![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাগ ইমন।এক সময় দেশ নিয়ে, মানুষ নিয়ে লিখতাম। কবিতা লিখতাম। এখন কবিতা লিখতে বসলে দেশের সমস্যা গুলোর কথা লেখার কথা মনে পড়ে যায়। অনেক কিছু - যা নিয়ে কেউ লিখছে না। দুঃখ নেই। একটা সময় তো আজলা ভরে কাদামাটি , শীতলক্ষ্যার জল নিয়ে খেলেছি। সে খেলাও ছাড়তে হয়েছে। আছি । পেন্সিলে আঁকা ছবির মত।
নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি অনুযায়ী, এম বি বি এস সনদ পেতে হলে ইন্টার্ন ডাক্তারদের ১ বছর গ্রামে থাকতে হবে।
সরকার এর সদিচ্ছা সম্পর্কে কোন সন্দেহ না রেখেই বলছি- আপনারা ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার প্রবাদ বাক্যটা শুনেছেন?
সনদ পাওয়ার জন্য ঘাড়ে ধরে গ্রামে পাঠানোর প্রকল্পটা শেষ পর্যন্ত ঐ অবস্থাতেই পৌঁছাবে বলে মনে করছি। এখনো নতুন স্বাস্থ্যনীতি পড়ে দেখবার সুযোগ হয়নি, ওয়েবে খুজে বেড়াচ্ছি। তারপরেও, আমাকে কেউ বলতে পারেন এম বি বি এস ছাড়া বাকি যে সব ক্যাডারের পেশাজীবী স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকেন , সেই সব প্রফেশনের ব্যাচেলর গ্রাজুয়েটদের গ্রামে থাকার বিধান কি করা হয়েছে?
অন্য কারো গ্রামে থাকার প্রয়োজন নেই? একলা এমবিবিএস একাই সব করে ফেলবেন?
ডাক্তারদের ভিতরে এমবিবিএসরা সাধারণত ব্রাহ্মণ সমাজ হিসেবে স্বীকৃত, কারণ বিডিএস বা ডেন্টিস্ট, নার্স, ফিজিওথেরাপিস্ট কিংবা প্যারামেডিক গ্রাজুয়েটদের পলিসি বা ইমপ্লিমেন্টেশন- কোন জায়গাতেই কোন পাত্তা দেওয়া হয় না। এরা কি? এরা কেন? এরা কোন গ্রহ থেকে আসে, কোথায় থাকে- এইটা একটা বিরাট বিস্ময় বোধক চিহ্ন!
ডাক্তার, বড় জোর নার্স - এর বাইরে সরকারী স্বাস্থ্য সেবা, কিংবা এই সেবাদানে এঁদের অবদান প্রথমোক্ত দুই ক্যাটাগরির পিছনে হারিয়েই যায়।
এদেরকে বা এদের প্রতিনিধিদেরকে আপনি কোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলিসি মিটিং, মতামত বিনিময় সভা কিংবা কোর্স কারিকুলাম এর মিটিং এ পাবেন না । কোন সভা সেমিনারে দেখবেন না। জাতীয় পত্র পত্রিকায়, টেলিভিশনে - স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি- বিষয়ক কোন বক্তব্য দিতে শুনবেন না। হঠাৎ মনে হবে, পৃথিবীতে একমাত্র এমবিবিএস ডাক্তার দিয়ে ভরে ফেললেই মনে হয় সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়ে যাবে। তার চেয়েও বড় কথা- সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত কি ভাবে করতে হবে- এইটা জানা বা বুঝার পূর্ব শর্ত হচ্ছে এমবিবিএস পাশ করা। কারণ - বাকি সবাই মূর্খ!
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ডেন্টাল কলেজ ঢাকা ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রতিষ্ঠার ৩৫-৩৭ বছর পরেও ডেন্টাল কোর্সের সিলেবাস ঠিক করে দিতেন এমবিবিএস ডাক্তার বা কর্মকর্তারা। ডিজিএইচএস এর এই অদ্ভুত খেয়াল কেন তা আজো বুঝিনি।
একই রকম ভাবে - নার্সিং, প্যারামেডিক্স , ল্যাবরেটরি কিংবা হেলথ এসিস্টেন্টদের সিলেবাসও কি এমন ভাবেই প্রবর্তিত হয়? জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে এই নন- এম বি বি এসরা কি সমান গুরুত্ব পেয়েছেন?
প্রতি একজন এম বি বি এস গ্রাজুয়েটের কাজে কর্মে সাহায্য করার জন্য প্রায় ৯ প্যারামেডিক বা প্যারা প্রফেশনাল ক্যাডারের লোক লাগে। ( এইটা ওয়ার্লড হেলথ অর্গানাইজেশনের গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে)।
বাকি নয় ধরনের লোকবল কি ইন্টার্নরা পাবেন?
একটা ডাক্তার আর একটা বিল্ডিং হলেই চলে না। সেই বিল্ডিং এ কিছু সুযোগ সুবিধা থাকা লাগে।
সেই অবকাঠামো কি ইন্টার্নরা পাবেন?
কষ্ট করে অনুন্নত জায়গায় সেবা দানের জন্য "সনদ না পাওয়ার ভয় দেখানোর" পাশাপাশি ইন্টার্নশীপের বেত্ন বাড়ানোর কথা কি একটু ভেবে দেখেছেন? শুধু খাটিয়েই নেবেন? এই ছেলে মেয়েগুলো থাকবে কোথায়, খাবে কোথায়, শোবে কোথায়, নিরাপত্তা দেবে কে --- এই সব ভেবেছেন?
সরকার স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন এর কথা উঠলেই কেবল এম বি বি এস শিক্ষার জন্য মেডিকেল কলেজ বাড়াবার কথা ভাবেন। কিন্তু একজন এম বি বি এস ডাক্তারের কাজে সহায়তা দিতে এবং সর্বোপরি , একজন রোগীর স্বার্বিক তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে যে আর কয়টি প্রফেশনের লোক লাগে, যেমন-
১। বিভিন্ন স্কিলের নার্স
২। বিভিন্ন স্কিলের প্যারামেডিক
৩। ভিন্ন ভিন্ন স্কিলের এসিস্টেন্ট
৪। সাপ্লাই ও ম্যানেজমেন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্কিলের কর্মকর্তা ও ম্যানেজার
৫। সকলেরই কম্পিউটার ব্যবহারের শিক্ষা থাকা উচিত , তারপরেও ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজমেন্টের লোক ইত্যাদি ।--- তাদের তৈরী করার ব্যাপারটা কি হবে?
সরকার কি সমান গুরুত্ব ও সমান মানসম্পন্ন সাপোর্টিভ হেলথ প্রফেশনালদের সৃষ্টি করার কথা স্বাস্থ্যনীতিতে রেখেছেন?
লোকবল তৈরী ছাড়াও সমস্যা হচ্ছে গ্রামে যেই জায়গায় পাঠানো হচ্ছে , সেই জায়গায় কাজ করার পরিবেশ আছে কি না।
ছোট্ট একটা বাস্তব অভিজ্ঞতাঃ
মেহেরপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখি ডেন্টিস্ট এর কক্ষে একজন কর্মচারী বসে রোগী দেখছে। ডেন্টিস্ট এর কাজ করার জন্য যে ডেন্টাল চেয়ার প্রয়োজন - তা নেই। সেখানে একটা ভাঙা চোরা পুরনো ডেন্টাল চেয়ারের মৃতদেহ পড়ে আছে। ডেন্টিস্ট নিজে শহরের বাজারে নিজের প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রাক্টিস করতে গেছেন। ডাক্তারের কক্ষে একজন কর্মচারী কেন বসে ডাক্তারী করছেন- সে তদন্ত আর করার সুযোগ হয়নি। এখন একজন ডেন্টিস্ট এর ঠিক ঠাক মত কাজ করতে হলে চাই একটা ডেন্টাল চেয়ার, নিয়মিত অফিস করছেন কি না, সেই মনিটরিং এবং ডেন্টাল ট্রিট্মেন্ট দিতে হলে কিছু ম্যাটেরিয়ালস লাগে - সেই সব ম্যাটের্যালস এর নিয়মিত সাপ্লাই। পাশাপাশি, ডেন্টিস্টদের কাজে কর্মে সাহায্য করার জন্য একজন ডেন্টাল এসিস্টেন্ট। উল্লেখ্য, ডেন্টিস্ট একা কাজ করতে পারেন না। একটা ছোট খাট অপারেশন করতে হলে ( যেমন দাঁত তোলা) রোগীর মুখ থেকে রক্ত ও পানি সরিয়ে নিতে ডেন্টাল নার্স বা এসিস্টেন্ট এর সাহায্য লাগে। এই পদ গুলো কি হাসপাতালে সৃষ্টি করা হয়েছে? এই ক্যাডারের লোকবল তৈরীর কোর্স সৃষ্টি করা হয়েছে?
কিছুদিন আগে ভোলার মনপুরার স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে সমকালের একটি প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে সেখানে ডাক্তাররা বেতন তুলতে আসেন, কাজ কেউই করেন না। ইঞ্জেকশন দেয় ঝাড়ুদার। ( আমার আগের পোস্টে লিংক পাবেন) ।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে পড়ুন।
পর্ব এক।
পর্ব দুই।
ভোলা - মনপুরা- সেইটা প্রত্যন্ত অঞ্চল। কিন্তু ঢাকা থেকে গাড়িতে মাত্র ৩০-৪৫ মিনিট দূরে, সাভারের কাকাবো গ্রামে যেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি আছে- সেইটার আঞ্চলিক নাম "ভুতের বাড়ি" । ২০০৫ সালে ৬ মাস ওখানে ছিলাম। একদিনও ডাক্তারকে বসতে দেখিনি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী বসে ওষুধ দেয়, মাঝে মাঝে কবিরাজি চিকিৎসা করে । ইটের বিল্ডিংটাতে শুধু কয়টা সুন্দর সুন্দর ঘর আছে, আর কিছুই নেই। না টেলিফোন, না পানির ব্যবস্থা।
এই রকম হলে চিকিৎসা দেওয়া বা নেওয়া সম্ভব?
সরকারের কাছে অনুরোধ , ইন্টার্নরা এমনিতেই অন্য অনেক বড় বড় ডাক্তারের চেয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে বেশি উৎসাহী থাকে। পাশ করা ডাক্তাররা পোস্ট গ্রাজুয়েশনের জন্য ঢাকায় দৌড়াদৌড়ি করে - সেই ভয় ইন্টার্নদের নিয়ে নেই।
গ্রামে প্লেসমেন্ট এর এক বছরে প্রতিটা রোগীর তথ্য এবং চিকিৎসার ফলাফল জমা দেওয়ার নিয়ম করলে আশা করি ভুল চিকিৎসাও কেউ দিতে চাইবেন না।
কিন্তু ইন্টার্নরা শিক্ষানবীস বলেই তাদের সব সময় একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অধীনে এবং তত্ত্বাবধানে কাজ করা উচিত।
এই নিয়মিত পরামর্শের কাজটা তারা কি ভাবে করবেন? কেস নিয়ে কার সাথে, কি ভাবে আলোচনা করবেন?
সরকার টেলি -মেডিসিন বা ই-হেলথ এর উপরে খুব জোর দিচ্ছেন। এই কার্যক্রম সফল করতে হলে যা প্রয়োজন-
১। ইউনিয়ন সেন্টার গুলোতে বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করুন ( লাইন দিয়ে বা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে) ।
২। ডাক্তাররা যাতে ল্যাপ্টপের মাধ্যমে তাঁর সুপারভাইজরের সাথে কেস নিয়ে আলাপ করতে পারে- সেই ব্যবস্থা করুন।
৩। ওষুধ , যন্ত্রপাতি ইত্যাদি সরবরাহের লজিস্টিক ও ম্যানেজমেন্টকে শক্তিশালী করুন।
৪। রোগীর ডাটা রিপোর্টের সুবিধার জন্য এম আইস এস বা ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের ব্যবস্থা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র / ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে নিশ্চিত করুন। যাতে একটা সাধারণ ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোনের মাধ্যমকে সহজেই ডাটা বেজে রোগীর রোগ ও ট্রিট্মেন্টের তথ্য রেকর্ড/ এন্ট্রি করা যায়।
৫। রোগীর প্রেস্ক্রিপশন প্রিন্ট আউটের মাধ্যমে দেওয়া বাধ্যতামূলক করে দিন। রোগ, রোগী, ওষুধ বিতরণের হিসাব দিনেরটা দিনেই পেয়ে যাবেন তাহলে । আলাদা করে রিসার্চ করা লাগবে না।
৬। অনেক ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ডাক্তার-নার্স- প্যারামেডিকদের থাকার খুব অসুবিধা। যদি সম্ভব হয় , স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলাতে
ক) পানি,
খ) বিদ্যুৎ,
গ) টেলিফোন
ঘ) ইন্টারনেট ( লাইন বা ফোন মডেম যেইভাবে দ্রুত হয়), এবং,
ঙ) রাতে ঘুমানোর কক্ষের ব্যবস্থা করে দিন । ছেলেদের রুম, মেয়েদের রুম আলাদা করে - একটা বেডের উপরে আরেকটা বেড (দুইতলা বেড) দিয়ে ব্যবস্থা করলে খুব বেশি রুম / জায়গা লাগবে না। এতে করে, ডাক্তার- নার্স -প্যারামেডিকরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই থাকবেন। ২৪ ঘন্টা অন কলে থাকতে পারবেন। ইমার্জেন্সি রোগীকে সাথে সাথে চিকিৎসা দেওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট সকলকে একটু ভেবে দেখতে অনুরোধ করি। পাঠকের কাছে আরো পরামর্শের অনুরোধ রইলো ।
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৫
রাগ ইমন বলেছেন: ঠিক কি কারণে এমন মনে হলো?
২| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৩৮
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: দারুন প্রস্তাব।
কিন্তু কোনদিন পূর্ন হবে কি না,কে জানে?
সরকার সুদৃষ্টি দিলে অবশ্যই হতে বাধ্য।কিন্তু কতৃপক্ষ কি আসলেই আন্তরিক হবে?
