![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।
; স্ট্যাটাসে'র নামে ইহা একটি ছোট গল্প হইয়া গেছে! ফেসবুক, হোয়াট ইজ ইন ইউর মাইন্ড, বইলা ঝামেলায় ফালাইয়া দিছে!
বাসে জনৈক ভদ্রলোক এবং আমার হুদা-হুদি আলাপঃ
জনৈক ভদ্রলোকঃ (ব্যাগের দিকে ইশারা করে) তুমি কি পড়াশুনা কর?
আমিঃ জি।
জনৈক ভদ্রলোকঃ কোথায় পড়?
আমিঃ একটা বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ করছি।
জনৈক ভদ্রলোকঃ (হতাশ হয়ে) ও! ওইসব ভার্সিটিতে তো না পড়লেই গ্রেড দেয়, ডাইকা ডাইকা সার্টিফিকেট দেয়।
আমিঃ (মনে মনে, প্রিন্টার সারাদিন চলতেই থাকে। চাইলে আপনি ও একটা সার্টিফিকেট নিতে পারেন আঙ্কেল। কোরবানি উপলক্ষে ডিসকাউনট চলতেছে) আঙ্কেল জব মার্কেটে তো গ্রেডে'রই দাম। নাম যাচাইয়ের সময় কই?
জনৈক ভদ্রলোকঃ কথাটা তুমি ঠিক বল নাই। আমার ছেলে, অমুক ভার্সিটি থেকে পড়াশুনা করছে। এখন তমুক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করে। বেতন দেয় কম, এই এক লাখের কাছাকাছি পায়। অল টাইম গাড়ি দিছে কোম্পানি।
আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ।
জনৈক ভদ্রলোকঃ তুমি চাকরির চেষ্টা কর না কেন? তোমার তো গ্রাজুয়েশন শেষ!
আমিঃ আঙ্কেল, মামা-চাচা ভাড়া করার চেষ্টায় আছি। ভাড়া করা হয়ে গেলেই চেষ্টা করব।
ঠিক এমন সময় আম্মা ফোন দেয়। ফোনে কথা বলা শেষ হতে না হতেই আমার গন্তব্যও চলে আসে।
আমিঃ আঙ্কেল, আসি। আম্মা ইলিশ মাছ রান্না করছে। মাছের পেটে ডিম হয় নাই। বাসায় গিয়া ভাত খাব। (বলেই একটা মুখ বিস্তৃত হাসি দিলাম)।
আমি খেয়াল করলাম, আমি খাওয়ার বর্ণনা দেয়াতে আঙ্কেল কেমন যেন বোকার মত আমার দিকে তাকিয়ে থাকেলেন। তিনি হয়ত ভাবছিলেন কিসের মধ্যে কি? পান্তা ভাতে ঘি!
আমি আসলে ওনাকে অন্য চিন্তায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অফ টপিকে কথাটা বলেছিলাম। পরশ্রীকাতরতা আমাদের সবার মধ্যেই প্রবল। আমি ও ব্যাতিক্রম নই। কিন্তু ব্যাপারটাকে আমি ইবাদতের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। ইবাদত যেমন মনের শান্তি, আমার কাছে পরশ্রীকাতরতা একই রকমের। কিছু ব্যাপারে কারও সাথেই পাল্লা দিতে পারবনা। হাজারবার চাইলেও বাবাকে আরেকবার ফিরে পাব না। কিছু জায়গায় পিছিয়ে থাকবই। যা আছে তাই নিয়ে যেন আল্লাহ শান্তিতে থাকার তৌফিক দেন, আমিন।
©somewhere in net ltd.