![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে
আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে।
এ জীবন পুণ্য কর দহন-দানে॥
আমার এই দেহখানি তুলে ধরো,
তোমার ওই দেবালয়ের প্রদীপ করো--
নিশিদিন আলোক-শিখা জ্বলুক গানে॥
আঁধারের গায়ে গায়ে পরশ তব
সারা রাত ফোটাক তারা নব নব।
নয়নের দৃষ্টি হতে ঘুচবে কালো,
যেখানে পড়বে সেথায় দেখবে আলো--
ব্যথা মোর উঠবে জ্বলে ঊর্ধ্ব-পানে॥
আমার পরান যাহা চায়
আমার পরান যাহা চায়,
তুমি তাই তুমি তাই গো ।
তোমা ছাড়া আর এ জগতে
মোর কেহ নাই, কিছু নাই গো ।।
তুমি সুখ যদি নাহি পাও,
যাও, সুখের সন্ধানে যাও,
আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়মাঝে-
আর কিছু নাহি চাই গো ।।
আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন,
তোমাতে করিব বাস-
দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী,
দীর্ঘ বরষ মাস ।
যদি আর-কারে ভালোবাস,
যদি আর ফিরে নাহি আস,
তবে তুমি যাহা চাও তাই যেন পাও-
আমি যত দুখ পাই গো ।।
আজ জ্যোত্স্নারাতে সবাই গেছে বনে
আজ জ্যোত্স্নারাতে সবাই গেছে বনে
বসন্তের এই মাতাল সমীঁরণে ।।
যাব না গো যাব না যে, রইনু পড়ে ঘরের মাঝে-
এই নিরালায় রব আপন কোণে
যাব না এই মাতাল সমীরণে ।।
আমার এ ঘর বহু যতন ক'রে
ধুতে হবে মুছতে হবে মোরে ।
আমারে যে জাগতে হবে, কী জানি সে আসবে কবে
যদি আমায় পড়ে তাহার মনে
বসন্তের এই মাতাল সমীরণে ।।
আজি ঝর ঝর মুখর বাদরদিনে
আজি ঝর ঝর মুখর বাদরদিনে
জানি নে, জানি নে কিছুতেই কেন মন লাগে না ।।
এই চঞ্চল সজল পবন-বেগে উদ্ভ্রান্ত মেঘে মন চায়
মন চায় ঐ বলাকার পথখানি নিতে চিনে ।।
মেঘমল্লারে সারা দিনমান
বাজে ঝরনার গান ।
মন হারাবার আজি বেলা, পথ ভুলিবার খেলা- মন চায়
মন চায় হৃদয় জড়াতে কার চিরঋণে ।।
আহা আজি এ বসন্তে
আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে,
এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায় ।।
সখীর হৃদয় কুসুমকোমল -
কার অনাদরে আজি ঝরে যায় !
কেন কাছে আস', কেন মিছে হাস',
কাছে যে আসিত সে তো আসিতে না চায় ।।
সুখে আছে যারা সুখে থাক্ তারা,
সুখের বসন্ত সুখে হোক সারা -
দুখিনী নারীর নয়নের নীর
সুখীজনে যেন দেখিতে না পায় ।
তারা দেখেও দেখে না,
তারা বুঝেও বুঝে না,
তারা ফিরেও না চায় ।।
আমার প্রাণের ‘পরে চলে গেল কে
আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে
বসন্তের বাতাসটুকুর মতো।
সে যে ছুঁয়ে গেল,নুয়ে গেল রে--
ফুল ফুটিয়ে গেল শত শত।
সে চলে গেল,বলে গেল না—
সে কোথায় গেল ফিরে এল না।
সে যেতে যেতে চেয়ে গেল
কী যেন গেয়ে গেল--
তাই আপন-মনে বসে আছি কুসুমবনেতে।
সে ঢেউয়ের মতন ভেসে গেছে,
চাঁদের আলোর দেশে গেছে,
যেখান দিয়ে হেসে গেছে,
হাসি তার রেখে গেছে রে--
মনে হল আঁখির কোণে
আমায় যেন ডেকে গেছে সে।
আমি কোথায় যাব, কোথায় যাব,
ভাবতেছি তাই একলা বসে।
সে চাঁদের চোখে বুলিয়ে গেল ঘুমের ঘোর।
সে প্রাণের কোথায় দুলিয়ে গেল ফুলের ডোর।
