![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি বাংলা কবিতা বুঝতে হলে কত বড় বোধ্যা ও দার্শনিক হতে হবে তা ক্ষুদ্র মাথায় প্রবেশ করেনা। কত যুগ ধরে যে বাংলা কবিতা পাঠের তালিম নিয়ে তার অর্থ বুঝতে হবে তা ভেবে নীজেই শিউরে উঠতে হয় । ভুরী ভুরী উদাহরণ আছে উদাহরণ দিতে গেলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে । হাতের কাছে থাকা সাম্প্রতিক একটি কবিতার কয়েকটি লাইন এখানে তুলে ধরে তার পাঠ উদ্ধার দিয়েই শুরু করা যায় ।
কবিতাটির রচয়িতা কবিকে যথাযথ সন্মান পুর্বক বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে কবিতার অংগ সজ্জায় এটি অপুর্ব হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই । এ জন্য অবশ্যই সাধুবাদ জানাই । তবে অর্থ বুঝতে বেশ কষ্টকর বিবেচনায় ( শুধু আমার বিবেচনায় নয় পাঠকের মন্তব্যেও তাই প্রতীয়মান হওয়ায় ) এ কবিতাটির কয়েকটি চরণ এখানে নিছক উদাহরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ।
কবিতার উদ্ধৃত চরণ কটি নিম্মরূপ :
“তোমার শূন্যতায় তোমায় পাইনি বলে
ইচ্ছেগুলো সব অবিনশ্বর হয়ে গেছে!
যেমন তোমার নশ্বর মন থেকে
উড়ে আসা, অনুভূতির আগুনে
পুড়ে যাওয়া শব্দগুলো একের সাথে
অপরের মিথস্ক্রিয়ায় হয়ে গেল
কবিতার আবরণে এক অমর উপাখ্যান”।
এখন এই অতি সুন্দর কথামালায় সজ্জিত কবিতাটির পাঠ উদ্ধার একটু বিশ্লেষণ করা যাক ।
কবিতার লাইন
তোমার শূন্যতায় তোমায় পাইনি বলে
পাঠকের মন্তব্য
( শুন্যতায় খুজলে পাওয়া যাবেনা বৈজ্ঞানিক ভাবে সত্য এটা বুজতে কোন অসুবিধা হয়নি তবে যত বিপত্তি ঘটল পরের লাইন গুলি বুঝতে গিয়ে )
কবিতার লাইন
ইচ্ছেগুলো সব অবিনশ্বর হয়ে গেছে!
পাঠকের মন্তব্য
( শুন্যে কিছু না পেয়ে অবিনশ্বর হলো কি ভিত্তিমূলে শুন্যে কি আদৌ অবিনশ্বর হওয়া যায় ? না শুধুই একটি অবাস্তব কাব্য কথা )
কবিতার লাইন
যেমন তোমার নশ্বর মন থেকে
পাঠকের মন্তব্য
( শুন্যে যাকে পাওয়া যায়নি তাহলে অস্তিত্বহীন থেকে নশ্বর কিভাবে হলো , কোন তত্ব মূলে এটা সম্ভব তা কোন মতেই মিলাতে পারছিনা , নাকি কবিতা হতে হলে এমনই হতে হবে, এটাই যদি কবিতা হয় তাহলে বলার কিছু নেই , তাই বাংলা কবিতাকে দুর্বোধ্য হতে হতে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে যেখানে গিয়ে অনুভব করব কয়েকটি দুর্বোধ্য অপ্রাসংগিক কথামালায় রচিত চরণ দিয়া লিখা কবিতাই হবে অসাধারণ পদবী তুল্য )
কবিতার লাইন
উড়ে আসা, অনুভূতির আগুনে
পুড়ে যাওয়া শব্দগুলো একের সাথে
অপরের মিথস্ক্রিয়ায় হয়ে গেল
কবিতার আবরণে এক অমর উপাখ্যান।
পাঠকের মন্তব্য
( অস্তিত্বহীন অবিনশ্বর দেহে একটি মন কিভাবে পয়দা হলো, আর সেখানে আগুনে পুড়ার মত অনুভুতিই বা কিভাবে পয়দা হল ? আর যদি হয়েও থাকে তবে তা আগুনে পুরে ছাই হলো অর্থাৎ একইরূপ ছাই দিয়ে মাত্র একটি অথবা একই রূপ/ অর্থবোধক শব্দ সম্ভার হলেও হতে পারে । সমধর্মী একই ছাই এর সাথে অপরের কি মিথস্ক্রিয়া হতে পারে সেটা খুবই আশ্চর্যের বিষয়ই বটে , মিথক্রিয়া হতে হলে বিপরিত ধর্মী দুই বা ততোধিক বস্তু লাগে বলেই জানি !
