নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাস্কর চৌধুরী নিরঞ্জন

ভাস্কর চৌধুরী নিরঞ্জন । ঢাকায় থাকি। জন্ম চাঁপাই নবাবাগঞ্জ।

ভাস্কর চৌধুরী নিরঞ্জন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জমিলার জ্বালা

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৪

নাম ছিলো আইনাল । লোকে ডাকে আনাল । একটা ঘর , একটা চালা একটা পোলা , একটা বৌ । সকলি ভালোবাসা । সকালে একটা ছিপ নিয়ে পুকুরে বসেছিলো , ভরা দুপুরে উঠোনে আঠারোটা মাছ রেখে বললো , রাঁধ ক্যানে বউ , চান করে এইসেই দুটা খাইদ্য খাবো । মাছের রকম দেখে বৌ ভর দুপুরেই বেহুঁশ । ১২ টা ছোট পুঁটি , ২ টা মাঝারি ত্যালাপিয়া আর একটা বড় গটি মাছ । আর তিনটা মাঝারি বেলে । মাথায় হাত দেখে আনাল দিন দুপুরেই হতাশ স্ত্রীর গাল টিপে বললো , জব্বর কইরা রাঁধ । পুকুরে তিন ডুব দিয়া আসি । ভাবনার কারণ নাই । ঐ এক জ্বালা । নিজের স্বামী । পরের চোখে ছানি পড়ে না ক্যানে । এখন পুকুরে হালি হালি মাইয়ালোক আধকাপড়ে বুক ডুবিয়ে আছে । এখন ঐ এক ঘাটে যদি আনাল নাম তো কতো কথা ! হায় , হামার স্বামীটা এমন ক্যানে আল্লাহ ? আমি দ্যাখবার টাইম পাই না তো দূনিয়া দ্যাখে । এখন বাঁধাবাড়াটা করতে টাইম যে লাগবে , তো এইগুলান ভাববে নাকি মাছ কুটবে ? হারামজাদী দ্যাশটা হামাক আর সুখ দিলো না । মাছ কাটতে গিয়ে আঙ্গলও একটু কাটলো । এক ছাই দিয়েই মাছকাটা ফের আঙ্গুল চুষে ফের ছাই দেয়া । বৌ জমিলা রাঁধে রাঁধে আর রাঁধে তো আর আনালের ফেরার নাম নেই । এক ডুব দিয়ে গাঁ এর মেয়েদের গান শোনাতেই টাইম পার । বৌ গেলো ডাকতে । পটাপট দুটো ডুব দিয়ে আনাল লম্বা চুলের জল ঝাড়তে ঝাড়তে বৌ এর সাথে বাড়ি ঢোকার মুখেই শুনলো , জমিলা রে , এমন ভাতার লাখে একটাও নাই । তোর ভাগ্যি । দ্যাখো , মাইয়া মানুষ . ভাগ্য নিয়েও তামাশা । হামি মরি সাত জ্বালায় । পারবি তোরা ? আনাল বড় জোয়ান মানুষ । ভরাট গলায় বললো , ঐ ঐ , হামার চাঁন্দখানা কই রে বউ ? দ্যাখলাম না যে ।বলতে বলতেই খোলা দরজা দিয়েই প্যান্ট সামলাতে সামলাতে চাঁন্দ মিঞা উঠোনে প্রবেশ করলো ।



