![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।
; আমি রাস্তাঘাটে সাধারণত 'রাস্তা-কানা' টাইপের চলাফেরা করি। এইটা হইল রাত-কানা'র উন্নত সংস্করন! রাত-কানা'র লক্ষন হইল রাতে কম দেখা, আর আমি রাস্তা -ঘাটে কম দেখি। মনে করেন, রাস্তায় আপনি আমার সামনে দিয়া হাইটা গেলেন, একবারে মুখের সামনে দিয়া টাইপের, আমি তবুও আপনারে দেখব না। এই খেয়াল জিনিসটা বেখেয়ালে আমার অবচেতন মনে অচেতন হয়ে গেছে!
যাউক গা, সেইটা ব্যাপার না। ব্যাপার হল যে জিনিসটা আমি খেয়ালের সহিত রাস্তা-ঘাটে অবলোকন করি, তা আমার বেশ ভাল মনে থাকে। বাসায় আসার পরেও আমি সেই জিনিস নিয়া বেপক চিন্তা-ভাবনা করি। গতকাল এইরকম বিশেষ একটা ঘটনা হয়েছে।
আমি কাওরান বাজারে, ঢাকা পরিবহনের(বাস) জানালা দিয়া উদাস দৃষ্টিতে বাইরে তাকায়া আছি! গরম আর জ্যামের মাঝে লোকাল বাসে এর চেয়ে বেশি কিছু অবশ্য করার ও নাই। হটাত, আমি 'হিমু দর্শন' করলাম!! যারা হুমায়ুন আহমেদ -এর বই পড়েছেন তারা নিশ্চিত ভাবে তাকে চেনেনে ও তার কর্ম-চরিত্র সম্পর্কে জানেন। ঠিক সেই হলুদ পাঞ্জাবি, মুখে খোঁচা দাড়ি, খালি পায়ে কাওরান বাজারের ফুটপাত ধরে হাঁটছেন!! আমার মাথায় খালি ঘুরছে তখন, ইশ! এইরকম যদি হইতে পারতাম!! বেটার সাথে নেমে কথা বলব কিনা ভাবছি, ঠিক তখনই দেখলাম কিছুখখন আমাদের বাসের দিকে তাকিয়ে 'হিমু সাহেব' আমাদের বাসে উঠে পড়লেন। কেল্লাফতে! মানুষটার সাথে কথা বলতে হবে। আমি তড়িঘড়ি করে ওনার পাশের সিটে গিয়ে বসলাম। বাসের সবাই কম-বেশি ওনাকে ঘুরে ঘুরে দেখছে। ইয়াং মানুষ। পুরাদস্তুর হিমু লাগছে। আমি নিজের উত্তেজনা দমন করে বেশ ভাব নিয়ে অবশেষে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, 'ভাইজান কি, হিমু সাহেব নাকি?' তিনি কথাটি বুঝতে পারলেন। নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে, মাথা নেড়ে বললেন,
'নাহ! নামায পড়তে মসজিদে গেছিলাম। স্যান্ডেল চুরি গেছে। তাই খালি পায়ে বাসায় যাই।'
আমি তো উত্তর শুইনা পুরা শেষ! মনে মনে বললাম, ধুর! হালা তুমি আর স্যান্ডেল হারানোর দিন পাও নাই! হলুদ পাঞ্জাবি পইড়াই হারাইতে হইছিল!
©somewhere in net ltd.