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১:৩৭
রাগ ইমন বলেছেন: এইটাই তো জ্বলন্ত প্রশ্ন
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১:৩৯
রাগ ইমন বলেছেন: স্বাস্থ্যনীতির ফাঁক ফোকর বের করে বিকল্প বা উন্নত সমাধান প্রস্তাব করাটা বিরোধী দলের দায় দায়িত্ব। কিন্তু খালেদা জিয়া তো ব্যস্ত নিজের বাড়ি আর নির্বাচন নিয়ে!
৩| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৪৩
রিপেনডিল বলেছেন: সাইফুল হাসান, প্রস্তাবটি আপনার কাছে দারুন মনে হতে পারে কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন, যে ছেলেটি ৭ বছরে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করছে এবং তারপরেও তার চাকরীর কোন নিশ্চয়তা নেই তার অবস্থাটা কি হবে? এরা যখন ধুকে ধুকে ১৪-১৫ বছর পর মোটামুটি মানের একটা ডাক্তারে পরিনত হবে তখন কসাই না হওয়াটাই হবে অস্বাভাবিক।
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১:৪৫
রাগ ইমন বলেছেন: এইটা আসলেই খুব দুঃখজনক। বাংলাদেশের মত গরীব দেশে ১৫ লাখ টাকা খরচ করে একটা ডাক্তার বানিয়ে তাকে আবার বিসি এস এর মতন জেনারেল টেস্ট দিতে বসানোর মত আহাম্মকি আর হয় না। বরং পাশ করা সমস্ত ডাক্তারকে সরকারী চাকুরীতে সরাসরি নিয়ে নেওয়া উচিত।
এর পর সারাদেশ থেকে আসা সকল ডাক্তারদের অভিন্ন প্রশ্ন পত্রে স্কিল টেস্ট করা উচিত। যার স্কিল যেখানে বেশি ভালো হবে , তাকে সেই ধরনের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। যে সব স্কিলে দুর্বল পাওয়া যাবে, সেই সব স্কিলে ট্রেনিং নেওয়া বছরে ৫০ ঘন্টা বাধ্যতামূলক করা হবে। পরের বছর স্কিল টেস্টে পাশ করলে ঐ স্কিলের কাজ করার অনুমতি পাবে। স্কিল যার যত বেশি ভালো হবে- তার ইঙ্ক্রিমেন্ট তত বাড়বে।
বাংলাদেশের মত দেশে কোন ডাক্তারকে বেকার করে রাখা রীতিমত অপরাধ।
যে কোন স্কিলেই পাশ করবে না পর পর ৩ বার। তাকে ডাক্তারী পেশার লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। সে শুধুই হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট জাতীয় প্রশাসনিক কাজ করতে পারবে, ট্রেনিং এর পরে।
৪| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৪৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: সরকারি চাকুরিরত অবস্থায় প্রাইভেট প্র্যাক্টিস বাদ দেন।
তখন আপনাদের সকল অসুবিধা দূর করা হবে।
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:০৪
রাগ ইমন বলেছেন: তাইলে স্বীকার করে নিচ্ছেন যে অসুবিধা আছে বলেই তাহারা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন?
ধন্যবাদ।
৫| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১০:০৩
ডি-টু-কে বলেছেন: পিরামিড স্কিম করে ধরা খাবেননা। দয়া করে সকলের সাথে বিষয়টা শেয়ার করুন। প্রকৃত ধান্দাবাজদের চিনে নিন
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:০৪
রাগ ইমন বলেছেন: আচ্ছা
৬| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১০:১০
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন:
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:০৫
রাগ ইমন বলেছেন: াপনার দাঁতে পোকা।
৭| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১০:২০
প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: বাংলাদেশে একমাত্র ডাক্তাররাই কসাই, আর সবাই ধোয়া তুলসি পাতা।
যে মেয়েটি গ্রামে যেয়ে ইন্টার্নি করবে তার নিরাপত্তা, যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা কে দিবে তা সবার আগে বিবেচ্য বিষয়
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:০৬
রাগ ইমন বলেছেন: এই ব্যাপারটা বুঝি নাই। মেয়েদের নিরাপত্তা জনিত কারণে মেয়েরা ইন্টার্ন করা ছেড়ে দিবে নাকি?
দেশের সব জায়গা যে নিরাপদ না- এইটা তো সকলেই জানি। সব দিক চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।
৮| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:০০
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: সহযোগী কর্মী এবং ক্ষেত্র প্রস্তুত না করেই ওদের গ্রামে পাঠিয়ে লাভ হবে না। বরং নানান মানুষ নানান ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
আমি বিশ্বাস করি আমাদের সরকার প্রজেক্ট হাতে নেয় জেনেই যে এর সফলতা সম্ভব নয় তাই যেমন-তেমন ভাবে শুধু কিছু একটা দাড় করিয়ে দেয়।আমাদের দেশের প্রশাসনের কর্মকান্ডের মত এতটা ভয়াবহ জটিলতা যে কোন বিভাগেই পৃথিবীর ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া কষ্টের!
আপনার লেখায় যেই সুপারিশগুলো উঠে এসেছে ইন্টার্নদের ও তাদের অভিবাবক সহ রিটায়ার্ড সুশীলদের উচিত এগুলো বাস্তবায়নের জন্য রাস্তায় নেমে দাবী জানানো।
এই দাবীগুলো খুবই বাস্তবসম্মত ,সম্ভব এবং সবচেয়ে বড় কথা প্রয়োজন!
আমাদের দায়িত্ব হয়ে গেছে স্বাস্থ্য-শিক্ষা'র মত মৌলিক খাতগুলোতে অব্যাবস্থাপনার ফলে সৃষ্ট ঝামেলাগুলো দুর করার জন্য আন্দোলন এবং প্রয়োজনে ভাংচুর ও অনশন।
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:০৬
রাগ ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৯| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:০২
ত্রিনিত্রি বলেছেন: প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: বাংলাদেশে একমাত্র ডাক্তাররাই কসাই, আর সবাই ধোয়া তুলসি পাতা।
যে মেয়েটি গ্রামে যেয়ে ইন্টার্নি করবে তার নিরাপত্তা, যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা কে দিবে তা সবার আগে বিবেচ্য বিষয়
বলার মত অনেক কথা আছে, তবে সবার আগে নিরাপত্তা আসবে। মেয়েদের তো অবশ্যই, ছেলেদেরো নিরাপত্তা দেবে কে?? অ্যাডহক নামক মূলাতে যারা জয়েন করেছেন, বড় ভাইয়া আপুরা, সবাই চরম হতাশ। থাকার কথা, গিয়ে দেখেন রুগী দেখবেন কোথায়, সেখানেই ভাঙ্গা চাল দিয়ে পানি পড়ে। সরকার ভেবেছে গ্রামে প্রচুর গাছ পালা। কোন একটার নীচেই ডাক্তার রাত কাটিয়ে দেবে। গ্রাম্য চেয়ারম্যানকে তুলা তুলা করে থাকতে হয়। তারপরেও শান্তি নেই। নিয়ম অনু্যায়ী, সবাইকে সবাইকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা সেবা নিতে হবে। কিন্তু চেয়ারম্যান এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পায়া ভারী। তারা রাত বিরেতে খবর পাঠায়, ডাক্তার আসুক। এখন কথা হচ্ছে, একটি মেয়ে কি করে নিরাপত্তা ছাড়া গ্রামে থাকবে? যেখানে ছেলেদেরই নিরাপত্তা নেই?
চমৎকার একটি কথা বলেছেন লেখক। ইন্টার্ন ডাক্তারদের অবশ্যই কারো অধীনে থাকতে হবে। অবশ্যই। কারন একজন ইন্টার্ন ডাক্তারের সম্বল কিছু বইএর কথা, যার সাথে চিকিৎসা প্রদানের বিশাল তফাৎ। গ্রামে কি কোন প্রফেসর বা অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর বা নিদেন পক্ষে কোন কন্সালটেন্ট গিয়ে থাকবেন কি? তার কোন ব্যবস্থা সরকার কি করেছে?
সবকিছুর খড়গ কেন ডাক্তারদের উপরে পড়ে? একারেণেই যে তারাই একমাত্র মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আয় করে? নাকি বিপদে পড়লে ডাক্তার ছাড়া উপায় নেই, একারনে? আমি জানি না সরকারের কি সমস্যা, সে শুধু গ্রামে যাও গ্রামে যাও বলে চিৎকার করে। আরে বাবা, গ্রামে যেতে তো আমাদের সমস্যা নেই। এত জঘন্য পরীক্ষা বিসিএস কষ্ট করে দিতে যাই তো গ্রামে যাবো তার মানসিকতা নিয়েই। কিন্তু তারা কি মানুষ না? তাদের মৌলিক অধিকারগুলির দিকে কারোরই কোন হেডেক নাই।
প্রতি একজন এম বি বি এস গ্রাজুয়েটের কাজে কর্মে সাহায্য করার জন্য প্রায় ৯ প্যারামেডিক বা প্যারা প্রফেশনাল ক্যাডারের লোক লাগে।
এই সহজ কথা কে বুঝবে? লেখক ১০০ ভাগ সঠিক কথা বলেছেন। সবাই ভাবে এমবিবিএস ডাক্তার দিয়ে দেশ ভরালেই সবার স্বাস্থ্য নিশ্চিত, কিন্তু ডাক্তার এদের ছাড়া কখনোই পুরোপুরি কাজ করতে পারে না। এদের কোন গুরুত্বই দেয়া হয় না।
অনেক বড় কমেন্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পোস্টটি পড়ে মেজাজ ঠিক রাখতে পারছি না।
কিছুদিন আগে ভোলার মনপুরার স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে সমকালের একটি প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে সেখানে ডাক্তাররা বেতন তুলতে আসেন, কাজ কেউই করেন না। ইঞ্জেকশন দেয় ঝাড়ুদার।
এই প্রেক্ষিতে আমাদের কিছু বড় আপুদের অভিজ্ঞতা বলি। আমার এক আপুর পোস্টিং হলো কুমিল্লার দেবীদ্বারে। তো সে প্রথম দিন গিয়ে দেখলো যে সেখানে ব্যবস্থা হচ্ছে রুগী আসলে ডাক্তার জিজ্ঞেস করেন, "আপনি কি টিকিটে দেখাবেন না প্রেস্ক্রিপ্সন করাবেন?" টিকিট মানে সরকারী ৩টাকার টিকিট, আর প্রেসক্রিপশন মানে আমি ১০০/২০০ টাকা দিয়ে দেখাবেন। নিয়ম অনুসারে সরকারী কোন কমপ্লেক্সে টাকা নেয়া ম্যালপ্রাক্সিস এবং অনৈতিক। আপু বললেন, আমি টাকা ছাড়া রুগী দেখবো, যে কাজে আমি এসেছি। ৬ দিন টিকতে পারলেন, ৭ম দিন টিএইচও(অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পোস্ট) আপুকে ডেকে পাঠালেন। সরাসরি বললেন, আপনি সপ্তাহে ১ দিন আসবেন। আপনার রোজ আসার দরকার নেই। বেতন তোলার দিন বেতন তুলে নিবেন। প্রতিদিন যেন আপনাকে না দেখি।
আরেক আপু এরকম টাকা নিতে অস্মকৃতি জানানোয় একদিন গিয়ে দেখেন তার রুমে তালা মারা। টিএইচও বললেন, রুমে তালা মারার অর্থ আপনার বুঝা উচিত।
এরপর হঠাৎ একদিন সাংবাদিক এসব জায়গায় যায়, এবং এসে রিপোর্ট করেন, ডাক্তার নেই। কিন্তু কেউ খবর নেন না, কেন ডাক্তার নেই। কারা ডাক্তার দের টিকতে দেন না।
লেখক কে অনেক ধন্যবাদ এরকম পোস্ট দেয়ার জন্য।
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:১৬
রাগ ইমন বলেছেন: জ্বি, থানা নির্বাহী অফিসার সহ অনেকেই এই সব অনিয়মের ভক্ষক এবং রক্ষক। ঠিক এই কারণেই ক্যাশ টাকার লেন্দেন উঠিয়ে দেওয়া উচিত। অথবা টিকিট কাটার ব্যবস্থা করা উচিত ব্যাংক থেকে বা ঐ ধরনের কোন আউটলেট থেকে যেখানে এই ধরনের দুর্নীতি করা সম্ভব হবে না।
যে সব আপুরা এই আচরণের স্বীকার হলেন- তারা কোথায় অভিযোগ করবেন? কার কাছে অভিযোগ করবেন? কেমন করে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াবেন?