চাঁন্দ মিঞার বয়েস সাত হলো । মানে বিয়ের আট বছর । এই তো সেদিনের কথা । চৌদ্দতেই এই আনাল তাকে ছাড় দ্যায় নি । আঁন্ধার রাইতে এক কাতে আর ঘুম হয়েছিলো কৈ ? চাঁন্দ সুরুজ নদী আর ঘাসের কতো বয়ান দিয়ে বেঘোর করে তাকে নিয়েছিলো ১৮ বছরের জোয়ানটা । মর্দ্দ বটে । আচ্ছা , জীবনটা এমন এমন কথাতে গলে যায় ক্যানে গো । আপনে যাদু জানেন গো গায়েন । বলেছিলো জমিলা । ওরে পাগলী , হামার বিনি পয়সার আলো বাতাস , চাঁন্দ সুরুষ , আয়ু বায়ু , নদীর কুল । সাত কুলে তুই হামার একেলা । এইসব হামি আর কাকে দিবো রে ক দেহি । গান বাঁন্ধি । গাঁয়ে গাঁয়ে গাহি । মানুষের দয়াও তো বিনি পয়সার রে । কেনা মালে স্বাদ নাই । বুঝলি ? এই যে তুই জমিলা । একটাকা মোহরানায় তোকে ঘরে পাইলাম । কিনি নাই রে । ঐ চুক্তি বিয়া মানায় না । মন লিবি । মনে মন ভিড়াবি । যেমন নদীকূলে লাল পালের নাও খানা । সুন্দর লাগে কতো ক দেহি ? জামিলা মুখে হাত চাপা দিয়ে বলে , ল্যান , জানে মাইরেন না । এতো শুনলে মরবো । তবু সাধ মিটিবে না হামার । এইসব বলতে বলতেই একদিন এই চাঁন্দটা কোলে এলো । এখন জমিলা দ্যাখে , তার আনাল গায়েন একমাস ঘরে নাই । কোনঠে টাকা আর কোনঠে কি । পাশেই বোনের বাড়ি । জমিজমা তাদের ভালো আছে । আর দুলাভাইটাও বুঝের মানুষ । আনালকে ছোটভায়ের মতোই ভালোবাসে । তার বাড়িতেই চাঁন্দের জন্ম । অথচ তার বাপটা উধাও । ফিরেছিলো তিন মাস পর । পাড়ার লোক প্রায় মারতেই গিয়েছিলো , ঐ তার ভায়রা মজিদ মিঞা তাকে ধরে রেখে বলেছিলো , তোমরা মাইরো না । এ্যর ভিতরে আল্লার কিছু একটা আছে । বুঝিবা একদিন । তখন খুব পস্তাইবা কিন্তু । এই সেই লোকটা চাঁন্দকে নিয়ে ফের পুকুরে গেলো । স্নান করিয়ে ধূয়ে মুছে এনে চালায় যখন বসালো তখন জমিলার রান্না শেষ । সেও পুকুরে তিন ডুব দিয়ে তড়িঘড়ি এসে , খাবার বেড়ে চালায় বসলো । মরদটা খায় ভালো । ফের লজ্জা কতো কম দ্যাখো , মাঝে জমিলার মুখে ভাতের নলা তুলে দিয়ে দিয়ে বলে , বুঝলি জমিলা , ঐ যে সার্কাস আইসছিলো গাঁয়ে , তাদের ঐ দড়িতে হাঁটা মাইয়াটা এমন তাক লাগাইলো যে , হামি তাকে গোপনে ম্যালা গান শুনাইছি । তো বুঝলি , সে কইলো , মরদ , মাইনসের সামনে আমি দড়িতে হাঁটি বটে । তো তোমার সামনে আমার পা আটকে যায় ক্যানে ? কথাটার মর্ম শুইনা কাঁন্দন আইলো বটে । মানুষের যে কতো কষ্ট রে , তোকে যুদি তার বয়ান দি তো তুই উলটা কাঁন্দবি । জমিলা বললো দুঃখটা কি এমন যে , আপনি তার সাথে পালাইলেন ? আনাল বলে , দ্যাখো পাগলী কারে কয় , তার স্বামী যুদি তাকে বাদ দিয়া আরো পাঁচজনের সাতে তার সামনে লটকা লটকি করে তো , তার জীবনের দাম টা কী ? ক দেহি ? আরো এক নলা ভাত গিলে জমিলা বললো , আর আপনি যে হামাক ছাইড়া ঐঠে লটকাইলেন , এ্যার বিচার কে করবে ? আনাল বললো , পৃথিবীটা হামি কিনিতে পারি না । তাই ভালোবাসা পাইলে তাকে ছাড়তেও পারি না রে পাগলী । ঐ মাইয়াটাকে হামি ভালোবাসি নাই বটে । তার দুঃখের সাথী হইয়া দু চাইর জেলা ঘুইরা একদিন মনে পড়লো , আরি আরি হামার জমিলার ঘরে তো চাঁন্দ আসিলো নাকি তারা আসিলো , টাইম তো পার হইছে বটে । মনে পড়তেই পরান হু হু কইরা কাঁইন্দা উঠলো । তখন মাইয়াটা কইলো , যা ঘরে যা । এখন ঘরে যে । পরে আসিস । ঘরে ফিইরা এই চাঁন্দ মুখ দেইখা আর ফিরিবার কথা মনে পড়ে নি পাগলী । এর ভেতরেই আনালের গল্প আর আদর খেতে খেতে জমিলার পেট ভরে গেছে ।



খাবার পর ছেলেটা ঘুমিয়েও গেলো চালার তলে । আর জমিলা থালা মেজে রেখে চালায় আসতেই খপ করে আনাল তাকে ধরে ঘরবন্দি করে বললো , বুঝলি জমিলা , এই দুনিয়াদারীটা মায়ার খ্যালা রে । এতো এতো এতো মায়ার বান্ধন যে , তুই ইচ্ছা করলেও নড়তে পারবি না । তোকে দিয়ে যাইতেই হইবে । যেমন তুই দুনিয়া থাইকা কতো কি যে পাইস তার হিসাবটাও জানিস না রে । বুঝলি ? কি বুঝলি ক দেহি ?জমিলা বললো , হ । আপনি মূখ বন্ধ কইরা এখন হামাক মারেন ।





