নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মূর্খ সমাজপতি গাঁয়ে, গগনে দেখি ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ বিচ্যুত যৌবনে জোছনা আমায় করেছে উম্মাদ

উপপাদ্য

ইমেইল: [email protected]

উপপাদ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের শৈল্পিক দূর্নীতিগুলো

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

তখন গিয়েছিলাম ঢাকা। সে বহুদিন আগের কথা। সময়টা ২০০০ সাল ছিলো। যেহেতু শিল্প, সাহিত্য, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে আমার আজন্ম উৎসাহ তাই এক বন্ধুকে নিয়ে চলে গেছিলাম জাতীয় যাদুঘরে। না অমুল্য রত্ন, প্রত্ন দেখতে নয়। তবে মুল্যহীন কিছু দেখিনি।



বাংলাদেশের খুব নাম কামানো এক চিত্রশিল্পী। খ্যাতিমান বলতে বিবেকে বাঁধে তাই বললাম না। তিনি হাশেম খান। চারুকলার বন্ধুরা বলতো হাশেম স্যার। ছোটবেলায় পাঠশালার বইয়ের অলংকরনে তার নাম দেখে দেখে বড় হয়েছি। তো হাশেম খানের চিত্র প্রদর্শনী। উচ্ছাসের শেষ নেই। বন্ধু বেজায় বিরক্ত। বলে, কিসব অগার ঠ্যাং, বগার ঠ্যাং রং তুলির আঁচর পুরো সময়টাই নষ্ট। আমি বলি বন্ধু এসবের নাম আর্ট। আর্ট বুঝতে হলে আরো পড়াশুনা করতে হবে। খুব সমঝদার হতে হয়। তুমি বন্ধু এখনো ঐ লেভেলে যেতে পারোনি। বিষয়টা একটু হাই লেভেলের। বন্ধুর চেহারা লাল হয়ে যায়।



এক মনে ছবি দেখে যাচ্ছি আর নিজে নিজে এইসব হিবিজিবির ইন্টারপ্রিট করছি। তারমাঝে হঠাৎ দেখি তুলকালাম কান্ড। হন হন শন শন করে কিছু লোক জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে ঢুকে মোটামুটি ধাক্কা না দিলেও ভাবটা এরকমই ছিলো। মন্ত্রী আসছেন, মন্ত্রী আসছেন। মন্ত্রী আসছেন হ্যাঁ মন্ত্রীকে দেখতে পাচ্ছি। মন্ত্রীকে দেখে একটু নড়ে চড়ে দাঁড়ালাম। আহা হা মরি মরি মন্ত্রী নিজেই চলে এসেছেন শিল্পের মূল্যায়ন করতে। বাহ আমাদের মন্ত্রীরাতো খুব ভালো। শিল্প সমঝদার। মন্ত্রী মহোদয়ের শিল্পজ্ঞান বোঝার জন্য কাছাকাছি যাওয়ার চেস্টা করে দেখি ওমা শুধু কি মন্ত্রী মহোদয়!! সাথে জনা ছয়েক চামচাও আছে।



চামচা বেষ্টিত তৎকালীন ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যিনি বর্তমানে যোগাযোগ মন্ত্রী। কেউ কেউ বলে ফাটা কেস্ট। কাজের চেয়ে কথায় বেশী পারদর্শী। চাতুরীপূর্ন কথার চটুল এক বাচাল অর্বাচীন। একপাশে সয়ং শিল্পী হাশেম খান। আমিতো আনন্দে আটখানা। রথী মহরথী সবাইকে একসংগে দেখতে পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। তবে আরেকপাশে লুৎফুর রহমান রিটন। রিটনের ভক্তও কি কম ছিলাম! ছোটদের তারকালোক সম্পাদক ছিলো তখনো সে। তিনাকে দেখে পারলেতো লাফ দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলি আমাকে নিয়ে একটা ছড়া লিখেন প্লিঈঈঈজজজ।