এতগুলি আশ্চর্যের বিষয় ও একেবারে অবাস্তব বৈপরিত্ব নিয়ে একটি অমর কবিতার উপাক্ষান সৃস্টি হল !!
কবিতাটি পাঠে দারুন উপলব্ধি হল যে কোন কবিতার জম্ম বৃত্যান্ত নিয়ে। ধারনা হলো বিভিন্ন শব্দ ভান্ডার হতে টুকরো টুকরো শব্দ নিয়ে অতি সযত্নে একটি একটি করে চরণে বসিয় অথবা দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত হতে বোদ্ধ দুর্বোদ্ধ শব্দ চয়ন করে অন্তমিল গোজা মিল যত আছে সব দিয়ে কবিতার আকৃতি দেয়া যায় । তারপর আকৃতি গঠন করে যখন বুঝা যাবে এটা হয়েছে জটিল তখন বুঝতে হবে কবিতাটি হয়েছে একটি উচ্চ মার্গের কবিতা । এই কবিতা পাঠ করে কেও বলবে বা : বা: ভারী চমৎকার হয়েছে আবার কেও বলবে বুঝিনি কিছুই । জবাবে লিখক বলবেন কোথায় আপনি বুঝলেন না , সবকিছু জলের মত পরিস্কার অতি বাস্তব , আপনার বুঝারই ক্ষমতা নাই । অতি হক কথা ।মেনে নেয়া ছাড়া উপাই নাই । কারণ কবিতা পাঠের যোগ্যতাই যে নেই । তবে পাঠক হিসাবে যে কোন বিষয়তো সে পাঠ করতেই পারে ।
যাহোক, বোধ্য দুর্বোধ্য, জটিল সরল , ছন্দময় , মিত্রাক্ষর অমৃত্রাক্ষর আকৃতি নিয়ে বাংলা কবিতা এগিয়ে যাক এ কামনা করি । তবে কবি কুলে অনুরোধ সাধারণ পাঠক হিসাবে যেন আমরা একটু অতি সহজে এর অর্থ বুঝতে পারি সে দিকে একটু দৃষ্টি দিলে কৃতার্থ হই । যত বিমুর্তই হোক না কেন প্রথম লাইনটি থেকে দ্বিতীয় লাইনে গমনের যেন একটি যৌক্তিক সুত্র থাকে । কারণ কবি যতখানি সময় ও মনযোগ নিয়ে কবিতাটি লিখেন পাঠকের কাছে ততটুকু সময় নাও থাকতে পারে । অল্প সময়ের মধ্যেই সে তার মর্ম বুঝে কবিতার স্বাদ অনুভব করতে চায় । কবি তার মনের ভাব মিশিয়ে যেভাবে খুশী সে ভাবেই লিখতে পারেন এটা তার স্বাধিনতা । কবির লিখাকে যেমন বিনা বাক্যব্যয়ে কোন রকম বিরুপ মন্তব্য না করে পাঠককে নীজের মনের মাধুরী মিশিয়ে বুঝে নিতে হবে সে বাস্তব কিংবা অবাস্তব যাই হোক না কেন । ঠিক তেমনি ভাবে কবিতা সম্পর্কে পাঠকের চিন্তা চেতনা অনুভুতি ভাবপ্রকাশ সে মুর্ত অমুর্ত, বাস্তব অবাস্তব , যাই হোক না কেন কবিকেও তা সানন্দ চিত্তেই তা মেনে নিতে হবে । কবির লিখার মুর্ত বিমুর্ত লিখা পাঠককে যেমন গিলতে হয় তেমনি পাঠকের মুর্ত অমুর্ত বাস্তব আবাস্তব লিখাকেও অকুন্ঠচিত্তে কবিকে গলাধবরণ করাটাই হবে শুভনীয়। কিন্ত বাস্তবে কি তা হয় , কবি কি তা মেনে নেন । তিনি তো উঠে পরে লেগে যান পাঠককে খন্ডাতে এমন কি ক্ষেত্র বিশেষে কঠিন সুরে। নিজের বেলায় যা খাটেনা তা পাঠকের বেলায় খাটানোর একটি প্রবনতা দেখা যায় । পাঠকতো কবিতা পাঠের সাথে সাথে কবিতার সমালোচনা করতেও এখন পিছপা হবে ।
এখানে উল্লৈখ্য করা যায় যে, বিশ্ব কবি বরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লী কবি জসিম উদ্দীন, আধুনিক বাংলা কবিতার পুরোধা জীবনানন্দ দাসের কবিতা বুঝতে কোন বেগ পেতে হয়না , সাধারণ পাঠক হিসাবেই তার পাঠ উদ্ধার করা যায় । কবিতাটি বুঝতে হলে কোন উচ্চ মার্গের দার্শনিক হতে হয়না । তাদের কবিতার মধ্যে মুর্ত অমুর্ত আনেক কথাই আছে তবে তা এতই প্রাসংগিক এবং সহজ শব্দ প্রয়োগে লিখা যে তা বিমুর্ত হলেও মহুর্তেই মুর্ত হয়ে আসে কবিতায় । তাদের কবিতায় সহজেই একাত্ব হয়ে যাওয়া যায় ।
