![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর রণ-তূর্য !
(এটা হলো আম্লীগারদের একটা "ফেইচ বুক" ফেন পেইজ)
শেখ হাসিনা এবারে অবৈধ ভাবে জোর করে ক্ষমতা জবর দখল করার পর থেকেই সেই ক্ষমতা চিরস্থায়ি করার জন্য যতরকম কুটচাল বা হেন কোন কুটকৌশল নেই যা সে প্রয়োগ করছে না। যদিও মাঝে মাঝে কিছু টাইমিং মিসটেক বা ভূল ভাল হয়ে সেই সময় ঠেকায় কাজ চালাই নেই আওয়ামী মিডিয়া লীগ আর তার নিজের নিখুঁত অভিনয়- টিভি ক্যামেরার সামনে নাকী নাকী কান্না !
কথায় বলেঃ "হাসিনুরশাদ" (হাসিনা-ইনু-এরশাদ) মূখ আর বাচ্ছাদের পাঁছা- দুটোর মাঝে দারুন মিল ! খুবই বিপদজনক ! কখন - কোথায় - কি করে বসে কেউ বলতে পারে না। ইজ্জত নিয়া টানাটানি !
সেই মহা দঁড়িভাজ "হাসিনুরশাদ" এর জামানায় এত বড় ভূল "প্রশ্নপত্র বাবা নাহিদ" ক্যামনে করল বুঝতে পারছি না। এই প্রশ্নপত্র বাবা নাহিদ নিজে নকল করে পাশ করেছে তাই টাকার বিনিময়ে নিজেই ছাত্রদের জন্য প্রশ্নপত্র সরবরাহের দায়িত্ব তো পালান করেছেই সাথে রেজাল্ট পাবলিশ নিয়া বিএনপি-জামাতের মতো দেশদ্রোহী রাজাকারদের সাথে হাত মিলাইছে কেমনে? এই ব্যাটা বদ নাহিদ সত্যিই হাসিনানুসারী আম্লীগার নাকি আওয়ামীলীগের ভিতর জামাত-শিবির ঢুকে যাওয়ার মতো বিএনপি-জামাতের চর হিসেবে কাজ করছে !
"১৫ আগষ্ট- জাতীয় শোক দিবস" এ "কাঁদো বাঙ্গালী কাঁদো" শ্লোগান নিয়ে আম্লীগাররা এই কপাল পোড়া বাঙ্গালী জাতীতে জোর করে কাঁদানোর মচসব শুরু করেছে গত বেশ ক'বছর ধরেই। অথচ সেই ১৫ আগষ্টের মাত্র দুই দিন আগে এই ব্যাটা প্রশ্নপত্র বাবা নাহিদ কি না সারা দেশে এইচএসসি পরিক্ষার রেজাল্ট পাবলিশ করেছে যেখানে প্রায় ৭৮% ছাত্র-ছাত্রী পাশ করেছে যার মধ্যে আবার আছে ৭০ হাজার এর মতো "এ-প্লাস বা জিপিএ-৫"। স্বভাবতই সেই সব ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের আত্মীয়-পরিজন মিলিয়ে দেশের প্রায় ৭৮% জনগোষ্টির মাঝে এখন বইছে আনন্দের বারতা। তাই শত চেষ্টা ও জোরাজুরির পরও দেশের এই বিশাল জনগোষ্টিকে কাঁদাতে না পেরে বরঞ্চ আনন্দের উপলক্ষ তৈরী করে দিয়ে বাবা নাহিদ সত্যিই জামাতের অনুচরের ভূমিকা নিয়েছে আম্লীগার ভিতরে ! অন্যদিকে দেশের মোট আওয়ামী সার্পোটার এর মতো ফেল করা মাত্র ২২% ছাত্র ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের মাঝে এখন বিরাজ করছে শোকাবহ পরিবেশ। "নাহিদ বাবা" তুই যদি সত্যিই আম্লীগার হোস রেজাল্টটা আর দুই দিন পরে দিলি না কেন? কি এমন ক্ষতি হতো পুরো জাতীকে শোক দিবস পালন করিয়ে, না কাঁদলে পাঁছায় বাঁশ ঢুকিয়ে জোর করে কাঁদিয়ে দুই/তিন দিন পরে রেজাল্টটা প্রকাশ করলে? আর যদি রেজাল্ট দিবিই-এত পাশ দিলি ক্যাঁ? ২২% পাশ দিয়া ৭৮% ফেল করলে আজ দেশের সংখ্যাগুরু জনগোষ্টি শোক পালন করত !
"হাসিনুরশাদ" এর অনুসারী আম্লী মিডিয়া লীগের কর্মি (কথিত সাংবাদিক) ও বুদ্ধিজীবিদের হাসিনুরশাদীয় বানী শুনতে শুনতে একটা জোকস মনে পড়ে গেলঃ
স্কুলে ক্লাশ টিচার একে একে সবার জন্মদিন এর ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। ক্লাশের সব ছাত্রকে একে একে জিজ্ঞেস করছে- এই তুর জন্ম কি বারে রে?
করিমঃ মঙ্গল বারে স্যার,
বাদলঃ শনি বারে স্যার,
কামালঃ বৃহসপ্রতি বারে স্যার,
জন্টুঃ সোম বারে স্যার
শুক্কুরঃ (জবাব দেয়ার আগেই ক্লাশের সব ছাত্র একে অপরের দিকে চেয়ে চেয়ে মিটি মিটি হাসছিল) শুক্কুর বারে স্যার ! জবাব দেয়ার সাথে সবাই হুড়মুড় করে হেসে উঠল। টিচার জিজ্ঞেস করল-এই তুরা হাসছিস কেন রে?
ক্লাশের সবচেয়ে পিছনের বেঞ্চে বসা সবচাইতে খারাপ স্টুডেন্ট কুদ্দুস (কুদ্দুইছা) দাঁডিয়ে বলেঃ হুক্কুর বার অইল বন্ধের দিন, এই দিনে কারও জন্ম হয় ক্যামনে?
এই কপাল পোড়া বাঙ্গালীর কপাল সবদিকে খারাপ হলেও একদিকে বোধহয় ভালই। এখানে শিক্ষার দৌঁড় যেমন সীমিত তেমনি বিজ্ঞান বা টেকনোলজি দিক দিয়েও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অনেক পিছিঁয়ে। অন্যথায় সব সম্ভবের এই দেশে কোন এক অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরাচার কর্তৃক নির্দেশনা আসত- আজ থেকে ১৫ আগষ্ট কোন বাচ্ছার জন্ম দেয়া দেয়া যাবে না। অথবা আইন করে সব হসপিটাল ও গাইনোকলোজিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হতো, এখন থেকে ১৫ আগষ্ট গাইনী কোন পেসেন্টের ডেলিভারি ডেট দেয়া যাবে না। ইর্মাজেন্সি কোন গাইনী পেশেন্ট যদি সন্তান জন্ম দিতেই চাই তাহলে যেন সেই সন্তান প্রসবিনি মায়েদের জরায়ুমূখ সেলাই বা টেপ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।
জয় হোক ১৫ আগষ্টের !
©somewhere in net ltd.