![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- হোঁচট খেয়েছি ঠিকই, কিন্তু থেমে যাইনি , হেরে যাব বলে তো, আর স্বপ্ন দেখিনি।
; এবার দাদা বাড়ি গিয়ে নতুন কিছু জিনিষ শিখলামঃ
প্রথমত, রেন্ট-এ-কার মানে সব সময় গাড়ি ভাড়া করা না। এলাকার সবাই উহা'র মানে ভাড়া করা মটর সাইকেল বোঝেন। যে সকল মটর সাইকেল আমাদের ঢাকা'র রিকশা বা সিএনজি'র মতই ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করে! যদি ও রেন্ট-এ-বাইক হলে বিষয়টি উত্তম হইত, তবুও পাবলিক ট্র্যান্সপোর্টের আইডিয়াটি আমার বিশেষ মনঃপুত হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, যখন আমার কাকা আমাকে নিয়ে মাছ কিনতে বাজারে গেলেন। অতঃপর তিনি বললেন বাবা, এই বাজারে মাছ নাই। চল, অন্য বাজারে যাই। উল্লেখ্য এক বাজার থেকে অন্য বাজার দূরে হওয়ায় আমি আলস্য বোধ করলাম। কাকা'র দৃষ্টি কিছু মাছের দিকে ফিরাইয়া বললাম। ওইখানে কিছু মাছ দেখা যাইতেছে।
কাকার সরল উত্তরঃ উহা তো বরফ দেয়া! উহা কি খাইব?
আমি তার উত্তর শুনে তব্ধা খাইয়া গেলাম! মনে মনে বললাম, ঢাকায় যদি এই চিন্তায় মাছ খাওয়া সবাই বন্ধ করে দিত, তাইলে মাছ বস্তুটি আর দৃষ্টিগোচর হইত না!
শেষে যেটা সব থেকে বেশি মনে পড়ে তা হল, ওইখানে সবাই আমার নামের থেকে আমার বাবার নাম এবং আমার বাড়ি কোথায় তা জানতে বেশি আগ্রহী! নিজের থেকে বাবা'র পরিচয়টাই তাদের কাছে অনেক বড়। কারও সাথে দেখা হইলেই,
জনৈকঃ কি হে? তোমার বাবা'র নাম কি? বাড়ি কোথায়?
শুধু এইটা বলে ক্ষান্ত দিলেও হইত! তাদের দ্বিতীয় প্রশ্ন,
জনৈকঃ বিয়ে করছ? বেতন পাও কত?
এই সকল প্রশ্ন শুনতে শুনতে প্রথম প্রথম অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম হলেও পরে উহার একটা সমাধান আবিস্কার করেছিলাম। সমাধানটি হল, ঘাড় বাঁকা করে কেলাইয়া হাসি দেয়া। এই উত্তরে তারা বেশ প্রীত হয়। অদ্ভুত!
©somewhere in net ltd.