আর একটি কথা কবিতা পাঠান্তে অনেক বিজ্ঞ পাঠক মুল্যবান মন্তব্য রেখে যান কবিতাটি অসাধারণ হয়েছে । ।একটি অতি দুর্বোধ্য কবিতা শুধুমাত্র অপ্রাসংগীক কিছু কথামালার সমাহারে দেখতে কবিতার আকৃতি বিশিষ্ট হওয়ার পরেও কি ভাবে অসামান্য অসাধারণ কবিতার তকমা পায় তাও বোধগম্য হয়না তবে একটি কথাই মনে হয় রতনে রতন চিনে অন্যে চিনে ..,,, । কবিতা পাঠ সকলের জন্য নয় । এটা সার্বজনীন নয়!! এটা শুধু মাত্র বোধ্যা গুটি কতক আধুনিক বাংলা কবিতা পাঠকের জন্যই বটে !!!!
১৮ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:০২
ভাবনা ২ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । লিখাটি পাঠের জন্য । কিছু কিছু কবিতা এবং সে সকলে দেখা কিছু মন্তব্যের প্রেক্ষাপটেই এ টি লিখা । ভয় হয় এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তবে কিছু কবি কিছু পাঠকের ধাক্কায় বাংলা কবিতা তার কাব্যিক সৌন্দর্য হারিয়েও দুর্বোদ্ধ ও ভপ্রাসংগীক কথামালা সমাহারে গাদ্যিক হয়ে উঠবে । কেও বলবে চমৎকার আর কেও বলবে পলাৎকার ( কবিতা থেকে পলায়ন কর )।
১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:২৬
ভাবনা ২ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ যথাযথ অনুধাবনের জন্য।
২| ১৮ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:৩০
রাজজাকুর বলেছেন: মাঝেমধ্যে একটু সন্দেহ হয়, সাহিত্য পত্রিকার জঘন্য সম্পাদক মহোদয় কী কবিতা বুঝে?
১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:২৪
ভাবনা ২ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । যতার্থ মুল্যায়নের জন্য।
১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:২৭
ভাবনা ২ বলেছেন: ধন্যবাদ যতার্থই বলেছেন ।
৩| ১৮ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬
সৈয়দ আবুল ফারাহ্ বলেছেন: বিশ্লেষণ ভাল হয়েছে। যারা বিশ্লেষণটি পড়বেন, তারা নিজেদের ভুল (যদি কখনো কোন ভুল করে থাকেন)একটু হলেও ধরতে পারবেন। ধন্যবাদ
১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:২৯
ভাবনা ২ বলেছেন: যত কথাই বলেন কিছু লোক সবসময়ই বলবে সে ঠিক আছে । অনেক ধন্যবাদ যথাযথ অনুধাবনের জন্য ।
৪| ১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫
জেন রসি বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার কবিতা নিয়ে এমন একটি পোস্ট দেওয়ার জন্য। সবচেয়ে ভালো লেগেছে আপনি যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। সেসব পয়েন্টের জবাব আমি দিচ্ছি।
কবিতার লাইন
তোমার শূন্যতায় তোমায় পাইনি বলে
পাঠকের মন্তব্য
( শুন্যতায় খুজলে পাওয়া যাবেনা বৈজ্ঞানিক ভাবে সত্য এটা বুজতে কোন অসুবিধা হয়নি তবে যত বিপত্তি ঘটল পরের লাইন গুলি বুঝতে গিয়ে )
কবিতার লাইন
ইচ্ছেগুলো সব অবিনশ্বর হয়ে গেছে!
