![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় অপ্রিয়ের ব্যাপারটা আমার কাছে জটিল মনে হয়। সময়ের সাথে সাথে রুচি বদলায়, একসময় যা প্রিয় ছিল পরবর্তিতে তার মুল্য বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। ছোট বেলায় ঠাকুর মার ঝুলির ভক্ত ছিলাম, এমনই পড়তাম বই না ছেড়া পর্যন্ত পড়া শেষ হতো না। খুব আশ্চর্য লাগতো বড়রা কেন এই বই পড়ে না, অবশ্য আমাকেও এর উত্তরের জন্য বেশী অপেক্ষা করতে হয় নি। থ্র ীতে বসে টম সয়্যার পড়ার পর রাজকন্যা আর রাজপুত্রের প্রেমকাহিনী আর ভালো লাগে না, হাতেম তাঈ-এরও দিন ফুরোলো। 80-র দশকের মাঝামাঝি এবং শেষ ভাগে সে সময়ে সেবা প্রকাশনীর খুব উপদ্্রব ছিল শিশুকিশোর দের মধ্যে। বিশেষ করে রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দা সিরিজ। তবে ভক্ত ছিলাম থান্ডার ক্যাটস আর নাইট রাইডারের। বহুদিন পরে থান্ডার ক্যাটসের একটা পর্ব দেখে বুঝলাম আমি অনেক বড় হয়ে গেছি। থান্ডার ক্যাটস এখন আর আমার প্রিয় নেই, ম্যাক গাইভারেরও একই দুর্দশা। সিক্স থেকে এইট পর্যন্ত খুব ভাইবোন ক্লাসমেটদের সাথে প্রতিযোগিতা করে পড়তাম, একমাসে শরৎ সমগ্র শেষ, জলবসন্ত হয়েছিল ঐ বন্ধে গল্পগুচ্ছের দফারফা। ভাবতাম গোরা, শেষ প্রশ্ন, পথের দাবী আমার প্রিয় উপন্যাস, সবসময় ভালো লাগবে। দশ বছর একদিন পড়ার চেষ্টা করে বুঝলাম আমি ঐ দিন গুলো ফেলে এসেছি। একমাত্র কিছু কিছু আপাত অজনপ্রিয় গান এখনও ভালো লাগে, যেমনঃ Rick Astley -র She Wants to Dance with Me। আর সবই মনে হয় পেছনে ফেলে এসেছি। কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বই ভিত্তিক সাহিত্য চর্চা খুব কম হয়েছে, কোন ভাবে আমার মা মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিল ভালো ফলাফল করতে হবে, এই ভালো করতে করতে জীবনের একটা গুরুত্বপুর্ন অংশ কবেই যে পার হয়ে গেল, টের পেয়েছি অনেক পরে। আরেকটা কারণ টিভি, স্যাটেলাইট চ্যানেল, নব্বই দশকে আমার কেবল দুটো সাধনা ছিল, ঘন্টার পর ঘন্টা টিভি দেখা না হলে প্রোগ্রামিং করা। প্রোগ্রামিং কে পুরোপুরি এন্টারটেইনমেন্ট বলা যায় না, এটা আমার ক্লাসের পড়াশোনার অংশ ছিল বলে, তবে কাজ হিসেবে না নিলে ছবি আকা বা কবিতা লেখার মতো সৃষ্টি করার আনন্দ আছে। আর টিভিতে এই সময় অসংখ্য মুভি দেখেছি, এজন্যই হয়তো গল্পের বই পড়া হয় নি। তবে সিনেমাও দেখি যে একবার দেখলে পরে আর ভালো লাগে না, তা সে প্রথমবার যতই ভালো লাগুক না কেন। এজন্য কেউ প্রিয় সিনেমা, প্রিয় নায়ক নায়িকার নাম জানতে চাইলে চট করে কোনটাই মনে আসে না। হয়তো আমার প্রিয় সিনেমা নেই। ওহ আরেকটা টিভি সিরিজ নাম না বললেই না, ওয়ান্ডার ইয়ার্স, তখন খুব ভালো লাগত। প্রিয় না হলেও সমপ্রতি ভালো লেগেছে এমন মুভি আছে, এগুলো যেহেতু গত এক বছরে দেখেছি তাই এখনো নাম মনে আছেঃ
- The Motorcycle Diaries
- City of God
- Something's Gotta Give
দেখি আর মনে পড়লে পরে লিখব, এখন উঠতে হচ্ছে ... একটা ভোজ আছে রাতে ...
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৬ সকাল ৭:০৪
অরূপ বলেছেন: কনস্ট্যান্ট গার্ডেনার ছবিটা বেশ ভালো, কিন্তু কাউকে দেখতে উৎসাহিত করি না, বড় কষ্ট লাগবে দেখলে...
উৎস ভাইঃ কখনও কি বড় হয়ে যাওয়া নিয়ে রিগ্রেট করেন ?
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৬ সকাল ১০:০৪
উৎস বলেছেন: কনস্ট্যান্ট গার্ডেনার দেখি নি এখনও। জুনে আবার 60 টা মুভি নিয়ে বসব তখন আশা করি দেখা হবে।
মটরসাইকেল ডায়েরীস চে গুেয়ভারা কে নিয়ে মুভী, বেশ ভাল।
অরুপঃ বড় হওয়া পুরোপুরিগ্রেট করি না, বড় হওয়ার বেশ কিছু সুবিধা আছে। যেমন বড় হলে বিয়ে করা যায়। তবে বড় হতে হতে বুড়ো হতে চাই না। আসলে যদি 15-30 এর মধ্যে জীবন টা বেধে রাখা যেত।
আরেকটা নাম মিস করেছি - Sideways, হিউমার গুলো চমৎকার মনে হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০০৬ ভোর ৫:০৪
:) বলেছেন: বেশ কয়েকটা রিভিউ পড়া হোলেও মটরসাইকেল ডায়রীস দেখা হয়নি, বাকি দুটো দেখেছি, ভালো ছবি। কয়েক মাস আগে সিটি অফ গোলডের ডিরেক্টরের নতুন একটা মুভি এসেছে দ্যা কনস্ট্যান্ট গার্ডেনার, দেখতে পারেন।