এই কথা গুলা কি শেখ হাসিনা শুনবেন? প্লিজ প্রধানমন্ত্রী , একটা টেলিফোন নাম্বার দিন যেখানে ফোন করে আমরা ভয়েস রেকর্ড করতে পারি এই সব অভিযোগের। আপনার যখন সময় হবে, তখন শুনে নিয়েন। তবু একটু আমাদের কথা শুনুন।
------------------
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অত্যাচারের দুটো গুরুত্বপূর্ণ দিক আপনি তুলে ধরেছেন ।
যশোরে রাজনৈতিক নেতার বাড়িতে যায়নি বলে ডাক্তারকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে দিয়েছিল।
খোদ ঢাকার ডেন্টাল হাসপাতালে এক্স রের মেশিন বধ রেখে বাইরে এক্স রে করা হত, দোকানের মালিক হাসপাতালের কর্মচারী । এরাই আবার আন্দোলন করে প্রফেসরদের আটকে দিত।
১০| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:০৩
কথক পলাশ বলেছেন: সমস্যাটা হচ্ছে, একজন মানুষ যখন তার এমবিবিএস শেষ করে, তখন তার জীবন যাত্রার মান চেঞ্জ হয়ে যায়। সুযোগ সুবিধা এবং শহরের দ্রুতগামীতায় তারা এতই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে যে, কেউ আর গ্রামে যেতে চায়না। হয়তো প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে, নতুবা উচ্চ শিক্ষার প্রস্তুতি নেয়। তাতে করে দেখা যায়, গ্রামের মানুষ প্রকৃত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আমার মনে হয় ইন্টার্ণ ডাক্তাররা এই বলির শিকার। কারণ আদর্শের ছাপটা তাদের মধ্যে বেশি বেশি থাকে; কেননা 'আজন্ম লালিত স্বপ্ন ডাক্তার হবো' এটা তখন তার বাস্তবের দোরগোড়ায়।
যাই হোক, আপনার প্রস্তাবনাগুলো ভেবে দেখার মত। আমি ডাক্তারদের সুযোগের কথা বলছিনা, বলছি-গ্রামের মানুষের অধিকার; ডাক্তার একজন শহুরে রোগির চিকিৎসা যেভাবে করেন, একই রকম সুবিধা-এপার্টাস যেন গ্রামের হাসপাতালেও সরবরাহ করা হয়।
তা করতে হলে, ডাক্তারদের আবাসন এবং সাহায্যকারীর পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে হবে।
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:২৩
রাগ ইমন বলেছেন: পলাশ, চাকুরীরত ডাক্তাররা গ্রামে থাকেন না - এই কথাটা সত্য। কিন্তু কারণ যে গুলো দেখালেন, সেইটা অজ্ঞানতাজনিত এবং ভীষণ এক পেশে।
উপরে ত্রিনিত্রির মন্তব্য পড়ে দেখুন। এইটাই গ্রাম বাংলার সার্বিক চিত্র।
সেই সহজ সরল ভালো মানুষ গ্রাম আর নেই। হয়ত কখনোই ছিল না।
ভিলেজ এত ভালো জায়গা হলে ভিলেজ পলিটিক্স নামক শব্দ দুটো এত চালু হত না।
৬ টা বছর জান পানি করে পড়ে কেউ যদি বেটার লাইফ চায়, উচ্চ শিক্ষা চায়- তাকে দোষ দেওয়া যায় না। এইটা তার প্রাপ্য- সে এটার জন্য কষ্ট করেছে।
গ্রামে যদি থাকার সুব্যবস্থা না থাকে - সেইটা সরকারের দোষ । ডাক্তারের নয়।
গ্রামের মানুষের শুধু ডাক্তারের সেবা-ই পাওয়ার অধিকার?
আর, বিদ্যুৎ?
আর, বিশুদ্ধ পানি?
আর, ইন্টারনেট?
আর, টেলিফোন?
আর, পাকা বাড়ি?
আর, পাকা রাস্তা?
আর, ভালো একটা স্কুল?
আর, রাজধানীসহ সারা বিশ্বের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা?
আর, একটা ভালো লাইব্রেরী?
দাবী যখন জানাইতেছেন, তো শুধু ডাক্তার কেন? কেন, ডাক্তারের সাথে সাথে যেই প্যাকেজ ডিলটা প্রস্তাব করলাম- সেই প্যাকেজটা না কেন?
বাকি গুলো পাওয়ার জন্য আরও ৫০ বছর অপেক্ষা করতে চান?
১১| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:২৩
সেলিম তাহের বলেছেন: পোস্টটির সাথে প্রাসঙ্গিক বিধায় এই পোস্টটিও পড়ার অনুরোধ জানিয়ে গেলাম।
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:২৫
রাগ ইমন বলেছেন: দেখছি।
১২| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:৩৪
কথক পলাশ বলেছেন: আপনি আমার কমেন্টটা ধরতে পারেননি।
আপনার কথার দ্বিমত আমি কোথাও করিনি। কারণ গুলো দেখিয়েছি (আরো একশোটা দেখানো যাবে-কিন্তু তা আপনার পোস্টের সাথে অবান্তর) তার কারণ হচ্ছে ইন্টার্ন ডাক্তারদের উপর কেন এই বিপদ নেমে আসছে তা বোঝানোর জন্য।
আমি গ্রামেই থাকি। আমার বাবা দীর্ঘ দিন যাবৎ অসুস্থ। তার সামান্য চিকিৎসা করানোর জন্যও আমাদের ঢাকায় দৌড়াতে হয়। সাহস করে মফস্বলের ডাক্তারের কাছে নিয়ে ছিলাম। তারা বোর্ড বসিয়ে যে চিকিৎসা দিলেন, তাতে আমার বাবার মাংসে পঁচন ধরলো। আবার ঢাকা। যমে মানুষে টানাটানি। তাহলে কি দরকার গ্রামে ডাক্তার পাঠিয়ে? তার থেকে প্রতি পরিবারে চিকিৎসা যাতায়াত ভাতা দিয়ে সব ডাক্তারকে শহরে রাখলেই হয়!
আর, বিদ্যুৎ?
আর, বিশুদ্ধ পানি?
আর, ইন্টারনেট?
আর, টেলিফোন?
আর, পাকা বাড়ি?
আর, পাকা রাস্তা?
আর, ভালো একটা স্কুল?
আর, রাজধানীসহ সারা বিশ্বের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা?
আর, একটা ভালো লাইব্রেরী?
এগুলোর কিছুই গ্রামে অভাব নেই। আমি এই কমেন্ট করছি একটা প্রত্যন্ত গ্রামে বসে।
অভাব শুধু ভালো ডাক্তারের এবং ভালো এপার্টাসের।
আমার আগের কমেন্টের শেষ লাইনটা আবার পড়ুন। আমার বক্তব্য বুঝতে পারবেন।
না বোঝাতে পারলে ব্যর্থতা আমারই।
১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৪৮
রাগ ইমন বলেছেন: কমেন্ট যদি ধরতে না পেরে থাকি তাহলে আমার উত্তরেও সমস্যা আছে। দুঃখিত।
১৩| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:৫৭
কথক পলাশ বলেছেন: ১. সেই সহজ সরল ভালো মানুষ গ্রাম আর নেই। হয়ত কখনোই ছিল না।
তার মানে শহরের সবাই ভালো আর তাদের ভালো চিকিৎসা পাবার অধিকার আছে?
২. ভিলেজ এত ভালো জায়গা হলে ভিলেজ পলিটিক্স নামক শব্দ দুটো এত চালু হত না।
ভিলেজ পলিটিক্সের কারণে নীরিহ মানুষরাও বঞ্চিত হবে কি বলেন? আর শহরে ক্লিনিক গুলোতে কি হচ্ছে একটু বলবেন? শহরের পলিটিক্স কি খুব সাধু?
৩. ৬ টা বছর জান পানি করে পড়ে কেউ যদি বেটার লাইফ চায়, উচ্চ শিক্ষা চায়- তাকে দোষ দেওয়া যায় না। এইটা তার প্রাপ্য- সে এটার জন্য কষ্ট করেছে।
তাহলে বলবেন ডাক্তাররা বেটার লাইফের জন্যই পড়ালেখা করেছে? রোগি জাহান্নামে যাক, ডাক্তারের কি? ডাক্তারদের পড়াতে সরকারের খরচ হয়নি? গ্রামের খারাপ লোকগুলো চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রাখেনা কি বলেন? জান পানি করা ডাক্তারী শিক্ষা গ্রামের ভিলেজ পলিটিশিয়ান দের জন্য নয়। তা শহরের পলিটিশিয়ানদের জন্য?
৪. গ্রামে যদি থাকার সুব্যবস্থা না থাকে - সেইটা সরকারের দোষ । ডাক্তারের নয়।
তাহলে এই সুব্যাবস্থার জন্য আন্দোলন কারা করবে? গ্রামের মানুষ, নাকি ডাক্তাররা? সরকারের দোষ বুঝলাম, এখন এটা থেকে বেরিয়ে আসতে কি ডাক্তারদেরই এগিয়ে আসতে হবেনা? ডাক্তাররা আন্দোলন করুক তাদের সুবিধার জন্য। তাতে গ্রামের মানুষের অধিকার কেন নষ্ট হবে?
১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৪৯
রাগ ইমন বলেছেন: খামোখা কথা বার্তা উলটে পালটে এক্সট্রিম পর্যায়ে নিয়ে গেলেন। আপনি নিজেও খুব ভালো করেই জানেন, আপনি যে অর্থে বলছেন, আমি সেই অর্থে লিখিনি। সুতরাং, এর উত্তর দেওয়া মানে সময় নষ্ট ।
১৪| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ৩:৩৮
কথক পলাশ বলেছেন: আমার উপরের কমেন্ট গুলোর সারমর্ম হচ্ছে,
ব্যর্থতা সরকারের। তবু এই ব্যর্থ সরকার ৬ বছর হাড় পানি করা ডাক্তারদের জোড় করে গ্রামে পাঠাচ্ছে। তাতে ডাক্তাররা কি কি সমস্যায় পড়ছে, তা আমাদের মত মূর্খ ভিলেজ পলিটিশিয়ানদের জানার কথা না, তার কারণ সমস্যার মূলে আমরাই। সেক্ষেত্রে গ্রামের নীরিহ মানুষ ভালো চিকিৎসা পাবে কোথায়? তারজন্য সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনায় কি ডাক্তারদের এগিয়ে আসাই উচিত না?
সেটা গ্রামে আসা বন্ধ করে সমাধান করা যাবে? নাকি গ্রামেও ডাক্তারদের ফ্যাসিলিটি নিশ্চিত করার মাধ্যমে করতে হবে?
গ্রামের একজন মানুষের পক্ষে কি শহরের ক্লিনিকের খরচ মেটানো সম্ভব? নাকি শহরের সরকারী হাসপাতাল গুলো গ্রামের মানুষের জন্য যথেষ্ট! সেই পরিবেশ কি গরীব রোগিরা পান? নিদেন পক্ষে একটা বিছানা?
১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৫০
রাগ ইমন বলেছেন: সারমর্ম দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৫| ০১ লা জুন, ২০১১ ভোর ৪:০৫
নীল_পদ্ম বলেছেন: আপনার মতে "থাকার, কাজ করার পরিবেশ" এর সংজ্ঞা কি?
(নিজেদেরকে এলিট শ্রেণীর ভাবাটা আমাদের জাতিগত/মজ্জাগত/চরিত্রগত (বদ)অভ্যাস। আমাদের দেশে/উপমহাদেশে/তৃতীয় বিশ্বে এক শ্রেণীর মানুষ অন্য আরেক শ্রেণীর মানুষকে হুদাই সম্মান/সমীহ্ করে, আজ্ঞাবহ থাকে। আর আমরাও সেই সম্মান/সমীহ্/আজ্ঞা নেয়াটা অধিকার মনে করি, আমাদের অনুভূতি অনেক ক্ষেত্রেই কাজ করে না।)
১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৩
রাগ ইমন বলেছেন: ভালো করে পড়েন, হয়ত বুঝতে পারবেন। অন্যরাও আলোচনা করেছে।
থাকার পরিবেশ- যেই পরিবেশে মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলো মিটিয়ে বসবাস করা যায়। যেমন, নিরাপদ পানি, নিরাপদ খাদ্য ইত্যাদি।
কাজের পরিবেশ- যেই পরিবেশে সঠিক ভাবে এবং উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
১৬| ০১ লা জুন, ২০১১ ভোর ৪:১৬
ইলুসন বলেছেন: কথক পলাশ বলেছেন: তাহলে বলবেন ডাক্তাররা বেটার লাইফের জন্যই পড়ালেখা করেছে? রোগি জাহান্নামে যাক, ডাক্তারের কি? ডাক্তারদের পড়াতে সরকারের খরচ হয়নি? গ্রামের খারাপ লোকগুলো চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রাখেনা কি বলেন? জান পানি করা ডাক্তারী শিক্ষা গ্রামের ভিলেজ পলিটিশিয়ান দের জন্য নয়। তা শহরের পলিটিশিয়ানদের জন্য?
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই সরকারের টাকাতে পড়ে। আর গ্রামে পাঠাতে হলে ডাক্তারদের পাঠাও, ইন্টারনিদের কেন? ইন্টারনি মানে শিক্ষানবিস। ইন্টারনির সময় শেখার সময়। গ্রামে ইন্টারনি কার কাছ থেকে শিখবে? আমার বোনকে আমি গ্রামে পাঠাব কিসের ভরসা করে? আমার কোন সমস্যা নেই গ্রামে থাকতে যদি সরকার বিদেশের সিস্টেম অনুসরণ করে। বিদেশে একজন ডাক্তার ১ বছর ইন্টারনি করার পরে হাসপাতালে রেসিডেন্ট ডাক্তার হিসেবে থাকে, সেখানে তাকে সম পরিমাণ বেতন দেয়া হয়। তখন তারা ইন্টারনিদের মত নামমাত্র বেতনে সেবা দেয় না। আর সবচেয়ে বড় কথা এই সময়টা তার পোস্টগ্রাজুয়েশনের জন্য ট্রেনিং হিসেবে কাউন্ট করা হয়। সে যখন বের হয় তখন একসাথে এমডি ডিগ্রী নিয়ে বের হয়। সমস্যাটা এখানেই এই দেশের অধিকাংশ মানুষ কোন কিছু না বুঝেই কথা বলে। আরে আজব মেডিকেলের স্টুডেন্টরাও তো মানুষ, তাই না? তারাও তো কারো ভাই বা বোন।
গ্রামে পাঠাতে চান তো? তাহলে ইন্টারনিদের নয়, ডাক্তারদের গ্রামে পাঠান। আর সরকারের টাকা সরকারের টাকা এসব ফালতু কথা বলবেন না, প্রাইভেট ছাড়া সবাই সরকারের টাকাতে পড়ে। একমাত্র মেডিকেলের ছাত্র ছাড়া দেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে সরকারের টাকায় পড়ে এত কষ্ট করে?
১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৭
রাগ ইমন বলেছেন: সহমত।
আমি শহরে থাকবো, তুমি গ্রামে যাও।
আমি সব উন্নতি শহরের জন্য দেব, তুমি গ্রামের খানা খন্দে গিয়ে মানব সেবা করো।
এমন ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কোন মানুষ কেন মানবে?
ডাক্তাররা কি শুধু নিজের জন্য পানি, বিদ্যুৎ, চাইছে? নাকি গ্রামের সকলের জন্য?
ওরে মূর্খ, আমার ডেন্টাল মোটর যদি না চলে তো দাঁতের ফিলিং করবো কি দিয়ে? গরুর ঘানি টেনে?
অপারেশন থিয়েটার যদি কাজ না করে, অপারেশন করবো কি ভাবে?