পাঠকের মন্তব্য
( শুন্যে কিছু না পেয়ে অবিনশ্বর হলো কি ভিত্তিমূলে শুন্যে কি আদৌ অবিনশ্বর হওয়া যায় ? না শুধুই একটি অবাস্তব কাব্য কথা
আপনি বিজ্ঞানকে কবিতা বোঝার মানদণ্ড হিসাবে ব্যবহার করেছেন। তাই কিছু ব্যাপার আপনার কাছে বিমূর্ত মনে হচ্ছে। কিন্তু কবিতায় বিমূর্ত কিছু ব্যাপার থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কবিতা এবং থিসিস পেপারের মধ্যে কিছু বেসিক পার্থক্য আছে। তারপরও আপনি যেহেতু শুধুই বিজ্ঞান নিয়ে এসেছেন তা দিয়েই জবাব দিচ্ছি। ধরুন শুন্য থেকে বিগব্যাং হলো। এখন কোন এক বিজ্ঞানি সেই শূন্যতায় খুঁজেও কিছু পায়নি। সে নশ্বর। কিন্তু তার খুঁজে পাওয়ার ইচ্ছেটা অবিনশ্বর বলেই তার মৃত্যুর পরও সেই ইচ্ছেটা রয়ে যাবে!
জীবনানন্দ দাসের কবিতার একটি বিখ্যাত লাইন আছে। হাজার বছর ধরে আমি হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে। এখন আপনি কি বলবেন হাজার বছর ধরে কবি কিভাবে হাঁটলেন? কবিতায় মেটাফোর, সিমিলি এসবের কিছু ব্যাপার থাকে। সেসব বিবেচনা না করলে অনেক কিছুই খাপছাড়া মনে হতে পারে।
কবিতার লাইন
যেমন তোমার নশ্বর মন থেকে
পাঠকের মন্তব্য
( শুন্যে যাকে পাওয়া যায়নি তাহলে অস্তিত্ব হীন থেকে নশ্বর কিভাবে হলো , কোন তত্ব মূলে এটা সম্ভব তা কোন মতেই মিলাতে পারছিনা , নাকি কবিতা হতে হলে এমনই হতে হবে, এটাই যদি কবিতা হয় তাহলে বলার কিছু নেই , তাই বাংলা কবিতাকে দুর্বোদ্ধ হতে হতে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে যেখানে গিয়ে অনুভব করব কয়েকটি দুর্বোদ্ধ অপ্রাসংগিক কথামালায় রচিত চরণ দিয়া লিখা কবিতাই হবে অসাধারণ পদবী তুল্য )
আপনি আকাশে উড়ছেন এমন চিন্তা করার ক্ষমতা আপনার আছে। ট্রয়ের ময়দানে যুদ্ধ করছেন এমন কল্পনাও করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে করতে পারবেন না। তাই বলে কি বলবেন যে আপনার সেসব কল্পনার কোন অস্তিত্বই নেই। আর সে কল্পনাটা বা ইচ্ছাটাকে যখন মূর্তরুপে প্রকাশ করতে চাবেন তখন কি হবে? যেমন ধরেন কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন ভগবান বুকে এঁকে দেব পদচিন্হ! এখন আপনি কি বলবেন কবি কিভাবে মূর্ত হয়ে বিমূর্ত কিছুর বুকে এমন কিছু করবে? বিমূর্ত কল্পনার সাথে মূর্ত জীবনের লিংক করাটাও কবিতার বৈশিষ্ট্য।
কবিতার লাইন
উড়ে আসা, অনুভূতির আগুনে
পুড়ে যাওয়া শব্দগুলো একের সাথে
অপরের মিথস্ক্রিয়ায় হয়ে গেল
কবিতার আবরণে এক অমর উপাখ্যান।
পাঠকের মন্তব্য
( অস্তিত্বহীন অবিনশ্বর দেহে একটি মন কিভাবে পয়দা হলো, আর সেখানে আগুনে পুড়ার মত অনুভুতিই বা কিভাবে পয়দা হল ? আর যদি হয়েও থাকে তবে তা আগুনে পুরে ছাই হলো অর্থাৎ একইরূপ ছাই দিয়ে মাত্র একটি অথবা একই রূপ/ অর্থবোধক শব্দ সম্ভার হলেও হতে পারে । সমধর্মী একই ছাই এর সাথে অপরের কি মিথস্ক্রিয়া হতে পারে সেটা খুবই আশ্চর্যের বিষয়ই বটে , মিথক্রিয়া হতে হলে বিপরিত ধর্মী দুই বা ততোধিক বস্তু লাগে বলেই জানি !