কুসুমবনের উপর দিয়ে কী কথা সে বলে গেল,
ফুলের গন্ধ পাগল হয়ে সঙ্গে তারি চলে গেল।
হৃদয় আমার আকুল হল,
নয়ন আমার মুদে এলে রে--
কোথা দিয়ে কোথায় গেল সে॥
আমার মন মানে না
আমার মন মানে না-- দিনরজনী।
আমি কী কথা স্মরিয়া এ তনু ভরিয়া পুলক রাখিতে নারি।
ওগো,কী ভাবিয়া মনে এ দুটি নয়নে উথলে নয়নবারি--
ওগো সজনি॥
সে সুধাবচন,সে সুখপরশ,অঙ্গে বাজিছে বাঁশি।
তাই শুনিয়া শুনিয়া আপনার মনে হৃদয় হয় উদাসী--
কেন না জানি॥
ওগো,বাতাসে কী কথা ভেসে চলে আসে,আকাশে কী মুখ জাগে।
ওগো, বনমর্মরে নদীনির্ঝরে কী মধুর সুর লাগে।
ফুলের গন্ধ বন্ধুর মতো জড়ায়ে ধরিছে গলে--
আমি এ কথা,এ ব্যথা,সুখব্যাকুলতা কাহার চরণতলে
দিব নিছনি॥
আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে
আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে॥
একতারাটির একটি তারে গানের বেদন বইতে নারে,
তোমার সাথে বারে বারে হার মেনেছি এই খেলাতে
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে॥
এ তার বাঁধা কাছের সুরে,
ঐ বাঁশি যে বাজে দূরে।
গানের লীলার সেই কিনারে যোগ দিতে কি সবাই পারে
বিশ্বহৃদয়্পারাবারে রাগরাগিণীর জাল ফেলাতে—
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে?।
আমি কেবলি স্বপন করেছি বপন বাতাসে
আমি কেবলি স্বপন করেছি বপন
বাতাসে---
তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন
হতাশে।
ছায়ার মতন মিলায় ধরণী,
কূল নাহি পায় আশার তরণী,
মানসপ্রতিমা ভাসিয়া বেড়ায়
আকাশে।
কিছু বাঁধা পড়িল না শুধু এ বাসনা-বাঁধনে।
কেহ নাহি দিল ধরা শুধু এ সুদূর সাধনে।
আপনার মনে বসিয়া একেলা
অনলশিখায় কী করিনু খেলা,
দিনশেষে দেখি ছাই হল সব হুতাশে।
আমি কেবলি স্বপন করেছি বপন বাতাসে।
আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে
আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে--
তুমি জান না, আমি তোমারে পেয়েছি অজানা সাধনে॥
সে সাধনায় মিশিয়া যায় বকুলগন্ধ,
সে সাধনায় মিলিয়া যায় কবির ছন্দ--
তুমি জান না, ঢেকে রেখেছি তোমার নাম
রঙিন ছায়ার আচ্ছাদনে॥
তোমার অরূপ মূর্তিখানি
ফাল্গুনের আলোতে বসাই আনি।
বাঁশরি বাজাই ললিত-বসন্তে,
সুদূর দিগন্তে
সোনার আভায় কাঁপে তব উত্তরী
গানের তানের সে উন্মাদনে॥
আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী
আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী।
তুমি থাক সিন্ধুপারে ওগো বিদেশিনী॥
তোমায় দেখেছি শারদপ্রাতে, তোমায় দেখেছি মাধবী রাতে,
তোমায় দেখেছি হৃদি-মাঝারে ওগো বিদেশিনী।
আমি আকাশে পাতিয়া কান শুনেছি শুনেছি তোমারি গান,
আমি তোমারে সঁপেছি প্রাণ ওগো বিদেশিনী।
ভুবন ভ্রমিয়া শেষে আমি এসেছি নূতন দেশে,
আমি অতিথি তোমারি দ্বারে ওগো বিদেশিনী॥
আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ
আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে--
তুমি জান না,আমি তোমারে পেয়েছি অজানা সাধনে॥