সিজারিয়ান সেকশন হলো গর্ভ জনিত জটিলতার সবচেয়ে কমন চিকিৎসা। বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার মারাত্মক। বাচ্চারাও মরে কাতারে কাতার। এদের জন্য কি কুপি বাতি দিয়ে অপারেশন করতে বলেন?
১৭| ০১ লা জুন, ২০১১ ভোর ৪:২৪
ইলুসন বলেছেন: নিজ দলের বি সি এস ক্যাডারদের গ্রামে রাখতে না পেরে এখন স্টুডেন্টদের উপর খরগ চালানো হচ্ছে। আর কিছু মানুষের মেন্টালিটি দেখে কি যে বলব, গ্রামে গিয়ে একটা ইন্টারনি মনে হয়ে উল্টায় ফেলবে কিছু একটা! দেশ একেবারে এগিয়ে যাবে চিকিৎসাক্ষেত্রে! এরা ইন্টারনি মানে বুঝে নাকি কে জানে! গ্রামে যদি ইন্টারনি পাঠাতে হয় তাহলে তাদের রেসিডেন্ট ডাক্তারের সমান বেতন দাও, আর তাদের শেখানোর জন্য প্রফেসর পাঠাও। প্রফেসর না থাকলে তারা শিখবে কার কাছ থেকে? গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ডাক্তারি শিখবে?
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১৩
রাগ ইমন বলেছেন: কাজের পরিবেশের সংজ্ঞা উনারা বুঝেন না। এই সেইদিনও ডাক্তার মিথ্যা সার্টিফিকেট দিতে চায় নাই বলে ক্যাডাররা ডাক্তারের হাত পা ভেঙে দিয়েছে । এর পরেও "কাজের পরিবেশ" বুঝে না।
লে হালুয়া।
১৮| ০১ লা জুন, ২০১১ সকাল ৭:০২
আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন: স্বাস্থ্যনীতি প্রণেতাদের পারিপাশ্বিক বিষয়গুলা সম্পকে আরো ভেবেচিন্তে নীতি প্রনয়ন করা উচিত ছিল তবে আশার কথা এই যে হয়ত এই নীতি প্রনয়নের কারনেই ঘোড়ার জন্য গাড়ী্ও হয়ে যাবে! রা-ই আপু আপনি যথেষ্ট যত্ন সহকারে পয়েন্টগুলো তুলে ধরেছেন এই জন্যে ধন্যবাদ । অনেকই আছেন যে শহর আর গ্রাম কপচিয়ে পোষ্টের মূল উর্দেশ্য থেকে সরে যাওয়ার তাদের কথায় মন খারাপ করবেন না।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১৩
রাগ ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ রোমাস। সবাই আপনার মত শিক্ষিত হইলে তো আর ঝামেলা হইত না।
১৯| ০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:২৮
কথক পলাশ বলেছেন: @Illusion: Comment purota pore, bujhe tarpor mention korben kindly. Ami kothao bolechhi ki je intern doctor der pathate hobe! I also strictly oppose that. Ami bolechhi je, specialist dr. ra grame ashte chan na bole intern dr der upor ei punishment ashcche.
Ar shorkarer takar kotha keno bolechi, eta 'rag-emon' er comment dekhlei bujhben. Faltu kotha borong sekhanei beshi paben.
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১৪
রাগ ইমন বলেছেন: এত রেগে যাওয়া ভালো না। ভুল মানুষেরই হয়।
২০| ০১ লা জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১৯
ত্রিনিত্রি বলেছেন: তাহলে এই সুব্যাবস্থার জন্য আন্দোলন কারা করবে? গ্রামের মানুষ, নাকি ডাক্তাররা? সরকারের দোষ বুঝলাম, এখন এটা থেকে বেরিয়ে আসতে কি ডাক্তারদেরই এগিয়ে আসতে হবেনা? ডাক্তাররা আন্দোলন করুক তাদের সুবিধার জন্য। তাতে গ্রামের মানুষের অধিকার কেন নষ্ট হবে?
কথক ভাই , এই পয়েন্টে আমার কিছু বলার আছে। আন্দোলন আমরা করি, কিন্তু কঠোর অবস্থানে যেতে পারিনা। যখন গার্মেন্টস সেক্টরের কিছু হয়, তারা কাজ বন্ধ করে দিয়ে রাস্তায় নামে। যখন কোন অন্যায় হয়, মানুষ প্রতিবাদে তার কাজ বন্ধ রাখে, অনশন করে। আমরা এসব কিছুই করতে পারিনা। কারন আমরা যদি কাজ বন্ধ করে হাসপাতাল থেকে বের হই, নিরপরাধ মানুষের জীবন সংশয় হবে। মানবিক এই কারণ আমাদের উপেক্ষা করা সম্ভব না। আমরা আমাদের দাবী আদায় করার জন্য কখনোই রাস্তায় নামতে পারিনা; একারনে সরকার যা ইচ্ছা তাই চাপিয়ে দেয়।
আমি যখন ইন্টার্ন, গত বছরে, আমার নিজের বন্ধু কারণ ছাড়া মাইর খেয়েছে মেডিকেলের মাঝে। তার অপরাধ, সে লিভার ফেইলোরের রুগিকে আগে দেখতে গিয়েছে সেই ক্ষমতাবান মহিলার পায়ের ব্যথার আগে। এখানে সবার বোঝা উচিত, পায়ে ব্যাথা নিয়ে আপনি আরো কিছুক্ষন থাকতে পারবেন, লিভার ফেইলোরের রুগী মৃত্যুপথযাত্রী। আমরা এর প্রতিবাদ জানালাম। কোন ফল হলো না। তখন বললাম আমরা ধর্মঘট করবো। সাথে সাথে বলা হলো, "তুমি তোমার দায়িত্ব থেকে সরলে নিরপরাধ রুগীদের কি হবে?" ঘটনা ওইখানেই ছাড়া হলো। ফল শ্রুতিতে আর ৬ মাস পরে আরেক ডাক্তার লাঞ্চিত হলো।
আমরা স্মারকলিপি দিলাম। অহিংস পদ্ধতিতে যা যা করা সম্ভব সব করলাম। ফলাফল শূন্য। যে দেশে দাবী আদায়ের একমাত্র উপায় বলে সবাই ধরে হরতাল, সেখানে অহিংস পদ্ধতির কি হাল আপনারা সবাই বুঝতেই পারতেছেন।
এখন বলেন, আমরা কোন দিকে যাব?
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১৭
রাগ ইমন বলেছেন: আপনার লেখা ঘটনা থেকে মানুষের শেখা উচিত। সব সময় ডাক্তার এর দোষ - তা তো না- ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে অনেক সময় অন্য রোগীরা সাফার করে।
২১| ০১ লা জুন, ২০১১ বিকাল ৩:২৮
ত্রিনিত্রি বলেছেন: গ্রামে যেতে আমাদের আপত্তি নেই। বিসিএস নামক পরীক্ষা তো এইজন্যই দেই। মানসিক ভাবে গ্রামে কয়েকবছর থাকার জন্য প্রস্তুত হয়েই বিসিএস পরীক্ষার ফর্ম তুলি। কিন্তু হেলথ সেক্টরের বেহাল দশা।
গ্রামের সিংহভাগ সাধারন মানুষের কোন দোষ নেই। কিন্তু তারাও তো জিম্মি কিছু নেতার হাতে। যে নেতা কনট্রোল করে যে ৩টাকার টিকিটে দেখানো যাবে না, ১০০ টাকা দিয়ে দেখাতে হবে। আর সব ডাক্তারের ফ্যামিলিয়াল অবস্থাও ভালো না। যারা আমার সিনিয়র আপুর মত প্রতিবাদ করে, তাদের বলা হয় "আর আসার দরকার নেই"। আমার সিনিয়র আপুর পারিবারিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো। সে নিজের ডিগনিটি রাখার জন্য যদি চাকরী ছেড়েও দেয়, তার তেমন কোন ক্ষতি হবে না, ক্যারিয়ার ছাড়া। কিন্তু অনেক দরিদ্র পরিবারই ৫ বছরের খরচ চালানোর পরে বলে যে আর টাকা দিতে পারবেনা, টাকা পাঠাও। তারা কিন্তু চাকরী ছাড়তে পারে না। ওই চক্রের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য থাকে। কারন যার কাছে নালিশ করবে, সেই তো সেই চক্রের মাঝে আছে।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১৭
রাগ ইমন বলেছেন: ঠিক ।
২২| ০১ লা জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫৫
একাকী বালক বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আর, ইন্টারনেট?
আর, টেলিফোন?
>>> টেলকোর একজন কামলা হিসাবে বলতে পারি। খুব কম চিপাই আছে যেখানে এখন কভারেজ নেই। কাছে থাকুন।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:২১
রাগ ইমন বলেছেন: এখানে ফিক্সড ফোন লাইনের কথা বলেছি ভাই। মোবাইল এর কভারেজ বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত টেনেও লাভ নেই যদি সেই ফোন ঠিক মত কাজে লাগানো না যায়।
ফিক্সড ফোনের কথা বলার আরেকটা কারণ হলো সেই একই লাইন দিয়ে ইন্টারনেটও দেওয়া সম্ভব।
মোবাইল, ফিক্সড দুইটাই দরকার- একটা আরেকটার ব্যাক আপ হিসেবে কাজ করার জন্য।
২৩| ০১ লা জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১২
সরলতা বলেছেন: রাগ ইমন আপু,আমার মনে হয় ইর্ন্টানশীপের সময় বেতন বাড়ানোটা সবচেয়ে আগে প্রয়োজন। বাকি সুবিধা সরকার দিতে না পারুক,এটা অবশ্য-ই দেওয়া উচিত। কারণ যেখানে একজন নন-মেডিকেল ছাত্র চার বছরে পড়াশোনা করে বের হয়ে চাকরি খোঁজা শুরু করে সেখানে একজন ডাক্তারের পাঁচ বছর পড়ার পর আবার দুই বছর স্বল্প বেতনে ইর্ন্টান করতে হবে। বাবা-মা'র ঘাড়ের উপর বসে খাওয়া আর কতদিন?! সাত বছর পর একজন সন্তানের বাবা -মাকেই দেখভাল করা উচিত,দশ হাজার টাকা বেতনে সেটা কতটুকু সম্ভব জানিনা। তার উপর ইর্ণ্টানের এক বছর পরিবার থেকে বিছিন্ন থাকতে হবে। নিরাপত্তাজনিত ব্যাপার ও আছে। হেলথ কমপ্লক্সে মেয়েদের বা ছেলেদের থাকার ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার পোষ্টের আলোচিত ব্যবস্থাতে সহমত জ্ঞাপন করছি।
পলাশ ভাই,আপনার কমেন্ট আমার বেশ ভাল লেগেছে। আপনি যে যুক্তি দেখিয়েছেন,আমার মনে হয়,আপনি ভুল বলেননি।
তবে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনায় কি ডাক্তারদের এগিয়ে আসাই উচিত না?
--আপনার কমেন্টের এই লাইনটা প্রসঙ্গে আমার জানা একটা ঘটনা উল্লেখ করি। ঘটনাটা আমাদের কলেজের একজন স্যারের থেকে শোনা।
সরকার কয়েক বছর আগে ওষুধের কাঁচামালের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই ওষুধের দাম বেড়ে যায়। আমাদের কলেজের একজন স্বনামধন্য শিক্ষক আবু সায়ীদ স্যার তখন কলেজের অনেক ছাত্র এবং বারডেম ও অন্যান্য মেডিকেল কলেজের স্যারদের নিয়ে শাহবাগে একটা মানববন্ধন করেছিলেন--প্রতিবাদের বিষয়--গ্রামের মানুষরা এবং দরিদ্র মানুষেরা এমনিতেই চিকিৎসাসেবা কম পায়,ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিলে চিকিৎসাসেবা তাদের জন্য দূরূহ হয়ে যাবে। কাজেই ওষুধের দাম কমানো হোক। মানববন্ধনের সময় সব টিভি চ্যানেল,পেপার থেকে স্যারের সাক্ষাৎকার নিয়ে যায় এ বিষয়ে।
স্যার সেদিন সারাদিন আশায় ছিলেন,নিউজটা কোন একটা চ্যানেলে বলা হবে,সরকারের উপর একটা চাপ সৃষ্টি করা যাবে। কিন্তু সেই মানববন্ধনের খবর কোথাও বলা হয়নি। এমনকি পরের দিন পেপারে এরশাদ-বিদিশার বিয়ে ভাঙ্গার রসালো খবর ছিল কিন্তু ওষুধের দাম বাড়ানো নিয়ে প্রতিবাদের কোন খবর ছিলনা। আমাদের স্যার খুব আশাহত হয়ে এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেন এবং জানতে পারেন সালমান এফ রাহমান এবং তার গ্যাং থেকে পেপার ও টেলিভিশন চ্যানেলে হুমকি দেওয়া হয়েছে ওষুধের দাম কমানো নিয়ে মানববন্ধনের খবর যেন কোথাও প্রকাশ করা না হয়। প্রকাশ করলে সেই টিভি চ্যানেলের/পেপারের খবর আছে!
অনেক ডাক্তার-ই রোগীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা চিন্তা করে সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন,কিন্তু আমরা বা আমজনতা যেহেতু কোন তথ্যের টিভি বা পেপারের উপর নির্ভরশীল,তাই ডাক্তারদের করা প্রতিবাদ বা সমালোচনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়না। সরকারের কার্যকলাপের বিরোধিতা করলে কুঁড়ি ফোটার আগেই তা থামিয়ে দেওয়া হয়। কোন এক অদ্ভুত কারণে,কিংবা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির আশায় সরকারের কাছের লোকজনের হুমকি-ধামকিতে সরকার ঘুমিয়ে থাকে। এটা মেডিকেলসহ সব সেক্টরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। Now politics is a game!