মন্ত্রী মহোদয় সারি সারি চিত্র দর্শন করছেন। আর রিটন সাহেব বলেন স্যার এই ছবিটা আপনার ড্রইং রুমের জন্য। আরেকটার সামনে গিয়ে বলছেন স্যার এটা আপনার বেডরুমে খুব মানাবে। আমিতো মহা বিরক্ত। হয়তো পরের ছবিটার সামনে গিয়ে বলবে স্যার এটা আপনার বাথরুমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। এভাবে ছবিগুলোর সামনে যাচ্ছেন আর রিটন সাহেব একেকটা ছবি কোথায় কোথায় ফিট হবে তার বর্ননা করছেন। ঠিক এইভাবে মোট ৩০/৩৫ টি কিংবা তারও বেশী ছবি ক্রয় করলেন মন্ত্রী মহোদয় ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রলায়ের বিভিন্ন অফিস ও দপ্তরের জন্য। এটাকে ক্রয় করা, না ক্রয় করানো হলো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না তখন। হয়তোবা মিউূয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং।



তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত যে ছবিটি ছিলো তা হচ্ছে একটি জানালা কিংবা দরজা সাইজের ছবি যেটা শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষনের অনুকরনে অংকন করা হয়েছে। ছবিটার সামনে তারা ৪/৫ মিনিট ছিলেন। লূৎফর রহমান রিটনের মুখে তখন আবেগ মিশ্রিত বক্তব্য। স্যার এই ছবিটা আমরা রিজার্ভ করে রেখেছি মন্ত্রনালয়ের জন্য। এটা কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন সবাই কিন্তু আমরা কারো কাছে বিক্রি করিনি, কারন আমরা জানি আপনি এটা মন্ত্রনালয়ে জন্যই নিবেন। ছবিটির মূল্য ছিলো মাত্র ১০/১২ লাখ টাকার মতো (সঠিক দাম এই মূহুর্তে মনে পড়ছেনা। কারো জানা থাকলে ইনবক্স করুন প্লিজ)। আমি অবাক হয়ে গেলাম ছবি বিক্রির জন্য কিভাবে দালাল লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন শিল্পী নামের একজন ভন্ড। ছবি গুলো যতটা না আঁকা হয়েছে তার শিল্পভাব প্রকাশের জন্য তার চেয়ে বেশী প্রকাশ পাচ্ছে বানিজ্যিক লোভ লালসা।



আমি সেদিন ঠিক অতটা না বুঝলেও আজ বুঝতে পারছি। কি নির্লজ্জ, লোভী আর শঠ আমাদের শিল্পী সমাজের কিছু লোক। যারা নির্ধিদ্বায় বিক্রি করে দিতে পারে নিজের সম্ভ্রম। আজ জয়নুল আবেদীন বেঁচে থাকলে নিশ্চয় লজ্জায় কুঁকড়ে যেতেন। আমি এর পর থেকে যে ছবিটির দিকেই তাকাচ্ছিলাম সেই ছবিটিতেই লোভী কুকুরদের লালা দেখছিলাম। সবচেয়ে দামী ছবিটিতে সবচেয়ে বড় কুকুর দেখছিলাম। দেখছিলাম ছবির ভেতরে শুধু টাকা আর টাকা। দেখছিলাম ছবিগুলোর মধ্যে শুধু লোভ লালসা আর দূর্নীতি। আমি সেদিন ছবির ভেতরের ছবিকে নতুন করে ব্যাখ্যা করতে শিখেছিলাম।