সে সাধনায় মিশিয়া যায় বকুলগন্ধ,
সে সাধনায় মিলিয়া যায় কবির ছন্দ--
তুমি জান না,ঢেকে রেখেছি তোমার নাম
রঙিন ছায়ার আচ্ছাদনে॥
তোমার অরূপ মূর্তিখানি
ফাল্গুনের আলোতে বসাই আনি।
বাঁশরি বাজাই ললিত-বসন্তে,সুদূর দিগন্তে
সোনার আভায় কাঁপে তব উত্তরী
গানের তানের সে উন্মাদনে॥
আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল
আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল,
শুধাইল না কেহ।
সে তো এল না,
যারে সঁপিলাম এই প্রাণ মন দেহ॥
সে কি মোর তরে পথ চাহে,
সে কি বিরহগীত গাহে
যার বাঁশরিধ্বনি শুনিয়ে আমি ত্যজিলাম গেহ॥
আলো আমার আলো
আলো আমার,আলো ওগো,আলো ভুবন-ভরা।
আলো নয়ন-ধোওয়া আমার,আলো হৃদয়-হরা॥
নাচে আলো নাচে,ও ভাই,আমার প্রাণের কাছে--
বাজে আলো বাজে,ও ভাই হৃদয়বীণার মাঝে--
জাগে আকাশ,ছোটে বাতাস, হাসে সকল ধরা॥
আলোর স্রোতে পাল তুলেছে হাজার প্রজাপতি।
আলোর ঢেউয়ে উঠল নেচে মল্লিকা মালতী।
মেঘে মেঘে সোনা, ও ভাই,যায় না মানিক গোনা--
পাতায় পাতায় হাসি,ও ভাই,পুলক রাশি রাশি--
সুরনদীর কূল ডুবেছে সুধা-নিঝর-ঝরা॥
এসো আমার ঘরে
এসো আমার ঘরে।
বাহির হয়ে এসো তুমি যে আছ অন্তরে॥
স্বপনদুয়ার খুলে এসো অরুণ-আলোকে
মুগ্ধ এ চোখে।
ক্ষণকালের আভাস হতে চিরকালের তরে এসে আমার ঘরে॥
দুঃখসুখের দোলে এসো,প্রাণের হিল্লোলে এসো।
ছিলে আশার অরূপ বাণী ফাগুনবাতাসে
বনের আকুল নিশ্বাসে--
এবার ফুলের প্রফুল্ল রূপ এসো বুকের 'পরে॥
একটুকু ছোঁয়া লাগে
একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি-
তাই দিয়ে মনে মনে রচি মম ফাল্গুনী ।
কিছু পলাশের নেশা, কিছু না চাঁপায় মেশা,
তাই দিয়ে সুরে সুরে রংগে রসে জাল বুনি ।
যেটুকু কাছেতে আসে ক্ষণিকের ফাঁকে ফাঁকে
চকিত মনের কোণে স্বপনের ছবি আঁকে ।
যেটুকু যায় যে দূরে ভাবনা কাঁপায় সুরে,
তাই নিয়ে যায় বেলা নূপুরের তাল গুনি ।
ও আমার দেশের মাটি
ও আমার দেশের মাটি, তোমার ’পরে ঠেকাই মাথা।
তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা॥
তুমি মিশেছ মোর দেহের সনে,
তুমি মিলেছ মোর প্রাণে মনে,
তোমার ঐ শ্যামলবরন কোমল মূর্তি মর্মে গাঁথা॥
ওগো মা, তোমার কোলে জনম আমার, মরণ তোমার বুকে।
তোমার ’পরে খেলা আমার দুঃখে সুখে।
তুমি অন্ন মুখে তুলে দিলে,
তুমি শীতল জলে জুড়াইলে,
তুমি যে সকল-সহা সকল-বহা মাতার মাতা॥
ও মা, অনেক তোমার খেয়েছি গো, অনেক নিয়েছি মা—
তবু জানি নে-যে কী বা তোমায় দিয়েছি মা!
আমার জনম গেল বৃথা কাজে,
আমি কাটানু দিন ঘরের মাঝে—
তুমি বৃথা আমায় শক্তি দিলে শক্তিদাতা॥
চলবে................
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দারুন সব গান --- প্রিয় নিলাম
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: প্রিয় কিছু গান আছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:২৫
ভাল্লাগেনা বলেছেন: জীবনে প্রথমবার ব্লগে কিছু লিখলাম। ভেবে পাচ্ছিলাম না কি লিখব।তাই ঠিক করলাম প্রথম লেখাটা কবিগুরুকেই উৎসর্গ করি.....