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:২৩
রাগ ইমন বলেছেন: সরলতা, এই কমেন্ট এ যে ভয়াবহ অবস্থার কথা উঠে এসেছে- সেই অবস্থা সম্পর্কে মানুষ ভালো করে জানে না। আর জানে না বলেই পাগলের মত কথা বলে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৪| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ৯:৪০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আমরা দেশ টা কে স্বাধিন করেছিলাম একটা সপ্ন নিয়ে, দেশটা হবে সমাজতন্ত্রের আলোকে একটা welfare state. যেখানে মানুষ বিনামুল্যে বা সল্পমুল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থসেবা পাবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ মানুষের অধিকার, এটা কোন সুযোগের ব্যাপার না, মৌলিক অধিকার।
রাশিয়া-পুর্ব ইওরোপ সহ সমগ্র ইওরোপে প্রায় সম্পুর্ন বিনামুল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থসেবা পায়। (tax-vat একটু বেশী দেওয়ার বিনিময়ে)। মার্কিন যুক্তরাষ্টে সহনিয় মাত্রার health insurance premium এর মাধ্যমে সকল মানুষ বিনামুল্যে স্বাস্থসেবা পায়।
আমাদের দেশে(9% spend for healtcare from annual budget) সরকারি হাসপাতালে কোন treatment হয়না, Unicf এর দেওয়া মুল্যবান equipment এর বাক্সই খোলা হয় না বারান্দায় পড়েথেকে নষ্ট হয়, এগুলো চালু করলেই তো তাদের ব্যাবসা কমে যায়।
সেই সরকারি ডাক্তারই হাসপাতালের বাইরে গিয়ে ব্যাবসাপ্রতিষ্টান তৈরি করে প্রচলিত বাজারমুল্যের ১০ গুন বেশি দামে সেবা বিক্রি করে।
কেন ? কেন একজনকে Heart bypass operation করাতে জমিজমা বিক্রী করে সর্বসান্ত হতে হবে ?
মাফিয়া সিন্ডিকেট ভেংগে কবে হবে আমাদের সোনার বাংলা ?
Click This Link
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:২৭
রাগ ইমন বলেছেন: সমস্যার যে দিকটা তুলে ধরলেন তার সবটাই পলিসির সাথে জড়িত। এখানে ডাক্তারদের তেমন কিছু করার নেই। দরকার পলিসি লেভেলে পরিবর্তন।
২৫| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ৯:৪৮
রিপেনডিল বলেছেন: মন্ত্রণালয় বলেছে, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শিক্ষানবিশকালের মেয়াদ বাড়ানো বা এক বছর গ্রামে থাকার বিধান রাখার তথ্য সঠিক নয়।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:২৭
রাগ ইমন বলেছেন: মন্ত্রণালয় তো নিজের গা বাচালো । কিন্তু গ্রামের মানুষের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কি হবে?
এইটাত কোন সমাধান হইলো না।
২৬| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১০:১৫
এ কে এম ওয়াছিয়ুন হালিম বলেছেন:
যে যা বলেছেন বলেন, আমি এখন একটা কথাই ভাবি, প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় 'আমার জীবনের লক্ষ্য' রচনা লিখতে গিয়ে ঠিকই গোটা গোটা হরফে লিখেছেন আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই, ডাক্তার হয়ে আমি ফিরে যাব আমার গ্রামে, গ্রামের দুস্থ আর অসহায় মানুষদের পাশে থেকে তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করব। উন্নত সেবা পৌঁছে দেব সুবিধা বঞ্চিতদের দোরগোড়ায়।
তখন কি এসব ভেবে দেখেছেন? কত টাকা খরচ করতে হবে ডাক্তার হতে? কত বছর লাগবে? গ্রামে নিরাপত্তা থাকবে কিনা?? ইন্টারনেট থাকবে কিনা? এসিস্ট্যান্ট থাকবে কিনা? পরিবার চালানোর মত ইনকাম করা যাবে কিনা!!
সব জ্ঞানির হেড অফিস!!! জ্ঞান অর্জন করে মহাবিজ্ঞ হয়ে গেছে!! খেয়াল করে দেখুন সরকারি মেডিকেল কলেজে + হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করেছেন, আপনার শিক্ষা বাবদ যত টাকা খরচ হয়েছে তার সবটাই কি আপনি বাবার বাড়ি থেকে এনে দিয়েছেন?
এসব খাতে সরকার যেই ভর্তুকি দিয়েছে, এই টাকা আম জনতার ঘামের বিনিময়ে অর্জিত প্রবৃদ্ধি থেকেই এসেছে---
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৩২
রাগ ইমন বলেছেন: জ্বি, আপনিও স্কুলে পড়ার সময় বিবি খাদিজার রুপ গুণের অনেক বর্ননা লিখে লেটার পেয়েছিলেন। মুহম্মদ (সাঃ) এর অনেক প্রশংসা করেছিলেন। এখন বিয়ে করার সময় এলে কি বিধবা ৪০ বছরের কাউকে বিয়ে করবেন?
জ্ঞান আছে বলেই জ্ঞানের হেড অফিস ও খুলতে পেরেছি। আপনার নাই, আপনি খুলবেন কি করে?
২৭| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১০:২৪
রিপেনডিল বলেছেন: সরকারের টাকায় শুধু ডাক্তাররাই পড়াশুনা করে না সব সরকারী স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির লোকজন ও পড়ে। ছোট বেলায় ডাক্তার হব এই রভনা যেমন লেখছেন তার চেয়ে বেশি লেখছেন শিক্ষক হওয়ার কথা। শিক্ষক হব্যে দেশ ও জাতির মেরুদন্ড ধরবেন, গরীব ছাত্রদের বিনামূল্যে পড়াশুনার ব্যবস্থা করবেন আরো কত কি।
ডাক্তারী একটি পেশা, আর একটি পেশা উপর একজন মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। ডাক্তারি মানে শুধুই সেবা নয় বরং সেই সেবার উপযুক্ত মূল্য ও ডাক্তার কে দিতে হবে। আর যদি শুধু সেবাই হয় তাহলে বলে দিক তিন পুরুষের জমিদারী যার আছে সেই শুধু ডাক্তারি পড়তে পারবে শুধুমাত্র সেবা করার উদ্দেশ্যে।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৩৪
রাগ ইমন বলেছেন: সহমত।
ঠিক মত ডাক্তারী সেবা দিতে গেলেও যে কিছু ন্যুনতম সুযোগ সুবিধা থাকতে হয়, এই জ্ঞানটা পর্যন্ত এদের নাই!
ভাবখানা এই রকম , গ্রামে বিদ্যুৎ গেলে শুধু ডাক্তারের পরিবারই ব্যবহার করবেন- অন্য কারো সুবিধা হবে না!
২৮| ০২ রা জুন, ২০১১ রাত ৩:১১
স্তব্ধতা' বলেছেন: স্বাস্থ্যনীতি পড়িনাই, হাতেও পাই নাই।
ত্রিনিত্রির চিত্রটা বাস্তব।
কথক পলাশের কথা গুলোও ভীষন যৌক্তিক এবং ত্রিনিত্রির মূদ্রার আরেক পিঠের চিত্র।
আপনার প্রস্তাবনাগুলো এ দুজনের মধ্যে ব্যবধান কমানোর তড়িকা।এখন প্রশ্ন হলো, আপনার সমস্ত প্রস্তাবনা হয়তো এই মূহুর্তে বাস্তবায়ন হবেনা, সেক্ষেত্রে 'ইন্টার্নী ডাক্তার পাঠানোর' সিদ্ধান্তটা কতটুকু যৌক্তিক, মূল আলোচনা দেখলাম সেদিকেই গড়িয়েছে।
'গ্রাম' বলতে বোধ হয় উপজেলা লেভেল বুঝিয়েছে।কারন গ্রামে কোন স্বাস্থ্য অবকাঠামো নাই।ইউনিয়ন লেভেলে আছে এফডব্লিউসি, সেটা খুব বেসিক, অনেক সময়ই তালা মারা থাকে।তাহলে ধরে নিচ্ছি গ্রাম' বলতে বোঝানো হয়েছে উপজেলা।উপজেলা গুলোতে ইউএইচসি আছে।সেখানে আছে, ইউএইচও (@ত্রিনিত্রি, উনি কিন্তু সম্পূর্ণ এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ নন), ইউএফপিও।এরা দুজন এমবিবিএস এবং এর পরের প্রোমশনাল পোষ্টটিই হচ্ছে সিভিল সার্জন, যেখানে পৌঁছতে হলে চুল-দাড়ি পেকে যেতে হয়।সুতরাং এদের অভিজ্ঞতাটা ব্যাপক।এদের অধীনে প্রতি ইউনিয়নে আছে এমওএমসি, এমওসি, প্যারাএমিডক (তিন জন ইউনিয়ন প্রতি), ওয়ার্ড প্রতি দুইজন করে এইচএ, এফএ।একজন ইন্টার্ন ডাক্তার এর এদের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছুই শেখার এবং তাদেরকেও দেবার আছে। সেদিক থেকে ইন্টার্নী ডাক্তারদের ওখানে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পাঠানোটা ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে করি।এবং যেখানে সারাদেশেই অপ্রতুল দক্ষ জনশক্তি, সেখানে পোষ্ট খালি না থাকলে ইন্টার্নীদের জন্য এই জনসংখ্যা একদম কম নয়।
তবে, অবকাঠামোটা আর নিরাপত্তার ব্যপারটা গুরুত্বপূর্ণ। কথক পলাশের কথা অনুযায়ী অবকাঠামোটা মেনে নিলেও, মেয়ে ইন্টার্নীদের নিরাপত্তা দেবার দায়িত্ব কে নেবে? কেদারামানুষদের দৌরাত্ম আর ইভটিজিং (এখন বোধ হয় কিলিংটাকেই টিজিং বলা হয়) যে পর্যায়ে, তাতে গ্রামে ইন্টার্নী ডাক্তার পাঠানোর সিদ্ধান্তে শঙ্কিত না হয়ে পারিনা।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৩৯
রাগ ইমন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। দেখুন, কেউ কিন্তু বলছে না ' আমরা গ্রামে যেতে চাই না"। বলছে, কিছু সুযোগ সুবিধা, নিরাপত্তা দাও- আমরা যেন ওখানে গিয়ে কার্যত মারা না পড়ি।
এরপরেও কথা থাকে। নাম মাত্র বেতনে, সার্টিফিকেট আটকে রেখে , ব্ল্যাক মেইল করে কতটুকু সেবা পাওয়া সম্ভব? ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্রে কেন ডাক্তার থাকে না- সেইটার কারণ অনুসন্ধান করে সমাধান করার চেষ্টা না করে এই গলায় পা চেপে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার পদ্ধতি মোটেও কার্যকরী হবে না।
এমন উদ্ভট স্বপ্ন না দেখে সবার উচিত আরেকটু রিয়েলিস্টিক হওয়া।
২৯| ০২ রা জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫৪
এ কে এম ওয়াছিয়ুন হালিম বলেছেন:
@ রিপেন্ডিল
কথাটি সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, দেশে কয়জন ডাক্তার তার পেশাদারিত্তের পাশাপাশি মানবতা বিবেচনা করেন?
কয়জন ইঞ্জিনিয়ার বিবেচনা করেন তার অধীনে সম্পাদিত কাজ দেশের সম্পদ, এই সম্পদ নির্মাণে চুরি বা অনিয়ম হলে দেশের ক্ষতি, কয়জন শিক্ষক মনে করেন তার পেশা মানুষ গড়ার জন্য, টিউশনি করে সম্পদের পাহাড় বানানোর জন্য নয়। একজন কলেজ শিক্ষক তার কলেজের ছাত্রেরই ফটো এটেস্টেড করার সময় দিতে চাননা, কোন ছাত্রের জন্য স্পেশাল কিছু সময় দিতে চান না, একজন ডাক্তার যখন ভালো ডিগ্রি নিয়ে আসেন তখন তার সাক্ষাত পেতে হলে হাজার হাজার টাকা গুনতে হয়, যারা তাদের সেবা নিয়ে থাকেন তাদের অভাব নেই, তাই কোনপক্ষেই সমস্যা হয়না, একজন ইঞ্জিনিয়ার কখনই দেশের অবকাঠামো নির্মাণে অনিয়ম ঠেকাতে একটিভ থাকেন্না, শুধু তার বিদেশ ভ্রমনের খরচ, ফ্যামিলির বাজার খরচ, বিদেশে শপিং খরচ ঠিকাদার পরিশোধ করলেই ব্যাশ-----
তা এম্বিবিএস করে সরকারী চাকরীর দরকার কি!! এফসিপিএস, এমারসিপি বা হাইয়ার ডিগ্রি নিয়ে নিজে ক্লিনিক খুলে বস্লেইতো হয়, দুইএকজন সিনিয়র ডাক্তার আপনার প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে, এর মধ্য দিয়ে আপনাদের সব সমস্যা সমাধান হবে।
সরকারী চাকরি নিয়ে তো পারসোনাল ক্লিনিক নিয়েই থাকবেন---
মাইন্ড করলে দুঃখিত, আপ্নারা মেধাবী বলেই সুযোগ পেয়েছেন উচ্চতর শিক্ষার, আমার বাবার টাকা থাকেলেও আমি অত মেধাবী নই বলে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ নেই--- কিন্তু আপনাদের মেধাবীদের এটিচিউড দেখে মনে হয় মানবতাহীন মেধাবী না হয়ে ভালই হয়েছে।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪১
রাগ ইমন বলেছেন: আপনার কথা বার্তায় আবেগ বেশি।
যুক্তি কম।
জ্ঞান বা ডাটা আরো কম।
ইমোশনাল কথা বার্তা না লিখে সমাধান চিন্তা করেন। কাজে দিবে।
৩০| ০২ রা জুন, ২০১১ সকাল ১১:১৪
সবখানে সবাই আছে বলেছেন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার অবস্থা শোচনীয় শুধুমাত্র সিস্টেম ঠিক নাই বলে। আর মানুষের ডাক্তার সম্বন্ধে অনেক ভুল ধারনা। ডাক্তার দের কে মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্ত সমাজ চাকর হিশাবেই গন্য করেন। তাদের ধারনা গাড়ি দেখার জন্য যেমন ড্রাইভার আছে সেইরকম শরীর দেখার জন্য ডাক্তার আছেন। আর ডাক্তার দের সমস্যা হল তারা সেই ব্যাবস্থা কে আত্তীকরন করে ফেলেছেন। নতুন ডাক্তার দের মধ্যে কিছুটা হলেও এখন খোলামেলা চিন্তা ধারা দেখতে পারছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না আদতে। কেননা প্যারাসিটামল দেয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ লাগে না। কিন্তু উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্ত ওই মাথাব্যাথার জন্য স্কয়ারে গিয়ে বসে থাকবে। আর ডাক্তার দের ধারনা যেহেতু আমি এই কাজ করেই এত এত টাকা পাচ্ছি সেহেতু আমার দোষ কথায়। এটা আসলে নৈতিকতার দোষ নয়। উপরে অনেকেই নৈতিকতার দোষ দেখেন। কিন্তু সমস্যা হল সিস্টেম এ। দরিদ্র মানুষের জন্য ডাক্তার অবশ্যই দরকার। কিন্তু তাকে পর্যাপ্ত সুযোগসুবিধা না দিলে কিভাবে সে কাজ করবে?