যে যা বলুক , আমার মরদটা ভালো । সে আটবছরে একবারও জমিলার গায়ে হাত তোলে নি ।বকা দেয়নি । বরং অতি আদরের ঠেলায় পালিয়ে বেড়াতে হয় তাকে ।তবু ক্যানো যে গাঁয়ের লোক ঐ জমিলারপেছনে লাগে ? জমিলা বোঝে না । জমিলাকে খোঁচায় নোংরা কথা বলে । তোর দোষ আছে রে জমিলা । না হইলে তোর আনাল মিঞা গাঁয়ের তামাম বৌ এরসাথে ফুচকামী করে ? কার সাথে কি যে করে ?দেইখা থুইস । জমিলার হিসাব ভিন্ন । স্বামীরউদ্ভট আর আজব আজব আদরে সে বোঝে তারপ্রতি গায়েনের দরদ টা খাঁটি । যদি গায়েন খারাপ হয় তো , পাড়ার সব মাইয়ার দোষ । অন্তুত কুজাগায় গায়েন বিছন ফ্যালে না । এটা গায়েনেরই কথা । গায়েন বলে , জমির গুন দোষ বিচার কইরা বিছন ফেলবো । যে জমির ধান হামার হইবে না , সেইঠে বিছন ফেলা বোকামী । অন্যের নামে নিজের বাচ্চা পয়দা করিবো , এমন বোকা হামি লই বটে । ঐসব কথায় কান দিবি না । মাইয়ালোক যখন স্বামীর লড়াচড়ায় তাকে ধরতে না পারে তো মাঝ রাইতে ধোকায় পড়িবে বটে । তুই জমিলা , হামাকে বুঝিবার চেষ্টাটা কর । তাইলে পরের কথায় ঘর নষ্ট হইবে না । গায়েনের জীবনে মাইয়ালোক আসিবে । গানের সুরে মোহ তে আসবি । কো গায়েন যুদি সব মাইয়ার জীবনের আশা পূর্ণ করে তো , হামার কি আর থাকিবে রে পাগলী । হ্যাঁ । তুই ক দেখি । জমিলা বলেছে , হামাক লটর পটরের কথায় ফের লটরপটরে ফেলিবেন না । আপনার কথায় বেশি মজিলে , প্যাটের রাঁন্ধন পড়িবে না । বুঝিবেন কথাটা আমি খুব সোজা কথা বুঝি । হামাক পচাইবেন না । গায়েন বলে , আরে জমিলা পাকা টমাটোখানা হামার , লাল টুসটুস গাল । আহা রে , এইঠে এট্টু , নাকে এট্টু পায়ে এট্টু , ঠোঁটে এট্টু , সবকিছুতে এট্টু এট্টু ঠোঁট ছুঁয়াইয়া তাইলে তোকে কাছে টানিবো । বুঝিলি নাকি ? এই গায়েন কি সব মাইয়াকে এসব কথাতে পটায় নাকি ? কি জানি । আল্লাহ মানুম । জমিলা একদিন বলেছিলো , শরীলটা একটু খারাপ চাঁন্দের বাপ । তাতেই গায়েন তাকে ঘরে ঢুকিয়ে কোলে তুলে যে নাচানাচিটা করলো । বাপ রে । কিছু বলাও কঠিন । মেয়েদের কতো রকমের ঝামেলা আছে । বুঝবার আগেই গায়েনের এক লাফ । জমিলা বললো , বাপের তেমন কিছু নাই । তাই আপনার মতন লোকের সাথে বিয়া দিয়া বাপে বাঁইচছে । এখন আপনাকে সামলাবো ক্যামনে ? যাই গা । বুবুর কাছে একটু কথা বুইলে আসি গা । বুবু বুইলছে , ঐ মাইয়াগুলান যে বাড়ি বাড়ি খাইবার মাসিক বড়ি দিয়া যায় , ঐঠে একবার ডাক্তার দেখাইবে । যাবো ?গায়েন বলে , হামার মত নাই । তোর প্যাটে দশটা ব্যাটা বেটি চাহি । আর এইবার আঘুঁনমাসের ধানে এমন চাষ দিবো , সেইদিন তোর বইন এই গায়েনকে চিনিবে । ঐ জমিতেই হামি দশটা বাচ্চা পালিবো বটে ।

