নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জোছনায় ভুবনের ছবি

উড়ুউড়ু

আমি কখনই লটারী করি না কিন্তু মনে প্রানে বিশ্বাস করি যে আমার জীবনটাই একটা বড় লটারী।

উড়ুউড়ু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গৌরব, অর্জন এবং একজন তনু

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৩

ফেইসবুক থেকে রিপোস্ট

আসল প্রসঙ্গে যাবার আগে আমার ‪#‎প্রিয়কবিতারা‬ কিছু বলতে চায়। রবি ঠাকুর কণিকায় "ভিক্ষা ও উপার্জন" নামে লিখেছিলেন।
দিতে যদি হয় দে মা প্রসন্ন সহাস
কেন এ মাথার ঘাম পায়েতে বহাস।
বিনা চাষে শস্য দিলে কী তাহাতে ক্ষতি?
শুনিয়া ঈষৎ হাসি কন বসুমতী,
আমার গৌরব তাহে সামান্যই বাড়ে,
তোমার গৌরব তাহে নিতান্তই ছাড়ে।

‪#‎JusticeForTanu‬ হ্যাশট্যাগ ছেয়ে যায় ফেইসবুক কিন্তু তনুরা ফিরে আসে না। নীল হোমপেজ জুড়ে তনুর নির্মল হাসিমাখা ছবি কিন্তু কোন সাংবাদিক চোখে দেখে না। আমি জানি তনুর আর কিছু এসে যায় না। যে অসহ্য যন্ত্রনা, বর্ননাতীত লাঞ্চনা নিয়ে চলে গেল- সে অভিমানের কালো মেঘ সমাজকে ভাবাবে কি? খবরের ভীড় বাড়ে, তনুর খবর সিগন্যালে অসহায় দাড়িয়ে থাকে; নির্দয় লালবাতি সবুজ হয় না। সবাই যখন এই অন্যায়ের বিচার চাইছে তখন আমি আশাবাদী হই, হয়তো প্রধানমন্ত্রীর কানে যাবে। তিনি জ্বালাবেন সবুজ বাতি। তখন গ্রেফতার হবে, বিচার হবে এবং খবরও হবে।

অনলাইনে-খবরের কাগজে প্রায়ই দেখি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন/হস্তক্ষেপ কামনা/বিবেচনার আবেদন ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাগাতার আন্দোলন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন, লাগামহীন প্রশ্ন ফাসের ঘটনা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাকিং কেলেংকারি অথবা স্বাধীনতা পদক। সবগুলোর প্যাটার্ন একি! ড. আতিয়ার রহমান বললেন পদত্যাগ করার জন্য আমি প্রস্তুত কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে হবে! স্বাধীনতা পদক নির্মেলেন্দু গুন পেল না, তাকেও নালিশ করতে হল প্রধানমন্ত্রীর নামে! কি আজব! সমস্যাটি কি আমরা বুঝতে পারছি না? একজন তিনি পুলিশ হবেন, সাহিত্যিক হবেন, ব্যাংকারও হবেন? যার যা করার কথা তারা ঠিকমত কিছুই করছে না। কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না। আন্তর্জাতিক শত চাপ থাকার পরও যুদ্ধাপরাধের বিচারের মত শক্ত কাজটি তিনি শুরু করাতে পেরেছিলেন। পদ্মা সেতুর প্রকল্প বিশ্ব ব্যাংক সরে যাবার পরও আজ সঠিক ভাবে চলছে। এই কাজগুলোর জন্য পুরো বাংলাদেশ তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু সমস্যা হল মারহাবা পার্টিকে নিয়ে।

সেই দিন এক ছবি দেখলাম প্রধানমন্ত্রী আপ্যায়ন করে সবাইকে খাওয়াচ্ছেন। সত্যি কথা এমন সব ছবি দেখলে আমি অস্বস্তিতে পড়ি। তিনি হয়তো বন্ধু-বৎসল সজ্জন বলে এমনটি করেছেন। কিন্তু তার মারহাবা পার্টিরা মুখে ফেনা তুলে ফেলল। আমার সামান্য বিবেচনা বলে যার যেটা কাজ তাকে তা করতে হবে। আমি আতংকিত হই এই ভেবে, এরা নিজেরা যখন কোন কিছু ভুল করবে। সবাই আঙ্গুল দেখাবে প্রধানমন্ত্রীর দিকে। সবকিছুতেই বলবে উনি বলে নাই তাই করি নাই। উনার দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় আছি ইত্যাদি ইত্যাদি। উপরের কবিতার সাথে মিল রেখে বলতে পারি। দেশ শাসন থেকে শুরু করে ঘরের আপ্যায়নে প্রধানমন্ত্রীর গৌরব হয়তো কিছুটা বাড়ে। কিন্তু দেশের সুদুর ভবিষ্যৎ আছড়ে পড়ে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৯

দইজ্জার তুআন বলেছেন: দেশ শাসন থেকে শুরু করে ঘরের আপ্যায়নে প্রধানমন্ত্রীর গৌরব হয়তো কিছুটা বাড়ে। কিন্তু দেশের সুদুর ভবিষ্যৎ আছড়ে পড়ে।
গভীর বচন।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

উড়ুউড়ু বলেছেন: গভীর বটে! তাইতো কেউ দেখতে পায় না।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

দইজ্জার তুআন বলেছেন: লেখক বলেছেন: গভীর বটে! তাইতো কেউ দেখতে পায় না।

হা হা হা হা
ভালো বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.