তবে ডাক্তার রাও দায় এড়াতে পারবেন না। কারন ঢাকা শহরের কয়জন ডাক্তার ৯ জন আসিস্ট্যান্ট নিয়ে কাজ করেন নিজেদের প্রাইভেট ক্লিনিকে সেটা আর নাই বা বললাম।
এটা নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি অনেক হবে। কিন্তু মূল সমস্যা কেউ দেখবে না।
আর দেশের বাইরে থেকে এটুকু বুঝেছি যে মেডিসিন দেওয়া ডাক্তার এর কাজ নয়। এর পুরো দায়িত্ব ফার্মাসিস্ট দের। ডাক্তার এর কাজ হল রোগ নির্নয় করা। আর বিদেশে আমি এমবিবিএস ডাক্তার দের আসলে রিসার্চ টাইপ আর ম্যানেজমেন্ট আর কমুনিটি কাজ করতেই দেখিছি।চেম্বার বলে কিছু দেখি নাই। জানিনা ওটাই সঠিক সিস্টেম কিনা কারন আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া তেও মানুষ চিকিতসা সেবার অভাবে মারা যায়।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৩
রাগ ইমন বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।
শুধু একটা কথা ভুল বুঝেছেন।
৯ জন প্যারা প্রফেশনাল লাগে ডাক্তারের জন্য না, রোগীকে সম্পূর্ণ সেবা দিতে।
ঐ প্যারা প্রফেশনালরা নাই বলেই ঢাকায় বসেও আমরা আপনারা সঠিক চিকিৎসা পাই না।
৩১| ০২ রা জুন, ২০১১ সকাল ১১:৪৬
রিপেনডিল বলেছেন: @এ কে এম, কি বুঝাতে চাইলেন বুঝলাম। না আমিও সব সেক্টরের কথাই বলছি, দূর্নীতি অনিয়ম সব ক্ষেত্রেই আছে। দোষটা শুধু দোষীর নয়, সিস্টেমের দোষটাও অনেকখানি। মানুষ ঘুষ খায় হয় চাপের মুখে, বা বাধ্য হয়ে অথবা যে পারিশ্রমিক তাকে দেয়া উচিত তার কাছাকাছিও কিছু পায় না বলে, আর কিছু লোক ঘুষ খায় অভ্যাস বশত। সেবার মান ভাল করতে হলে সেবাদাতার মূল্যায়ন প্রয়োজন, উপযুক্ত সহায়তা প্রয়োজন।
আপনি বললেন বড় ডাক্তারদের দেখাতে গেলে হাজার হাজার টাকা গুনতে হয়। একজন ডাক্তারের ভিজিট বাংলাদেশে সর্বোচ্চ কত হতে পারে? ১ হাজার বা ২ হাজার? আর একজন ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে কাজ করাতে গেলে ঠিকই তো লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে চলে যায়। কি বলবেন তাদের? আমি বলছি না ওরা ঘুষ খায় বলেই ডাক্তারদেরও অনিয়ম করতে হবে। কিন্তু আপনি তুলনা করলে দেখবেন বাইরের দেশগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার খরচ অনেক অনেক বেশী। আমাদের দেশে অনেক সস্তা। যে সরকারী চাকরি করছে সে যদি চাকরী ক্ষেত্রেই উপযুক্ত পারিশ্রমিক আর সহযোগীতা পায় তাহলে তার দরকার হয় না অনিয়ম করার।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৩
রাগ ইমন বলেছেন: সমস্যা বেশির ভাগই সিস্টেমের, মানে পলিসির।
৩২| ০২ রা জুন, ২০১১ রাত ১১:৫২
ডাঃ নিয়াজ বলেছেন: এই লজ্জা রাখি কোথায়? (প্রসংঙ্গঃ ইন্টার্নী ডাক্তারদের গ্রামে এক বছর ইন্টার্নী করতে হবে)
০৫ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৩
রাগ ইমন বলেছেন: পড়লাম। আপনি কিন্তু সমাধান নিয়ে আলোচনা করলেন না। একদিনে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না। কিন্তু এমন কিছু প্রস্তাব করুন যাতে গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পায় আর ডাক্তারওঁ জান মাল নিয়ে বাঁচতে পারে।
০৫ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৫
রাগ ইমন বলেছেন: আরেকটা কথা ,
ব্লগে লিখতে এসেছেন , কিছু ব্যাপারে মাথা ঠান্ডা করে চলতে শিখুন। আপনি ধরেই নিচ্ছেন যে আপনি যা বলতে চাইছেন- সেই কথা গুলো সবাই বুঝতে পারবে। এবং যারা বিরোধিতা কিংবা রাগারাগি করছে - তারা সবাই জেনে বুঝেই করছে।
তা কিন্তু নয়। আপনি একজন ডাক্তার- আপনি কি পরিমাণ কষ্ট করে ডাক্তার হয়েছেন - এইটা এই সব পাঠকের মধ্যে যারা ডাক্তার এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করেছেন - শুধু তারাই বুঝবেন। অন্যরা ভাব নিবেন যে খুব বুঝেছেন - কিন্তু আসলে বুঝা সম্ভবই না।
এইখানে যেই দুজনকে আপনি ছাগল পাগল বলে বাতিল করে দিতে চাইলেন তাদের আপনাকে বুঝার ক্ষমতা কতটুকু? একটু চিন্তা করে দেখেন।
আপনি বলেছেন , আপনি গ্রামে কাজ করেন। এর উত্তরে একজন দেখিয়ে দিলেন উনিও গ্রামে কাজ করেছেন। গ্রামাঞ্চলে একটা টাওয়ারের উপরে উঠার কষ্ট আর যন্ত্রপাতি নাই, নার্স নাই, অষুধ নাই, অপারেশনের কক্ষ নাই, থাকলেও বেহাল অবস্থা, এনেস্থেশিয়া করার লোক নাই- অথচ মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে---- এইটার কষ্ট কি তুলনা করার মত?
একজনের কাজ নষ্ট হবে কয়েক লাখ লোক ফোনে কয়েক ঘন্টা কথা বলতে পারে না। ইন্টারনেট স্লো থাকে। আরেকজনের কাজ নষ্ট হলে মানুষ মরে যায়। যেইটা আর কখনোই কোন ভাবেই ফিরায় দেওয়া সম্ভব না। --- এই দুই পেশার দায় , দায়িত্ব, রিস্ক, সিকিউরিটির প্রয়োজনীয়তা এক রকম বলে ভাবছেন?
ভাই রে, আমি আমার আম্মাকে পর্যন্ত বুঝাইতে ব্যর্থ হয়েছিলাম কেন ফাইনাল ইয়ারে উঠে আমি পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম। এইটাই ডাক্তারদের জীবন। প্রতিনিয়ত ভুল বুঝাবুঝি। ছুটি নাই- শুক্রবার নাই- বিয়ে জন্মদিন জানাজা নাই - স্বামী বা স্ত্রী ডাক্তার না হইলে পরিবারের মানুষটারও অভিযোগের অন্ত নাই। এইটা মুদ্রার এক পিঠ।
আবার মুদ্রার অন্যপিঠে আছে উপরে যত মানুষ যত রকমের অভিযোগ করে গেলেন- সেই সব। তাদের কষ্টকে আপনি আক্রমণ হিসেবে নিচ্ছেন কেন? আমাদের অভিযোগ করার জায়গা নাই- তাই পরিচিত যেই ডাক্তার পাই, ঝালটা তার উপরেই ঝাড়ি। আমাদের প্রতিকার পাওয়ার পথ নাই - তাই কষ্ট ক্ষোভ বিদ্বেষ সবটাই যে কোন ডাক্তার এর উপরে গালি, মাইর ইত্যাদি হিসেবে ঝেড়ে দেই।
বাংলাদেশে গ্রামীনের ইঞ্জিনিয়ারের ভুলে বাংলা লিংকের ইঞ্জিনিয়ারের চাকুরী যায় না । সিটিসেল বেশি বেশি টাকা নিয়ে সার্ভিস না দিলে গ্রামীন কিংবা বাংলা লিংকের ইঞ্জিনিয়াররা গণপিটুনি খায় না- কেউ দেওয়ার কথা বলেও না। কিন্তু কি এক অদ্ভুত কারণে- বাংলাদেশের সকল ডাক্তারের জাত এক, নাম এক, বয়স এক, মেধা এক, আচরণ এক বলে ধরে নেওয়া হয়।
আমি যখন চিকিৎসকের অবহেলার কারণে আমার বাবার অন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা বলি ---- তখনও আমি ভুক্তভোগী নই , আমি " কসাই ডাক্তার" ।
এইটা কেউই দেখতে রাজি নয় যে দোষ গুলার বেশির মূল হচ্ছে সিস্টেম। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রশাসন ব্যবস্থার বাইরে নয়। ফলে, প্রশাসনিক অবকাঠামোর সব কয়টা দোষ - অব্যবস্থা, প্লানিং এর অভাব, দক্ষতার অভাব, বেতনের বৈষম্য, সুযোগ সুবিধার অসম বন্টন, শ্রেনী শোষণ, টেকনোলজি ব্যবহার না করা, দুর্নীতি, ঘুষ , পলিটিক্স, টেন্ডারবাজি --- এই সব কিছুই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভিতরে আছে।
পার্থক্য কেবল ঐ এক জায়গায় - অন্য সব মন্ত্রনালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে রাস্তা ঘাট ভাঙে, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কারণে মানুষ মরে।
অন্যান্য সেক্টরের ক্ষতি গুলা সরাসরি গায়ে লাগে না। কিন্তু স্বাস্থ্য সেক্টরের ক্ষতিগুলা সরাসরি চোখের সামনে দেখতে পাওয়া যায়, ক্ষতি গুলা সাথে সাথেই ফিল করা যায়- তাই ডাক্তাররা কসাই- বাকি পেশার লোকজন সব ডার্লিং , প্রেমিক পুরুষ।
এবং মুর্খের দৌড় যেহেতু বেশি দূর না - তাই তাদের দেওয়া সমাধান গুলাও মূর্খের মতই। হয় মার মার কাট কাট , নয়ত " আসুন আপনারা সবাই ভালো হয়ে যান, নামায কালাম পড়েন- দেশের সেবা করেন" - টাইপ।
মূর্খের পক্ষে এইটা বুঝা সম্ভব না যে এইভাবে "সেবা করুন" বলে সিস্টেমের সমস্যার সমাধান হয় না।
এইটা একটা সিস্টেমেটিক সমস্যা । এর সমাধানের জন্য একটা সিস্টেমেটিক সলুশন ডিজাইন করা প্রয়োজন। যেইখানে কেউ সেবা করার মনভাব নিয়ে ডাক্তার হোক আর না হোক, সেবা দিতে বাধ্য থাকবে - পাশাপাশি সেবার সঠিক মূল্যও সে পাবে।
যেখানে দেশের বাকি সকল পেশার মানুষের একমাত্র স্বপ্ন ঢাকায় বাড়ি বানিয়ে ঢাকায় থাকা, সব কয়টা সরকারের উন্নয়নের মূলনীতি হইলো ঢাকার উন্নতি - সেখানে একমাত্র ডাক্তারদের গলায় পা চেপে গ্রামে পাঠানোর চেষ্টা করে কোন লাভ নেই। এইটা ব্যাক ফায়ার করবেই।
বরং যেই সুবিধা গুলো ঢাকায় আছে এবং গ্রামে নেই- সেই সুবিধা গুলো গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন --- এতে গ্রামেরও উন্নতি হবে, ডাক্তারদেরও ঢাকায় ছুটতে হবে না।
৩৩| ০৩ রা জুন, ২০১১ সকাল ৯:৩৫
এ কে এম ওয়াছিয়ুন হালিম বলেছেন:
@ রিপেন্ডিবল
আপনি তুলনা করলে দেখবেন বাইরের দেশগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার খরচ অনেক অনেক বেশী। আমাদের দেশে অনেক সস্তা। যে সরকারী চাকরি করছে সে যদি চাকরী ক্ষেত্রেই উপযুক্ত পারিশ্রমিক আর সহযোগীতা পায় তাহলে তার দরকার হয় না অনিয়ম করার।
আপনি কি বাংলাদেশের অর্থনীতি আর ইউরোপের অর্থনীতিকে একই মাপকাঠিতে পরিমাপ করছেন???
উন্নত দেশের মাথাপিছু আয় আর আমাদের স্বল্পোন্নত (আদতে অনুন্নত) দেশের মাথাপিছু আয় কি সমান??? নাকি কাছাকাছি মানের?? দেশের প্রবৃদ্ধি আর জাতীয় আয়ের উপর নির্ভর করবে সরকারী আমলার আয়স্তর।
বহুজাতিক কোম্পানি ঠিকই লাখ লাখ টাকা মাসহারা দিয়ে কর্মকর্তা পুষে, তাই বলে সরকার কিভাবে সমান হারে এই মাসহারা দিবে!!!