তার অনেকদিন পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে চারুকলার এক বন্ধুর সংগে কথা হয়েছিলো এ বিষয়ে। বন্ধুটি বলেছিলো। শিল্প-টিল্প এসব কিছুই নয়। আসল হচ্ছে নেটওয়ার্ক ও চাটুকারীতা। তোমার নেটওয়ার্ক/লিংক ভালো থাকলে খারাপ ছবি এঁকেও তুমি কোটিপতি হতে পারবে আর নেটওয়ার্ক/লিংক খারাপ থাকলে ভালো ছবি এঁকেও তুমি সংসার চালাতে পারবে না। তুমি যদি কোন রকমে বেঙ্গলে বা এরকম নামকরা এক্সিবিশন সেন্টারে একটা প্রদর্শনী করতে পারো তাহলে কেল্লাফতে। বেঙ্গল তার লবি (রিটন) গ্রুপ দিয়ে ঢাকা শহরের ধনীলোকদের কাছে তোমার ছবি বিক্রি করিয়েই ছাড়বে। তবে বেঙ্গলের কমিশনটাও কটকটা। তবে এক্ষেত্রে মন্ত্রীর মতো কাউকে ফিটিং দিতে হলে হাসেম স্যারের মতো দলান্ধ চামচা হতে হবে। তবে একবার যদি মন্ত্রী-সচিব টাইপ কাউকে ফিটিং দিতে পারো তাহলে এক প্রদর্শনীতেই লাইফ সেটল্ড। আর জীবনেও ছবি আঁকা লাগবে না। আমি তাকে বলেছিলাম চামচা রিটনের কমিশনটা কত হতে পারে? সে জানিয়েছিলো ৯৬-২০০১ আওয়ামী শাসনামলে হাশেম স্যার ছবি-টবি ইত্যাদি থেকে আয় করেছেন প্রায় ৮ কোটি টাকা। শুধু ঐ বিশেষ প্রদর্শনী থেকেই করেছে ১ কোটি টাকারও বেশী তাহলে এবার বুঝে নাও রিটনের দালালীর কমিশনটা কত হতে পারে। তবে এখানে আরো অনেক গ্রুপ ও ব্যাক্তির স্বার্থও জড়িত থাকার সম্ভবনা আছে।



এদিকে মিজারুল কায়েস নামের এক ব্যাক্তি পররাস্ট্র সচিব থাকাকালীন সময়েও পররাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের নাম করে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত হাই কমিশন ও এ্যামবাসির জন্য কয়েক কোটি টাকার ছবি কিনে হাশেম খানের মতো দুচার জনকে কোটিপতি বানিয়ে দিয়েছেন। তার বিরোদ্ধে অভিযোগ এই শৈল্পিক দূর্নীতিতে তিনি সরাসরি জড়িত।



দূর্নীতি ও অবৈধভাবে টাকা কামানোর এই দারুন পন্থার নাম হাচ্ছে "শৈল্পিক দূর্নীতি। আমাদের তথাকথিত মান্যবর ও মাননীয় শুওরের বাচ্চারা দেখিয়ে দিচ্ছেন কিভাবে এই শৈল্পিক দূর্নীতি করতে হয়। অথচ প্রতিবাদ করার কেউ নাই। কলুর বলদ আমরা সাধারন মানুষ ডুবন্ত নৌকার ভয়েই অস্থির থাকি।



মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


বাংলাদেশের সব সেক্টরেই চলে এমন শৈল্পিক দুর্নীতি।

আমরা দোষ দেই যারা ঘুষ খোর আমলা তাদের কিন্তু এরা যখন লাখ লাখ টাকার বিনিময় চাকরী পায় তখন ঘুষ না খেয়ে কি করবে আর ?

যাদের টাকা নেই কিন্তু মেধাবী তারা ধীরে ধীরে সন্ত্রাসী হয়ে উঠে। এটাইত কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দরকার গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ছাটাই। এইজন্য সৎ নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসতে পারে। যাদের হাতে দেশ হবে দুর্নীতি মুক্ত।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

উপপাদ্য বলেছেন: আমাদের দেশের এই মেধাবী দূর্নীতিবাজদের যদি ঠিক মতো পূনর্বাসন করা যেত তাইলে বোধ হয় দেশ অনেক এগিয়ে যেতো।

আসলে মোরালিটির অভাব আমাদের ভেতরে লোভ লালসা এমনই বাড়িয়ে দিচ্ছে যে আমরা যেন তেন ভাবে স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাই।

ভালো থাকুন কান্ডারী ভাই।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দূর্নীতি ও অবৈধভাবে টাকা কামানোর এই দারুন পন্থার নাম হাচ্ছে "শৈল্পিক দূর্নীতি। আমাদের তথাকথিত মান্যবর ও মাননীয় শুওরের বাচ্চারা দেখিয়ে দিচ্ছেন কিভাবে এই শৈল্পিক দূর্নীতি করতে হয়। অথচ প্রতিবাদ করার কেউ নাই। কলুর বলদ আমরা সাধারন মানুষ ডুবন্ত নৌকার ভয়েই অস্থির থাকি।