এই বলে নাস্তা খেয়ে বাপের রেখে যাওয়া দশ বিঘা জমি দেখতে গেলো আনাল গায়েন । জমি না বুঝে তো তাতে চাষ দেওয়া যায় না । জমিন কখন লাঙ্গলের ফাল খাইবে , কখন বীজ খাইবে , এটা বুঝতে গেলে মাটির মনটা বোঝা দরকার । হাত হালত না বুঝে যে চাষা কাজ করে তার অবস্থা লেজ আর গোবরে মাখবে বটে । কাঁধে চাঁন্দ মিঞাকে নিয়ে গায়েন জমির পাশে বসে বসে একটু জিরিয়ে নিলো । সামনে বছরে একটা মেয়েও লাগবে তার । নাম হবে চাঁন্দনী । মনে সেই না আসা কন্যার চেহারা এঁকে রেখেছে সে । এখন একসাথে দুটো বীজ গাড়বে সে । মাটিগুলো থেকে কিছু কিছু মাটি নিয়ে ফিরে এসে সোজা কৃষি ব্লকে গেলো । মাটি জমা দিয়ে বললো , এইবার একখানা গান জমাবো অফিসার । ভালো বুদ্ধিখানা দিবেন । জমির মন না বুঝে চাষবাস করা ভালো না । গায়েনের কথাটা অফিসারের মনে রেখাপাত করলো । তাকে বসিয়ে নয়া বিয়ে করা অফিসার বললো , মাটিকে ভালোবাসার কথা বলছেন গায়েন । তো বৌকে ভালোবাসাটা যায় ক্যামনে ? বুঝান দেখি । এবার গায়েন বললো একটা কাঠি লজেন্স আর দুটা শক্ত লেবেনচুস আনেন । পরীক্ষা করে দেখি ।

অফিসার একটু অবাক হয়েই তাই আনালেন । গায়েন বললো , এইবার একটা লেবেনচুস চাবিয়ে খান । অফিসার এখন নিজেই যেনো মাটি । আর তাকে পরীক্ষা করছে গায়েন । একটা লেবেনচুস চাবানোর পর । কাঠি লজেন্সটা হাতে রেখে আরেকটা লেবেনচুসকে এবার চুষে খেতে বললো গায়েন । ধৈর্য ধরে সেটাও করলেন তরুণ অফিসার । এবার কাঠি লজেন্সটা তার হাতে দিয়ে বললো , এইটা আপনি আর আপনার বৌ দু জনে চুইষা খাইবেন একসাথে । কাইল খবর নিবো । আর আপনিও হামার মাটির খবরটা দিবেন । চাঁন্দ মিঞাকে ঘাড়ে করে বাড়ি নেয়া দেখে লোকে বললো , গায়েন , আট বছরী পোলা কেডা এমন বেয়াক্কেলের মতন ঘাড়ে নেয় গো গায়েন । এটা তোমার পাগলামী । গায়েন বললো , আল্লাহর ভার বান্দায় বহে । পাগলে কিনা কহে । কথাটা ভাইবা দ্যাখো একবার । দুপুরে খেয়ে চাঁন্দ মিঞা ক্লান্তিতে ঘুমালে , এবার ঠিক একহাজার একান্ন চুমু দিলো গায়েন , বুঝলি রে জমিলা একথা বলার সময় গায়েন বুঝলো , কাজ হইছে বটে । বিকেলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে রাত করে দিলো তারা । ঘরে চাঁন্দ মিঞা এমনটা দেখে সোজা খালাবাড়ি গিয়ে ডাংগুলি খেলতে লাগলো ।

পরদিন গায়েন , খুব আয়েস করে কৃষি ব্লক অফিসে গেলো । অফিসার তাকে দেখেই উঠে ফের চেয়ারে বসলো । গায়েন কিছু বলার আগেই অফিসার বললেন , আপনার দ্বারাই উচিত চাষ হবে । চলেন জমিটা দেখে আসি ।



জীবনে কতো কি যে শেখার আছে গায়েন । সবার উপরে ভালোবাস ।



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২০

শায়মা বলেছেন: বাপরে!!!

ভাইয়া তুমি অনেকদিন ধরেই লেখালিখি করো সে বুঝাই যাচ্ছে।


অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।


অনেক অনেক শুভকামনা আর শ্রদ্ধা।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

ভাস্কর চৌধুরী নিরঞ্জন বলেছেন: হ্যাঁ । লিখালিখি সেই ৭৫ থেকে দৈনিক সংবাদের পাতায় শুরু গল্প দিয়ে।তারপর সব কাজেই লিখেছি।এখন ৯৭ থেকে উপন্যাস এর কবিতা লিখি । ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সদা।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। বুঝাই যাচ্ছিলো তোমার লেখার ভিন্নতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.