মোদ্দা কথা যারা পাবলিক সার্ভিস করতে ইচ্ছুক তাদেরকে অবশ্যই দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি মেনে নিয়েই মাঠে নামতে হবে।
আর গ্রামে নারী ডাক্তারদের নিরাপত্তা বিষয়ে যা বলা হচ্ছে, আমার জানামতে বিশ্বের উন্নত দেশসমুহেও এখন নারীরা বিড়ম্বিত হন শুধুমাত্র নারী বলেই। আমেরিকায় প্রতি পাঁচ মিনিটে একজন নারী রেপড হন। নারী যতই গলা বড় করুক সৃষ্টিতত্ত্ব এড়ানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। আগামি পাঁচশ বছরেও এটা সমাধান হবেনা, হয়তো এটা ধরন বদলাবে মাত্র।
চর্যাপদে বলা হয়েছে 'আপনা মাংশে হরিনা বৈরি'
নারী চাইলেও তার এই স্বজাত্য ডিঙ্গাতে পারবেনা।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৬
রাগ ইমন বলেছেন: আর গ্রামে নারী ডাক্তারদের নিরাপত্তা বিষয়ে যা বলা হচ্ছে, আমার জানামতে বিশ্বের উন্নত দেশসমুহেও এখন নারীরা বিড়ম্বিত হন শুধুমাত্র নারী বলেই। আমেরিকায় প্রতি পাঁচ মিনিটে একজন নারী রেপড হন। নারী যতই গলা বড় করুক সৃষ্টিতত্ত্ব এড়ানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। আগামি পাঁচশ বছরেও এটা সমাধান হবেনা, হয়তো এটা ধরন বদলাবে মাত্র।
চর্যাপদে বলা হয়েছে 'আপনা মাংশে হরিনা বৈরি'
নারী চাইলেও তার এই স্বজাত্য ডিঙ্গাতে পারবেনা
------------------------------ এই যে এত্ত বড় একখান জ্ঞান ঝাড়লেন, সমাধান কি হবে তাহলে?
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে , মেয়ে ডাক্তাররা তাদের শরীরের আকৃতির কারণে একটু আধটু রেপ টেপ হতেই পারে, মেনে নিলেই তো হয়- নাকি?
আপনার মা জানে আপনি কত বড় কুলাঙ্গার?
৩৪| ০৩ রা জুন, ২০১১ দুপুর ২:০৭
পটল বলেছেন:
সেবার জন্য যার জীবন ব্রত
তার কাছে সুবিধার প্রাচুর্য কতটুক থাকা উচিত সেটা ভাবার বিষয়!
সবার আগে দরকার
ডাক্তারদের মানসিক শিক্ষা! মানব সেবা, মানুষ, মমত্ববোধ, ভালোবাসা, দেশ, জনগন, সামাজিক অবস্থা ও আর্থ সামাজিক পরিবেশ এগুলা ভালো করে শেখানোর ও হৃদয়ঙ্গম করার জন্য মেডিকেল পড়ায় আলাদা অন্তত ৬ মাসের কোর্স থাকা উচিত।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৭
রাগ ইমন বলেছেন: না বুঝে মন্তব্য করলেন। এখানে কেউ প্রাচুর্য্য চায় নাই।
মৌলিক চাহিদা মেটানোর কথা বলেছে। ন্যুনতম চাহিদার কথা বলেছে।
৩৫| ০৩ রা জুন, ২০১১ দুপুর ২:৩১
ইলুসন বলেছেন: এ কে এম ওয়াছিয়ুন হালিম বলেছেন: সব জ্ঞানির হেড অফিস!!! জ্ঞান অর্জন করে মহাবিজ্ঞ হয়ে গেছে!! খেয়াল করে দেখুন সরকারি মেডিকেল কলেজে + হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করেছেন, আপনার শিক্ষা বাবদ যত টাকা খরচ হয়েছে তার সবটাই কি আপনি বাবার বাড়ি থেকে এনে দিয়েছেন?
আমার বাপ রেগুলার ট্যাক্স দেয়। সরকার আমাদের যে টাকা দিয়ে পড়াচ্ছে তার মধ্যে আমার আত্মীয়স্বজনদের টাকাও আছে। আর আমি সরকারকে বলি নাই আমাকে বিনা পয়সায় পড়াও। সরকারের সিস্টেমই এটা। আমি আমার যোগ্যতা দিয়ে পড়ার সুযোগ করে নিয়েছি। মেডিকেল ছাড়াও সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে সরকার পড়ায়। তাদেরকেও সরকারের উচিৎ দুই বছর নাম মাত্র টাকা দিয়ে খাটিয়ে নেয়া। একমাত্র মেডিকেলের স্টুডেন্টরাই আছে যারা ডাক্তার হবার আগে পরে বিনা পয়সায় মানুষের অনেক উপকার করে। নিজের সুনাম করতে চাই না, আমার অনেক বন্ধুই এমন করে, আমি নিজেও অনেক গরীব মানুষের উপকার করেছি। একটা উদাহরণ দিচ্ছি, আমাদের মেডিকেলে একটা থ্যালাসেমিয়া রোগি আসে প্রতি মাসে চিকিৎসার জন্য। বাচ্চা একটা ছেলে, তার চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসে যা টাকাপয়সা দরকার তা আমরাই দিয়ে থাকি। কত মানুষকে যে হাসপাতালে কাঁদতে দেখে ওষুধ কিনার টাকা দিলাম নিজেও জানি না। আর কয়েক মাস পরপর যে ব্লাড দেই তার কথা আর নাই বা বললাম। আপনাদের মত হেডফোনে গানশোনা, আর ইন্টারনেটে ব্লগিং করে বেড়ানো লোকজন এটা না জানলেও যারা গরীব রোগী, যারা সরকারী হাসপাতালে যায় তারা ঠিকই মনে রাখে আমাদের। এই জন্যই শান্তি পাই এটা ভেবে আমি একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট।
এ কে এম ওয়াছিয়ুন হালিম বলেছেন: আর গ্রামে নারী ডাক্তারদের নিরাপত্তা বিষয়ে যা বলা হচ্ছে, আমার জানামতে বিশ্বের উন্নত দেশসমুহেও এখন নারীরা বিড়ম্বিত হন শুধুমাত্র নারী বলেই। আমেরিকায় প্রতি পাঁচ মিনিটে একজন নারী রেপড হন।
আমেরিকার মত ফ্রি সেক্সের দেশে একটা মেয়ে রেপড হওয়া আর আমাদের দেশে একটা মেয়ে সাধারণ ইভ টিজিংয়ের স্বীকার হওয়া পুরোপুরি আলাদা ব্যাপার, এটা বুঝার ক্ষমতা না থাকলে আমার কিছু বলার নেই। ওদের দেশে রেপড হওয়া অনেক মেয়েই উঠে দাড়াতে পারে, আর আমাদের দেশে একটা মেয়ে সামান্য ইভ টিজিংয়ের স্বীকার হলেই আত্মহত্যা করে।
পটল বলেছেন: ডাক্তারদের মানসিক শিক্ষা! মানব সেবা, মানুষ, মমত্ববোধ, ভালোবাসা, দেশ, জনগন, সামাজিক অবস্থা ও আর্থ সামাজিক পরিবেশ এগুলা ভালো করে শেখানোর ও হৃদয়ঙ্গম করার জন্য মেডিকেল পড়ায় আলাদা অন্তত ৬ মাসের কোর্স থাকা উচিত।
একমাত্র মেডিকেলে পড়তে গেলেই এগুলা শেখানো হয় এমনিতে, অন্য কোথাও এগুলা শেখানো হয় কিনা জানি না। মেডিকেলের কোর্সের মধ্যে এসব আছে, আপনি হয়ত জানে না। জেনে নেয়ার অনুরোধ রইল। আর আমার মতে, এই কথাগুলো শুধু মেডিকেলের জন্য না, এটা সবাইকে শেখান উচিৎ। আপনি নিজেও শেখার চেষ্টা করুন ভালভাবে।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৮
রাগ ইমন বলেছেন: আপনি নিজেও শেখার চেষ্টা করুন ভালভাবে
----- সহমত। উনার নিজের শেখা দরকার সবার আগে।
৩৬| ০৩ রা জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৬
এ কে এম ওয়াছিয়ুন হালিম বলেছেন:
@ইলুসন
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার কথা আমি উড়িয়ে দিচ্ছিনা। ভালমন্দ সব নিয়েই আমাদের পরিবেশ। কিন্তু সেটা কত পারসেন্ট তাই বিবেচ্য বিষয়--
সব পাবলিক ইউনিভার্সিটির কথা যা বললেন, একটু খেয়াল করে দেখুন সমাজে কারা ব্রাহ্মণ বিবেচ্য!!! ডাক্তার, ইঞ্জনিয়ার যতটা সম্মানিত হন অন্য পেশার মানুষ তার কতটুকু পান! আপনাদের যেহেতু সৃষ্টিকর্তা উচ্চ ডিগ্রী নিতে সক্ষম করেছেন সেহেতু সমাজের প্রতি আপনাদের দায়বদ্ধতা বেশি থাকবে, এটা স্বাভাবিক নয় কি!! আমাদের সমাজে আপনাদের কাছে তাই প্রত্যাশাও বেশিই থাকে। এখানে প্রশ্ন আসবে তাহলে রিমুনারেশন দিতে হবে উপযুক্ত। তাহলে আমার আগের মন্তব্যে উল্লেখ্য আর্থসামাজিক ব্যাপারটা বিবেচনা করবেন আশা করি।
হেডফোনে গান শুনে আর ব্লগিং করে কেউ আপনার সাথে আমার মত কথা বলতে পারবে কিনা ধারনায় আসছেনা, কেননা ঐ শ্রেণীকুলও সমাজের এমন মানুষ যারা পাশের ভুখা বাচ্চার দিকে চোখ তুলে তাকায়না। জানিনা আমার কমেন্ট আপনার কাছে সেভাবে মনে হল কেন...
নারী নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আমার কথা আপনি ঠিক ধরতে পারেননি
আমি বলতে চেয়েছি সারা বিশ্বেই নারী নিরাপত্তার দৃশ্য প্রায় একই, স্থান কাল পাত্র ভেদে তা রঙ বদলায় মাত্র, যেমন আমেরিকায় রেপ আর আমাদের দেশে টিজিং একই মান।
আমি বলতে চেয়েছি নারী নিরাপত্তার বাস্তবতা এমনি হবে। আর এর মধ্যেই কাজ করতে হবে। তবে আশা করি উভয় পক্ষ সমযোতার মাধ্যমে একটা স্মার্ট ওয়ে ফাইন্ড আউট করে ফেলুক।
ভালো থাকবেন।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৫০
রাগ ইমন বলেছেন: আমি বলতে চেয়েছি নারী নিরাপত্তার বাস্তবতা এমনি হবে। আর এর মধ্যেই কাজ করতে হবে। তবে আশা করি উভয় পক্ষ সমযোতার মাধ্যমে একটা স্মার্ট ওয়ে ফাইন্ড আউট করে ফেলুক।
---------- জ্বি ইলুশন, বুঝতে পেরেছেন তো? একটু আধটু রেপ- টেপ হওয়া কোন ব্যাপার না। সারা বিশ্বেই হয়। আপনি একটু মেনে নিতে পারেন কি না চেষ্টা করেন।
( আর রুচি হচ্ছে না কথা বলার)
৩৭| ০৩ রা জুন, ২০১১ রাত ৮:১৪
রাগ ইমন বলেছেন: আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। চাপের মুখে আছি, আপনারা চালিয়ে যান। আমি সহসাই ফেরত আসবো , কাল অথবা পরশু।
৩৮| ০৩ রা জুন, ২০১১ রাত ৮:২৩
রিপেনডিল বলেছেন: @ এ কে এম, যে দেশের মন্ত্রীদের টাকা দেশের ব্যাংকে রাখার যায়গা থাকে না বাইরের ব্যাংকে রাখতে হয় সেই দেশ একজন ডাক্তারের উপযুক্ত বেতন দিতে পারে না এই কথা বলতে চান? ইন্টার্নী ডাক্তার প্রতিদিন ১২-১৬ ঘন্টা ডিউটি করে বেতন পান ১০ হাজার টাকা, আপনি কত ঘন্টা কাজ করে কত বেতন পান শুনি।
ডাক্তারদের কত খানি ব্রাহ্মন মানেন তাতো দেখা যচ্ছে। ইদানিং ব্লগের ডাক্তার বিরোধী পোস্টগুলো দেখেন, সিএনজিওয়ালা কে ১৫০ টাকা ভাড়া দিবে কিন্তু ডাক্তার কে ২০০ টাকা ভিজিট দেবে না। কেন আমরা ফ্রি চিকিৎসা করি না এই হল দাবি।
নারী নিরাপত্তার ব্যাপারে যে কথা বললেন সেটা ব্লগের নারীবাদীরা শুনলে আপনাকে ছারখার করে দেবে, তাই সময় থাকতে পালান।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৫১
রাগ ইমন বলেছেন: জ্বি ইলুশন, বুঝতে পেরেছেন তো? একটু আধটু রেপ- টেপ হওয়া কোন ব্যাপার না। সারা বিশ্বেই হয়। আপনি একটু মেনে নিতে পারেন কি না চেষ্টা করেন।
( আর রুচি হচ্ছে না কথা বলার)
৩৯| ০৩ রা জুন, ২০১১ রাত ৯:২৬
আমিই স্রোত বলেছেন:
আমরার দেশের যত পাতি ডাকতোর আচে, হেগো সব পিডায়া বুড়িগংগায় চুবানি দেওন লাগবো। ডাকতারি অইলো দুনিয়ার সবচে সুজা বিদ্যা। মুকস্ত বিদ্যা। এই এই লক্সণ হইলে এই এই অসুক; আর এই এই অসুদ।
নীচে পড়ূইণ>>>>
So, ডাক্তারবাড়িরে গুডবাই জানাঈন্না প্রজেক্টের আইডিয়াহ!
ডাক্তারি পেশা হিশাবে কেমুন লাগে।
মেলা টেকা-পয়সা। সুম্মান। হেই তেই,
আমি ডাক্তারগোরে এহন তেমুন একটা গুনায় ধরিতেছি না।
আমার কাচে হেগোর এত্তো গুরুত্ব আছে বইলা মনে করি না। মোডামুডি দ্যাশের ডাক্তার অর্ধেক পিডাইয়া দেশ থিকা খেদায়া দিলেও তেমুন সমুস্যা অইবো না আশা করি।
চিন্তা কইরা দেখেন, এরা অনেকটা রোবোটের মতন।
আমনের অসুখ অইচে। আমনে হেগোর কাচে গেলেন। হেয় আমনের রুগের লক্ষনগুলি দেখলো। কিচু অসুধ লেকলো। ভালো ডাক্তার অইলে কিচু পরামর্শ দিলো। আর পচা ডাক্তার অইলে তো কতাই নাই%
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৫২
রাগ ইমন বলেছেন: রবোট একটা তৈরী করেন না কেন?