++++++++++

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

উপপাদ্য বলেছেন: আওয়ামী ধান্ধাবাজগুলা সবসময় শৈল্পিক দূর্নীতি করে। টিপিক্যাল দূর্নীিতি করে ছাত্রলীগ। কিন্তু ছবি বেঁচা, ক্রেস্টে ভেজাল, ভিওআইপি, দোয়েল কম্পিউটার, ব্যাঙ্ক ডাকাতি টাইপের কাজগুলো করেন রাঘব বোয়ালরা এবং শৈল্পিক উপায়ে।

অনেক ধন্যবাদ। বিদ্রোহী ভাই।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৯

হায়দার সুমন বলেছেন: দারুন বলেছেন,

চেতনাধারী চুচীলদের মুখোশ একেবারে খুলে দিয়েছেন

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২১

উপপাদ্য বলেছেন: এদের চেতনার উপর আার পোষা কুকুরও মুতে। এদের চেতনা হচ্ছে স্বার্থসিদ্ধির একমাত্র উপায়। এরা দেশ বিক্রি করে সংসার চালায়.....।

নিজের দেখা অভিজ্ঞতা বর্ননা করেছি ভাই। এরপর থেকে এই হারমাজাদারে যতবার দেখেছি ইউনিভার্সিটিতে সালামতো দূরের কথা তাকাই ই নি।

ভালো থাকবেন।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

নতুন বলেছেন: দূর্নীতি ও অবৈধভাবে টাকা কামানোর এই দারুন পন্থার নাম হাচ্ছে "শৈল্পিক দূর্নীতি। আমাদের তথাকথিত মান্যবর ও মাননীয় শুওরের বাচ্চারা দেখিয়ে দিচ্ছেন কিভাবে এই শৈল্পিক দূর্নীতি করতে হয়। অথচ প্রতিবাদ করার কেউ নাই। কলুর বলদ আমরা সাধারন মানুষ ডুবন্ত নৌকার ভয়েই অস্থির থাকি।

++++++++++++++

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৬

উপপাদ্য বলেছেন: শৈল্পিক দূর্নীতির শেষ নাই বাংলাদেশে। আমাদের দেশে নিত্য নতুন প্রজেক্ট আবিষ্কার হয় শুধুমাত্র দূর্নীতি করার উদ্দেশ্যে।

যারা ক্ষমতায় বসে দূর্নীতি রোধ না করে, আইন শৃংখলা প্রতিষ্ঠা না করে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসানোর কথা বলে এদএর চেয়ে বড় মুনাফিক, মিথ্যাবাদী, দালাল ও ভন্ড পৃথিবীতে আর কেউ নেই।

আপনি সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল করেন ১ মুহুর্তে আপনাকে গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু আপনি একটা খুন করেন কোন সমস্যা নেই দিব্যি ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমার পত্রিকা থাকলে, পত্রিকায় ছাপাইতাম, ভন্ডদের ভন্ডামি সবার জানা উচিৎ !!!!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

উপপাদ্য বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই।

ভালো থাকুন। ভন্ডদের এড়িয়ে চলুন....

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলে মুক্তমনা লোকের অভাব। যারা একটা পর্যায়ে চলে আসেন তারা দালাল হয়ে যান ।দালালীর উপার্জন তো অনেক মোটা সেটা পোস্টে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার।
তথ্য গুলো সত্য হলে তো শৈল্পিক দূর্ণীতি দারুন আকর্ষনীয় বলবো।


সত্য বলতে কি সব জায়গা দুর্নীতিমুক্ত করতে না পারলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

উপপাদ্য বলেছেন: এই সব বিষয় গুলোকে আমি বলি ফিটিং দেয়া। এরকম অনেক অনেক ফিটিং এর ঘটনা জানি। মন্ত্রনালয়ের কোন দপ্তরে ফর এক্সাম্পল কিছু কাগজ লাগবে। এখন মন্ত্রী মহোদয় সেই টেন্ডার ডাকার পূর্বেই তার শালা কিংবা দলীয় ক্যাডারকে বলবেন একটা ট্রেড লাইসেন্স বের করে ঠিকাদারীর শুরু করার জন্য। তারপর যখন তার আত্মীয় বা দলীয় ক্যাডার সব ব্যাবস্থা করে ফেলবে তারপর ঐ কাগজের টেন্ডার হবে।