এতগুলি আশ্চর্যের বিষয় ও একেবারে অবাস্তব বৈপরিত্ব নিয়ে একটি অমর কবিতার উপাক্ষান সৃস্টি হল !!
অবিনশ্বর অস্তিত্বহীন দেহ এসব কোথায় পেলেন? এখানে স্পষ্ট করে বলা আছে দেহ মন নশ্বর কিন্তু ইচ্ছেগুলো অবিনশ্বর। অবিনশ্বর ইচ্ছে খুব কমন ইউনিভারসাল টার্ম। যার ব্যাখ্যা আমি প্রথমেই দিয়েছি। কবিতায় যখন শব্দ লেখা হয় তখন সে শব্দগুলো আসে অনুভূতি থেকে। অনুভুতির বিপরীতধর্মী সংঘাত থেকেই সিনথিসিস হয়ে কোন শব্দ ভাব প্রকাশ করতে পারে। মিথস্ক্রিয়া শব্দের অর্থ যেহেতু বুঝেছেন, তাহলে অনুভূতির বৈপরীত্য বোঝাটাও কঠিন কিছুনা।
আরো অনেক কিছুই বলা যেত কবিতা নিয়ে।কিন্তু আমি আপনার দেওয়া লজিক দিয়েই আপনাকে রিপ্লাই দিলাম।
শুভকামনা রইলো।
১৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৫৮
ভাবনা ২ বলেছেন: মন্তব্য গৃহীত । ধন্যবাদ । শুভকামনা রইল ।
৫| ১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
জেন রসি বলেছেন: যাহোক, বোদ্ধ দুর্বোদ্ধ, জটিল সরল , ছন্দময় , মিত্রাক্ষর অমৃত্রাক্ষর আকৃতি নিয়ে বাংলা কবিতা এগিয়ে যাক এ কামনা করি । তবে কবি কুলে অনুরোধ সাধারণ পাঠক হিসাবে যেন আমরা একটু অতি সহজে এর অর্থ বুঝতে পারি সে দিকে একটু দৃস্টি দিলে কৃতার্থ হই । উল্লৈখ্য যে, বিশ্ব কবি বরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লী কবি জসিম উদ্দীন, আধুনিক বাংলা কবিতার পুরোধা জীবনানন্দ দাসের কবিতা বুঝতে কোন বেগ পেতে হয়না , সাধারণ পাঠক হিসাবেই তার পাঠ উদ্ধার করা যায় । কবিতাটি বুঝতে হলে কোন উচ্চ মার্গের দার্শনিক হতে হয়না । আর একটি কথা কবিতা পাঠান্তে অনেক বিজ্ঞ পাঠক মুল্যবান মন্তব্য রেখে যান কবিতাটি অসাধারণ হয়েছে । ।একটি অতি দুর্বোদ্ধ কবিতা শুধুমাত্র অপ্রাসংগীক কিছু কথামালার সমাহারে দেখতে কবিতার আকৃতি বিশিষ্ট হওয়ার পরেও কি ভাবে অসামান্য অসাধারণ কবিতার তকমা পায় তাও বোধগম্য হয়না তবে একটি কথাই মনে হয় রতনে রতন চিনে অন্যে চিনে কচু । কবিতা পাঠ সকলের জন্য নয় । এটা সার্বজনীন নয় । এটা শুধু মাত্র বোদ্ধা গুটি কতক আধুনিক বাংলা কবিতা পাঠকের জন্যই বটে !!!!