আপনি আহাম্মক তাই?
৪০| ০৩ রা জুন, ২০১১ রাত ১১:১৪
রিপেনডিল বলেছেন: হাহাহাহা, স্রোত ভাই, ঠিক আছে, আপনার অসুখ হইলে লক্ষন বিচার করে নিজেই নিজেরে ওষুধ দিয়েন, কোন লক্ষনে কি রোগ হইতে পারে হেইডা তো নেট ঘাটলেই পাইবেন। আর নিজেই একখান চেম্বার খুইলা লন, একটা ভাল নেট কানেকশন লাগাইয়া নগদে ওষুধ দিয়া ফালাইবেন। আর টেকা সম্মানের অভাব হইব না। বেয়াফক বিনোদনীয় কমেন্ট।
৪১| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ দুপুর ১:১১
এ কে এম ওয়াছিয়ুন হালিম বলেছেন:
@রিপেন্ডিবল
মন্ত্রী, আমলা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী এদের প্যাঁদানি খেয়ে দেশের এই অবস্থা...
আফটার অল এই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার আমলা গুলাই দেশের মা বাপ, তাই কথা একটু হুশিয়ার হইয়া কইতে হয়। :/
যাইহোক, আপনি মন্ত্রীর দুর্নীতির সাথে দেশের অর্থনীতিকে গুলিয়ে যা বুঝালেন আর কিছু বলার রইলনা। মন্ত্রী এম্পি চুরি করুক আর ডাক্তার এঞ্জিনিয়ারগুলা জোচ্চুরি করুক।
আমার স্টারটিঙ্গের তুলনায় আপনার স্টারটিং অবশ্যই ভালো, আমার ফিউচারের তুলনায়ও আপনার ফিউচার যথারীতি অনেক ভালো হবে। আফটার অল আপনি নামের আগে ডাক্তার লাগাবেন আর আমার নামের আগে কিছুনা...
যে ব্যক্তি ২০০ টাকা সিএঞ্জি ভাড়া দেয় অতিজরুরি প্রয়োজন ছাড়া সে ডাক্তারের ভিজিট ৫০০ টাকা দিতে ভুলেও আফসুস করবেনা। অন্তত আমার মনে হয়না কারণ আমি পাবলিক বাসে আমার সাথে অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকেও দেখি।
নারীবাদী!!! এটা স্রেফ পাগলামি... তাদের চোখে মডেল ইন্ডিয়া/ইউরোপ/ এমেরিকিয়ায় নারীদের অধিকার/নিরাপত্তা কেমন, তা ভেবে দেখা উচিৎ। আমি নারী বিদ্বেষী নই কিন্তু সমসাময়িক ঝামেলায় কিঞ্চিত বিরক্ত।
খোলামেলা আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৫
রাগ ইমন বলেছেন: নারীবাদী!!! এটা স্রেফ পাগলামি... তাদের চোখে মডেল ইন্ডিয়া/ইউরোপ/ এমেরিকিয়ায় নারীদের অধিকার/নিরাপত্তা কেমন, তা ভেবে দেখা উচিৎ। আমি নারী বিদ্বেষী নই কিন্তু সমসাময়িক ঝামেলায় কিঞ্চিত বিরক্ত।
আপনি নিজে কতটুকু জানেন এই সম্পর্কে? ঘুরেছেন এই জায়গা গুলা? নারীদের মোট কত% নিরাপদে কাজ করে আর কত% - আপনার মতে একটু আধটু রেপ টেপ হয়?
ইন্ডিয়ার সাথে ইউরোপ আর আমেরিকাকে এক কাতারে রাখলেন। ওয়াও , আপনার জ্ঞান দেখে আমি মুগ্ধ ।
মানুষ তার নিজের নিরাপত্তা চাইলে তারে কি নারীবাদী বলে?
নারীবাদীর সঙ্গা জানেন?
৪২| ০৫ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১২:২৪
রিপেনডিল বলেছেন: দেষের মা বাপ সবাই, উচ্চপদস্থ কর্মচারী, ব্যবসায়ী এদের বাদ দিলেন কেন? যার টাকা আছে সেই দেশের মা বাপ। নামের আগে ডাঃ লাগাইলেই কেউ মহারথী হয়ে যায় না। এমবিবিএস ডাক্তারের মূল্য যে একজন সি এন জি ওয়ালা এর চেয়ে কম সেটা এই পোস্টে আব্দুল করিম নামের ব্লগারের মন্তব্য থেকে পরিষ্কার বুঝতে পারবেন। আর আপনার কমেন্টের আগেই তো স্রোত ভাই যা নমুনা দেখাইলেন আর কি বলব।
সব কথার শেষ কথা, আর দশটা পেশার মত ডাক্তারিও একটি পেশা। কিছু দূর্নীতি বাজ সব খানেই থাকবে। এই পেশার যথাযথ মূল্যায়ন হওয়া হওয়া উচিত উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টী করে নতুন আইন করা উচিত।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৬
রাগ ইমন বলেছেন: আপনার অনেক ধৈর্য্য!
৪৩| ০৫ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:০৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: পোস্টে প্লাস।ফেসবুকে শেয়ার করলাম।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৬
রাগ ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪৪| ০৫ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:০৬
এ কে এম ওয়াছিয়ুন হালিম বলেছেন:
স্টাডি শেষ করে যারা পাবলিক সার্ভিস নেয়, আমার জানামতে সবাইকেই প্রথমদিকে কিছু হার্ড টাইম পাস করতে হয়।
আমার পরিচিত একজন শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। উনি এখন একটা অজপারাগায়ে আছেন।
ইঞ্জিনিয়ারদেরকেও সুপারভাইজর জাতীয় কাজ করতে হয় রোদ বৃষ্টিতে। কেউ প্রথমেই এসি রুমে নেট সুবিধা নিয়ে এত আলিশান নিরাপত্তা পায়না। আপনাদের এই দুই বছর হয়তো অনেক কষ্টে কাটবে কিন্তু এর অভিজ্ঞতা এবং ফলাফল অবশ্যই ফিউচারে পাবেন।
গ্রামের লোকজন অনেক বিচিত্র সমস্যায় থাকেন আর অনেক বিচিত্র সংস্কৃতিও লালন করেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
স্রোত কি বলেছেন তা আমার কাছে গুরুত্বহীন।
সময়মত আপনিও সিএনজিওয়ালার পায়ে ধরতে পারেন, সেটা খুব রেয়ার এবং আপেক্ষিক। ডাক্তারের সামনে গিয়ে যেকোনো রোগীই নিরুপায় থাকে। আমার পেটে ব্যাথা উঠলে আগে যেকরেই হোক চাইব ব্যাথা কমুক। তারপর অন্য কিছু।
কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে একজন বার্ন পেশেন্ট নিয়ে গিয়েছিলাম ইমারজেন্সিতে, উপরে ভর্তির রেফার করলেন, ভর্তি করালাম, রোগি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আর ডাক্তার রুমে নাই, নার্সরাও ডাক্তারের আশায় ভরসা দিয়ে পান চিবুচ্ছেন। এরুপ অবস্থা দেখলে মেজাজ কেমন হয় তা আপনি হয়তো চিন্তা করবেননা।
ভালো থাকবেন।
৪৫| ০৫ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:১৩
রিপেনডিল বলেছেন: কিছুটা বুঝতে পেরেছেন বলে ধন্যবাদ। হার্ড টাইম পাস করতে কারো আপত্তি নেই যদি অবকাঠামো ঠিক থাকে। আবারো বলছি ডাক্তারদের গ্রামে থাকা নিয়ে সমস্যা নেই। এসি গাড়ি এসব কেউ চাচ্ছে না। এখানে বলা হচ্ছে ইন্টার্নি ডাক্তারদের ব্যাপারে যাদের প্রফেশনাল সার্টিফিকেট নেই এমবিবিএস এর। সে শিখতে যাবে একটা যায়গায়, কার কাছে শিখবে যদি কেউ না থাকে? আশা করি এবার ব্যাপারটা ধরতে পারবেন
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৭
রাগ ইমন বলেছেন: আপনার আশাও অনেক বেশি।
৪৬| ০৫ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন:
একমত।
ছি! গ্রামে কি মানুষ থাকে? যেখানে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট নাই সেখানে কোন ভদ্দরনোক থাকতে পারে না!
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৮
রাগ ইমন বলেছেন: আপনে কোন গ্রামে থাকেন?
৪৭| ০৬ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৬
আরিশ ময়ুখ বলেছেন: ডাক্তার ছাড়া, ডাক্তারদের কষ্ট কেউ বুঝবে না। সবাই মনে করে, ডাক্তার আরাম-আয়েশ করে বেড়াই।
আপনার পোস্টে পূর্ণ সহমত
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৮
রাগ ইমন বলেছেন: সে আর বলতে !
৪৮| ১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৭
শব্দ-সওয়ারী বলেছেন: সামুতেই আসা হয়না বহুদিন। এখন এসে, প্রিয় ব্লগারের ব্লগ ঘুরতেই চোখে পড়ল - এই পোস্ট এবং এই সব আলোচনা। তথ্যবহুল, যুক্তিনির্ভর এমন আলোচনা এবং বস্তুনিষ্ঠ তর্ক অনেকদিন সামুতে দেখিনি। প্রথমেই লেখককে ধন্যবাদ তাঁর চমৎকার প্রস্তাবনার জন্য। দু একটা ছাড়া, মন্তব্যদাতারাও অনেক সুন্দর কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। সবকিছুর পর মনে হল, অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা পর্যাপ্ত থাকলে কোন ডাক্তারেরই গ্রামে যেতে অনীহা নেই।
কিন্তু অবাক হচ্ছি, যাঁরা মানবতার, দেশপ্রেমের, কিম্বা দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার কথা বলে ঐসব অবকাঠামো ছাড়াই ডাক্তারদের গ্রামে পাঠানোর দাবী তুলছেন! শুধু একটা কথা বলুন, যে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দৈনিক গড়ে ১৬ ঘন্টা (বানোয়াট নয়, পটিয়া, চকরিয়া - এই দুই উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাস্তব চিত্র) লোডশেডিং, যেখানে ও টি-তে অপারেশনের সরঞ্জাম তো দূর, সামান্য বাল্ব পর্যন্ত নেই, সেখানে গ্রামের মানুষকে অ্যাপেন্ডিসাইটিসে আপনি কি উন্নত সেবা দেয়ার আশা করেন? এ তো স্রেফ একটা উদাহরণ! ইতিমধ্যে এ বিষয়ে অনেক কিছুই বলা হয়েছে, তাই আর পুনরাবৃত্তিতে গেলাম না।
আসলে সমস্যা হল, এদেশের অনেক (সব্বাই না) মানুষ দীর্ঘদিন ঝাঁড়ফুক চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন, তাই চিকিৎসা ক্ষেত্রে "উপকরণ"এর গুরুত্ব বুঝতে কারও কারও একটু কষ্ট হচ্ছে।
আর মানবতা ইত্যাদি গালভরা শব্দের জন্য বলব, যেখানে আস্ত সমাজ থেকেই ঐ সবকিছু প্রায় যেতে বসেছে, সেখানে আলাদা করে একটা অংশের কাছ থেকে আর এই প্রত্যাশা কেন? ডাক্তারের কাছে যারা নানা অযুহাতে মানবতার দাবী তোলেন, প্রশ্ন রাখতে চাই, তিনি নিজে ওই মানবতার চর্চা কতদূর করেছেন? তাঁর নিজের জীবনে এর চর্চা কতটুকু? ডাক্তাররা মানুষ, এবং, এরা এই সমাজেরই প্রোডাক্ট - সুতরাং, আস্ত সমাজ যদি পাশবিকতায় মত্ত থাকে, তার যেকোন প্রোডাক্ট - তা সে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র, ব্যবসায়ী যা-ই হোক না কেন, কারও কাছ থেকেই মানবতা বা এই জাতীয় ভাবালুতা ইত্যাদি আশা করা যায় না।
১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১:০০
রাগ ইমন বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন।
পুরো সমাজ পচে গেলে একা ডাক্তারী পেশার লোক জন আর কতটুকু করতে পারবে?
৪৯| ১৪ ই জুন, ২০১১ দুপুর ২:৩১
শব্দ-সওয়ারী বলেছেন: রাগ-ইমন, আপনি কি শুধু সামুতেই লেখেন? জানতে চাইছিলাম, কারণ, সামুর এখনকার হাল হকিকত তো দেখছেন! ভাল লেখা মুহূর্তেই পিছলে হারিয়ে যাচ্ছে, আর অর্থহীন অন্তঃসারশূন্য পোস্টে গার্বেজ হয়ে থাকছে প্রথম পাতা। "লাক্স-সুন্দরী" লেখাটার পর অনেকদিন আপনার কোন লেখা-ই দেখিনি। পরে আমার এক বন্ধুর কাছে "অনুসারিত ব্লগ"এর সিস্টেম জেনে নিই। এর মধ্যে অবশ্য পানি অনেকদূর গড়িয়ে গেছে।
আপনার লেখা ভাল লাগে, কারণ, যুক্তিসম্পন্ন কথা আপন মতের বিরুদ্ধে গেলেও আমি তাকে স্বাগতম জানাই, আর সহমত কোন যুক্তিহীন কথাও বিরক্তিকর। আপনার লেখনীতে সেই যুক্তিবোধের প্রখরতা আছে। আশা রাখছি ভবিষ্যতে আরও অনেক আড্ডা কিম্বা আলোচনা হবে।
ভাল থাকুন।
৫০| ২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:২০
রােশদ হাসান বলেছেন: আমরা িচিক৭সা পাব
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৩৩
রিপেনডিল বলেছেন: এবার ডাক্তারেরা আরো বড় কসাই হয়ে বের হবে!