এই সিস্টেমে দূর্নীতি বাংলাদেশে একটু বেশীই হয়। তবে শিল্প সাহিত্য এসব ক্ষেত্রেও যে দূর্নীতি করে কোটি টাকা কামানো যায় তা ধারনার বাইরে ছিলো।

অনেক ধন্যবাদ কবি ভাই।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

মাহাদি হাসান বলেছেন: বাংলাদেশের এলিট শ্রেনীর বাসাবাড়িতে প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার একটি পদ্ধতির কথা শুনেছিলাম অনেক আগে। এখন দেখি সরকারও জনগনের টাকা দিয়ে ছাইপাশ কিনে শৈল্পিক দুর্নীতি করা শুরু করেছে।

উপপাদ্যে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে বলার যে প্রচেষ্টা করেছেন তাকে ধন্যবাদ দিলেও খুব কম হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। +

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫০

উপপাদ্য বলেছেন: অখাদ্য কুখাদ্য এসব কিনে যে কালো টাকা সাদা করা হচ্ছে এ বিষয়ে আসলেই তেমন জানতাম ভাই। কি সুন্দর সিস্টেম। এজন্যইতো বেঙ্গল ও অন্যান্য গ্যালারীর নিজস্ব ক্লায়েন্টদেরসবাই হচ্ছেন ঢাকার উচ্চবিত্ত কোটিপতি ও তাদের স্ত্রীরা

শৈল্পি দূর্নীতি................।

ভালো থাকুন মাহাদী ভাই..

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৭

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:

দারুন পোস্ট।


প্রিয় ব্লগার :)


নতুন টার্মঃ শৈল্পিক দুর্নীতি =p~ =p~ =p~

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

উপপাদ্য বলেছেন: এভাবেই চলছে দেশটা।

আওয়ামীলীগ যেমন শিল্প নিয়ে দূর্নীতি করে আবার শৈল্পিকভাবেও দূর্নিতি করে, দূর্নীতি করে ছন্দে, তালে, লয়ে। নিত্য নতুন পন্থায়।

আর আমরা সাধারন ব্লগাররা এইসব রকমের দূর্নীতইর বিরোদ্ধে।

ধন্যবাদ পোকা ভাই।

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুন বললেন তো।
দূর্ণীতিকে ভালো একটা নাম ও দেয়া হলো :) শৈল্পিক দূর্ণীতি ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০০

উপপাদ্য বলেছেন: শৈল্পিক দূর্নীতির পাশাপাশি দূর্নীতি করাটা উনাদের কাছে একটা শিল্পও বটে। তাই আমরা দেখছি এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে দূর্নীতি নেই। প্রধানমন্ত্রীর রান্নাঘর থেকে শুরু করে পাড়ার দুপয়সার আওয়ামি মাস্তানও দূর্নীতি করে কামিয়ে চলছে।

১০| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কি ভয়ংকর ! দেশের টাকা তো , তাই নয় ছয় করতে কারো গায়ে লাগে না। লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন।

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৭

উপপাদ্য বলেছেন: আপু দারুন একটা কথা বলেছেন। দেশের টাকা!!

উনারা দেশের টাকা কে আসলে নিজের টাকা মনে করে খরচ করেন।

তবে এভাবে চললে গৌরিসেন আত্মহত্যা করবে। আহ দেশের টাকাকে যদি আমানত মনে করতেন আমাদের প্রিয় নেতা নেত্রিরা!!!!!

বহুদিন পরে আপনাকে আমার পোস্টে দেখলাম। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫১

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ছবি গুলো যতটা না আঁকা হয়েছে তার শিল্পভাব প্রকাশের জন্য তার চেয়ে বেশী প্রকাশ পাচ্ছে বানিজ্যিক লোভ লালসা- আপনি যেমন ধরতে পেরেছিলেন ওই ছবিগুলোর মধ্যকার অর্থাণ্বেষী চাটুকারি লালসার আসল ছবিগুলো, তেমনি অনেকে অনেক ক্ষেত্রেই চোখে দেখে , কিংবা দেখে না বলে বলা উচিত চোখে আটকে যায়, কেননা আটকে যাবার মতোই যে ব্যাপার গুলো ...