আপনি কবিতা বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে যে ধরনের মানদণ্ড ব্যবহার করেছেন তাতে বিশ্ব কবি বরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লী কবি জসিম উদ্দীন, আধুনিক বাংলা কবিতার পুরোধা জীবনানন্দ দাসের অনেক কবিতাও অবাস্তব এবং অযৌক্তিক মনে হবে! আপনি চাইলে আমি ব্যাখ্যা সহ উদাহরনও দিতে পারব। আপনি তাদের উদাহরন টানলেন বলেই বললাম। কারন আপনার ব্যাখ্যার সাথে তাদের কবিতাও কন্ট্রাস্ট করে।
পিউর সাইন্স, সোশ্যাল সাইন্স এবং সাহিত্যের মধ্যে কিছু বেসিক পার্থক্য আছে। সেটা বুঝেই যাচাই বাছাই করতে হয়। তা না হলে অযৌক্তিক সংঘাত অনিবার্য।
১৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৫৩
ভাবনা ২ বলেছেন: মন্তব্য সাদরে গৃহীত । ধন্যবাদ
৬| ১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কবিতা এভাবে বুঝা/ব্যাখ্যা করা যায় না।
১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৪৫
ভাবনা ২ বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন । কবি যেভাবে বুঝাতে চায় সেভাবেই বুঝার জন্য কবিতা পাঠের সাথে ষাথে কবিতার কথার থেকেও বেশী করে কবির মনোজগতে প্রবেশ করে কবির মনের কথা বুঝতে পারলে কবিতাটা বুঝা অনেক সহজ হবে । ধন্যবাদ অতি সুন্দরভাবে দুটি মাত্র কথা দিয়ে কি সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন । খুব সহজে বুঝে গেছি । কিন্তু দুর্ভাগ্য অনেক লম্বা কবিতা পড়েও কিছু বুঝতে পারিনা, কবির কবিতা বুঝতে না পারা কবির অক্ষমতা নয় এ যে পাঠকের কম জানার বা বুঝার অক্ষমতা ।
অনেক ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।
৭| ১৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভাবনা ২ ,
আপনি যে ভাবে উল্লিখিত কবিতাটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং অবোধ্য ভাবছেন তার জবাব কবিতাটির কবি নিজেই দিয়েছেন সঠিক ভাবে ।
আসলে কবিতায় যে মেটাফোর, সিমিলি এসবের কিছু ব্যাপার থাকে তা বুঝতে হবে । তবে হ্যা; এই মেটাফোর, সিমিলি ইত্যাদি যেন জটিল আর দূর্বোধ্য না হয়; সেটা হলেই ভালো । শব্দের ব্যবহার হওয়া উচিৎ সহজ , সরলীয়া কিন্তু শ্রীমন্ডিত । যেটা আমরা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জসিম উদ্দীন, জীবনানন্দ ( যাদের কথা বলেছেন ) এই সব কবিদের লেখায় দেখি ।
তবে পাশাপাশি এটাও বলি , আমরা অনেকেই কিন্তু জটিল শব্দ দিয়ে অসম্পূর্ণ ভাব-বাক্যে কবিতা লিখি । একটি লাইনের সাথে পরবর্তী লাইনের বক্তব্যের মিল থাকেনা । খন্ডিত খন্ডিত ভাব , অসমাপ্ত বাক্যাংশ আসলেই জটিলতা আর দূর্বোধ্যতার জন্ম দেয় । বাক্যাংশ অসমাপ্ত হতে পারে কিন্তু ভাবটুকু তাতে সম্পূর্ণ থাকতে হবে ।
আমরা এখানে এই রকম কবিতা দেখে হয়তো ধরেই নিয়েছি কবিতা মানেই দূর্বোধ্যতা । আমরা এখানে কেউই প্রতিষ্ঠিত কবি বা লেখক নই । তাই এগুলো দেখে এরকমটা আমাদের মনে হতেই পারে , এটা কি কোনও কবিতা হলো !!!!!!!!!!!!
আমার তো মনে হয়, এখানে লিখে লিখে আমরা শিখছি ; কি করে লিখতে হয় । ব্লগ আসলেই একটা শ্রেনীকক্ষ । এখানে শেখার আছে অনেক কিছু । অনেক নতুন নতুন ব্লগারদের দেখি , সকাল বিকেল কবিতা লিখেই যাচ্ছেন । তাদের কে বলি , লেখা কোনও কঠিন কাজ নয় । আপনি যা ইচ্ছে তা-ই লিখতে পারেন । কিন্তু আপনি লিখে কি বোঝাতে চাচ্ছেন সেটাই আসল । এই বোঝাতে পারাটাই আপনার কৃতিত্ব । লিখতে পারাটা নয় । আবার আমরা অনেকেই ঐসব কবিতায় , লেখায় মন্তব্য করে আসি --- " অসাধারন ...." । এই অহেতুক ও মনরাখা প্রশংসায় যিনি লিখছেন তিনি ভেবেই বসেন , কেল্লা ফতে .... বিরাট কিছু হয়ে গেছি । আসলে এটা তার নিজেকে নিজে চোখ ঠারা । আমরা কিন্তু অজান্তেই, এভাবে এই সব নবীন লেখকদের পথচলা থামিয়ে দিচ্ছি । তারা আর এগুতে পারছেন না এবং চাচ্ছেন ও না। একই বৃত্তে ঘুরপাক খেয়ে যাচ্ছেন।
এই অবস্থা থেকে যদি আমরা বেড়িয়ে আসতে পারি তবে হয়তো অনেক শক্তিমান কবি-লেখক আমরা ব্লগ থেকেই উপহার পেতে পারি ।
এতো কথা লেখায় হয়তো অনেকের কাছে আমি বিরাগভাজন হয়ে উঠবো , ক্ষতি নেই ! তবে তাদেরকে বলি, ভেবে দেখুন - নিজেকে নিজে প্রশ্ন করুন , আসলেই আমরা ব্লগাররা কি চাই !
