ড দর্শকের অভাব নাই এদেশে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫০

উপপাদ্য বলেছেন: কথা সত্যই বলেছেন। কারন আমরা যে অনুরোধটুকু করি আমাদের প্রিয় নেতা নেত্রীদের তারা খুব কমই শোনেন এসব কথা।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাই আশা করতেই পারি তিনি তার মায়ের সংগে আলোচনা করে ভারতীয় সরকারের কাছ থেকে একটু সুদুত্তর জানতে চেস্টা করবেন ক্যানো বাংলাদেশের একটি প্রতিবন্ধি ছেলেকে ভারতের সরকারী সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশের ভেতর থেকেই ধরে নিয়ে নির্যাতন করলো? কেনো তার উপর ট্রেইন্ড কুকুর লেলিয়ে দেয়া হলো বিভভৎস নির্যাতনের জন্য? জিজ্ঞেস করবেন ভারতীদের মধ্যে সভ্যতার দ্বায়িত্ববোধ কতটুকু আছে? আশাকরি একটা নিরীহ প্রতিবন্ধি ছেলেকে নির্যাতনের ক্ষতিপূরনটুকু আদায় করে নিতে পারবেন। আর যদি না করেন তাহলে আমরা খুব সহজেই অনুধাবন করতে সক্ষম হবো যে, জাতিসংঘে আলোচনা, দেশে বিদেশে সভা সেমিনার এসব শুধুমাত্র হাই প্রোহাইল ইমেজ তৈরির চেস্টা মাত্র।

সহমত। আমরা অপেক্ষায় সত্য জানার!!!!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৭

উপপাদ্য বলেছেন: আমরা অপেক্ষায় প্রতিবন্ধিদের অভিবাবক হিসেবে তিনি কি দ্বায়িত্ব পালন করেন তা দেখার জন্য।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এভাবেই তো আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত নেতারা দেশটাকে বেহেস্ত বানিয়ে তুলছে।। কয়েকদিন পর দেখবেন দোজখের অস্তিত্বই নেই।।আর আমরা এতেই মুগ্ধ হয়ে ভাবছি,বাহ্ বাহ্!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৪

উপপাদ্য বলেছেন: সায়মা পুতুলের অটিজম বিষয়ক কার্যক্রম নিয়ে একটু পড়াশুনা করতে গিয়ে দেখি তথাকথিত সম্পাদকেরা বেশ কটি সম্পাদকীয় লিখেছেন তাকে নিয়ে। তাকে এক মহিয়সী নারীতে রূপান্তরিত করে ফেলেছেন। নিজ কর্ম দিয়ে মহীয়সী হন তাহলে নিশ্চয় আমরাও গর্বিত হবো। কিন্তু হাসিনা শেখের মেয়ে কিংবা মুজিব শেখের নাতনী হিসেবে মহীয়সী হওয়াতে কোন কৃতিত্ব নেই।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমরা এতেই মুগ্ধ, বাহ বাহ।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫০

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: কিছু বলার নাই! বহুত তো বকলাম! :(

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

উপপাদ্য বলেছেন: নাসিফ ভাই। তারপরও আমরা বলে যাই, বলেই যাবো। কাংখিত পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত বলতেই যে হবে।

অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.