কিন্তু সবচেয়ে নির্মম বাস্তবতাটাই হচ্ছে, চোখে আটকানোর সাথে সাথে মুখ এবং বিবেকের দরজায় আটকায় না!! যার ফলে, নির্বাক এমন শত সহস্র প্রত্যক্ষদর্শীর চোখের সামনে দিয়েই এসব শৈল্পিক চুরি থেকে পুকুর চুরি করে যাচ্ছেন রথি মহারথি আমলা আর সরকারী বেতন ভুক্ত কিছু দালালেরা, যাদের খেয়ালটুকু জীবদ্দশায় হওয়া সম্ভব নয় যে ওই শৈল্পিক কিংবা পুকুর চুরির টাকা গুলো আসলে দিচ্ছে কারা ...

আর এভাবেই চাটুকারিতায় ধনী থেকে ধনাঢ্য হচ্ছে রিটন গ্রুপের মতো আরো অগণিত গ্রুপ ... যাদের পেটে লাথি মেরে যাদের ঘামের শ্রমের ট্যাক্সের টাকায় এসব মন্ত্রী - আমলাদের বাথরুম বিলাস সমাধা হচ্ছে তাঁদের কেই আবার গালিও দেয়া হচ্ছে অকথ্য ভাষায়...!

এই আমাদের নৈতিকতা আর এই আমাদের ধ্বজভঙ্গ, পকেট সর্বস্ব গরিবমারা অর্থনীতি এবং সরকার ব্যবস্থা ...!

বাস্তব একটা দিক উপস্থাপন করবার জন্য আপনাকে জানাই সাধুবাদ .. পোস্টে প্লাস ...

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫১

উপপাদ্য বলেছেন: আসলে কি জানেন আমাদের বিবেক বিসর্জিত হয়েছে। বিসর্জিত হয়েছে লোভ-লালসার কাছে, ক্ষমতা আর অহংবোধের কাছে। সত্যি কথা বলতে কি তখন মাত্র ইন্টার পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা গেছি কোচিং করার উদ্দেশ্যে, প্রিয় শিল্পী, প্রিয় লেখকদের নিয়ে সময় কাটাই। তখনো মানুষের দ্বিতীয় চেহারার বিষয়ে জানতাম না। জানতাম না পর্দার আড়আলে তাডএর কুকর্ম আর হিংস্র রূপের কথা।

অথচ আজ মনে হচ্ছে নিজেও সম্ভবত উনাদের মতো বিক্রি হয়ে গেছি। আপনি যেমন করে বলেছেন "কিন্তু সবচেয়ে নির্মম বাস্তবতাটাই হচ্ছে, চোখে আটকানোর সাথে সাথে মুখ এবং বিবেকের দরজায় আটকায় না!!

তাই মাঝে মাঝে কবিতার মতো করে মনে হয়, না প্রেমিক না বিপ্লবী।
প্রিয় ব্লগার আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সময় করে অর্থবহ একটি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুধু একটাই বলতে পি দেরীতে এসেও(যদিও শিল্পকর্মের কিছুই বুঝি না) লোভটা এখনও বজায় আছে,সবকিছুতেই।।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

উপপাদ্য বলেছেন: লোভটা এখনো নজায় আছে। অতচ তারা সবসময় বলেন আমাদেরকে নির্বাচিত করুন আমরা আপনাদএর ও দেশের সেবা করবো।

কিন্তু দেশের সেবা করার বদলে দেশের সব সেক্টরে শৈল্পিক উপায়ে দূর্নীতি করেন।

১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুধু শৈল্পিক দূর্নীতি কেন আশা করবো সব কিছুই তুলে ধরার জন্য।।
আমাদের সেই সাহস নেই বলে।।
ধন্যবাদ।।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৭

উপপাদ্য বলেছেন: ইনশআল্লাহ। চেস্টা করবো মাঝে মাঝে লিখতে।

অনেক ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.