শুভেচ্ছান্তে ।
১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৪৯
ভাবনা ২ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন । এই অনুভব যদি সকলের মাঝে আসে তাহলে কতই না ভাল হয় ।
৮| ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৫০
সৈয়দ আবুল ফারাহ্ বলেছেন: প্রাসঙ্গিক। তারপরও বলা যায় কল্পনা যদি সাধারণ কল্পনা শক্তির বাইরে চলে যায় তা হলে বার বার প্রশ্ন হবে। পাঠক শুধু শুধু প্রশ্ন করতে থাকবে।
৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:০০
ভাবনা ২ বলেছেন: ধন্যবাদ । আমি তাই বলতে চেয়েছিলাম । কবি যদি কবিতা লিখে তা পাঠের জন্য সাধারণে ছুরে দেয় তাহলে তা যেন সকল পাঠকই সহজে বুঝতে পারে সে দিকটা একটু খেয়াল রাখতে বলেছিলাম মাত্র । তিনি তো সেটা মানতে নারাজ । তিনি বলেছেন আমরাই বুঝতে পারি নাই । কত টেকনিকেলী বুঝিয়ে দিলেন আমাদের সাধারণ পাঠকের বিদ্যা ও কবিতা বুঝার দৌড় কত কম । বেশী পন্ডিতি কথার কবিতার আয়ু যে একেবারই কম তা তাদের বুঝে আসেনা ।
রবি ঠাকুরের জল পরে পাতা নরে আর লালনের দয়াল পার কর আমারে বেচে আছে শত বছর ধরে ।
কবির সাথে কি কথায় পেরে উঠা যায় তাই নি:শর্ত আত্ম সমর্পন করেছি তার পায় । কবি বেচে থাক শত বছর আধুনিক বাংলা কবিতাকে দুর্বোধ্য করতে করতে নিয়ে যাক হিমালয়ের উচ্চ পাহাড়ে। সেখানে বসে বোদ্ধা গনে পাঠ করুক খুশী মনে । শুনেছি কোন এক মুঘল যুবরাজ লিখত কবিতা শুধু রাজকন্যাকে শুনাবার তরে, সে সব কবিতা নাকি ছিল খুব উচ্চমার্গের কিন্ত এখন তার হদিস মিলেনা কোথাও কিন্তু সেসময় কালিদাস কবির লিখা মেঘদুতের কথা লোকের মুখে মুখে ঘুরে ।
উত্তর দানে বিলম্বের জন্য দ:খিত ।
অনেক ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
৯| ১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৫৬
শায়মা বলেছেন: শুনেছি কোন এক মুঘল যুবরাজ লিখত কবিতা শুধু রাজকন্যাকে শুনাবার তরে, সে সব কবিতা নাকি ছিল খুব উচ্চমার্গের কিন্ত এখন তার হদিস মিলেনা কোথাও কিন্তু সেসময় কালিদাস কবির লিখা মেঘদুতের কথা লোকের মুখে মুখে ঘুরে ।
আহা আমার জন্যও যদি কেউ একখানা মেঘদূত লিখতো!
কেমন আছো ভাইয়া?
১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৭
ভাবনা ২ বলেছেন: পাইতাম যদি কালিদাসেরে বলতাম তাহারে মেঘদুত একখান লিখতো শায়মা আপুর জন্য ।
যে ধাক্কাটা সেদিন নীজের বাড়ীতে দিছিলেন খুব ডরাইছিলামরে আপু কলজা আমার ধিক
পিক করতেছিল ।
এখন ভাল আছি । আপনি ভাল তো ?
১০| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৪
শায়মা বলেছেন:
আমি কি করছি!!!!!!!!
আমি তো ভালোমানুষ!
১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৩০
ভাবনা ২ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । আপু সত্যিই খুব ভাল মানুষ । সেদিনের মধুর ধাক্কাগুলো অনেক দিক শিক্ষা দিয়েছে । কোনটা মঝা কোনটা রসিকতা , কোনটা আনন্দকর কোনটা বিরক্তিকর , কোনটা সরল কোনটা কটাক্ষ ইত্যাদি অনেক বিষয় । তবে নিম্মের মধুর ধাক্কাটি আমার খুব বেশী উপকারে এসেছে ।
('' আধুনিক বাংলা কবিতা ক্রমেই দুর্বোদ্ধ হতেছে " শিরনামে । সম্ভব হলে দেখার জন্য অনোরোধ করছি । ) শিরোনামের লেখাটি এখনও পড়িনি তবে কিছু পরেই তা পড়তে যাবো তবে ভাইয়া বোল্ড করা শব্দগুলোর বানান ঠিক করে দিও। লেখার ভিতরে বানান যাই হোক শিরোনামে এত ভুল খুব দৃষ্টিকটু ও বিরক্তিকর।
তবে শিরোনামটি শিরনাম লিখলে কেন ভুল হবে তার সঠিক ব্যাখা বিশ্লেষণ পেলে অনেক উপকার হত ।
সংসদ বাংলা ও ইংরেজী দুটো ডিকশনারীতে্ই বানানটা লিখা আছে শিরনাম হিসাবে শিরোনামে নয় । গুগলে নিম্মের লিংকে গিয়েও দেখতে পারেন Title এর বাংলা শিরনাম লিখেছে ।
https://translate.google.co.uk/#en/bn/Title
সামু শিরনামকে শিরোনাম লিখলে যদি তা শুদ্ধ হয়ে যায় তাহলে তো কোন কথা নেই । সামু থেকে এবং সামুর বিজ্ঞজনদের কাছ হতেই বানান শিখলে বেশী উপকার হয় তাহলে আর শুনতে হবেনা 'শিরোনামে এত ভুল খুব দৃষ্টিকটু ও বিরক্তিকর'।
যাহোক, ভাল থাকুন শুভেচ্ছা রইল ।
১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০২
অন্য পুরুষ বলেছেন: কবিতা পাঠকের জন্য লেখা না নিজের সাময়িক আবেগ-সেটা বিবেচ্য। নিজের ভাবনা নিজের মত লেখা- পাঠক খাবে কি খাবে না সেটা পরের বিষয়। বিজ্ঞান আর কবিতা এক না। উপন্যাসে সমাজ জীবন, কবিতায় নিজের আবেগ লেখা হয়। ঔপোন্যাসিকগণের সমাজ ও জীবন সুচারু দৃষ্টিতে অবলোকন করতে হয়, কবিকে না- যদি না সে জীবনমুখী কবি না হন। উদ্ধৃত কবি যে সময়ে কবিতাটি লিখেছেন, পরবর্তিতে অনেক সময় পর, ঐ আবেগের কারণ না-ই জানতে পারেন। That's his personal thinking, he just sharing. We don't need to know the inner thinking of him. If you like then ok, if not then just avoid that.
মাইকেল থেকে শুরু করে জীবনানন্দ দাশরা তাঁদের জীবদ্দশায় বিশেষ সমাদর পান নি। তাঁদের মৃত্যুর পর হঠাৎ কি হলো তা বোধের বাহির।
হেলাল হাফিজের একটি কবিতা, "নিউট্রন বোমা বোঝ, মানুষ বোঝ না?"
কি বলবেন?
১২| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৩৯
ছদ্মবেশী ভূত বলেছেন: কাগজে একটি চিঠি লিখে কাগজটি লম্বালম্বিভাবে ছিড়লে নাকি দুটি অংশই এক একটি আধুনিক কবিতা হয়ে যায়। আমার এক শিক্ষক আধুনিক বাংলা কবিতা নিয়ে এটা বলেছিলেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:৩৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি ছোটবেলা থেকে ছড়া, কবিতা লিখি। ছড়া কবিতা লেখার মূল আকর্ষণ হলো ছন্দ ঠিক রাখা। আমার লেখালেখির আগ্রহ দেখে পাশের বাসার এক আপুও একটা কবিতা লিখলো(ছন্দ ছাড়া, মানে গদ্য কবিতা বা আধুনিক কবিতা) আর পত্রিকায় পাঠালো। আমাকে অবাক করে দিয়ে ঐ কবিতা ছাপা হলো। কোন অন্ত্যমিল বা ছন্দ ছিল না। শুধু মিষ্টি মিষ্টি শব্দের সমাহার! এখনকার কবিতাগুলোতে ছন্দের কোন মিল থাকে না। আপনার বিশ্লেষণ সুন্দর হয়েছে।